লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম - শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য
আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম এবং শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য। তাহলে চলুন জেনে নিই।শবে কদর এমন একটি রাত যেটি ভাগ্য করে আমরা পেয়েছি। এটি মুসলিমদের কাছে একটি সৌভাগ্যময় রাত। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনেও বর্ণনা করা হয়েছে। এ রাতে যদি কোন ব্যক্তি সারারাত জেগে নফল নামাজ সহ আরো কিছু ইবাদত রয়েছে সেগুলোকে বেশি বেশি করতে পারে তাহলে, সেই ব্যক্তি ১০০০ মাস ইবাদতের সওয়াব পেয়ে যাবে। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাইবেন লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম। এবং শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্যএ সম্পর্কে কেননা এই রাতের কথা মহান আল্লাহতালা কুরআনে একটি সূরায় অবতীর্ণ করেছেন সূরাটির নাম হচ্ছে সূরা আল কদর।
শুধু তাই নয় এ রাতে যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে যদি মন থেকে ক্ষমা চায় তাহলে আল্লাহতালা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আর তার সকল মনের আশা পূরণ করে দিবেন। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত এ রাতে সঠিকভাবে ইবাদত করা। কিন্তু আল্লাহতালা এই সৌভাগ্যময় রাতে নির্দিষ্ট দিন বলে দেননি। বিভিন্ন হাদিসে উল্লেখ রয়েছে রমজান মাসের শেষ দশ রোজার বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করতে। তাহলে চলুন জেনে লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম। এবং শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য।
লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া
শবে কদর ২০২৪ কত তারিখেঃ
লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও গুরুত্ব
প্রিয় পাঠক আমরা যেহেতু লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানতে চলেছি। আগের পর্বগুলোতে আমরা জেনেছি লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম। আমরা জানবো শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য সম্পর্ক।ইসলামে লাইলাতুল কদর একটি মহান রাত। এটি প্রত্যেকটি মুসলিমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত। মুসলমানদের কাছে এ রাত্রি অনেক মর্যাদা পূর্ণ। আল্লাহ তাআলা কোরআন নাজিল করার জন্য এ রাতকে নির্বাচিত করেছেন।
তাই এই রাতের মর্যাদা ও অন্যান্য রাতের তুলনায় হাজার গুণ বেশি। আল্লাহতালা পবিত্র কুরআনের সূরা আল কদরে বলেছেন, কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। তাই সকল মুসলমানরা এ রাতটিকে ইবাদত, নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, দোয়া, ইস্তেগফার ইত্যাদির মাধ্যমে আমল সব থেকে বেশি করে থাকেন। কারণ আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা চান তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন। এ রাতে আল্লাহ তাআলা সকলের উপরের রহমত নাযিল করেন।
তবে এত মর্যাদা পূর্ণ রাত হওয়ার শত এর আয়াতটি কবে সেটা আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের কাছে নির্দিষ্ট করে দেননি। তাই আল্লাহর রাসূল রমজান মাসে শেষ দশকের বিজর রাতগুলিকে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছেন। হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত এক হাদীসে রয়েছে, করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছে্ন, "কদরের রাতে সিদরাতুল মুনতাহার বাসিন্দা ফেরেশতারা বুনিয়ার জমিনে অবতরণ করেন"।তাদের মধ্যে থাকে জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যারা এসে বিভিন্ন স্থানে পতাকা স্থাপন করে যান। তারা কবরের ওপর একটি পতাকা স্থাপন করেন। বায়াতুল মুকাদ্দাসের উপরে একটি পতাকা স্থাপন করেন, বায়াতুল্লাহর উপরে একটি এবং মাসজিদে নববীর ওপরে একটি এবং সিনায় পর্বতের উপর একটি করে পতাকা স্থাপন করেন।
