বর্ষাকাল রচনা ক্লাস 10 - বর্ষাকালের দৃশ্য

বর্ষাকাল রচনা ক্লাস 10 - বর্ষাকালের দৃশ্য।সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সামনে আলোচনা করব বর্ষাকাল রচনা ক্লাস 10 সম্পর্কে এবং বর্ষাকালের দৃশ্য সম্পর্কে। যদি আপনি পুরো পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনাদের অনেক উপকারে লাগবে।

বর্ষাকাল রচনা ক্লাস 10 - বর্ষাকালের দৃশ্য

তাহলে চলুন জেনে নিয়ে আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়বর্ষাকাল রচনা ক্লাস 10 এবং বর্ষাকালে দৃশ্য। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে লাগবে।

 বর্ষাকাল রচনা ক্লাস 4 ,5,6 

প্রিয় পাঠক আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল বর্ষাকাল রচনা ক্লাস 10 - বর্ষাকালের দৃশ্য। তবে এই পর্বে আমরা আপনাদের বর্ষাকালার রচনা ক্লাস 4-5-6 দেখব এরপরে আমরা দেখব বর্ষাকাল রচনা ক্লাস 10 । নিচের পর্বে।

ভূমিকাঃ ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ছয় ঋতুর মধ্যে বর্ষা ঋতু স্থান দ্বিতীয়। আষাঢ় শ্রাবণ এই দুই মাস নিয়ে বর্ষাকাল। বর্ষা আরম্ভ হয় জৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি থেকে এবং তার প্রভাব থাকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত। বর্ষার আগমনে গাছপালা জীবজন্তু আনন্দে মেতে ওঠে। খাল বিল পানিতে থৈ থৈ করে।

সময়কালঃ প্রচন্ড তাপদাহের পর বর্ষাকালে প্রকৃতি যেন প্রশান্তি নিঃশ্বাস ফেলে। গ্রীষ্মকালের তাপে মাঠ ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে যায়। গাছপালার আর শুধু অপেক্ষা করে কবে বর্ষা কাল আসবে। ওদের ধৈর্যের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আসে বর্ষা কাল। ঋতুর পরিক্রমায় আসার ও শ্রাবণ দুই মাস মিলে হয় বর্ষাকাল।

বর্ষার আগমনঃ দুই মাস কখনো অভিষ্রান্ত বর্ষণ আবার কখনো টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ে। নদী নালা পাটঘাঁট জলে থৈ থৈ করে। বর্ষার আগুনে নির্জী প্রভৃতি যেন আবার নতুন করে তাদের জীবন ফিরে পায় এবং তারা সজীব হয়ে ওঠে। বর্ষাকালে কদম, জুই সহ আরো বিভিন্ন ধরনের ফুল ফোটে।
 
কৃষ্ণচূড়া আনন্দে মেতে ওঠে। চারিদিকে নতুন প্রাণের সারা জেগে ওঠে। ব্যাঙের কলরবে চারদিক মুখর হয়ে থাকে। এইসবের পাশাপাশি বর্ষাকালে হয় বিভিন্ন ধরনের পানি বাহিত রোগ যেমনঃ কলেরা, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা যায়।

বর্ষার রূপঃ ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যেন নতুন নতুন রূপে সেজে ওঠে। তেমনি বর্ষাকালেও বাংলাদেশের নতুন এক রূপে সেজে ওঠে। এই সময়ে চারিদিক পানি করে। রাস্তাঘাটে প্রায় সবসময় পানি থাকে। আশেপাশের খাল বিল পানিতে ভরে যায়। এই সময় পানিতে নৌকা দিয়ে ঝরে বেড়াতে অনেক ভালো লাগে। বর্ষাকালের কদম গন্ধরাজ ফুলের গন্ধে চারিদিকে যায়। সবকিছু ধুয়ে নিয়ে যায়। এই বর্ষার সময় প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। বর্ষাকালে মাছ ধরা যেন অন্যতম একটি উৎসব হয়ে দাঁড়ায়।

উপসংহারঃ ছয়টি ঋতুর মধ্যে বর্ষাকাল অন্যতম একটি ঋতু। এই বর্ষাকালে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে সকালে তৈরি করা হয় গরম গরম খিচুড়ি। তার সাথে রয়েছে ঘরে বসে থাকার কিছু খেলা যেমনঃ লুডু, দাবা সহ আরো বিভিন্ন ধরনের খেলা। আবার কখনো কখনো কাগজের নৌকা বানিয়ে পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া। বর্ষা অনেকখানি বিশ্রামের সুযোগও এনে দেয়।

