মাসিক মিস হওয়ার ১০ দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
মাসিক মিস হওয়ার ১০ দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় অনেকে জানেন না এই আর্টিকেল
থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব মাসিক মিস হওয়ার
১০ দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে
পড়েন মাসিক মিস হওয়ার ১০ দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় শুধুমাত্র একটি পোস্ট
থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
|
পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে প্রেগন্যান্সি টেস্ট
বেশ কিছু দিন ধরে যারা প্রেগন্যান্ট হতে চাইছেন । সেই মতো চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন
প্রতি নিয়ত । পিরিয়ড মিস হচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল ও রাখছেন ভালো ভাবে ।
নির্দিষ্ট দিন পেরিয়ে গেলেই আপনি করে ফেলবেন আপনার প্রেগন্যান্সি টেস্ট । পিরিয়ড
বন্ধ হওয়ার অপেক্ষায় থকবেন না । কিছু কিছু লক্ষণ দেখা দিলে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা
করিয়ে নিন । জেনে নিন যে কী কী লক্ষণ দেখা দিলে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করাবেন ।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালাপোড়া করে
- নরম , ভারী স্তন জনিত লক্ষণ - গর্ভে ভ্রুণ সঞ্চার হলে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হতে থাকে । ফলে স্তন ভারী হয়ে আসতে থাকে । এটাই হলো প্রেগন্যান্সির প্রথম লক্ষণ । যদি আপনার স্তনে ও এ রকম পরিবর্তন আসতে থাকে তাহলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করিয়ে নিন ।
- ক্লান্তি জনিত লক্ষণ - যে দিন আপনার প্রচুর খাটনি হয়ে থাকে , বা খাড়া পাহাড়ে চড়ার পর কেমন ক্লান্ত ক্লান্ত লাগে , হাঁপিয়ে ওঠেন দেখেছেন তো ? যদি কোন ও প্রকার কোন কারণ ছাড়া সারা দিন ক্লান্ত লেগে থাকে তবে আপনার গর্ভে সন্তান এসে গিয়েছে । গর্ভবস্থার প্রথম দিকে শরীর শিশুর জন্য তৈরি হয়ে থাকে ৷ হঠাৎ করে শরীরে প্লাসেন্টার আগমনের জন্য ক্লান্ত লাগে ।
- পিরিয়ড বন্ধের আগে ও বুঝে যেতে পারেন , আপনি প্রেগন্যান্ট
- বেশ কিছু দিন ধরে প্রেগন্যান্ট হতে চাইছেন । সেই মতো চেষ্টা ও চালিয়ে যাচ্ছেন । পিরিয়ড মিস হচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল ও রাখছেন । নির্দিষ্ট দিন পেরিয়ে গেলেই আপনি করে ফেলবেন আপনার প্রেগন্যান্সি টেস্ট ।
- রক্তক্ষরণ ও টান ধরা জনিত লক্ষণ - পিরিয়ড শুরু হওয়ার নির্দিষ্ট দিনের আগে হালকা রক্তক্ষরণ বা পেটে প্রচন্ড টান ধরা ব্যথাও প্রেগন্যান্সির লক্ষণ গুলো এর মধ্যে একটি । ভ্রুণ সঞ্চার হওয়ার প্রথম পাঁচ দিন থেকে দশ দিনের মধ্যে এমন হতে পারে । রক্তক্ষরণ হলেই অনেকে ভাবেন পিরিয়ড শুরু হয়ে গেল , এ বার হল না । এমনটা কিন্তু একেবারেই নয় ।
