মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য- মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫০টি বাক্য
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য- মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫০টি বাক্য এই আর্টিকেল
থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব মুক্তিযুদ্ধ
সম্পর্কে ১০টি বাক্য- মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫০টি বাক্য আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি
যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য- মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে
৫০টি বাক্য শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য- মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫০টি বাক্য |
এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য-
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫০টি বাক্য আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।
পোষ্ট সূচিপত্র
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য
মহান মুক্তি যুদ্ধ হলো আমাদের বাঙালী জাতির জীবনে সব থেকে বেশি স্বরণীয় একটি
ইতিহাসের পটভূমি ৷ আমাদের বাঙালী জাতির জীবনে এই দিন টি অত্যন্ত গর্বের ও
ঐতিহাসিক একটি পটভূমি ৷ যুগের পর যুগ আমাদের বাঙালী জাতির জীবনে এই গৌরবময় ইতিহাস
সারা জীবন মনে থাকবে ৷ আমরা বাঙালী রা সারা জীবন এই ইতিহাস বয়ে নিয়ে বেড়াবো একটি
কালো অধ্যায় ৷ আমাদের বাঙালী জাতির জীবনের সব থেকে মূল্যবান এই ইতিহাস
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য নিচে দেওয়া হলো এক নজর এ দেখে নিতে পারেন
৷
কারণ এই সময় টি সম্পর্কে সচরাচর বিভিন্ন সকল প্রকার প্রতিযোগীতা মূলত সব পরীক্ষা
তে প্রশ্ন আসে ৷ তাই আশা করি যে , এই দশটি বাক্য গুলো আপনি একবার করে হলে ও পড়ে
খুব সহজেই আপনার মনে রাখতে পারবেন ৷ এবং আপনি আপনার চাকরির ভাইভা পরীক্ষা গুলোর
সহ বিভিন্ন প্রকার প্রয়োজনে সুস্পষ্ট ভাবেই জবাব দিতে সক্ষম হবেন । আর হ্যাঁ ,
সরকারি হোক বা বেসরকারিই হোক অথবা অন্যান্য সকল প্রকার প্রতিযোগিতা মূলক যে কোনো
পরীক্ষা গুলোয় মূলত মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে এই দশটি বাক্য বাংলায় এবং মুক্তিযুদ্ধ
সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে উপস্থাপন করে বলার কথা আলাদা ভাবে উল্লেখ করা থেকে
থাকে ।
- মুক্তি যুদ্ধ মূলত হলো একটি মুক্তির জন্য যুদ্ধ ৷ যা পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিমবঙ্গের সাহায্য নিয়ে নিজেদের মুক্তির জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে শুরু করেছিল ৷
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মূলত আমাদের বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যিক এবং সাংস্কৃতিক ভাবে পরিস্থিতি গুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে পরিচিত, যা স্মৃতিচারণ হিসেবে আমাদের শহীদ মিনার নামে ও একটি স্মৃতির স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে ৷ এবং সেটাই হলো এখনো পর্যন্ত আমাদের বাঙালী শহীদদের স্মৃতির জন্য সংবর্ধন করে এবং আগামী প্রজন্মকে উৎসাহ দিয়ে থাকে ।
- ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতের শেষ প্রহরে যখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরা আমাদের ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে হত্যা তান্ডব চালায় তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বাধীনতার ঘোষনার মাধ্যমে নীড়িহ বাঙালিরা সকলে অস্ত্র হাতে তুলে নেয় ৷ এবং শুরু হয় পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তি বাহিনীর মুক্তির জন্য লড়াই যা আমাদের বাঙালী জাতির জীবনের অদ্বিতীয় ইতিহাস মুক্তি যুদ্ধ নামে পরিচিত হয়ে থাকে ৷
- বাংলাদেশের মুক্তির জন্য এই যুদ্ধের দায়িত্ব বহন করেছিলেন বাংলাদেশ সরকার এর অন্তর্গত মুক্তি বাহিনী ও গুপ্তচর সংগঠন সমূহ ।
- মুক্তিযুদ্ধে মূলত বাংলাদেশের সকল জনগণ তাদের ভাষার জন্য , সংস্কৃতির জন্য ও তাদের স্বাধীনতার অধিকার টি রক্ষা করার জন্যই পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করে উত্তরাদী দখল করে ।
- ১৯৭১ সালের এই মুক্তি যুদ্ধের জন্য বাঙালী জাতির জীবনে অনেক কঠিন সময়ের মোকাবিলা করতে হয়েছিল ৷ হারাতে হয়েছিল ৩০ লক্ষ প্রাণ ৷
- মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ টি পাকিস্তানের একটি অংশ ছিল মাত্র ।
