টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ
টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ অনেকে জানেন না। এই
আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব টনসিল
হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ ।
আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
টনসিল হলে কি কি সমস্যা হয়
- টনসিলাইটিস সৃষ্টিকারী অনেক প্রকার ভাইরাল সংক্রমণ করার কারণে ও কাশি , সর্দি , কর্কশ কণ্ঠস্বর বা মুখ বা গলায় ফোসকা দেখা দিয়ে থাকে ৷
- সংক্রামক মনোনিউক্লিওসিস এর কারণে এই টনসিল ফুলে যেতে পারে এবং লাল দাগ বা সাদা স্রাব যা জিহ্বা পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে ।
- এর সাথে সাধারণত জ্বর , গলা ব্যথা , সার্ভিকাল লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া জনিত সমস্যা এবং লিভার ও প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া জনিত সমস্যা গুলো পরিলক্ষিত করা হয়ে থাকে ।
- টনসিল হলে লেবু খাওয়া যাবে
টনসিল হলে লেবু খাওয়া যাবে
এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে অবগত নন তাদের কে এই টনসিল হলে লেবু খাওয়া যাবে এ
সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে অবগত করার জন্য নিচে এই টনসিল হলে লেবু খাওয়া যাবে এ
সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হলো এক নজর এ দেখে নিতে পারেন এবং আপনারা আপনার
অবস্থার সাথে মিলিয়ে নিবেন এবং দেখবেন আপনার পরিস্থিতি এর সাথে মিলে যায় কি , না
৷ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে , টনসিল হলে লেবু খাওয়া যাবে -
লেবু - মধু : এক গ্লাস পরিমাণ উষ্ণ জলে আপনার গোটা একটা পরিমাণ পাতিলেবুর রস , ১
চামচ পরিমাণ মধু ও একটু পরিমাণ নুন মিশিয়ে খান । টনসিল জনিত সমস্যা গুলোর ব্যথা
হলে দিনের মধ্যে মাঝে মাঝেই এই পানীয় টি খান ।
টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না
টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে অবগত নন তাদের কে এই
টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে অবগত করার জন্য নিচে
এই টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না দেওয়া হলো এক নজর এ দেখে নিতে পারেন এবং
আপনারা আপনার অবস্থার সাথে মিলিয়ে নিবেন এবং দেখবেন আপনার পরিস্থিতি এর সাথে মিলে
যায় কি , না ৷ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে , টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না -
আরো পড়ুনঃ সহজ উপায়ে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
আপনি কি আপনার এই টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না এটি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ?
টনসিল হলে আপনার সাধারণত কিছু খাবার গুলো এড়িয়ে চলা উচিত ৷ কারণ হলো এ গুলো
সাধারণত আপনার গলা ব্যথা কে আর ও বাড়িয়ে তুলতে পারে । আপনার সমস্যা কে আরো বেশি
পরিমাণ দীর্ঘায়িত করতে পারে । চলুন টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না সেই তালিকাটি
জেনে নেই ।
- চানাচুর , চিপস , চটপটি , ফুচকা এবং কোমল পানীয় জাতীয় জাঙ্কফুড গুলো খাওয়া যাবে না । এ গুলো সাধারণত আপনার এড়িয়ে চলতে হবে ।
- অতিরিক্ত পরিমাণ মশলা যুক্ত খাবার গুলো খাওয়া যাবে না । যে কোন খাবারে সাধারণত এই সময় কম পরিমাণ মশলা ব্যবহার করে খাবার খেতে হবে । এইসব খাবার গুলো সাধারণত টনসিল বাড়িয়ে দেয় ।
- টক জাতীয় সকল প্রকার খাবার গলা ব্যথা বাড়তে পারে । টনসিল এর ব্যথা কমাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গুলো খেতে হবে এবং কোন প্রকার কোন অবস্থাতেই এই টক জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া যাবে না । যেমন : তেঁতুল , আমলকি , লেবু ইত্যাদি ।
- বাঁধাকপি , ফুলকপি , ব্রকোলি সাধারণত এই খাবার গুলো খাওয়া যাবে না । কারণ এই খাবার গুলো আপনার টনসিলের সমস্যা গুলো কে বাড়িয়ে তোলে এবং গলা ফোলা সহজে কমতে দেয় না ।
- মিষ্টি আলু , চিনা বাদাম ইত্যাদি খাবার গুলো ও খাওয়া যাবে না । এই খাবার গুলো আপনার টনসিল বাড়িয়ে দেয় ।
- দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার গুলো যেমন - পনির , চিজ , টক দই ইত্যাদি এই খাবার গুলো খাওয়া যাবে না ।
- চিনি , রান্না করা গাজর , পাকা কলা , শুকনো ফল , মধু , ময়দার রুটি , আলু , সাদা পাস্তা এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো কম খেতে হবে । কারণ , এই খাবার গুলো আপনার শরীরে কার্বহাইড্রেটের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে ।
- অ্যাসিডযুক্ত খাবার যেমন - টমেটো , স্ট্রবেরি , কমলা , কুল , আঙ্গুর , আনারস , আচার , সস , ওয়াইন , কফি , সোডা , চকোলেট ইত্যাদি এ সকল প্রকার খাবার খাওয়া যাবে না । এ গুলো সাধারণত আপনার টনসিলের সমস্যা গুলো কে বাড়িয়ে দেয় ।
- তেলযুক্ত খাবার গুলো যেমন - ফ্রাইড মাছ , ফ্রাইড চিকেন , মাখন , চিজ , ভাজা খাবার , পিৎজা ইত্যাদি সকল প্রকার খাবার গুলো খাওয়া যাবে না ।
- কাঁচা ধরনের খাবার গুলো বিশেষ করে সালাদ , ব্রকোলি , ফুলকপি , বাঁধাকপি , ফল , শাকসবজি , মাশরুম , কাঁচা পেঁয়াজ , কাঁচা রসুন , পেঁয়াজ এবং এ জাতীয় সকল প্রকার কাঁচা যে কোন ফল ইত্যাদি খাবার গুলো খাওয়া যাবে না ।
- চকলেট , আইসক্রিম , মাখন , চিজ , রুটি , পাস্তা , ভাত ইত্যাদি এ সকল প্রকার ঠান্ডা জাতীয় খাবার গুলো সব খাওয়া যাবে না । অথ্যাৎ কোন প্রকার কোন ঠান্ডা খাবার খাওয়া যাবে না ।
- অতিরিক্ত পরিমাণ ঠান্ডা জাতীয় বা গরম জাতীয় খাবার গুলো এ সময় খাওয়া যাবে না ।
- কোনো প্রকার ধরণের শক্ত জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া যাবে না ৷ যেমন - , গরু মাংস , রুটি ইত্যাদি । শক্ত খাবার গুলো টনসিলের ফোলা বৃদ্ধি করতে পারে । এ সময় নরম খাবার গুলো খেতে হবে ।
- পাকা কলা ও শুকনো কলা খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলতে হবে ।
- মধু ও মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো কম খেতে হবে । এ গুলো টনসিল বাড়িয়ে দেয় ।
- ঝাল খাবার গুলো খাওয়া যাবে না । যতটা সম্ভব কম ঝাল দিয়ে খাবর গুলো খেতে হবে ।
- ধূমপান করা যাবে না । ধুমপান টনসিল ছাড়া ও স্বাস্থ্যের জন্য ও আর ও বিভিন্ন প্রকার ভাবে ক্ষতিকর ।
- এলকোহল জাতীয় কোন প্রকার কোন খাবার গ্রহন করা যাবে না ।
- এ ছাড়া ও হজমে সমস্যা হয়ে থাকে বা বাঁধা দিয়ে থাকে এমন খাবার গুলো খাওয়া বাদ দিতে হবে ।
- ফাইবার সম্বৃদ্ধ খাবার গুলো খাওয়া যাবে না যেমন - শালগম , মুলা , পুঁইশাক ইত্যাদি
বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না
বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে অবগত করার
জন্য নিচে দেওয়া হলো - বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না এক নজর এ দেখে
নিতে পারেন এবং আপনারা আপনার অবস্থার সাথে মিলিয়ে নিবেন এবং দেখবেন আপনার
পরিস্থিতি এর সাথে মিলে যায় কি , না ৷ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে , বাচ্চাদের
টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না -
আরো পড়ুনঃ রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করার উপায়
- বাচ্চাদের টনসিল হলে চটপটি , চানাচুর , চিপস , কোমল পানীয় জাতীয় খাবার গুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে ৷
- বাচ্চাদের টনসিল হলে প্রাথমিক অবস্থা থেকে ঠান্ডা ও ঠান্ডা জাতীয় খাবার গুলো পরিহার করতে হবে ৷
- দুধ ও দুগ্ধজাতীয় মিষ্টি খাওয়ার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে ৷
- অ্যাসিড জাতীয় খাবার গুলো পরিহার করতে হবে এগুলো বাচ্চাদের টনসিল জনিত সমস্যা গুলো আর ও বেশি বাড়িয়ে থাকে ৷
টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে
অসুস্থ হলে যেমন - খাবারের প্রতি রুচি থাকে না , তেমনই টনসিল হলে ও সাধারণত
খাওয়ার প্রতি অনীহা চলে আসে । তাই যথা সম্ভব পরিমাণ মতো পুষ্টিকর খাবার গুলো
গ্রহণ করতে হবে । টনসিলাইটিস হলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার গুলো বেশি করে
খেতে হবে । শরীর কে সাধারণত সব সময় হাইড্রেটেড রাখতে বেশি বেশি পরিমাণ তরল খাবার
খান । ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গুলো টনসিলাইটিস বা টনসিলের প্রদাহ কমাতে
