আল্লাহ তালা মানুষদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছেন। তার
পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পথ বলে দিয়েছেন। এসব পথ যদি আমরা অবলম্বন করি তাহলে আমরা
জীবনের সফল হতে পারবো। তেমনি আল্লাহ আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর কিছু উপায় বলে
দিয়েছেন।
এই উপায়গুলো যদি আমরা মেনে চলি তাহলে আমরা আমাদের স্মৃতি শক্তি আরও বৃদ্ধি করতে
পারবো। এ বিষয়ে কোরআনে বিভিন্ন ধরনের হাদিস রয়েছে। সে হাদিস অনুযায়ী যদি আমরা
আমল করি তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের জ্ঞান আরো বৃদ্ধি করে দেন। তাই প্রত্যেক
মুসলিমেরই উচিত বেশি বেশি দোয়া পড়া এবং আমল করা। যেন তারা অনেক জ্ঞানী হতে
পারে।
পড়া মনে রাখার উপায়ঃ
পড়া মনে রাখার কিছু বৈজ্ঞানিক উপায়ে রয়েছে। পড়াশোনা মনে রাখার জন্য শুধু
বৈজ্ঞানিক উপায় নয় ইসলামিক উপায়ে রয়েছে। এ বৈজ্ঞানিক এবং ইসলামিক উপায়ে যদি
আমরা পড়াশোনা করতে পারি তাহলে খুব সহজেই পড়াশোনা মনে রাখতে পারব। আমাদের
রেজাল্ট ভালো হবে। আমাদের পড়াশোনা যদি ভালো হয় তাহলে আমাদের ভবিষ্যতও ভালো
হবে।
তাই অবশ্যই আমাদের এই উপায় গুলো ফলো করা প্রয়োজন। তাহলে চলুন জেনে নিয়ে
পড়াশোনা মনে রাখার কিছু বৈজ্ঞানিক উপায় এবং ইসলামিক উপায়।
সকালে সকালে ঘুম থেকে ওঠা। এটি ইসলামে ও দেওয়া আছে এবং বৈজ্ঞানিক
ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে যেগুলো ইসলামিক
উপায়ের সাথে বৈজ্ঞানিক উপায় মিলে যায়।
একটানা না পড়ে বিরতি নিয়ে পড়া। এতে করে আপনার পড়া মনে থাকবে এবং পড়ায়
মনোযোগ বসবেন।
পড়াশোনা শেষে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত। আবার সঠিক সময়ে ঘুম থেকে
উঠতে হবে।
পড়াশোনার সময় সবগুলো ইন্দ্রিয় ব্যবহার করা। অর্থাৎ পাঁচটি ইন্দ্রিয়
ব্যবহার করে পড়াশোনা করা। যেমনঃ পড়ার পাশাপাশি লেখা, শোনা। যেন আপনার হাত,
মুখ, কান, ব্রেন, চোখ একসাথে কাজ করে। এতে করে আপনার পড়া মনে থাকবে এবং
পড়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে।
পড়া মনে রাখার ঔষধ
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এর মনোবিজ্ঞানী জেসিকা পেইন এবং তার কয়েকজন সহকর্মী মিলে একটি গবেষণা করেছেন । সেখান থেকে জানা গিয়েছে যে , পড়াশোনা করা শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ঘুমিয়ে নিলে তা আপনাদের প্রত্যেক শিক্ষার্থী গুলোর জন্য অনেক বেশি কার্যকরী ভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে এবং সেটিই মূলত আপনার পড়া মনে রাখার জন্য বিশেষ ঔষধ হিসেবে সহায়তা প্রদান করে থাকে ।
তাই লম্বা সময় ধরে পড়াশোনা করার পরে কিছু ক্ষণ সময় ঘুমিয়ে নেওয়া আপনার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে । যারা সাধারণত সারারাত জেগে সকাল বেলা পরীক্ষা দেওয়া এর জন্য অভ্যস্ত হয়ে থাকে অনেক সময়ে দেখা যায় , তাদেরই এই পরীক্ষা খারাপ হয়ে থাকে ৷ এ গবেষণা টি থেকে নিশ্চয়ই এর কারণ টি বোঝা সহজ হয়ে থাকে ৷ সে জন্যই আমাদের প্রত্যেক কে অবশ্যই পড়া করার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমিয়ে নিতে হবে ।