- ৩০ লক্ষ শহীদ ও অনেক বুদ্ধি জীবী দের প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে ৷
- পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীরা যখন বীর বাঙালিদের সাথে লড়াই করে পেরে উঠছিলেন না তখন তারা দুষ্ট চক্রান্ত করে বাঙালিদের . আমাদের বাংলাদেশ কে মেধা শূন্য বা জ্ঞান শূন্য করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে অনেক জ্ঞানী মানুষদের হত্যা করেন ৷ তাই ১৪ ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে ৷
- দীর্ঘ ৯ মাস ও ৩০ লক্ষ শহীদ এর প্রাণের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে চূড়ান্ত ভাবে বীর বাঙালী তাদের স্বাধীনতা লাভ করে থাকে ৷
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নিচে দেওয়া হলো এক নজর এ দেখে নিতে
পারেন ৷ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে , ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত
ইতিহাস -
মুক্তি যুদ্ধ হওয়ার আগে আমাদের এই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ ছিল না ৷ এটি ছিল পূর্ব
পাকিস্তান নামে পরিচিত যা ছিল পাকিস্তানের একটি মাত্র অংশ ৷ পূর্ব পাকিস্তানের না
ছিল কোন প্রকার কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা না ছিল কোন প্রকার কোন অধিকার ৷
পশ্চিম পাকিস্তান সব সময় পূর্ব পাকিস্তান কে কোন্ঠাসা করে রাখত ৷ পশ্চিম
পাকিস্তান সব সময় পূর্ব পাকিস্তান কে সব দিক থেকে বঞ্চিত করে রাখত
কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান যখন পূর্ব পাকিস্তান এর জনগনের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে
চাইছিল ৷ যখন তারা প্রস্তাব রাখে যে উর্দু হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা
৷ তখন আর পূর্ব পাকিস্তান কোন প্রকার ভাবে এটা মেনে নেন নি যে তারা তাদের
মাতৃভাষায় কথা বলতে পারবেন না ৷ পূর্ব পাকিস্তান এই প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ
জানায় ৷ এর পর থেকে শুরু হয় ভাষার জন্য বিভিন্ন আন্দোলন ৷
১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন এর সময় সালাম , রফিক , শফিক , জব্বার
সহ আরো অনেকে ৷ এক সময় পশ্চিম পাকিস্তান বাধ্য হয় বাংলা কে পূর্ব পাকিস্তানের
রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে মেনে নিতে ৷ এটাই ছিল পূর্ব পাকিস্তানের নিজেদের কে মুক্ত
করার জন্য সূচনা মাত্র ৷ এরপর থেকে পূর্ব পাকিস্তান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকার
ভাবে পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রকার অন্যায় ও জুলুমের প্রতিবাদ করতে থাকে
৷
এক সময় ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতের শেষ প্রহরে যখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরা
আমাদের ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে হত্যা তান্ডব চালায় তখন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বাধীনতার ঘোষনার মাধ্যমে নীড়িহ বাঙালিরা সকলে
অস্ত্র হাতে তুলে নেয় ৷ এবং শুরু হয় পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব
পাকিস্তানের মুক্তি বাহিনীর মুক্তির জন্য লড়াই যা আমাদের বাঙালী জাতির জীবনের
অদ্বিতীয় ইতিহাস মুক্তি যুদ্ধ নামে পরিচিত হয়ে থাকে ৷ দীর্ঘ নয় মাস চলতে থাকে এই
লড়াই ৷ এই দীর্ঘ লড়াই ও ৩০ লক্ষ প্রাণ এর বিনিময়ে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বাঙালী
তাদের স্বাধীনতা লাভে সক্ষম হন ৷ জন্ম হয় একটি স্বাধীন ও সর্বোভৌম রাষ্ট্রের ৷
বাংলাদেশ আমার সোনার বাংলাদেশ ৷
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য ২য় শ্রেণি
- মুক্তিযুদ্ধ হলো আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি সবচেয়ে গুরুত্বাপূর্ণ ইতিহাস ।
- পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তির জন্য লড়াইকে মুক্তিযুদ্ধ বলে জানা যায় ।
- মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে আমাদের এই বাংলাদেশ পাকিস্তানের অন্তর্গত একটি অংশ ছিল মাত্র ।
- ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ।
- মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে আমাদের এই বাংলাদেশ তার নিজের স্বাধীনতা কে অর্জন করে থাকে ।
- মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাংলাদেশি বীর বাঙালী শহীদ হয়েছিলেন ।
- মুক্তিযুদ্ধে অনেক বাঙালী নারীরা ও ভাগ নিয়েছিলেন ।
- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেরা একজন নেতা ছিলেন হলো শেখ মুজিবুর রহমান ৷
- মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেরা একটি স্লোগান ছিল “ জয় বাংলা ” ।
- মুক্তিযুদ্ধের সময় হাজার হাজার বাঙালী লোক প্রতিবেশী দেশ ভারতে শরনার্থী হিসাবে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৷
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনুচ্ছেদ
অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আজ বিশ্বের মানচিত্রে আবির্ভাব ঘটেছে স্বাধীন -
সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের । ১৯৭১ সালের সুদীর্ঘ এক রক্তক্ষয়ী সূর্য সংগ্রাম
করার মধ্য দিয়ে আমাদের বাঙালি জাতি অর্জন করেছেন আজকের এই স্বাধীন - সার্বভৌম
রাষ্ট্র , আর আমাদের এই লাল সবুজের পতাকা । এ স্বাধীন বাংলাদেশ কিন্তু অনায়াসেই
বাই অর্জিত হয় নি , এর পেছনে ও রয়েছে সুদীর্ঘ সংগ্রাম করার ইতিহাস । এ ইতিহাস
টি যেমন - বেদনায় বিধুর ছিল তেমনি গৌরবে ভাস্বর ছিল । ১৯৪৭ সালে বঙ্গভঙ্গ হয়ে
ভারত ও পাকিস্তান নামে রাষ্ট্রের সৃষ্টি করে ৷
পাকিস্তানের আবার ছিল দুটি ভাগ ৷ একটি হলো পূর্ব পাকিস্তান এবং আর একটি ছিল
পশ্চিম পাকিস্তান ৷ বাংলাদেশের তৎকালীন নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান ৷ আর এই পূর্ব
পাকিস্তান যা ছিল পাকিস্তানের একটি মাত্র অংশ ৷ পূর্ব পাকিস্তানের না ছিল কোন
প্রকার কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা না ছিল কোন প্রকার কোন অধিকার ৷ পশ্চিম
পাকিস্তান সব সময় পূর্ব পাকিস্তান কে কোন্ঠাসা করে রাখত ৷ পশ্চিম পাকিস্তান যখন
পূর্ব পাকিস্তান এর জনগনের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চাইছিল ৷
যখন তারা প্রস্তাব রাখে যে উর্দু হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা ৷ পূর্ব
পাকিস্তান এই প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ জানায় ৷ এর পর থেকে শুরু হয় ভাষার জন্য
বিভিন্ন আন্দোলন ৷ ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন এর সময় সালাম , রফিক
, শফিক , জব্বার সহ আরো অনেকে ৷ এক সময় পশ্চিম পাকিস্তান বাধ্য হয় বাংলা কে পূর্ব
পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে মেনে নিতে ৷ এরপর থেকে পূর্ব পাকিস্তান বিভিন্ন
সময় বিভিন্ন প্রকার ভাবে পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রকার অন্যায় ও জুলুমের
প্রতিবাদ করতে থাকে ৷
এক সময় ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতের শেষ প্রহরে যখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরা
আমাদের ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে হত্যা তান্ডব চালায় তখন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বাধীনতার ঘোষনার মাধ্যমে নীড়িহ বাঙালিরা সকলে
অস্ত্র হাতে তুলে নেয় ৷ এবং শুরু হয় পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব
পাকিস্তানের মুক্তি বাহিনীর মুক্তির জন্য লড়াই যা আমাদের বাঙালী জাতির জীবনের
অদ্বিতীয় ইতিহাস মুক্তি যুদ্ধ নামে পরিচিত হয়ে থাকে ৷ দীর্ঘ নয় মাস চলতে থাকে এই
লড়াই ৷ এই দীর্ঘ লড়াই ও ৩০ লক্ষ প্রাণ এর বিনিময়ে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বাঙালী
তাদের স্বাধীনতা লাভে সক্ষম হন ৷ জন্ম হয় একটি স্বাধীন ও সর্বোভৌম রাষ্ট্রের ৷
বাংলাদেশ আমার সোনার বাংলাদেশ ৷
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রতিবেদন
১৯৭১ সালে যখন পশ্চিম পাকিস্তানের সব রকমের সব অনৈতিক ও অন্যায় সব আব্দার গুলো সব
মেনে নিতে বিরোধিতা জানায় পূর্ব পাকিস্তান এর জনগন তখন পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের
উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় পশ্চিম পাকিস্তান ৷ তারা বিভিন্ন প্রকার ভাবে বিভিন্ন প্রকার
সব ষড়যন্ত্র করতে থাকে গূর্ব পাকিস্তানের জনগনের উপর ৷ এমন এক দিনের কালো রাতে
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্য রাতে পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালিদের
ওপর ঝাপিয়ে পড়ে হত্যা তান্ডব চালায় ৷
এতে অসংখ্য নীড়িহ বাঙালিরা তাদের প্রাণ হারায় ৷ চারিদিকে শুধু হাহাকার , লাশ আর
পরিবার পরিজনদের হারানোর আর্তনাদ ৷ অবস্থার বেগতিক দেখে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ
রাতের শেষ প্রহরে যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার জাক দেন তখন সকল
নীড়িহ বাঙালিরা তাদের হাতে অস্ত্র তুলে নেয় ৷ শুরু হয় এক রণতান্ডব ৷ সুদীর্ঘ নয়