- বমি ভাব , গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতা জনিত লক্ষণ - গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক সপ্তাহে পেটে অস্বস্তি , বমি বমি ভাব খুবই স্বাভাবিক হয়ে থাকে । প্রোজেস্টেরন হরমোন শরীরে বেড়ে গেলে গা গুলিয়ে ওঠে । অন্য দিকে ইস্ট্রোজেন ও এইচসিজি হরমোন গুলোর প্রভাবে হালকা গন্ধও খুব জোরালো মনে হয়ে থাকে ৷ মাঝে মাঝেই বমি পায় । এ রকম হলে অবশ্যই আপনার প্রেগন্যান্সি টেস্ট করান ।
- খিদে ও অরুচি জনিত লক্ষণ - হঠাৎ করে খিদে বেড়ে যাওয়া যেমন প্রেগন্যান্সির লক্ষণ , তেমনই খাবারে প্রবল অরুচি , পছন্দ - অপছন্দ ও প্রেগন্যান্সির বেশ জোরালো লক্ষণ গুলো এর মধ্যে একটি ।
- ঘন ঘন প্রস্রাব জনিত লক্ষণ - প্রেগন্যান্সির প্রথম দুই - তিন সপ্তাহে ঘন গন প্রস্রাব পাওয়া খুব স্বাভাবিক । শরীরে নতুন তৈরি হওয়া এইচসিজি এর হরমোন কিডনিতে রক্তসঞ্চালন বাড়ায় । ইউটেরাস বড় হতে থাকলে ব্লাডারে চাপ পড়ে থাকে । ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায় ।
- গলা শুকিয়ে আসা জনিত লক্ষণ - জল তেষ্টা পাওয়া , চোখে মুখে ফোলা ভাব , হাঁসফাঁস লাগা , জিনসের বোতাম আটকাতে কষ্ট হওয়া জনিত লক্ষণ পরিলক্ষিত করা হলে বুঝতে হবে যে তা হলো প্রেগন্যান্সির লক্ষণ হতে পারে ।
প্রেগন্যান্ট হওয়ার কত দিন পর মাসিক বন্ধ হয়
এটা সঠিক ভাবে বলা কিন্তু কারো পক্ষেই সম্ভব নাহ ৷একটু উদাহরণ দিয়ে যদি বুঝাই
তাহলে
ধরুণ যে , আপনার পিরিয়ড প্রতি মাসের ১০ তারিখ শুরু হয়ে থাকে আর শেষ হয়ে থাকে ১৫ /
১৬ তারিখে ৷
আর যদি এমন হয় যে , আপনি কন্সিভ করতে চাচ্ছেন , তাহলে স্বভাবত'ই আপনাকে ২০ তারিখ
থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত আপনার ডেঞ্জার পিরিয়ড অথ্যাৎ এই সময় টা হলো আপনার কন্সিভ
করার জন্য উপযুক্ত সময় ৷
তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনি যে প্রতিদিন অথবা একদিন পর পর যৌন মিলন করছেন বাচ্চা
নেয়ার উদ্দেশ্যে ।
এবং লক্ষ্য করলেন যে , পরের মাসে আপনার আর মাসিক হচ্ছে নাহ ৷ কাঠি ( ইউরিন )
টেষ্ট বা মেডিকেলে গিয়ে টেষ্ট করে আপনি রেজাল্ট পেলেন পজেটিভ ৷
এবার আপনি বলুন যে , আপনি তো ২০ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ এই ১০ দিন নিয়মিত ই
ফিজিক্যালি এটাষ্ট হয়েছেন ৷
এর মধ্যেই কোন একটি দিন টি তে , আপনার ডিম্বাশয় স্পার্ম দাড়া নিষিক্ত ও হয়েছিলো
আপনি কিভাবে জানবেন ?
যে দিন আপনার ডিম্বাশয় নিষিক্ত হবে সে দিন থেকেই মাসিক হওয়া বন্ধ হবে কিন্তু সে
টা যে কোন দিন তা ঠিক নিদিষ্ট করে কেউ কখনোই বলতে পারবে নাহ , , , ,
হ্যাঁ , , , আপনি কি কখন ও বলতে পারবেন সেটা কিভাবে জানেন ?
