যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ - যাকাত বের করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করব যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে। আপনি যদি
না জেনে থাকেন যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে এবং যাকাত বের করার নিয়ম তাহলে
আজকের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পরুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন
যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ এবং জাকাত বের করার নিয়ম সম্পর্কে।
আমরা সকলে জানি ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। তার মধ্যে একটি হল যাকাত।
এই যাকাত সঠিকভাবে দেওয়ার জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত। কেননা এই যাকাতের
টাকা দরিদ্র অভাবী ব্যক্তিরা একমাত্র প্রাপ। তাই যাকাত দেওয়ার ব্যাপারে সবারই
সঠিক ধারণা থাকা দরকার। তাই আমরা আজকের পর্বে যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ এবং যাকাত
বের করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। তাই আমাদের সঙ্গে থাকুন।
যাকাত কি। যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রয়েছে যাকাত। আর এই যাকাত সম্পদকে পরিশুদ্ধ করে
এবং বৃদ্ধি করে তোলে। যাকাত দেওয়া মূলত বোঝায়, কোন একটি সম্পদ গরিবদের
দিয়ে দেওয়া এবং তাকে সে জিনিসের মালিক করে দেওয়া। আল্লাহ তাআলা যাকাতের নিয়ম
করেছেন কারণ ধনীরা যেমন সুখের শান্তিতে বাস করতে পারে তেমনি গরিবের অধিকার রয়েছে
সুখী শান্তিতে বাস করার। তাই আল্লাহ তা'আলা ধনীদের যাকাত দেওয়াকে ফরজ করে
দিয়েছেন।
প্রথম দিক থেকেই যাকাত দেওয়ার নিয়ম রয়েছে ইসলামে। একটা সময় যাকাত দেওয়ার ফলে
কোন গরিব মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু বর্তমানে যাকাত খুব একটা মানুষ
দেয় না। কিন্তু ধনীদের ওপর যাকাত ফর। জ তাই অবশ্যই তাদের যাকাত দিতে হবে। এমনকি
কোরআনেও যাকাত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর যাদের ধন সম্পদ থাকা সত্ত্বেও যদি
তারা যাকাত না দেন তাহলে, পরকালে তাদের জন্য স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা ধনীদের সম্পদের ওপর গরীবের হক রয়েছে। তাই অবশ্যই ধনীদের যাকাত দিতে
হবে। সেটি ফসলের উপর হোক কিংবা সোনার রুপার উপরে।
কিন্তু যা কাজ সব ব্যক্তি দিতে পারবে না। যাকাত দেওয়ার কিছু পূর্ববর্তী শর্ত
রয়েছে সেগুলোকে পূরণ করতে হবে। সেগুলো পূরণ করার পরে সে ব্যক্তি যাকাত দিতে
পারবে। যাকাত দিতে হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে হয়। আর সেই সম্পদের
থেকে গরীবের যাকাত দিতে হয়। ধনীদের ওপর যাকাত দেওয়া ফরজ হলেও অনেকেই এটিকে
অস্বীকার করে ।কোরআনে উল্লেখ রয়েছে যে ব্যক্তির যাকাতকে অস্বীকার করে সে ব্যক্তি
কাফের।
যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪।যাকাত কাদের দেওয়া যায়
আপনি কি জানেন যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে এবং যাকাত কাদের দেওয়া যায়
যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি
জানতে পারবেন যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ এবং যাকাত কাদের দেওয়া যায় এসব বিষয়
তাহলে চলুন জেনে নেই বিস্তারিত আলোচনা।
সকলের জন্যই কিন্তু যাকাত দেওয়া ফরজ নয়। ধনী হলেও একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে সম্পদ
আর থাকতে হবে। আর সে নির্দিষ্ট সম্পদের কিছু অংশই শুধুমাত্র গরিবদের যাকাত দিতে
হবে। যাদের জন্য যাকাত দেওয়া ফরজ তাদের জন্য যাকাতের শর্তগুলি রয়েছে সেখান থেকে