বর্ষাকালের দৃশ্য

বর্ষাকালের দৃশ্য


বর্ষাকাল রচনা ক্লাস 7,8,9,10

সুপ্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলের এই পর্ব যদি আপনি পড়েন তাহলে আপনি জানতে পারবেন বর্ষাকাল রচনা ক্লাস 10। সেইসঙ্গে আপনি আরো জানতে পারবেন বর্ষাকাল রচনা7-8-9। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই আজকের আর্টিকেলের মূল পর্ব বর্ষাকাল রচনা ক্লাস 10।

সূচনাঃ বাংলাদেশের রয়েছে ছয়টি ঋতু। প্রত্যেকটি ঋতুরই একটি নিজস্ব রূপ রয়েছে। তাদের মধ্যে বর্ষাকাল অন্যতম। আর এই  বাংলা প্রকৃতিকে নতুন রূপে সাজিয়ে আসে বর্ষাকাল। বাংলাদেশের ছয়টা ঋতু। ছয়টা ঋতুতে , বাংলাদেশে প্রকৃতি বছরে ৬ বার নতুন নতুন রূপে সেজে ওঠে। প্রচন্ড তাপদাহের পর এই বর্ষাকালে প্রকৃতিকে স্বস্তি দেয়। 

এ বর্ষাকালের আগমনে গাছপালা যেন এক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। গাছপালা চ্যানেল নতুন করে তাদের জীবন আবার ফিরে পায়। তাই বর্ষাকালে নতুন রূপে প্রকৃতি আবার সেজে ওঠে। প্রকৃতি হাসি খুশিতে মেতে ওঠে। নদী নালা খাল বিল সবকিছু পানিতে করে। এমনকি রাস্তাঘাটের আশেপাশেও পানি জমা হয়ে থাকে। কৃষকের শুকনো খেত এই বর্ষা যেন এসে সবুজে ধরিয়ে দিয়ে যায়।

বর্ষার সময়কালঃ বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু। প্রতিটি ঋতু দুটি মাস মিলে বিরাজ করে। ছয়টি ঋতুগুলো হলঃ গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল, শরৎকাল, হেমন্তকাল, শীতকাল, বসন্তকাল। তাদের মধ্যে বর্ষাকাল অন্যতম। বর্ষাকাল আসার এবং শ্রাবণ মাস নিয়ে বিরাজ করে। 

বর্ষাকাল আসার এবং শ্রাবণ মাস নিয়ে হলেও জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষের দিক থেকেই বৃষ্টি পড়া শুরু হয় এবং আষাঢ় মাস পর্যন্ত এই বৃষ্টি থাকে। কখনো কখনো অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বন্যাও দেখা যায়। এ সময় নদী-নালা সব পানিতে ভরে থাকে। তাই এই সময় অনেক মাছ হয়।

বর্ষাকালে ফুল - ফলঃ প্রচন্ড গরমের পর এই বর্ষা বাংলাদেশের প্রকৃতিকে প্রশান্তি এনে দেয়। তাই তারা খুশিতে মেতে ওঠে আবার নতুন রূপে সবুজ হয় সেজে ওঠে। গাছ পালায় নতুন নতুন পাতা গজায়। এই বর্ষা মৌসুমে অনেক ধরনের ফুল ফোটে যেমনঃ কদম, কেয়া, শাপলা বিভিন্ন ধরনের ফুলের বাহার।  এসব ফুলের গন্ধে চারিদিকে ছেয়ে যায়। বর্ষাকালে শুধু ফুলি নয় নানান রকমের ফলও পাওয়া যায়। যেমনঃ আমড়া, পেয়ারা, আনারস, নটকন ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের ফল।


বর্ষায় নদ - নদীঃ গ্রীষ্মকালে রোদের প্রচন্ড তাপের মাল-বিল মাঠঘাট সবকিছু শুকিয়ে চৌচির হয়ে যায়। গাছপালা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। পশু পাখিরা পানি শূন্যতায় ভুগতে থাকে। এজন্য এক দুর্ভোগের মতো। কিন্তু এত দুর্ভোগ পেরিয়ে যখন বর্ষাকাল আসে শুধু পশুপাখি গাছপালা নয় এক মানুষেরাও যেন এক অন্য ধরনের প্রশান্তি পায়। প্রকৃতি আবার নতুন রূপে নিজেকে সাজিয়ে তোলে। নদী নালা খাল বিল সবকিছু পানিতে থৈ থৈ করে। গাছপালা সবুজ পাতা দিয়ে ভরে যায়। নতুন করে গাছে ফুল ফল ধরে।


