বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায়
প্রিয় পাঠক আপনি কি বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায় এবং কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪ এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।কেননা আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আমরা আলোচনা করতে চলেছিবাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায় এবংকোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪ সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
সেই সাথে আপনি বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভিসা ছাড়া ঢোকা যাবে ৪২টি দেশে?,বাংলাদেশ
থেকে ই ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন, এবং বাংলাদেশী
পাসপোর্ট দিয়ে ই ভিসা ঘুরে আসতে পারবেন যে দেশগুলো থেকে এ বিষয় সম্পর্কে
জানতে পারবেন।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে
জেনে নিন বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায় এবং কোন কোন দেশের ভিসা
চালু আছে ২০২৪ সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায়।কোন
কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
ভূমিকা।বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায়
প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয়ই থেকে আপনাদের সামনে
তুলে ধরার চেষ্টা করেছি বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায় এবং কোন
কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪ এ বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।সেই সাথে
আমরা আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিব বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভিসা ছাড়া ঢোকা যাবে
৪২টি দেশে? এবং বাংলাদেশ থেকে ই ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কি কি ডকুমেন্ট
প্রয়োজন।
আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি উপকৃত হবেন।কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা সে
সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যা আপনারা মনে মনে জানতে
চেয়েছেন।আজকের আর্টিকেল আপনি যদি শেষ পর্যন্ত পড়েন।তবে আপনিও বাংলাদেশ থেকে
কোন কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায় এ নিয়মে সকল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভিসা ছাড়া ঢোকা যাবে ৪২টি দেশে
বাংলাদেশী পাসপোর্টে ভিসা ছাড়া ঢোকা যাবে ৪২ টি দেশে আপনারা কি জানিয়েছে ৪২
টি দেশের নাম সম্পর্কে অনেকগুলো দেশে যাওয়া যায় তা হয়তো অনেকেই জানেন তবে
বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলে আপনি কোন ধরনের ভিসার ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ পাবেন তা
অবশ্য অনেকেই জানেন না চমৎকার দেশ আর এটি অবশ্য যে কোন ট্রাভেলারদের জন্য দারুণ
সুখবর জেনে আসি বাংলাদেশী পাসপোর্টে ভিসা ছাড়া ঢোকা যাবে ৪২ টি দেশের নাম
সম্পর্কে।
আপনার পাসপোর্টটি অবশ্যই বৈধ হতে হবে সাধারণত বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রে
বাংলাদেশী পাসপোর্ট ডেসটিনিশন থেকে এক্সিটের তারিখে এরপর থেকে ছয় মাসের জন্য
বৈধ হতে হবে।ট্রাভেল করার আগে যে দেশে যাচ্ছেন সেটির জন্য সঠিক স্বাস্থ্য বীমা
কিনে রাখা জরুরী আপনি কোথায় যাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে বিমার ধরন এবং মূল্য
ভিন্ন হতে পারে।
বাংলাদেশি পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই ঢোকা যাবে ৪২টি দেশের নাম বাংলায় হলো:
- অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা
- বার্বাডোস
- ডোমিনিকা
- গ্রেনাডা
- হাইতি
- জামাইকা
- সেন্ট কিটস ও নেভিস
- সেন্ট লুসিয়া
- সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস
- ট্রিনিডাদ ও টোব্যাগো
- নেপাল
- মালদ্বীপ
- ভুটান
- কুক দ্বীপপুঞ্জ
- ফিজি
- মাইক্রোনেশিয়া
- নিউই
- পালাউ
- সামোয়া
- তুভালু
- ভানুয়াটু
- তিমুর-লেস্তে
- ইকুয়েডর
- এল সালভাদর
- গুয়াতেমালা
- হন্ডুরাস