জানা যাবে যাকাত দেওয়া কাদের জন্য ফরজ। যাকাত দেওয়ার যাদের জন্য ফরজ এর যেমন
শর্ত বলে রয়েছে। তেমনি যাকাত যাদের দেওয়া উচিত তাদের জন্য কিছু শর্তাবলী
রয়েছে। সে শর্তাবলী গুলো মেনে তারপর তাদেরকে যাকাত দিতে হবে। তাহলে জেনে নেই
কাদের যাকাত দেওয়া যায়।
মিসকিন
মিসকিন হল যাদের কোন কিছু করার সামর্থ্য নেই, উপার্জন করতে পারে না। জেনে
অন্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ ধরনের মানুষদেরকে মিসকিন বলা হয়। মিসকিনদের
যেহেতু কোন ধরনের সম্পত্তি থাকে না তাই তাদের যাকাত দেওয়া যায়। আপনারা চাইলে
মিসকিনদের যাকাত দিতে পারেন।
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা ঋণগ্রস্ত। সকল ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিদের কিন্তু
যাকাত দেওয়া যাবে না। এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছে যারা তাদের ঋণ শোধ করতে পারছে
না আবার সম্মানের ভয়ে অন্যদের কাছেও হাত পাতে নেই। এ ধরনের রেনগ্রস্ত
ব্যক্তিদের কে টাকা দেওয়া যেতে পারে। যেন তারা তাদের ঋণগুলোকে শোধ করে নেই।
তবে ঋণ শোধ করার পর তার কাছে টাকা থাকলে সেই টাকা যাকাত দেওয়া ব্যক্তিকে ফেরত
দিয়ে দিতে পারে। তাই আপনারা চাইলে এ ধরনের মানুষদের কেউ চাপা দিতে পারেন তাদের
ঋণ শোধ করার জন্য।
মুসাফির
মুসাফির মানে হল কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ
করতে যায়। অর্থাৎ ভ্রমণকারী ব্যক্তিকে মূলত ইসলামিক ভাষায় মুসাফির বলা হয়।
আপনার সামনে যদি এমন কোন মুসাফির থাকে যে, ভ্রমণ করতে এসে বিপদে পড়েছে অর্থাৎ
তার কাছে কোন অর্থ সম্পদ নেই। তাদেরকে সাহায্য করার জন্য যাকাত দেওয়া যেতে
পারে। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মুসাফির রয়েছে যারা ভ্রমণ করতে এসে বিপদে
পড়েছে। চাইলে আপনি তাদেরকে যাকাত দিতে পারে
জিহাদ কারি
ইসলামের দৃষ্টিতে যারা সন্ত্রাস হত্যা কিংবা যা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে
তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করাকে মূলত জিহাদ করা বলে। যারা ইসলামের জন্য কাজ করে
তাদের সাহায্য করার জন্য অবশ্যই তাদের যাকাত দেওয়া যেতে পারে। এতে করে আপনারই
অনেক ভালো হবে। এমন অনেক জিহাদকারী রয়েছে যারা ইসলামের জন্য কাজ করে থাকেন।
সেইসব ব্যক্তিদের যাকাত দেওয়া যেতে পারে।
দ্বীনদার দরিদ্র
দীনদার দরিদ্র বলতে বোঝায় যারা দিন এনে দিন খায়। অর্থাৎ তাদের কাছে
অর্থ-সম্পদ বলতে কোন কিছুই নেই। টি সেই দিনের যে টাকা ইনকাম করে সেই
টাকায় ওই দিনের খরচে লেগে যায়। তার কাছে আলাদা করে বেঁচে থাকার কোন
সম্পদ নেই। তাদেরকে যাকাত দেওয়া যেতে পারে। আপনার আশেপাশে যদি এমন দিন খাওয়া
লোক থাকে তাহলে তাদেরকে যাকাত দিতে পারেন।
এছাড়া আরো কিছু ধরনের লোক রয়েছে যাদেরকে যাকাত দেওয়া যেতে পারে। তবে এসব
মানুষের সব থেকে বেশি জায়গার দেওয়া হয়।আপনারা চাইলে অন্যান্য ব্যক্তিদেরও
যাকাত দিতে পারেন। তবে অন্যান্য ব্যক্তিদের চাপাত দেওয়ার থেকে এইসব ব্যক্তিদের
যাকাত দেওয়ায় সবথেকে বেশি ভালো হবে।
যাকাত না দিলে কি হয়ঃ
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন যে যারা যাকাত দেবে আল্লাহ তায়ালা তাদের সম্পদ আরো
বৃদ্ধি করে দিবে। অর্থাৎ যাদের যাকাত দেওয়ার পর অবশ্যই তাদের যাকাত দিতে হবে
আর তারা যদি সঠিকভাবে যাকাত আদায়ের না করে তাহলে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন
শাস্তির ব্যবস্থা। পৃথিবীতে ধনীদের যেমন সুখ শান্তি ভোগ করার অধিকার রয়েছে
তেমনি গরিবদেরও রয়েছে। আর ইসলামে শুধু ধনীরা সুখ শান্তি ভোগ করবে এবং গরিবেরা
