অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম

আসসালামু আলাইকুম আপনি কি অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম জানতে চান? যদি আপনি অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম জানতে চান। তাহলে আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম জানতে পারবেন। জানতে হলে আজকের এই পর্বটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম

তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিন অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম । এই পর্বে আপনি জানতে পারবেন খতিয়ান কি, নামজারি খতিয়ান অনলাইন করার নিয়ম,অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান এইসব আরো বিস্তারিত আলোচনা জানতে হলে পুরো পর্ব জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকার হবে।

খতিয়ান কিঃ।অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম 

খতিয়ান হলো মূলত এক ধরনের দস্তাবেজ। যেটি একটি জমির মালিকানার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে থাকে। এটি সাধারনত কোন জমি কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানের মালিকানা রেকর্ড দেওয়ার জন্য বর্তমানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হয়েছে যেমনঃ জমির অবস্থান, দাগের আয়তন মালিকের নাম ইত্যাদি জন সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য দেওয়া থাকে সেখানে। 

মালিকানা স্থাবর উন্নয়নের জন্যও  ব্যবহৃত হয়ে থাকে। খতিয়ানের বিভিন্ন ভাগ রয়েছে, বর্তমানে যে সব খতিয়ান ব্যবহৃত হয় সেই সবগুলোর উপস্থিত কিছু ধারণা নিচে দেওয়া হলঃ

নামজারি খতিয়ানঃ এটি এমন একটি খতিয়ান যা একটি জমির মালিকানার অনুমতির আওতায় তৈরি করা হয়। এই খতিয়ানটি সাধারণত স্বত্বাধিকারী বা জমির দায়িত্বশীলকে সম্পত্তির মালিকানা অনুমতি প্রমাণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

মামলাদাড়ি খতিয়ানঃএটি এমন একটি খতিয়ান যা পুরোপুরি জমির মালিকানা, দাগ নম্বর ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রদান করে। এছাড়াও এটি ভূমির রেকর্ড ও মালিকানার খবর উন্নয়নের জন্যও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

রেজিস্ট্রেশন খতিয়ানঃ এটি জমির মালিকানার নোটিশ পূর্বক একটি রেজিস্ট্রেশন ও রেকর্ডের জন্য ব্যবহৃত করা হয়। এছাড়াও এটি নতুন মালিকানার দায়িত্ব স্থাপনের সময়ও ব্যবহৃত করা হয়।

হাল খতিয়ানঃ এই খতিয়ানটিতে বর্তমান জমির মালিকানা ও তার আগের মালিকানা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া থাকে। আর এটি সাধারণত জমি পরিবর্তন করার সময় ব্যবহৃত করা হয়।

 নামজারি খতিয়ান অনলাইন করার নিয়মঃ

বর্তমান সময়ে জমি খারিজ করা নিয়ে অনেক ধরনের ঝামেলা হয়ে থাকে। এ কারণেই সকলে অনলাইনে নামজারি খতিয়ান করে রাখেন। আর অনলাইনে যদি নামজারি খতিয়ান করে রাখা যায় তাহলে পরবর্তীতে জমি বিষয়ক কোন ধরনের ঝামেলা আর হবে না। আপনিও কি অনলাইনে নামজারি খতিয়ান করতে চান? নিচে দেওয়া হল নামজারি খতিয়ান অনলাইনে কিভাবে করা যায়ঃ



অনলাইনে খতিয়ান করতে হলে প্রথমে সার্চ ইঞ্জিনে ভূমি মন্ত্রণালয় সার্চ করতে হবে। এরপর সে ওয়েবসাইটে যেয়ে ই-নামজারি অপশনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে ক্লিক করার পর আবেদনের শেষ অবস্থা অপনে ক্লিক করতে হবে। এরপরে সেখানে একটি ফর্ম দেখাবে। সে ফর্মটি পূরণ করতে হবে। এরপর মেয়ে যে তথ্যগুলো চাইবে যেমনঃ বিভাগের নাম, আবেদন আইডি, জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিতে হবে। 

সে তথ্যগুলো পূরণ করার পর খুঁজুন অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপরে আপনার সব ইনফরমেশন গুলো চলে আসবে। আপনার আবেদনটি যদি ডাটাবেজে এন্ট্রি করা হয় তাহলে সেখানে দেখাবে আর না হলে, আবেদনের কত ধাপে আপনি আছেন নিচের দিকে গেলে দেখতে পারবেন। এরপরে পাশে ডাউনলোড করার কিছু অপশন দেখাবে যেমনঃ ডিসিআর ডাউনলোড, খতিয়ান ডাউনলোড এই অপশন গুলোতে ক্লিক করে আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। করে খুব সহজে অনলাইনে নামজারি খতিয়ান বের করা যায়।

 

অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম 

খতিয়ান অনুসন্ধান হল মূলত ভূমির মালিকানা বা মালিকের সম্পত্তির সরকারের রেকর্ডের খোঁজ নেওয়ার প্রক্রিয়া। এই খোঁজ নেওয়ার প্রক্রিয়াকে মূলত জমির খতিয়ান অনুসন্ধান বলা হয়। এখন প্রশ্ন হলো জমির খতিয়ান অনুসন্ধান কিভাবে করব? অনলাইনে অনুসন্ধান করার জন্য প্রথমে সরকারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে(eporcha.gov.bd) যেতে হবে। 

সেখানে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের ধরন রয়েছে। এছাড়া সেখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয় । সেসব তথ্য নম্বরে ক্লিক করে অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করতে হবে। খতিয়ান অনুসন্ধান করার সময় আপনার জেলা, উপজেলা খতিয়ান নম্বর তাতে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিতে হতে পারে। অনলাইনে খতিয়ান অনুসন্ধানের সময় অবশ্যই প্রতিটি তথ্য সঠিক দিতে হবে। তাই অবশ্যই তথ্য দেওয়ার সময় সচেতন থাকতে হবে।

