স্কাবিস রোগের ওষুধের নাম - স্ক্যাবিস দূর করার ঘরোয়া উপায়
স্কাবিস রোগের ওষুধের নাম - স্ক্যাবিস দূর করার ঘরোয়া উপায় এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব স্কাবিস রোগের ওষুধের নাম - স্ক্যাবিস দূর করার ঘরোয়া উপায় আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েনস্কাবিস রোগের ওষুধের নাম - স্ক্যাবিস দূর করার ঘরোয়া উপায় শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে স্কাবিস রোগের ওষুধের নাম - স্ক্যাবিস দূর করার ঘরোয়া উপায় আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।
স্কেবিসের হোমিও ওষুধ
হোমিওপ্যাথি অনেক ওষুধ আছে চুলকানিতে অনেক সাহায্য করে থাকে। এই হোমিও ঔষধ খোশ পসরা আর চুলকানি কে বেশি করে এই পদ্ধতিতে ভালো করতে সাহায্য করে। এমনকি বিস্ফোরণের চেহারা পতিতাল করতে সাহায্য করে। রোমিও ওষুধ লক্ষণ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে তাহল মুক্তি পাওয়া যাবে এ রোগ থেকে। হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে ওষুধগুলো সেবন করলে এ রোগ দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
স্কাবিস রোগের ওষুধের নাম :
স্কাবিস হলো সংক্রামক অসুখ। স্কাবিস রোগের ঔষুধের নাম হল পারমেথ্রিন ও আইভারমেক্টিন।
পারমেথ্রিন হল স্কাবিস এর জন্য সবচেয়ে বড় চিকিৎসা এটি ঘাট থেকে নিচে শরীরের সব জায়গায় ভালো করে লাগাতে হয়। আবার সকালে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হয়। এই ওষুধটি শরীরের সব জায়গায় লাগাতে হয় তাহলে যে জায়গাগুলো ভালো আছে সেই জায়গা গুলিতেও পরবর্তী সময়ে এই অসুখ দেখা দেয় এজন্য সব জায়গায় লাগাতে হবে ভালো করে।
পারমেথ্রিন একবার লাগালেই যথেষ্ট কিন্তু অনেক চিকিৎস এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ পর আবার একবার লাগাতে বলে। তবে এটি লাগালে শরীর একটু জ্বালাপোড়া করে। পরবর্তীতে ঠিক হয়ে যায়।আইভারমেক্টিন একবার ব্যবহার করলেই স্কাবিস দূর হয়ে যায়। স্কাবিশ দূর করতে বেশি কার্যকরী এই ওষুধ। শক্ত হয়ে যাওয়া স্কাবিসের একটি সর্বোত্তম চিকিৎসা হলো এটি। ছয় বছরের কম বাচ্চাদের এটি ব্যবহার করা নিষেধ।
স্কাবিস দূর করার ঘরোয়া উপায় :
সবচেয়ে বড় কথা হল স্কাবিস সংক্রামক রোগ। শরীরে লাল রেস দেখা দেয়, ব্যথা হয় ও চুলকানি হয়। এটি ত্বকের সাথে স্পর্শে বেশি সরিয়ে যায়। তাই লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্রই আমাদেরকে এটি নিরাময় করার পদক্ষেপ নিতে হবে। সাধারণত গাড়ি চিপা জায়গায় আঙ্গুল, হাটু, কোনই, কাধ পাগল, স্তনের নিচে কোমরে ইত্যাদি জায়গায় বের হয়। তাই খুব সহজেই ঘরে বসে স্কাবিস নিরাময় করা যায় যেভাবে তা হল
নিম পাতা :স্কাবিস নিরাময়ে নিম পাতা অনেক বড় উপকার করে থাকে। নিম পাতা ছত্রাক নাশক। ব্যাকটেরিয়া নামক উপাদান আছে। এক মুঠো নিমপাতা নিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে। আক্রান্ত স্থান ভালো করে ধুয়ে নিয়ে এটি লাগাতে হবে তারপর সুখনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ভালো করতে প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে। এক কাপ পানিতে কয়েকটি নিমপাতা দিয়ে ভালো করে সিদ্ধ করে নিয়ে দুই থেকে তিন চামচ প্রতিদিন খেলে চুলকানি পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে।
রসুন :রসুনই শক্তিশালী এন্টিবায়োটিয়াল এজেন্ট যা সত্যি কার এই মাইট কে অপসারণ করতে পারে। রসুন সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। রসুন পিষে রস বের করে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে। তাড়াতাড়ি নীরা বইয়ের জন্য দিনে তিন থেকে চার কোয়া রসুন খেতে হবে। তিন দিন আক্রান্ত স্থানে রসুল লাগানোর পর দুইদিন বিরোতী দিতে হবে। তারপর আবার লাগাতে হবে। কারণ প্রতিদিন লাগানোর ফলের রসুন দাঁত পড়ে দিতে পারে এজন্য এভাবে লাগাতে হবে।