ধরুন যে আপনার স্বামী দূরে কোথা ও থেকে থাকে , সে যাষ্ট ১ দিনের জন্যই আপনার কাছে
এসেছিলো মনে করুন তো তারিখ টা ছিলো ২৩ কিংবা ২৪ তারিখ ৷ এবং ঐ একদিন ই কিন্তু
আপনারা মিলনে জড়িয়েছিলেন ৷
কাকতালীয় ভাবে , পরের মাসের ১০ তারিখে আপনার পিরিয়ড হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু হলো
নাহ ৷ এখন আপনি পরীক্ষা করে দেখলেন আপনার ফলাফল পজেটিভ । তাহলে কি আপনি একমাত্র
বলতে পারবেন যে আপনার গর্ভবতী হওয়ার ঠিক কত দিন পরে আপনার মাসিক বন্ধ হলো ২৪
তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত মোট ১৬ / ১৭ দিন পর অথাৎ গর্ভবতী হওয়ার ১৬ /১৭ দিন
পর আপনার পিরিয়ড বন্ধ হলো ৷
যারা বাচ্চা নেয়ার উদ্দেশ্যে নিয়মিত মিলন করে থাকে তারা কখনোই কিন্তু কেউ বলতে
পারবে নাহ যে , গর্ভবতী হওয়ার ঠিক কত দিন পর তার মাসিক বন্ধ হয়ে থাকে ৷ কারণ
গর্ভবতী কবে হচ্ছে এটাই কেউ জানবে নাহ ৷
আশা করি বিষয় টা এখন একটু হলে ও বুঝতে পারবেন ৷
পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ
পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
রক্তপাত বা দাগ :
হালকা হালকা দাগ ( প্যাড বা ট্যাম্পন ভিজানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ রক্তপাত নয় )
কখন ও কখন ও গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে জরায়ুতে ভ্রূণ রোপনের জন্য সে সময়ে ঘটে
থাকে । এটি হলো সাধারণত ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং নামে পরিচিত । কিন্তু এটি কিছু
মহিলারা আছে তাদের সাধারণত পিরিয়ডের শুরুতে এই ভারী রক্তপাতের মতো নয় ।
ক্লান্তি জনিত লক্ষণ :
গর্ভাবস্থা নিশ্চিত হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত মহিলাদের মধ্যে কিছু
ক্লান্তি সাধারণত দেখা যায় , তবে এটি অনেক মহিলাদের জন্য তাদের মধ্যে পিরিয়ড - এর
লক্ষণ হিসাবে ও দেখা দিয়ে থাকে ৷ যাইহোক যে , পিরিয়ড শুরু হলে PMS - এর জন্য
ক্লান্তি সাধারণত চলে যায় ।
খাবারের প্রতি লোভ / বিতৃষ্ণা জনিত লক্ষণ :
অনেক মহিলাই আছেন তাদের মাসিক শুরু হওয়ার আগে থেকে খাবারের প্রতি ক্ষুধা অনুভব
করেন বা ক্ষুধা বেড়ে গিয়ে থাকে । খাবারের আকাঙ্ক্ষা এবং বিতৃষ্ণা গুলোও
গর্ভাবস্থার সময়ে সাধারণ বিষয় , যদি ও গর্ভাবস্থার খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা গুলো
প্রায়ই মাসিকের সময় শুরুর আগে থেকে বেশি নির্দিষ্ট এবং তীব্র হয়ে থাকে ৷
বমি বমি ভাব এবং বা বমি জনিত লক্ষণ :
বমি বমি ভাব এবং বমি গর্ভাবস্থার শুরুতে সাধারণত বেশি হয়ে থাকে এবং এটি পিরিয়ডের
কাছাকাছি আসার সাধারণ লক্ষণ নয় । অতএব , আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে তবে
আপনার এই লক্ষণ গুলো অনুভব করার সম্ভাবনা থাকে বেশি ।
ক্র্যাম্পিং জনিত লক্ষণ :
পেট বা পেলভিক এর মধ্যে ক্র্যাম্পিং এবং ব্যথা জনিত সমস্যা গুলো পরিলক্ষিত করা
হয়ে থাকে সাধারণত অনেক মহিলার মাসিকের সময় শুরুর আগে বা এমনকি তাদের মাসিকের
সময় ও দেখা দেয় । এই উপসর্গ গুলো প্রায়ই পিরিয়ড সহ মহিলাদের জন্য বিশেষ ভাবে
সমস্যা যুক্ত হয়ে থাকে । যাইহোক , কিছু মহিলার গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে
হালকা ক্র্যাম্পিং হতে পারে ৷
মাসিক মিস হওয়ার ১০ দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
যদি ও আপনার পিরিয়ড চক্র সাধারণত নিয়মিত হয়ে থাকে , তাহলে আপনি আপনার পিরিয়ড
মিস হওয়ার প্রথম দিনে ও আপনি আপনার গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে পারেন । যদি আপনার