পড়া মনে রাখার ইসলামিক উপায়
ইসমে আজম হলো মূলত খুবই বেশি পরিমাণ শক্তি শালী একটি দোয়া হিসেবে পরিচিত , বিভিন্ন সব আলেম গণ গুলো বিভিন্ন প্রকার ভাবে এটিকেই দোয়া অথবা নাম হিসেবে চিহ্নিত করেছেন , কিন্তু কেউই কিন্তু সুনিদিষ্ট করে কোন কিছু বলতে পারেন নি । পড়া মনে রাখতে এই দোয়া টি বেশি বেশি পরিমাণ পাঠ করতে পারেন ৷ দোয়া টি হলো -
অর্থ হবে হলো যে : ( হে আল্লাহ ) আপনি পবিত্র ! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে আপনি আমাদিগকে যা শিখিয়েছ ( সে গুলো ব্যতীত ) নিশ্চয় আপনিই প্রকৃত জ্ঞান সম্পন্ন , হেকমতওয়ালা ।
পড়া মনে রাখার খাবার
কিছু কিছু খাবার আছে যে খাবার গুলো আমাদের মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা সম্পন্ন অনেক গুন রয়েছে যা বাড়িয়ে তোলে । ছাত্র জীবনের নিম্নোক্ত দেওয়া খাবার গুলো আপনি খাদ্যাভাসে রাখা আপনার ফলাফলে ভালো করতে ভূমিকা রাখতে পারে ।
# . চর্বিযুক্ত মাছ খাওয়া - চর্বিযুক্ত মাছ গুলোর ওমেগা - ৩ মস্তিষ্ক এর জন্যই অত্যান্ত ভাবে উপকারী হয়ে থাকে ।
# . কফি পান করা - কফি পান মূলত আমাদের ব্রেইনের স্ট্রেস গুলো কমাতে ও মনোযোগী করে রাখতে সাহায্য করে থাকে । আমাদের স্বাভাবিক মুডের উপরও এর অনেক ভালো প্রভাব আছে ।
# . আদা খাওয়ার অভ্যাস - আদা তে রয়েছে যা এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ব্রেইন সেল কে এর উন্নতি ও বিষন্ন ভাব দূর করতে সহায়তা করে থাকে । আদা চা বানানোর ক্ষেত্রে ভালো অপশন ।
# . মিষ্টিকুমড়ার বীজ খাওয়া - এতে রয়েছে প্রচুর পরিমান খনিজ উপাদান যা আপনার ব্রেইনের জন্য অত্যন্ত উপকারী হয়ে থাকে ।
# . মধু খাওয়ার অভ্যাস - মধুতে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার যৌগ সরাসরি ভাবে ভালো স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিরর জন্য উপকারী হয়ে থাকে ।
# . ডার্ক চকলেট - কোকোয়া পাউডার ও ডার্ক চকলেট গুলো সাধারণত আপনার ব্রেইনের মনে রাখতে যে ক্ষমতা তা বাড়িয়ে তোলে , ও আপনার ব্রেইনের স্ট্রেস গুলো দূর করে থাকে ।
# . বাদাম - বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই সহ ব্রেইনের জন্য উপকারী বিভিন্ন ধরনের ফ্যাট বিদ্যমান ।
ফান ফ্যাক্ট : একটি গবেষণা করে দেখা গেছে যে , যারা তাদের পরীক্ষার হলে মূলত পানি পান করে থাকে তারা অন্তত ২ % করে বেশি মার্ক পেয়ে থাকে ৷
পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য
বিজ্ঞানীরা সকলে বলছেন যে , যে কোন প্রকার কোনো কিছু ভালো ভাবে শেখার পরে এর ঠিক চার ঘণ্টা পরে যদি আপনি আপনার শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করে থাকেন তাহলে সেটা আপনার বেশ ভালোভাবে মনে রাখা যায় । কোনো প্রকার কিছু মনে রাখার ব্যাপার গুলোতে এই কৌশল গুলোর কথা বলছেন ডাচ বিজ্ঞানীরা । ৭২ জন মানুষ গুলো সকলের স্মৃতি শক্তির ওপর গবেষণা করে তারা এ কথা বলছেন ।