কষ্টের দিন কাটাবে এটি কখনো হবে না।
তাই আল্লাহতালা ধনীদের জন্য যাকাত ফরজ করে দিয়েছে। জানো ধনীদের পাশাপাশি
গরিবেরাও এ পৃথিবীতে সুখের শান্তিতে বসবাস করতে পারে। আর যারা যাকাতকে অস্বীকার
করে এবং যাকাত আদায় করে না তাদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইসলামের
কয়েকটি আবশ্যক জিনিস গুলোর মধ্যেও রয়েছে এই যাকাত। আর যে এই যাকাত আদায় করবে
না সে কাফিরে লিপ্ত হবে। তাই অবশ্যই প্রত্যেকটা ধনী যাদের জন্য যাকাত ফরজ
তাদেরকে যাকাত দিতে হবে।
যাকাত দেওয়ার ফলে আল্লাহ তায়ালা তাদের সম্পদের বরকত দিবে এবং তাদের সম্পদ আরো
বৃদ্ধি করে দিবে। তাই এ কথাটি মাথায় রেখে তাদেরকে যাকাত দিতে হবে। তাই আমাদের
মধ্যে যাদের যাকাত দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে অর্থাৎ তাদের যাকাত দেওয়ার জন্য
পর্যাপ্ত পরিমাণে সম্পদ রয়েছে অবশ্যই তাদের যাকাত দিতে হবে।
যাকাত বের করার নিয়ম ।কত পরিমান সম্পদ থাকলে যাকাত দিতে হবেঃ
এখন আমরা আলোচনা করব যাকাত বের করার নিয়ম এই সম্পর্কে এবং কত পরিমাণ সম্পদ
থাকলে যাকাত দিতে হবে এর বিস্তারিত আলোচনা আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
যে ব্যক্তির বছরে শুরুতে যে পরিমাণ সম্পদ ছিল এবং বছরের শেষেও ঠিক সে পরিমাণ
সম্পদ রয়েছে। তাহলে তার ওপরে তাকে যাকাত দিতে হবে। এমনকি কোন ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি
যদি প্রথমে ঋণ নিয়ে শোধ করে দেয় এবং বছর শেষে তার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণের
সম্পদ থাকে তাহলে তাকেও যাকাত দিতে হবে। এখন কথা হল কোন কোন সম্পদের উপরে যাকাত
দেওয়া যায়।
গচ্ছিত নগদ অর্থ, সোনা রুপা, মূল্যবান ধাতু, বাণিজ্যিক সম্পদ, কৃষিজাত ফসল
ইত্যাদি আরও বিভিন্ন জিনিসের ওপরে যাকাত দেওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ মানুষের নগদ
অর্থের ওপরে যাকাত দিয়ে থাকে। কিন্তু মহিলাদের অলংকারের জিনিস সোনার ওপার
ওপরেও যাকাত দিতে হবে। আর তারা যদি যাকাত না দেয় তাহলে পরবর্তীতে তাদের শাস্তি
ভোগ করতে হবে। যাকাত দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদকে বলা হয় নিসাব।
অর্থাৎ যার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে একমাত্র তারাই যাকাত দিতে পারবে এবং
তাদের জন্য যাকাত দেওয়া ফরজ।
সোনা রুপার হিসাব পরিমান কত? যাদের কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা রয়েছে তাদেরকে
যাকাত দিতে হবে। আর যাদের কাছে রুপা ৫২ ভরি রয়েছে তাদেরকে যাকাত দিতে হবে।
নিসাব পরিমাণ সোনা রুপার যদি মালিক নাও হয়ে থাকেন কিন্তু নিশা পরিমাণ সোনার
ওপার দামের সম্পদের মালিক হয়ে থাকেন তাহলে তাকে তার সম্পদের আড়াই শতাংশ যাকাত
দিতে হবে। আর যদি কোন ব্যক্তি কৃষির জাত কোন ফসল উৎপাদন করে, আর সেটি যদি
কোন রাসায়নিক পদার্থ দেওয়া ছাড়া উৎপন্ন হয়ে থাকে তাহলে তাকে সে
সম্পদের ১০ শতাংশ যাকাত দিতে হবে। আর যদি রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে তাহলে
তাকে সে সম্পদের চল্লিশ শতাংশ যাকাত দিতে হবে।
যাকাত দেওয়া কাদের উপর ফরজ। যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
সব ধরনের ধ্বনি ব্যক্তিদের জন্যই কিন্তু যাকাত দেওয়া ফরজ নয়। যাদের জন্য
যাকাত ফরজ তাদের কথা ইসলামের বলা হয়েছে। তাহলে চলুন জেনে কাদের জন্য যাকাত
দেওয়া ফরজ।
মুসলিমঃ
অমুসলিমের জন্য যাকাত ফরজ নয়। যাকাত শুধুমাত্র মুসলিমদের ওপরে ফরজ। যদি কোন
ব্যক্তি অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে রূপান্তরিত হয় তাহলে, মুসলমান হওয়ার আগে
তাকে কোন ধরনের যাকাত দিতে হবে না। মুসলমান হওয়ার পরে তার ওপর যাকাত দেওয়া