এই পিরিয়ড চক্র নিয়মিত না হয়ে থাকে তাহলে আপনি 7 - 10 দিন অপেক্ষা করতে পারেন
। যাইহোক , 6 - 7 দিন পরে ও কিন্তু আপনি আপনার গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী পরীক্ষা করে
সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় ।
পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়
গর্ভবতী নারীদের প্রস্রাবে সাধারণত এই হরমোনের পরিমাণ শুরুর দিকে অল্প পরিমাণে
থেকে থাকে । তাই গর্ভধারণের একদম শুরুর দিকে অথবা সহবাস করার পর পরই এই টেস্ট
করলে সাধারণত সেই হরমোন গুলোর উপস্থিতি নির্ণয় করা সম্ভব হয়ে থাকে না । এজন্য
সহবাস করার পর কমপক্ষে ২১ দিন অথবা পরবর্তী মাসিকের সম্ভাব্য তারিখ পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে হয়ে থাকে ৷
মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়
গর্ভধারণ করার প্রথম মাসে গর্ভবতী হওয়ার ঠিক তেমন কোনো প্রকার কোন লক্ষণ প্রকাশ
পেয়ে থাকে না । তাই এ সময় এর জন্য লক্ষণের ভিত্তিতে গর্ভাবস্থা সম্পর্কে ধারণা
পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে থাকে । এই অবস্থায় সাধারণত আপনি গর্ভধারণ করেছেন কি না সেটি
জানার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো কিছু পরীক্ষা - নিরীক্ষা করা । এসব
পরীক্ষা কে সাধারণত ‘ প্রেগন্যান্সি টেস্ট ’ বলা হয়ে থাকে ৷
আপনি ডাক্তার অথবা স্বাস্থ্যকর্মীদের কোনো প্রকার কোন রকম সাহায্য ছাড়াই ঘরে বসেই
প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারবেন । যত তাড়াতাড়ি গর্ভধারণ এর জন্য এই ব্যাপারে
নিশ্চিত হতে পারবেন , তত দ্রুত আপনার ও আপনার গর্ভ বেরে উঠা শিশুর জন্য প্রয়োজনীয়
দিকনির্দেশনা গুলো মেনে চলা শুরু করতে পারবেন ।
প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সঠিক সময় গুলো হলো :
মাসিকের সম্ভাব্য সময়ের মধ্যে যদি মাসিক শুরু না হলে থাকে এবং সম্প্রতি আপনি
জন্মনিরোধক পদ্ধতি ( যেমন : কনডম , পিল বা বড়ি ও ইনজেকশন ) ব্যবহার ছাড়া সহবাস
করে থাকলে , আপনি আপনার প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন । মাসিক মিস হওয়ার পর
প্রথম দিনই আপনি আপনার প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে গর্ভবতী কি , না সেটি জেনে নিতে
পারেন ।
প্রেগন্যান্সি টেস্টে সাধারণত গর্ভবতী নারীদের প্রস্রাবে সাধারণত একটি হরমোনের
উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়ে থাকে ৷ গর্ভবতী নারীদের প্রস্রাবে সাধারণত এই হরমোনের
পরিমাণ শুরুর দিকে অল্প পরিমাণে থেকে থাকে । তাই গর্ভধারণ করার একদম শুরুর দিকে
অথবা সহবাসের পর পরই এই টেস্ট করলে সাধারণত হরমোনের উপস্থিতি সঠিক ভাবে নির্ণয়
করা সম্ভব হয় না ।
এজন্য সহবাস করার পর কমপক্ষে ২১ দিন অথবা পরবর্তী মাসিক হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ
পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়ে থাকে ৷
বর্তমানে সাধারণত কিছু আধুনিক প্রেগন্যান্সি টেস্টের মাধ্যমে পিরিয়ড হওয়ার
সম্ভাব্য তারিখ আসার অনেক আগে , এমন কি গর্ভধারণ করার নয় দিনের মধ্যেই আপনি
গর্ভধারণ করেছেন কি না সেটি নিশ্চিত ভাবে জানা যায় ।
গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকের সপ্তাহ গুলোতে হরমোনের পরিবর্তন আপনার পুরো শরীর কে
প্রভাবিত করবে । যদিও দুটি গর্ভাবস্থা কখনই একরকম নয় , তবে প্রথম তিন মাস আপনি
আপনার কিছু লক্ষণ অনুভব করতে পারেন । লক্ষণ গুলো নিম্নরূপ :