পড়া মনে রাখার দোয়া
রব্বি জিদনি ইলমা । যার অর্থ হলো : ‘হে আমার প্রতিপালক ! আপনি আমার জ্ঞান শক্তি বৃদ্ধি করো ।’ ( ত্বা - হা : ১১৪ )
উচ্চারণ হবে হলো যে : সুবহা নাকা লা ইলমা লানা ইল্লা মা আল্লামতানা , ইন্নাকা আনতাল আ’লিমুল হাকিম ।
যার অর্থ হলো যে : ( হে আল্লাহ ) আপনি পবিত্র ! আমরা কোনো কিছুই জানি না , তবে আপনি আমাদের কে যা শিখিয়েছন ( সে গুলো কে ছাড়া ) নিশ্চয়ই আপনিই প্রকৃত জ্ঞান সম্পন্ন , হেকমত ওয়ালা । ( সুরা বাকারা : ৩২ )
পড়া মনে রাখার দোয়াঃ
আমাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ করার জন্য ইসলামিক দোয়া রয়েছে। এই দোয়াগুলো বলার
পর যদি আমরা কোন ধরনের কাজকর্ম করি তাহলে সেই কাজের সফল হওয়া প্রবণতা অনেক
বেশি থাকে। তাই এসব ইসলামিক দোয়া আমাদের জানা প্রয়োজন। শুধু দোয়া জানলে হবে না
তার পাশাপাশি আমল করতে হবে।
এভাবে যদি কাজ করে তাহলে স্বয়ং আল্লাহ তার পাশে থাকে। আর সে খুব সহজে সে কাজে
সফল হতে পারবে। তেমনি পড়াশোনা কর জন্য কিছু দোয়া রয়েছে। এইসব দোয়াগুলো আমল
করলে, পড়া মনে রাখা যায়। তাহলে চলুন জেনে নেই পড়া মনে রাখার দোয়া।
অর্থঃ হে আল্লাহ তাআলা আপনি পবিত্র, আমরা কোন কিছুই জানিনা তবে আপনি
আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন সেগুলো ব্যতীত নিশ্চয়ই আপনি প্রকৃত জ্ঞান সম্পন্ন
হেকমতওয়ালা।
দোয়াটি হলঃ রাব্বি জিদনি ইলমা
অর্থঃ হে আল্লাহ তাআলা আমাকে জ্ঞান দান করুন।
এই দোয়াটি আমরা প্রায় সকলেই জানি। পড়তে বসার আগে, আউযুবিল্লাহি মিনাশ
শাইতানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলার পর এই দোয়াটি তিনবার পড়তে
হবে। এর পরে পড়া শুরু করতে হবে। এভাবে যদি আপনি পড়তে থাকেন তাহলে আপনার পড়া
খুব সহজে মনে থাকবে।
এছাড়া কুরআন অনুযায়ী বেশ কিছু আমল রয়েছে। সেগুলো নিয়ম মত মেনে চললে
খুব সহজে আপনার পড়া মনে থাকবে এবং পরে মনোযোগ বসবে। শুধু পড়া নয় এ আমল গুলোর
মাধ্যমে আপনারা যে কোন ধরনের কাজে সফল হতে পারবেন। তাই এমন কোন আপনাদের জন্য
খুব গুরুত্বপূর্ণ।
১।নিয়ত করা
কাজ করার আগে নিয়ত করা প্রয়োজন। কোন ভাল কাজের জন্য যদি আমরা নিয়ত করি তাহলে
অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আমাদের পাশে থাকবেন এবং বিভিন্ন কাজে সাহায্য করবেন। তাই
যে কোন কাজ করার আগে অবশ্যই বিশুদ্ধ নিয়ত করতে হয়। নিয়ত করার মাধ্যমে আমরা
আমাদের জীবনের সফলতা অর্জন করতে পারব।
নিয়ত এমন ধরনের হতে হবে যেন, সে নিয়তের ফল আমরা ইসলামের কল্যাণের জন্যই কাজে
লাগাতে পারি। এরকম ভাবে যদি আমার নিয়ত করি তাহলে অবশ্যই আমাদের সেই ইচ্ছা
পূর্ণ হবে। নিয়ত হল এক ধরনের বীজের মত। যখন আমরা কোন চারা গাছের বীজ লাগাই
তখন, সেখান থেকে চারা গাছ উঠে আসে এবং ফল দেয়। তাই সফলতা অর্জন করতে হলে
অবশ্যই আমাদের নিয়ত করতে হবে। সেটি হবে বিশুদ্ধ নিয়ত। আর সেই নিয়ত অনুযায়ী
আমরা যদি কাজ করতে পারি তাহলে, সে কাজে অবশ্যই আমরা সফল হব।
২।নামাজ ও দোয়া করা