তবে তারা দুনিয়ায় এসে কোন ঈমানদার পুরুষ বা নারীকে সালাম না জানিয়ে সেখান থেকে ফেরত যান না। কিন্তু যারা কুফরি, মুনাফিক, ইসলামের বিরুদ্ধে চলে তাদের প্রতি অভিশাপ দিয়ে যান। হাদিসেও রয়েছে লাইলাতুল কদরের রাত্রিতে পৃথিবীর জমিনে ফেরেশতারা এত বেশি পরিমাণে অবতরণ করেন যে, তাদের সংখ্যা পাথরকুচির চেয়েও বেশি।(মুসনাদে আহমদ-হাদিস নম্বর ৫৯৯)
লাইলাতুল কদরের ফজিলতঃ।লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম
শবে কদরের এ রাতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর সর্বপ্রথম
কোরআন নাজিল করা হয়। এর পরবর্তী ২৩ বছর ধরে তার কাছে বিভিন্ন প্রয়োজনে
এবং ঘটনার সাপেক্ষে নির্দিষ্ট আয়াত আকারে নাযিল করা হয়। মুসলমান আছে এই
রাত্রি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি এ কথাটি হাদিসে অসংখ্য পারবনা করা
হয়েছে। পবিত্র কোরআনের শবে কদরের রাত্রিকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলা
হয়েছে।
ইসলাম ধর্মে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর পুরো প্রতি নবী এবং তাদের উম্মতগণ অনেকদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতেন এবং আল্লাহ তাআলার অনেক সময় ইবাদত করার সুযোগ পেতেন। কিন্তু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর কম হওয়ার কারণে তারা পূর্ববর্তী নবীর উম্মতদের মতো আল্লাহ তাআলার এবাদত করতে পারবেন না। এই কম সময়ে বেঁচে থাকা নিয়ে তাদের মধ্যে আপেক্ষার সৃষ্টি হয়।
শবে কদরের ফজিলত ও গুরুত্ব
লাইলাতুল কদর মুসলমানদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদা সম্পন্ন একটি রাত। কারণ এ রাতে আল্লাহ তাআলা কোরআন নাজিল করেছিলেন। যেটি সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর অনেক বড় সৌভাগ্য যে তারা শবে কদরের রাত অর্থাৎ লাইলাতুল কদরের রাত পেয়েছে।
যে রাতে এবাদত করার ফলে এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাওয়ার ফলে,
আল্লাহতালা তাকে মাফ করে দেন এবং পরবর্তী এক হাজার বছরের ইবাদতের সওয়াব দিয়ে
দেন। মুসলমানদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাত। আমাদের প্রত্যেক মুসলমানদের উচিত
রমজানের শেষ ১০ রোজায় বিজরাত গুলোতে শবে কদরের অনুসন্ধান করা এবং বেশি বেশি
আমল করা। শবে কদর আমাদের কাছে অনেক সৌভাগ্যময় হওয়ার পাশাপাশি কদরের কয়েকটি
ফজিলত রয়েছে,
- এ রাতে ক্ষমা চাওয়ার ফলে আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করে দেন।
- আল্লাহ তা'আলা এই রাতে সকলের ওপরে রহমত নাযিল করেন।
- এ রাতে এবাদত করার ফলে পরবর্তী ১০০০ বছর ইবাদতের সওয়াব বাড়িয়ে দেন।
- শবে কদরের রাতে ইবাদত করার ফলে, আল্লাহ তার কাছে কোন কিছু চাইলে আল্লাহ তা'আলা তার চাওয়া অথবা আশা পূরণ করে দেন।
- একটি হাদিসে বলা হয়েছে যে তোমরা যদি তোমাদের কবরকে আলোকিত করতে চাও তাহলে লায়লাতুল কদরের রাত জেগে ইবাদত বন্দেগী করো।
শবে কদরের আলামত সমূহঃ