- স্তন নরম হয়ে যাওয়া জনিত সমস্যা গুলো পরিলক্ষিত করা হয়ে থাকে ৷
- মেজাজে চরম পরিবর্তন হওয়া জনিত লক্ষণ পরিলক্ষিত করা হয়ে থাকে ৷
- বমি - বমি ভাব বা বমি ( প্রভাতকালীন অসুস্থতা ) জনিত লক্ষণ পরিলক্ষিত করা হয়ে থাকে ৷
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া জনিত লক্ষণ পরিলক্ষিত করা হয়ে থাকে ৷
- ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়া জনিত লক্ষণ পরিলক্ষিত করা হয়ে থাকে ৷
- চরম ক্লান্তি বোধ হওয়া জনিত লক্ষণ পরিলক্ষিত করা হয়ে থাকে ৷
- মাথাব্যথা করা জনিত লক্ষণ পরিলক্ষিত করা হয়ে থাকে ৷
- বুকজ্বালা করা জনিত লক্ষণ পরিলক্ষিত করা হয়ে থাকে ৷
- পায়ে খিল ধরা জনিত লক্ষণ পরিলক্ষিত করা হয়ে থাকে ৷
- পিঠের নিচের অংশ এবং শ্রোণীতে ব্যথা হওয়া জনিত লক্ষণ পরিলক্ষিত করা হয়ে থাকে ৷
- নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হওয়া জনিত লক্ষণ পরিলক্ষিত করা হয়ে থাকে ৷
- নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি নতুন করে অপছন্দ তৈরি হওয়া জনিত লক্ষণ পরিলক্ষিত করা হয়ে থাকে ৷
- কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া জনিত লক্ষণ পরিলক্ষিত করা হয়ে থাকে ৷
প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
পিরিয়ড ছাড়া ও নানা প্রকার শারীরবৃত্তিয় ঘটনা আছে , যা গর্ভধারণ করার ইঙ্গিত
দিয়ে থাকে ৷ জেনে নিন যে পিরিয়ড মিস ছাড়া ও শরীরের যেসব পরিবর্তন গুলো দেখে
গর্ভধারণের বিষয় নিশ্চিত হতে পারেন -
মর্নিং সিকনেস বা সকালে ঘুম থেকে উঠেই শরীর দুর্বল ও ক্লান্তি বোধ করা হলো
গর্ভধারণ করার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ মনে করা হয়ে থাকে ৷ দিনে বা রাতে যে কোনো সময়
এমন হতে পারে । সাধারণত বলা হয়ে থাকে যে , গর্ভধারণ করার এক মাস পর থেকে এ সমস্যা
গুলো দেখা দেয় ।
- গর্ভধারণ করার ৪ সপ্তাহ থেকে ৬ সপ্তাহ পর বমি শুরু হয়ে থাকে ৷ এ সময় অ্যাস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনোর স্তর বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য সকালে উঠেই বমি ভাব হয়ে থাকে । তবে শুধুই যে , সকালে বমি হবে , তা কিন্তু নয় । দিনের যে কোনো সময় একাধিক বার বমি হতে পারে ।
- তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণত পিরিয়ড মিস করার আগে অর্থাৎ গর্ভধারণ করার প্রথম সপ্তাহেই ৮০ শতাংশ নারী বমির সমস্যায় ভোগেন । আবার ৫০ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার ৬ সপ্তাহ বা তার আগে থেকে বমি অনুভূত হতে থাকে ।
- স্তনে ব্যথা অনুভব করা , ফুলে যাওয়া বা ভারী হওয়া গর্ভধারণ করার অন্যতম এক লক্ষণ । কার ও কার ও ক্ষেত্রে গর্ভধারণ করার ১ম বা ২য় সপ্তাহের মধ্যেই স্তনে ব্যথা হয়ে থাকে ৷
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে গর্ভবতী নারীর ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ হয়ে থাকে ৷ গর্ভধারণ করার প্রথম ৩ মাসে এ সমস্যা গুলো হতে পারে । হরমোনে পরিবর্তনের ফলে সাধারণত এই ডিসচার্জ হয়ে থাকে ৷
শেষ কথা: মাসিক মিস হওয়ার ১০ দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা মাসিক মিস হওয়ার ১০ দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
জানতে পারলেন । পোস্টটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন
সমস্যা হওয়ার কথা না মাসিক মিস হওয়ার ১০ দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
সম্পর্কে জানতে । আপনাদের যদি এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url