এই রোগ হলে গরম পানি পরিবর্তে ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে হবে। পরিমাণে পানি পান করতে হবে। একান্ত স্থানে বরফ দিলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এভাবেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে উপকার পাওয়া যায়।
স্ক্যাবিস ট্যাবলেট :
স্ক্যাবিস ট্যাবলেটের নাম হল Ivtin-12,Alice 12,Ivermectin6 mg. Tablets, scabo ivermektinBP,
IvSCAB-12,Ivermektin tablets USP ইত্যাদি আরো অনেক আছে। এই ওষুধগুলো খেলে এ রোগ থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া যায়। ডাক্তার এ ওষুধ গুলোই দিয়ে থাকে।
স্ক্যাবিস এর সাবান:
সাবান এর নাম গুলো হল :permikot plus,scabes EXTREME RELIEF SOAP,permitek C,Scabnil,PMT soap ইত্যাদি আরো অনেক আছে।
অনেক সময় অন্য সাবানে বেশি খাড় থাকে তাই ওগুলোই ব্যবহার করলে আমাদের চুলকানি এলার্জিজনিত রোগ ইত্যাদি আরও বেশি হয়ে যায় এজন্য ডাক্তার সাবান ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়। এ সাবান ব্যবহারের ফলে এলার্জি জনিত চুলকানি সমস্যাগুলো কম দেখা যায় ।
স্ক্যাবিস এর লোশন :
Perthrin Lotion 5%, scabiesin Anti scabies lotion,
Permethrin &cetrimide lotion,UNI-C lotion,permezste Anti-scabies lotion ইত্যাদি।
লোশন ব্যবহারের ফলে যে এলার্জিজনিত গ্যাস চুলকানি লালচে ভাব হয় আমাদের শরীরে তখন দাগ হয়ে যায় ইলেকশন ব্যবহার করলে অনেক সময় চুলকানিরেস্ট দাগ এগুলো ভালো হওয়ার সাথে সাথে দাগ গুলো তুলতে সাহায্য করে। এজন্য লোশান এর ও উপকারিতা অনেক।
স্ক্যাবিস ক্রিম :
Scabex 5%cream,lyclear scabex cream,pernil cream5%,permethrin cream 5%,lorix cream,scabzeel cream,eurax cream ইত্যাদি।
হালকা ভাবি গায়ে ঘষে এই ক্রিম ব্যবহার করতে হয়।ক্রিম লাগানোর সময় কিছু সাবধানতা মানতে হবে কোনভাবেই যেন চোখের ভেতরে বা মুখের মধ্যে না যায় খেয়াল রাখতে হবে। এই cream লাগানোর 24 ঘন্টা পর ভালোভাবে সাবান দিয়ে গোসল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে এই cream ব্যবহার করতে হয়।
স্ক্যাবিস হওয়ার কারণ :
স্ক্যাবিস একপ্রকার চর্ম জনিত রোগ। sarcoptes scabei নামক এক প্রকার জীবাণু দ্বারা সংক্রমণিত হয়। এই লক্ষণগুলো হল শরীর চুলকানো, গুটি গুটি হওয়ার রেশ হওয়া লালচে রং হওয়া। স্পর্শের মাধ্যমে সাধারণত এর রোগ হয়ে থাকে। রোগীর জামা কাপড় বিছানা চাদর গামছা পালিশ ইত্যাদি ব্যবহার করলে এ রোগ হয়ে থাকে।প্রথমবার সংক্রমণে একজন ব্যক্তির ২ থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এ রোগ দেখা দেয়। দ্বিতীয়বার ২৪ ঘন্টার মধ্যে লোক দেখা দেয়। এভাবেই এই রোগ টি হয়।
স্ক্যাবিস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় :
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু নিয়ম মেনে এ রোগ ভালো করা যায় খুব সহজেই আর যদি না ভালো হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ মলম লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করলে এ রোগ ভালো হয়ে যায়। সংক্রমণের লক্ষণ না দেখা দিলেও যদি রোগীকে ছোঁয়া হয় তাহলেও আগে থেকে এ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাহলে এই রোগ থেকে উপায় পাওয়া যায়। এই রোগের জন্য কোন টিকা বের হয়নি। তাই গরমের সময় সাবধানে থাকা উচিত। গরমের সময় এরূপ বেশি দেখা দেয়। ঘাম হয়, তোকে ময়লা জমে সব সময় পরিষ্কার থাকতে হবে তাহলেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
শেষ কথা: স্কাবিস রোগের ওষুধের নাম - স্ক্যাবিস দূর করার ঘরোয়া উপায়
পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা স্কাবিস রোগের ওষুধের নাম - স্ক্যাবিস দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না স্কাবিস রোগের ওষুধের নাম - স্ক্যাবিস দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে । আপনাদের যদি এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url