গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়
পিরিয়ড মিস হওয়ার ঠিক কত দিন পরে আপনি আপনার গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করবেন ? যদি দেখেন যে , আপনার পিরিয়ড এর চক্র নিয়মিত হয়ে থাকে , তাহলে আপনি আপনার পরের পিরিয়ড মিস হওয়ার প্রথম দিনে ও আপনার গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে পারেন । যদি আপনার এই পিরিয়ড চক্র নিয়মিত না হয়ে থাকে তাহলে আপনি 7 - 10 দিন অপেক্ষা ও করতে পারেন । যাইহোক , 6 - 7 দিন পরে ও পরীক্ষা করে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় ।
গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহের লক্ষণ
গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহের লক্ষণ গুলো সব নিচে দেওয়া হলো এক নজর এ দেখে নিতে পারেন এবং আপনারা চাইলেই আপনার অবস্থার সাথে মিলিয়ে নিবেন এবং দেখবেন আপনার অবস্থার সাথে মিলে যায় কি , না ৷ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে , গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে -
সাধারণ লক্ষণ :
গর্ভাবস্থা হওয়ার প্রথম দিকের সপ্তাহ গুলো তে হরমোন গুলোর পরিবর্তন আপনার পুরো শরীর কে প্রভাবিত করবে । যদি ও দুটি গর্ভাবস্থা কখনই এ করকম নয় , তবে প্রথম তিন মাস থেকে আপনি কিছু লক্ষণ অনুভব করতে পারেন । লক্ষণ গুলো নিম্নরূপ :
# . স্তন নরম হয়ে থাকে
# . মেজাজে চরম পরিবর্তন হওয়া
# . বমি - বমি ভাব হয়ে থাকে বা বমি ( প্রভাতকালীন অসুস্থতা )
# . ঘন ঘন করে প্রস্রাব হওয়া
# . ওজন সাধারণত বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়া
# . চরম ক্লান্তি জনিত বোধ হওয়া
# . মাথাব্যথা করে থাকে
# . বুকের জ্বালা করে থাকে
# . পায়ে খিল ধরে
# . পিঠের নিচের যে অংশ এবং শ্রোণীতে সাধারণত ব্যথা হওয়া
# . নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি ও আকর্ষণ তৈরি হওয়া
# . নির্দিষ্ট কিছু খাবার গুলোর প্রতি নতুন করে অপছন্দ তৈরি হওয়া ৷
# . কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে ।
মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে নিচে দেওয়া হলো এক নজর এ দেখে নিতে পারেন এবং আপনারা আপনার অবস্থার সাথে মিলিয়ে নিবেন এবং দেখবেন আপনার অবস্থার সাথে মিলিয়ে যে আপনার অবস্থার সাথে মিলে যায় কি , না ৷ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে , মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় -
মাসিক শুরুর সম্ভাব্য সময় গুলোর মধ্যে মাসিক শুরু না হলে এবং সম্প্রতি যদি আপনি জন্মনি রোধক এর জন্য কোন পদ্ধতি ( যেমন : কনডম , পিল বা বড়ি ও ইনজেকশন ) ব্যবহার ছাড়া যদি আপনি সহবাস করে থাকলে , প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন । মাসিক মিস হওয়ার প্রথম দিনই যদি আপনি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে গর্ভবতী কি না সেটি জেনে নিতে পারেন ।
প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে সাধারণত গর্ভবতী নারীদের,প্রস্রাব এর একটি হরমোনের উপস্থিতি সাধারণত নির্ণয় করা হয়ে থাকে ৷ গর্ভবতী নারীদের প্রস্রাবে এই হরমোন গুলোর পরিমাণ শুরুর দিকে অল্প পরিমাণে থাকে । তাই গর্ভ ধারণের একদম শুরুর দিকে অথবা সহবাস করার পর পরই এই টেস্ট করলে সাধারণত হরমোন গুলোর উপস্থিতি সঠিক ভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয়ে থাকে না ।
এ জন্যই সহবাস করার পর কমপক্ষে ২১ দিন অথবা পরবর্তী মাসিক হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়ে থাকে ৷
বর্তমান সময়ে কিছু আধুনিক প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার মাধ্যমে পিরিয়ডের সম্ভাব্য তারিখ আসার অনেক আগে , এমনকি গর্ভধারণ করার নয় দিনের মধ্যেই আপনি আপনার গর্ভধারণ করেছেন কি না সেটি নিশ্চিত ভাবে জানা যায় ।
গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ
# . রক্তক্ষরণ ঋতুচক্রের মতোই ৬ থেকে ১২ দিন হালকা রক্তপাত হতে পারে । এই লক্ষণ দেখলে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা অবশ্যই করে নিন ।
# . প্রথম সপ্তাহে মুখে অন্য রকম স্বাদ বুঝতে পারবেন । অনেক সময় মুখে দুর্গন্ধও হতে পারে । আসলে গর্ভাবস্থার জেরে শরীরে হরমোনের মাত্রার তারতম্যের কারণেই এই তফাৎ হতে পারে ।
# . গর্ভে সন্তান এলে নারীরা অতিরিক্ত পরিমাণে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন । তিনি গর্ভবতী হয়েছেন এমন স্বপ্নই দেখেন তারা ।
# . অনেক সময় মুখে বা হাত - পায়ে কালো কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা য়ায় । গর্ভধারণ করার সময় ত্বকের সংবেদনশীনতা বেড়ে যায় । এর ফলে চেহারায় এই কালো দাগ - ছোপ দেখা যায় ।
# . ক্লান্তি প্রেগন্যান্সির একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ । যেহেতু শরীর এই সময় বাড়ন্ত শিশুকে পুষ্টি দেয়ার জন্য অতিরিক্ত রক্ত উৎপন্ন করে তার জেরে খুব অল্পতেই ক্লান্তি এসে যায় ।
# . প্রেগন্যান্সির সময় শরীর অতিরিক্ত পরিমাণ তরল উৎপাদন করে । আর তার জেরে কিডনি দ্বিগুণ পরিমাণে কাজ করে । আর সে কারণেই অতি ঘন ঘন শৌচাগারে যাওয়া প্রয়োজনীয় হয় ।
# . গর্ভাবস্থায় মাথার যন্ত্রণা হতে পারে । গর্ভধারণ করার প্রথম সপ্তাহের শুরুতেই মাথাব্যথা শুরু হতে থাকে । হরমোনের মাত্রা শরীরে বেড়ে যাওয়ার কারণেই এ সমস্যা হয় ।
পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ
পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ
১ . রক্তপাত বা দাগ
হালকা দাগ ( প্যাড বা ট্যাম্পন ভিজানোর জন্য যথেষ্ট রক্তপাত নয় ) কখন ও কখন ও গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে জরায়ুতে ভ্রূণ রোপনের সময় ঘটে । এটি ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং নামে পরিচিত । এটি কিছু মহিলার তাদের পিরিয়ডের শুরুতে ভারী রক্তপাতের মতো নয় ।
২ . ক্লান্তি
গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে মহিলাদের মধ্যে ক্লান্তি সাধারণ দেখা যায় , তবে এটি অনেক মহিলাদের মধ্যে পিরিয়ড - এর লক্ষণ হিসাবেও দেখা দেয় । যাইহোক , পিরিয়ড শুরু হলে PMS-এর ক্লান্তি সাধারণত চলে যায় ।
৩ . খাবারের লোভ / বিতৃষ্ণা
অনেক মহিলাই তাদের মাসিক শুরু হওয়ার আগে খাবারের ক্ষুধা অনুভব করেন বা ক্ষুধা বেড়ে যায় । খাবারের আকাঙ্ক্ষা এবং বিতৃষ্ণা গুলো ও গর্ভাবস্থার সাধারণ বিষয় , যদি ও গর্ভাবস্থার খাবারের আকাঙ্ক্ষাগুলি প্রায়ই মাসিকের আগে থেকে বেশি নির্দিষ্ট এবং তীব্র হয় ।
৪ . বমি বমি ভাব এবং বা বমি
বমি বমি ভাব এবং বমি গর্ভাবস্থার শুরুতে সাধারণ বেশি হয় এবং এটি পিরিয়ডের কাছাকাছি আসার সাধারণ লক্ষণ নয় । অতএব , আপনি যদি গর্ভবতী হন তবে আপনি এই লক্ষণগুলি অনুভব করার সম্ভাবনা বেশি ।
প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলি গর্ভধারণের 6 - 41 দিনের মধ্যে অনুভব করা শুরু করে ।
রক্তক্ষরণ ও টান ধরা - পিরিয়ড শুরু হওয়ার নির্দিষ্ট দিনের আগে হালকা রক্তক্ষরণ বা পেটে প্রচন্ড টান ধরা ব্যথাও প্রেগন্যান্সির লক্ষণ । ভ্রুণ সঞ্চার হওয়ার প্রথম পাঁচ থেকে দশ দিনের মধ্যে এমন হতে পারে । রক্তক্ষরণ হলেই অনেকে ভাবেন পিরিয়ড শুরু হয়ে গেল , এ বার হল না ।
গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়
সাধারণত একটি মেয়ে মাসিক এর মাধ্যমে একজন পরিপূর্ণ নারী হয়ে উঠে ৷ আর যখন একজন নারী গর্ভবতী হয়ে থাকে তখন সাধারণত সে পূর্ণাঙ্গ নারী হয়ে থাকে ৷ যখন একজন নারী গর্ভবতী হয়ে থাকে তখন সাধারণত পরের মাস থেকে তার মাসিক বন্ধ হয়ে থাকে ৷ কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার পর ও তার প্রতি নিয়ত মাসিক হয়ে থাকে ৷ এ টি সাধারণত কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়ে থাকে ৷
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়
গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহের লক্ষণ
সাধারণ লক্ষণ :
গর্ভাবস্থা হওয়ার প্রথম দিকের সপ্তাহ গুলো তে হরমোন গুলোর পরিবর্তন আপনার পুরো শরীর কে প্রভাবিত করবে । যদি ও দুটি গর্ভাবস্থা কখনই এ করকম নয় , তবে প্রথম তিন মাস থেকে আপনি কিছু লক্ষণ অনুভব করতে পারেন । লক্ষণ গুলো নিম্নরূপ :
# . স্তন নরম হয়ে থাকে
# . মেজাজে চরম পরিবর্তন হওয়া
# . বমি - বমি ভাব হয়ে থাকে বা বমি ( প্রভাতকালীন অসুস্থতা )
# . ঘন ঘন করে প্রস্রাব হওয়া
# . ওজন সাধারণত বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়া
# . চরম ক্লান্তি জনিত বোধ হওয়া
# . মাথাব্যথা করে থাকে
# . বুকের জ্বালা করে থাকে
# . পায়ে খিল ধরে
# . পিঠের নিচের যে অংশ এবং শ্রণীতে সাধারণত ব্যথা হওয়া
# . নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি ও আকর্ষণ তৈরি হওয়া
# . নির্দিষ্ট কিছু খাবার গুলোর প্রতি নতুন করে অপছন্দ তৈরি হওয়া ৷
# . কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে ৷
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url