বর্ষায় গ্রামীণ জীবনঃ বর্ষায় শহর এবং গ্রামের চিত্র আলাদা রূপে সাজানো থাকে। গ্রামের বর্ষার প্রকৃতি যেন সৌন্দর্যে করে রাখা হয়। চারিপাশ সবুজ গাছপালা ভরে যায়। গাছে গাছে লেগে থাকে পানির ফোটা। গ্রামের আশেপাশের ছোট ছোট খাল বিলগুলো পানিতে টইটম্বুর হয়ে থাকে। গ্রাম বাংলার ক্ষেতগুলো সবুজ হয়ে থাকে। গ্রাম বাংলার মাটির রাস্তাঘাট গুলো কর্দমাক্ত হয়ে থাকে। তাই গ্রামে বর্ষাকালে চলাচল করা  কষ্টকর।

বর্ষায় শহরে জীবনঃ শহরের যান্ত্রিক জীবনে কিছুটা হলেও বর্ষা তার প্রভাব ছড়িয়ে দেয়। গ্রামের মতো শহরে বর্ষার সময় চলাফেরা করতে খুব একটা অসুবিধা হয় না। বর্ষা শহরের মানুষের কাছে অন্যরকম এক সুবিধা এনে দেয় তাদের ব্যস্ত জীবনে। এ বসার সময় শহরের ব্যস্ত মানুষেরা একটু আরাম আয়েশ করতে পারে। তবে অনেক সময় শহরের রাস্তাঘাট একটু বৃষ্টিতে ডুবে যায়। যে ট্রেন চলার পথে বাধা সৃষ্টি করে। যেটি চলার পথে বাধা সৃষ্টি করে।

বর্ষার উপকারিতাঃ তারপর বর্ষা যেন এবং মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে। গ্রীষ্মকালে মানুষ পশু পাখি পুরো তাপের কারণে একটু ছায়ার খোঁজ করে। কিন্তু আশেপাশে গরম বাতাস বয়ে বেড়ায়। এ যেন এক দুর্ভোগে ভুগছে মানুষ। এরপরে যখন বর্ষাকাল আসে, চারিপাশ ঠান্ডা বাতাসে ভরিয়ে দেয়। গাছপালা পশুপাখি সকলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। মৃত গাছগুলো নতুন করে তাদের জীবন ফিরে পায়। নতুন করে তাদের গাছে পাতা গজাতে থাকে। কৃষকের শুকনো ক্ষেতগুলোও সবুজে ভরে যায়। তাই কৃষকের মুখে আবার হাসি ফুটে ওঠে।

বর্ষার অপকারিতাঃ বর্ষাকাল যেমন মানুষের মুখে হাসি ফোটায় তেমনি এই বর্ষাকাল মানুষের জন্য এক দুঃখের কারণও হয়ে দাঁড়ায়। কোথায় আছে কোন কিছুর অতিরিক্ত কখনো ভালো হয় না। মানে বর্ষার বৃষ্টি মানুষের যেমন ভাল করে। সব কিছু পানিতে ভরিয়ে দেয়। 

তেমনি অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য বন্যা হয়, আর এই বন্যা সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। মানুষের থাকার জায়গাটুকুও কেড়ে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় এই বর্ষাকালের জন্য পানিবাহিত রোগের মাত্রা অনেক গুণে বেড়ে যায়। পানি বাহিত রোগ গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ কলেরা, টাইফয়েড, ডায়রিয়া ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের রোগ।

উপসংহারঃ বর্ষাকালের সবকিছুই প্রকৃতিকে এক নতুন সৌন্দর্যে সাজে তোলে। তবে কোন একটি সুন্দর জিনিসের যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি তার অতিরিক্ত মাত্রার খারাপ দিক রয়েছে। এটি সব ক্ষেত্রেই ফলে। তেমনই বৃষ্টি যেমন মানুষের জীবনে নতুন ধরনের এক প্রশান্তি এনে দেয় তেমনি অতিরিক্ত বৃষ্টি শুধু তাদের প্রশান্তি নয় তাদের থাকার জায়গাটাও কেড়ে নেয়। তাদের গোছানো জীবনটাকে অগোছালো করে দেয়। এসব কিছু ভুলে বর্ষাকাল আমাদের প্রকৃতির একটি অংশ। তাই বর্ষা অনেকের কাছে প্রিয়।

বর্ষাকালের দৃশ্য



শেষ কথাবর্ষাকাল রচনা ক্লাস 10 - বর্ষাকালের দৃশ্য

বর্ষাকাল প্রকৃতির এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। বাংলা মাস শুরু হয় আষাঢ়- শ্রাবণ দিয়ে আর ইংরেজি মাস শুরু হয় জুলাই- আগস্ট দিয়ে। এই সময় মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়। এই বৃষ্টি বাংলাদেশের কৃষি জমির জন্য অনেক উপকারী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

বর্ষাকালের কথা সারাদিন বললেও শেষ হবেনা। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি আশা করছি আপনারা সকলেই বর্ষাকাল রচনা ক্লাস 10 - বর্ষাকালের দৃশ্য সম্পর্কে বুঝে গিয়েছেন। আজকের আর্টিকেল যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url