ফরজ হবে এবং তাকে যাকাত দিতে হবে।
নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকঃ
যাদের মিছা পরিমাণ সম্পদ রয়েছে একমাত্র তাদের ওপরে যাকাত ফরজ। তাই যাদের কাছে
নিসাব পরিমাণ সম্পদ নেই তাদেরকে যাকাত দিতে হবে না। আর নিচে পরিমান সম্পদ থাকে
শর্ত যদি কোন ব্যক্তির যাকাত না দেয় তাহলে, পরকালে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।
তাই অবশ্যই নিছার পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তাকে যাকাত দিতে হবে।
ঋণ গ্রস্ত না হওয়াঃ
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিদের ওপরে যাকাত ফরজ নয় তবে, বছরের শুরুতে তার কাছে যাকাত
দেওয়ার মতো সম্পদ ছিল কিন্তু বছরের মাঝখানে ঋণগ্রস্ত হওয়ার জন্য তার শেষ
সম্পদ নেই কিন্তু বছর শেষে তার কাছে নিতা পরিমান সম্পদ রয়েছে তাহলে তাকে
অবশ্যই টাকা দিতে হবে। এছাড়া অন্যান্য ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিদের যাকাত দিতে হবে
না।
এক বছরের জন্য সম্পস্থায়ী হওয়াঃ
যাকাত দেওয়ার প্রথম শর্ত হলো সে সম্পদ নিসাব পরিমাণ হতে হবে। আর সে সম্পদ যদি
বছরের শুরুতে একই রকম থাকে এবং বছরের শেষেও একই রকম থাকে তাহলেই তার ওপর যাকাত
ফরজ হবে। এটি সম্পদ এবং মূল্যবান রত্নের ওপরেও একই রকম।
জ্ঞান সম্পন্ন হওয়াঃ
জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিদের উপরে একমাত্র যাকাত ফরজ। অন্যথায় অন্যান্য
ব্যক্তিদের উপরে যাকাত ফরজ হবেনা।
বালেগ হওয়াঃ
যাকাত দিতে হলে অবশ্যই তাকে বালেগ হতে হবে। অর্থাৎ নিজের উপার্জন করা টাকার
উপরে একমাত্র সে যাকাত দিতে পারবে। তাই বালক সম্পন্ন হওয়ার আগে কখনোই তার ওপর
যাকাত ফরজ হবে না।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন কিছু ইসলামিক পোস্ট
আরো পড়ুনঃ ফজরের নামাজের ১০ ফজিলত জানুন
আরো পড়ুনঃ শবে বরাত কি - শবে বরাতের ফজিলত
যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪।সম্পত্তির কত অংশের ওপর যাকাত দিতে হবে?
যাকাত কি এবং কত পরিমানে যাকাত দিতে হয়। এ থেকে আমাদের ধারণা হয়ে গেছে যে
যাকাত কিভাবে দিতে হয়। অর্থাৎ আপনার কাছে এদের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তাহলে
সে সম্পদের উপরে আপনাকে যাকাত দিতে হবে। নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে সেই সম্পদের
আড়াই শতাংশ যাকাত দিতে হয়। আর আমরা এও জানতে পেরেছি যে কাদের যাকাত দিতে হয়।
যেমনঃ মিসকিন, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, জিহাদ কারি, মুসাফির ইত্যাদি বিভিন্ন
ধরনের লোক রয়েছে যাদেরকে যাকাত দেওয়া যায়।
ইসলাম অনুযায়ী যে ব্যক্তির কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ বছরের শুরু তে যে পরিমাণ
ছিল এবং বছরের শেষেও ঠিক সেই পরিমাণ থাকবে তাদেরকে যাকাত দিতে হবে। সেটা যদি
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি ও হয় তাহলে তাকে দিতে হবে। তার ঋণ বাদ দিয়ে তার কাছে নিসাব
পরিমাণ এর সম্পদ থাকলে অবশ্যই তার উপর যাকাত ফরজ হবে। সম্পদের পাশাপাশি সোনা
রুপা এবং মূল্যবান সম্পদের ওপর ও যাকাত দিতে হবে।
শেষ কথা
এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ এবং যাকাত বের করার নিয়ম
সম্পর্কে। আমরা আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি পড়ে বুঝতে পেরেছেন যাকাত
কিভাবে দিতে হবে এবং যাকাত বের করার নিয়ম কি। পুরো পর্বটি পড়ে যদি আপনি যাকাত
দেওয়ার নিয়ম ২০২৪ এবং যাকাত বের করার নিয়ম সম্পর্কে আরো কোন মতামত থেকে থাকে
তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url