ইসলামের শবে কদরের রাত অর্থাৎ লাইলাতুল কদরের রাত একটি বিশেষ রাত। এই দিনে আল্লাহ তায়ালা কোরআন নাজিল করেছিলেন। যে কোরআন আমাদের মুসলমানদের সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব। এ রাতে যেমন ইসলামে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তেমনি মুসলমানদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। তবে আল্লাহ তা'আলা এ রাতে নির্দিষ্ট করে বলে দেননি।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাতের কিছু আলামত সম্পর্কে বর্ণনা করে
গেছেন। যার মাধ্যমে আমরা খুব সহজে অনুসন্ধান করতে পারব যে কোন রাতটি আসলে শবে
কদরের রাত। হাদিসে বলা হয়েছে রমজানের শেষ ১০ রোজার বেজোড়া গুলোতে লাইলাতুল
কদরের রাত অনুসন্ধান করতে। তাহলে চলুন দেখে নিয়ে আমরা কিভাবে বুঝব দেশে রাতটি
আসলে শবে কদরের রাত।
আপনারা হয়তো সকলে জাকির নায়েককে চেনেন। তিনি অনেক জ্ঞানী একজন মানুষ। তাকে একজন প্রশ্ন করেছিলেন যে লাইলাতুল কদরের রাত সম্পর্কে কি কোরআনে কোন ধরনের বর্ণনা করা হয়েছে? এর উত্তরে ডক্টর জাকির নায়েক বলেন, সহি হাদিসে লাইলাতুল কদরের কিছু নিদর্শন এর কথা বলা হয়েছে।
আমরা যদি আগেই জানতে পারতাম তাহলে শুধু এ রাতে ইবাদত করতাম। তাই আল্লাহ তা'আলা চান না আমরা আগে থেকেই জানতে পারি। লাইলাতুল কদরের পরের দিনে সূর্যর তাপ বেশি থাকবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, লাইলাতুল কদরের রাতে চাঁদ দেখাবে থালার মত। মাসের শেষ চাঁদ যেমন হয়।
শবে কদরের দোয়া
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন শবে কদরের দোয়ার সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে
থাকেন। তবে শবে কদরের দোয়া আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন।
শবে কদরের দোয়া সম্পর্কে জানবেন যেটি হাজার মাসের চাইতে উত্তম। এ রাতে আল্লাহ
প্রত্যেকটি বান্দাদেরকে ক্ষমা করেন। তাই এ রাতে যাতে আমরা বেশি বেশি করে
আমল করতে পারি এবং দোয়া করতে পারি সেই ব্যাপারে আলোচনা করব।
শবে কদরের রাত যেহেতু মুসলমানদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই এই দিনে বেশি বেশি
দোয়া দরুদ পড়তে হবে। অনেকেই জানেন না যে শবে কদরের রাতে কোন কোন দোয়া গুলো
পড়া যেতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেই শবে কদরে কোন দোয়া গুলো পড়া যায়। আয়েশা
রা যদি আল্লাহু আনহা একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করেছেন
আমি যদি কোনদিন শবে কদরের রাত পেয়ে যাই তাহলে কোন দোয়া পড়বো? তখন রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম জবাবে নিচে দেওয়া দোয়ার কথা বলেছিলেন।
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা
ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফুয়ান্নি।
অর্থঃ হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করতে ভালবাসেন, অতএব আমাকে ক্ষমা
করে দেন।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের দোয়া , মোনাজাত রয়েছে সেগুলোকে পড়তে পারেন। তবে
এটি যে নির্দিষ্ট করে পড়তে হবে তা কিন্তু নয়। এটি আপনার ইচ্ছা। আপনি চাইলে
পড়তে পারেন নাও পড়তে পারেন। তবে এই দোয়াটি পড়ার কথা রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে বলেছেন। আর এটিকে অনেক হাদিসেও পাওয়া গেছে।
সূরা আল কদরঃ
বাংলা উচ্চারণঃ ইন্না আনজালনাহু-ফি-লাইলাতিল কাদর। ওয়ামা আদ্রাকা মালায়লাতুল কদর। লাইলাতুল কাদরী খাইরুম মিন আলফি-সাহার। তানাযযালিল মালা ইকাতু ওয়ার রূহ।ফিহা বিইযনি রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমরিন ছালা মুন হিয়া হাত্তা মাত্বলায়িল ফাজর।
লাইলাতুল কদর আমল