খুবই সহায়ক হয়ে থাকে ।
নিচের খাবার গুলো টনসিল এর প্রদাহ দূর করতে বিশেষ ভাবে সহায়ক ।
- মধু খেতে হবে । কারণ মধু হলো ব্যাকটেরিয়াল এবং ভাইরাস জনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ভীষণ কার্যকর । ( দুই বছরের নিচের শিশুদের মধু খাওয়াবেন না ) ।
- দই খেতে হবে । কারণ হলো দই তে অধিক পরিমাণে প্রোটিন , কার্বোহাইড্রেট এবং হেলদি ফ্যাট থাকে ।
- ডিম খেতে হবে । কারণ ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি , ভিটামিন বি ১২ , জিংক , আয়রন , সেলেনিয়াম ও আরো নানা পুষ্টিকর উপাদান । যা টনসিল সমস্যা কমাতে ব্যাপক ভাবে কাজ করে থাকে ।
- আদা খেতে হবে । কারণে হলো আদাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুন সমৃদ্ধ উপাদান । যা ব্যথা এবং সংক্রমণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে ।
- নারকেল তেল , লেবু এবং মধুর মিশ্রণ করে একটি সিরাপ ব্যবহার করুন
- একটি পাত্রে লেবুর রস ও মধুর সঙ্গে ভালো মানের নারকেল তেল মিশিয়ে তা অল্প পরিমাণ আঁচে গরম করুন । মিশ্রণ টি ভালো ভাবে গরম হয়ে গেলে একটি পাত্রে ঠান্ডা করে নিন । এবার মিশ্রণ টি একটি কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে । টনসিল এর সংক্রমণ কমাতে এই সিরাপ টি খুবই কার্যকরী হিসেবে কাজ করে থাকে ।
- প্রতিদিন এক টেবিল চামচ পরিমাণ সিরাপ এক গ্লাস গরম পানি তে মিশিয়ে পান করতে হবে এবং তিন বার করে । এতে কয়েক দিনের মধ্যে টনসিল সমস্যা কমে যাবে ।
টনসিল বড় হয়ে গেলে
টনসিলাইটিস এর চিকিৎসা হিসেবে সব ক্ষেত্রে টনসিলেকটমি অপারেশন বা টনসিল ফেলে
দেওয়ার কোন প্রকার কোন প্রয়োজন নেই । যদি বারবার ইনফেকশন হয়ে থাকে ( বছরে সাতবার
বা পরপর দুই বছর বছরে পাঁচবারের বেশি ) , ক্রনিক টনসিলাইটিস , টনসিল এর আশপাশে
পুঁজ জমে যায় , অতিরিক্ত বড় টনসিলের কারণে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা অথবা ঘুমের
মধ্যে শ্বাস - প্রশ্বাসে ব্যাঘাত বা অবসট্রাকটিভ স্লিপ এপনিয়া হয়ে থাকে , সেসব
ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা অনুযায়ী অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে ।
টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ
টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে অবগত নন তাদের কে এই টনসিল
ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে অবগত করার জন্য নিচে এই টনসিল
ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে দেওয়া হলো এক নজর এ দেখে নিতে পারেন এবং আপনারা
আপনার অবস্থার সাথে মিলিয়ে নিবেন এবং দেখবেন আপনার পরিস্থিতি এর সাথে মিলে যায় কি
, না ৷ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে , টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ -
উপসর্গের মধ্যে গলা ব্যথা , জ্বর , টনসিল বড় হওয়া , গিলতে সমস্যা হয়ে থাকে এবং
ঘাড়ের চারপাশে বর্ধিত লিম্ফ নোড অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে । জটিলতার মধ্যে রয়েছে
পেরিটনসিলার অ্যাবসেস ( কুইন্সি ) । টনসিলাইটিস সাধারণত ভাইরাল সংক্রমণ করার
কারণে হয়ে থাকে এবং প্রায় 5 % থেকে 40 % ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া গুলো সংক্রমণ
করার কারণে ঘটে থাকে ।
টনসিল হলে কি দুধ খাওয়া যাবে
টনসিল এর জনিত ব্যথা কমাতে হলে বেশ কার্যকরী একটি পানীয় হলো যে , হলুদ মিশ্রিত
দুধ । গলাব্যথা হলে শক্ত কোন প্রকার কোন ও খাবার একেবারেই খাওয়া যায় না । এই
সময় গরম দুধ খেলে গলায় আরাম পাওয়া যাবে । তবে শুধু দুধ না খেয়ে তাতে
মিশিয়ে নিতে পারেন হলুদ ।
শেষ কথা: টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ
আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ইনফেকশনের
লক্ষণ জানতে পারলেন । পোস্টটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার
কোন সমস্যা হওয়ার কথা না টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ইনফেকশনের
লক্ষণ সম্পর্কে জানতে । আপনাদের যদি এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url