মাস চলতে থাকে এই লড়াই ৷ অনেক সংগ্রাম , আন্দোলন ও ৩০ লক্ষ শহীদ এর প্রাণের
বিনিময়ে বাঙালিরা ছিনিয়ে আনে তাদের স্বাধীনতা পশ্চিম পাকিস্তান নামক রন পিশাচ দের
থেকে ৷
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য class 7
- ১৯৭১ সালে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাহায্য নিয়ে পূর্ব পাকিস্তান নিজেদের কে মুক্ত করার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে যে যুদ্ধ করে থাকে তাকে মুক্তি যুদ্ধ বলা হয় ৷
- ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ শুরু হয় বাঙালীর মুক্তির জন্য লড়াই মুক্তি যুদ্ধ ৷
- এই মুক্তি যুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙালী শহীদ হন ৷
- ১৯৭১ সালে সুদীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে ৷
- ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়া হয় ৷
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫০টি বাক্য
# . ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ৷
# . ৭ই মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা রেসকোর্স মরদানে ( বর্তমান
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ) দেন ৷
# . ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস ৷
# . ১৯৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধ নয় মাস স্থায়ী ছিল ৷
# . মুক্তি যুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশ কে মোট ১১ টি সেক্টরে ভাগ করা হয় ৷
# . মুক্তি যুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশ কে সাহায্য করছিলেন প্রতিবেশী দেশ ভারত ৷
# . অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনাকারি ছিলেন ইয়াহিয়া খান ৷
# . সর্বকনিষ্ঠ খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন শহিদুল ইসলাম ৷
# . ৭ ই মার্চ রেসকোর্স মরদানে উপস্থিত লোক সংখ্যা ছিলেন প্রায় দশ লক্ষ ৷
মুক্তিযুদ্ধের সারসংক্ষেপ
মুক্তি যুদ্ধ মূলত হলো আমাদের বাঙালী জাতির জীবনে একটি ঐতিহাসিক ও গৌরবময় ইতিহাস
৷ আমাদের বাঙালী জাতির জীবনে সব থেকে মূল্যবান গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে পরিচিত
মুক্তি যুদ্ধ ৷
১৯৪৭ সালের বঙ্গভঙ্গ হওয়ার পর যখন ভারত ও পাকিস্তান আলাদা দুটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি
হয় ৷ তারপর পাকিস্তানের দুটি অংশ থাকে ৷ একটি হলো পূর্ব পাকিস্তান এবং আর একটি
ছিল পশ্চিম পাকিস্তান ৷ পশ্চিম পাকিস্তান সব সময় পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের উপর
জুলুম এবং অত্যাচার করতেন ৷ পশ্চিম পাকিস্তানের জুলুমের মাত্রা এতোটা পরিমাণ বেশি
হয় যে তারা পূর্ব পাকিস্তানের মুখের ভাষা তাদের মাতৃভাষা কে কেড়ে নিতে চায়
৷
পশ্চিম পাকিস্তান দাবি করে যে উর্দু হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা ৷ তখন
পূর্ব পাকিস্তানের জনগন তা কোন ভাবে মেনে নেন না ৷ তারা এই প্রস্তাবের তীব্র
প্রতিবাদ জানায় ৷ এর ফল স্বরুপ বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রাম করে থাকে ৷ তাদের এই
প্রতিবাদে তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে পশ্চিম পাকিস্তান ৷ এরই ফল স্বরুপ পশ্চিম
পাকিস্তান ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্য রাতে পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র ঘুমন্ত
বাঙালিদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে হত্যা তান্ডব চালায় পশ্চিম পাকিস্তানের পাক বাহিনী
৷
২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৷
ঘোষণা দেওয়ার পর বীর বাঙালী তাদের হাতে অস্ত্র তুলে নেয় এবং দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ
করে ছিনিয়ে নেয় তাদের স্বাধীনতা পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে ৷
শেষ কথা: মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য- মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ৫০টি বাক্য
পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য- মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে
৫০টি বাক্য জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন
সমস্যা হওয়ার কথা না মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য- মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে
৫০টি বাক্য সম্পর্কে জানতে । আপনাদের যদি এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url