- নিকারাগুয়া
- পানামা
- আর্জেন্টিনা
- ব্রাজিল
- চিলি
- কলম্বিয়া
- প্যারাগুয়ে
- পেরু
- উরুগুয়ে
- ভেনেজুয়েলা
- দক্ষিণ কোরিয়া
- ফিলিপাইনস
- মালাউই
- উগান্ডা
- জিম্বাবুয়ে
- দক্ষিণ আফ্রিকা
উপরোক্ত সকল দেশগুলো এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকার দেশ ও
ওশিয়ানিয়া মধ্যে অবস্থিত দেশ।
বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে ই ভিসা ঘুরে আসতে পারবেন যে দেশগুলো থেকে
বর্তমান সময়ে প্রায় সব ট্রাভেলরদের মধ্যে ঈদ হিসেবে পরিচিত সাধারণ ভিসার একটি
ইলেকট্রিক ভার্সন। এটি একটি নিয়মিত ভিসার মতই কাজ করে তবে নিয়মিত ভিসা
তুলনায় কিছু এটির সুযোগ সুবিধা কিছুটা বেশি রয়েছে। তবে কেননা ই ভিসা আবেদনের
জন্য আপনাকে এম্বসির লম্বা লাইনে মোটেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।
আরো পড়ুনঃ আমেল আইডি ভিসা চেনার উপায় নিয়ে বিস্তারিত
যে দেশে যেতে চান সেখানকার এম্বাসির পোর্টালে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ আপলোড
করলে আপনার কাজ শেষ। অর্থাৎ আপনাকে আর এম্বাসিতে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে না
বা ডকুমেন্টের কোন হার্ডকপিও জমা দিতে হবে না। তাই বুঝতে পারছেন ই ভিসা
প্রক্রিয়াটি কতটা ঝামেলা মুক্ত সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী।
বাংলাদেশী পাসপোর্টে ই ভিসা অনুমোদনকারী দেশের তালিকা নিচে দেওয়া হল:
- এশিয়া
- বাহারাইন
- কাজাখাস্তান
- মালয়েশিয়া
- মায়ানমার
- কাতার
- তাজিকিস্তান
- ভিয়েতনাম।
- ইউরোপ
- আলবেনিয়া
আফ্রিকা: বেনিন, বটসোয়ানা, বুর্কিনা ফাসো, ক্যামেরুন, কঙ্গো জাতীয়
প্রজাতন্ত্র, আইভরি কোস্ট( কোট ডিভোয়ার), জিবুটি, ইকুয়েটোরিয়ার গিনি, ইথিওপিয়া,
গাবন, গিনি, কেনিয়া, মালাউই, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, সাও টোমে এবং প্রিন্সিপে,
দক্ষিণ সুদান, টোগো, উগান্ডা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে।
উত্তর আমেরিকা ( ক্যারাইবিয়ান অঞ্চল): অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা
দক্ষিণ আমেরিকা: সুরিনাম
বাংলাদেশ থেকে ই ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
বাংলাদেশ থেকে ই ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা আপনাকে
শুরুতে জানতে হবে।তাই আপনার ই -ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াটি দ্রুত শেষ করতে হলে
আগে থেকে কিছু ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখতে হবে। যদিও আপনি যে দেশে যাচ্ছেন তার ওপর
নির্ভর করে ডকুমেন্টগুলো কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তবে বাংলাদেশে পাসপোর্ট থাকলে
ই ভিসার জন্য আবেদন করার সময় নিচে দেওয়া ডকুমেন্টগুলো রেডি রাখতে হবে।
- আপনার ব্রাউজারে সর্বশেষ সংস্কার আন্দোল লেটেস্ট ভার্সন (যদি আপনি ইন্টারনেটে এপ্লায়ার ব্যবহার করেন তবে সংস্করণটি ৯.০ হওয়ার ভালো এবং মাজিলা ফায়ারফক্সের জন্য এটি ৩.৫)
- শক্তিশালী ইন্টারনেট কানেকশন
- প্রয়োজনী ডকুমেন্ট ডাউনলোড এবং সেভ করতে adobe Acrobat Reader (সংস্কারণ ৮.০ বা এর চেয়ে লেটেস্ট ভার্সন)
- আপনার বর্তমানে এবং পুরনো পাসওয়ার্ড (যদি থাকে)
- রিসেন্ট ছবি (সাধারণত তিন মাসের বেশি পুরনো নয়)
- আপনার ইমেল এবং বাসার ঠিকানা
- এনআইডি/ জন্ম নিবন্ধন( অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) চাকরির প্রশংসা পত্র ইত্যাদি।
বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলেও যেসব দেশ ভ্রম্মণ করতে আপনার টুরিস্ট ভিসা নিতে হবে
ই ভিসা এবং ভিসা অ্যারাইভাল নিয়ে সব প্রয়োজনীয় তথ্য জানার পর এবার পালা ভিসা
সহ ট্রাইভেল নিয়ে জানার। আপনার যদি একটি বৈধ বাংলাদেশ পাসপোর্ট এবং একটি ভিসা
থাকে তাহলে আপনি ঘুরে দেখতে পারবেন পৃথিবীর অন্যান্য ৬১ টি দেশ।
প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন রূপ চোখ ধাঁধানো আর্কিটেকচার সহ বিভিন্ন জনপ্রিয়
স্পর্টের ছবিগুলো মডার্ন ডিভাইসটিতে ক্যাপচার করে বেশ ভালোই লাগবে চলুন জেনে
নেওয়া যাক এইসব দেশে যেতে আপনার কি কি ডকুমেন্টস লাগতে পারে।
- ভিসা আবেদন পত্র