উপরের দেখানোর নিয়মে আপনি অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন।

ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ান অনুসন্ধান

ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ান হলো বাংলাদেশের একটি গভার্নমেন্ট ডকুমেন্ট। যেখানে ভূমি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়। এটি জমিদাতা, জমির মালিকানার অধিকার, জমির অবস্থান ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা থাকে। এই ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ান টি ব্যবহার করা হয় ভূমি সম্পত্তির মালিকানা প্রমাণ করার জন্য, সম্পত্তি মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং নিবন্ধিত জমির মালিকানার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের জন্য আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ানটি প্রয়োজন হতে পারে। আপনি যদি চান তাহলে খুব সহজে অনলাইনে আপনার ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ানটি অনুসন্ধান করে পেয়ে যাবেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ানটি আপনি কিভাবে অনুসন্ধান করবেন। তাহলে চলুন দেখি নি কিভাবে মন্ত্রণালয় খতিয়ান অনুসন্ধান করতে হয়ঃ

ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ান টি অনুসন্ধান করতে সর্বপ্রথমে আপনাকে ভূমি মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর স্ক্রিনে একটি ফ্রম দেখাবে। সে ফ্রমে যেসব তথ্য দিতে বলা হয়েছে সেই শক্ত পূরণ করার পর খুঁজুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। সে পর মেয়ে আপনার বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং মৌজা সহ আরো বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিতে হতে পারে। সেইসব তথ্য দেওয়ার পর আপনি খুব সহজেই আপনার অনলাইন জমির খতিয়ানটি পেয়ে যাবেন।


নামজারি খতিয়ান বের করার নিয়ম

আমরা হয়তো সকলেই জানি যে, বর্তমানে সময়ে অনলাইনে জমির খতিয়ান খুব সহজেই বের করা যায় কারণ অনলাইনে জমির খতিয়ান সেভ করা রয়েছে ।  সেখান থেকে খুব সহজে আপনি আপনার জমির খতিয়ান বের করে নিতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের জমি সংক্রান্ত কাজে আমাদের নাম নামজারি খতিয়ানটি প্রয়োজন হতে পারে। 

আপনারা যদি জন সংক্রান্ত যেকোনো কাজে না যায় খতিয়ানটি প্রয়োজন হয় তাহলে অনলাইনে আপনি আপনার নামচারি খতিয়ানটি বের করতে পারবেন। এখন আপনাদের মাথায় এ প্রশ্নটি জানতে পারে যে, অনলাইনে কিভাবে নাম যারে খতিয়ান বের করতে হয়। তাহলে চলুন দেখেনি কিভাবে অনলাইনে নামজারি খতিয়ান বের করা যায়।

নামজারি খতিয়ান বের করার জন্য সর্বপ্রথমে গুগল ব্রাউজারে যেয়ে সার্চ ইঞ্জিনে land.gov.com.bd অথবা ভূমি মন্ত্রণালয়  লিখে সার্চ করতে হবে. এরপর সেই ওয়েবসাইটে ঢুকে ই -নামজারি অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপরে আবেদনের শেষ অবস্থা অপনে ক্লিক করতে হবে। এরপরে সেখানে একটি ফর্ম দেখাবে। সে ফর্মটি পূরণ করতে হবে। 

এরপর মেয়ে যে তথ্যগুলো চাইবে যেমনঃ বিভাগের নাম, আবেদন আইডি, জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিতে হবে। সে তথ্যগুলো পূরণ করার পর খুঁজুন অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপরে আপনার সব ইনফরমেশন গুলো চলে আসবে। আপনার আবেদনটি যদি ডাটাবেজে এন্ট্রি করা হয় তাহলে সেখানে দেখাবে আর না হলে, আবেদনের কত ধাপে আপনি আছেন নিচের দিকে গেলে দেখতে পারবেন। 

এরপরে পাশে ডাউনলোড করার কিছু অপশন দেখাবে যেমনঃ ডিসিআর ডাউনলোড, খতিয়ান ডাউনলোড এই অপশন গুলোতে ক্লিক করে আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। করে খুব সহজে অনলাইনে নামজারি খতিয়ান বের করা যায়।

 

ই - পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

ই -পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করার আগে আমাদের জানতে হবে ই - পর্চা খতিয়ান কি? যা খতিয়ান হলো একটি দস্তা বেজ যা ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে।এই খতিয়ান গুলোতে সাধারণত সরকারি কর্তৃপক্ষ বা ভূমি তহবিল দ্বারা পরিচালিত হয়। পর্যাপতিয়ানে সাধারণত জমির মালিকানা, জমির অবস্থান, উপকরণ সহ আরও বিভিন্ন ধরনের মৌলিক তথ্য দেওয়া থাকে।

 বর্তমান সময়ে পর্চা খতিয়ান এটি মূল্যবান বস্তাভেজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি জমির মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করার জন্য এবং জমি ক্রয় বিক্রয়ের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনের দলিল প্রদর্শনেও এটি ব্যবহার করা হয়।

শেষ কথা।অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম

সুপ্রিয় পাঠক আজকে আমরা এই আর্টিকেলের শেষপ্রান্তে চলে এসেছি। আশা করছি পুরো পর্ব জুড়ে আপনি আমাদের সঙ্গেই ছিলেন এবং জেনে গেছেন অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম। যদি আপনি আজকের এই আর্টিকেল থেকে কোনভাবে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আজকের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন, তাহলে আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধু-বান্ধবেরাও জানতে পারবে অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url