- একদিন আয়েশা রাঃ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে প্রশ্ন করলেন আমি যদি কোনদিন কদরের রাত পেয়ে যায় তাহলে সে রাতে কি আমল করব? তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেন, (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়ুন তুহিব্বুল আফুয়ান ফাফু আন্নি) এই আমলটি করতে বলেছেন। তাই আমাদেরও কদরের রাতে আমলকি করতে হবে।
- এ রাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে। আর এই জন্যই আল্লাহ তাআলা এই রাতকে অনেক বিশেষ করে দিয়েছেন। অবশ্যই আমাদের লাইলাতুল কদরের রাতে কোরআন তেলাওয়াত করা প্রয়োজন।
- বিভিন্ন ধরনের জিকির করা। আপনি চাইলে ইস্তেগফারও পড়তে পারেন এবং জিকির করতে পারেন। যে যার ইচ্ছামত এবং যেটা তো বেশি জিকির করতে পারবে তত জিকির করতে হবে।
শবে কদর কেন হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ
লাইলাতুল কদর এর রাতে করণীয়
- কোরআন তেলাওয়াত করা
- জিকির করা
- নফল ইবাদত করা
- আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া
- বেশি বেশি ইস্তেগফার করা
- ছোট ছোট আমল পাঠ করা
- তাহাজ্জতের নামাজ পড়া
শবে কদরের নামাজ কত রাকাতঃ
সুপ্রিয় পাঠক আমরা আগের পর্বগুলোতে আলোচনা করেছি শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে। এবং
আরো আলোচনা করেছি শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য সম্পর্কে। এই পর্বে আমরা আলোচনা
করব শবে কদরের নামাজ কত রাকাত। বিস্তারিত জানতে হলে পুরো পর্ব টি পড়ুন।
শবে কদরের নামাজ যেহেতু নফল নামাজ তাই এই নামাজ যত ইচ্ছা তত পড়া যায়। শবে
কদরের নামাজের কোন সংখ্যা নেই। যে যার ইচ্ছা মত শবে কদরের নামাজ আদায় করে
থাকেন। অনেকে বলেন শবে কদরের রাতে সারা রাত জেগে নামাজ পড়তে হবে। এমনটি
কিন্তু নয় আপনি যত ইচ্ছা তত নামাজ পড়তে পারেন। তবে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন এ
রাতে বেশি বেশি ইবাদত করতে। আপনি নফল নামাজ পড়ার পাশাপাশি বেশি বেশি তাওবা পাঠ
করবেন। আর তাওবা পাঠ করার পাশাপাশি আপনারা কিছু দোয়া রয়েছে সেগুলো কেউ পড়তে
পারেন।
শবে কদরের রাতের ইবাদত
নফল নামাজ আদায় করা
তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা
নফল নামাজ আদায় করা পাশাপাশি তাহাজ্বতের নামাজ ও আদায় করা যায়। তবে এটি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আপনি চাইলে পড়তে পারেন এবং নাও করতে পারেন। তবে তবে আল্লাহ তা'আলা এ রাতে বেশি বেশি ইবাদত করার কথা বলেছেন। তাই অবশ্যই আমাদের এ রাতে বেশি বেশি আল্লাহ তাআলার ইবাদত করা প্রয়োজন। তাই অন্যান্য ইবাদত করার পাশাপাশি আপনি তাহাজ্জুদের নামাজ ও আদায় করতে পারবেন
কোরআন তেলাওয়াত করা
ইস্তেগফার করা
ছোট ছোট আমল করা
- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়ান তুহিব্বুল আফ ওয়া ফাফু আন্নি
- আল্লাহর নাম পাঠ করা
- আস্তাগফিরুল্লাহ পড়া
- বেশি বেশি জিকির করা
লেখকের মন্তব্য।লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম।শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য
প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের পর্বটি আপনি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং জানতে
পেরেছেন লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম আরো জানতে পেরেছেন শবে কদরের ফজিলত ও
তাৎপর্য সম্পর্কে যদি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি কোন ভাবে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই
কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url