- একটি বৈধ পাসপোর্ট যেখানে পরিদর্শনকারী দেশটির জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি ফাঁকা পৃষ্ঠা রয়েছে ।(অন্তত ছয় মাসের বৈধতা)
- পুরনো পাসপোর্ট (যদি থাকে)
- রিসেন্ট ছবি (সাধারণত তিন মাসের বেশি পুরনো নয়) ছবি সাইজ নির্ভর করবে যে দেশে যাচ্ছেন সেখানকার রিকোয়ারমেন্টের অনুযায়ী।
- ফ্লাইট টিকিট এবং হোটেলে রিজার্ভেশন কপি
- ভ্রমণসূচি ইত্যাদি
- আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ( সাধারণত লাস্ট ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
- ম্যারিজ সার্টিফিকেট
- এনআইডি, জন্ম নিবন্ধন পত্র (অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) ইত্যাদি।
কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
আপনারা কি জানেন ২০২৪ সালে কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪ এ সম্পর্কে আসলে
যারা বাংলাদেশ থেকে বাইরে দেশে যেতে চায় তারা কিন্তু অবশ্যই এই কথাটা মাথায়
রাখে যে কোন কোন দেশে ভিসা চালু আছে এটি জেনে রাখা জরুরী হয়ে পড়ে। কারণ আপনি
যখন কোন জায়গায় বা কোন দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিবেন।
তখন আপনার সেই দেশের যদি ভিসা চালু না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি সেই দেশের জন্য
ভিসার এপ্লাই করতে পারবেন না তার জন্য আপনাকে আগে থেকে জেনে রাখতে হবে যে কোন
সময়ে ভিসা চালু হবে সেই দেশের। চলুন জেনে আসি কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে
২০২৪ সাল।
বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য সৌদি, কাতার, কুয়েত, দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর,
ইতালি, আমেরিকার, রাশিয়া, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম,
রোমানিয়া, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড, কোরিয়া সহ প্রাইজ ৫০ টি দেশের ভিসা চালু
রয়েছে। যারা বাংলাদেশের নাগরিক ২০২৩ সালে ভিসা ছাড়ে তাদের ৪২ টি দেশ ভ্রমণ
করতে পারবে।
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে অনেক দেশে যাওয়া যায় সেই সকল দেশে বাংলাদেশ থেকে
সরকারি ভাবে যাওয়া যায় তার মধ্যে ১৭২ টি দেশে কাজের ভিসায় যাওয়া যায়। আমি
প্রবাসী এপের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে জানতে পারবেন বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ভাবে
বিশ্বের কোন কোন দেশে যেতে পারবেন।
বিদেশে বাংলাদেশের সব দেশ থেকে প্রবাসী রয়েছে যে সকল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশী
প্রবাসী রয়েছে তার মধ্যে সৌদি আরব, দুবাই, কাতার, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ইতালি,
রোমানিয়া, সুইডেন, কানাডা, রাশিয়া, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স,
সার্ভিয়া, মরক্কো, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের অধিকাংশ
নাগরিকগণ ভ্রমণ বা কাজের উদ্দেশ্যেই উপরের উল্লেখিত দেশগুলোতে বেশি দিয়ে থাকে।
লেখকের কথা।বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায়
প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ করে
ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায়
এবং কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪ সম্পর্কিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের
আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত বলে মনে হয়েছে।আজকের আর্টিকেল
পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে
জানিয়ে দিন।
এছাড়াও আপনি যদি প্রবাসী সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে চান। তাহলে আমাদের
ওয়েবসাইটি ঘুরে আসুন এবং ভিজিট করে রাখুন।এতক্ষণ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থেকে
পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।আজকের আর্টিকেল আপনার বন্ধু এবং
আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না।আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ
থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url