প্রতিদিন এসব কাজকর্মের পাশাপাশি আমাদেরকে নিয়মিত নামাজ পড়তে হবে। কারণ
মুসলিমদের প্রধান ইবাদত হলো নামাজ। আর নামাজ কায়দা করাও পাপ। পরকালে এর জন্য
শাস্তি ব্যবস্থা করা রয়েছে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে নামাজ পড়ার মাধ্যমে
আমরা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে পারব এবং আমাদের ব্রেনের কার্যক্ষমতা ও বৃদ্ধি
করতে পারবো।
আমাদের নিয়মিত নামাজ পড়তে হবে এবং নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
আল্লাহর কাছে নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্য দোয়া করতে হবে। এভাবে নিয়মিত
নামাজ এবং দোয়া যদি করেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনার ইচ্ছা পূরণ করে দিবেন।
আপনিও একজন জ্ঞানী মানুষ হতে পারবেন। তাই অবশ্যই আমাদের নিয়মিত নামাজ পড়তে
হবে। নামাজ পড়লে এখানে আল্লাহর কোন সুবিধা নেই বরং আমাদের এই সুবিধা রয়েছে।
তাই নিয়মিত নামাজ পড়তে হবে।
৩।পড়ার বিষয় অন্যকে শেখানো
কোন বিষয়ে ভালোভাবে জ্ঞানলাভ করার একটি ভালো উপায় হলো অন্যকে তা শেখানো। আপনি
সেই বিষয়ে যেটুকু জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন সেইটুকু জ্ঞান অন্য কাউকে শেখান।
তাহলে সেই বিষয়ে আপনি আরো পারদর্শী হয়ে উঠবেন। এটি শুধু ইসলামে নয় বৈজ্ঞানিক
উপায়েও আছে। কোন কিছু করার পাশাপাশি সেই পড়ার বিষয়টিকে অন্য কাউকে শিখালে
সেই বিষয়টি খুব তাড়াতাড়ি আপনার মনে গেঁথে যাবে এবং সেই বিষয় সম্পর্কে আরো
বিস্তারিত বুঝতে পারবেন।
তাই নিজে শেখার পাশাপাশি অন্য কেউ শেখানো প্রয়োজন। এভাবে যদি আপনি প্রতিনিয়ত
আপনার প্রত্যেকটি পড়ার বিষয় অন্য কাউকে শেখাতে থাকেন। তাহলে সে বিষয়ে অনেক
পারদর্শী হয়ে উঠবেন এবং পরীক্ষায় ভালো নাম্বার উত্তীর্ণ করতে পারবেন।
তাই নিজে শেখার পাশাপাশি অন্যকে শেখাতে হবে।
৪।বারবার চেষ্টা করা
সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো বারবার চেষ্টা করা। অর্থাৎ অধ্যবসায়। সফল
হতে হলে আমাদের অধ্যাবসায় অবশ্যই করতে হবে। ভুল হলে কিংবা সে বিষয়ে ব্যর্থ
হলে হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। কারণ সফলতার প্রথম ধাপই হল ব্যর্থতা। ব্যর্থতার
মধ্য দিয়ে আমরা সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে পারবো। তাই ব্যর্থতাকে হার মেনে নিয়ে
বসে থাকা যাবে না।
সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের প্রতিটা বিষয়ে ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের আল্লাহর
গুণগুলো নিজের মধ্যে আনতে হবে। আল্লাহ তাআলা অনেক ধৈর্যশীল তেমনি আমাদেরও
ধৈর্যশীল হতে হবে। তাই আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। একদিন
না একদিন অবশ্যই সফলতা খুঁজে পাবেন। কারন কি আল্লাহর পরিকল্পনা আমাদের থেকেও
অনেক উত্তম।
আপনারা চেষ্টা করে যান অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা একদিন আপনাকে আপনার সফলতার চরে
পৌঁছে দেবে। তাই প্রতিটা বিষয়ে ধৈর্য ধারন রাখতে হবে। কথায় আছে, সবুরে মেওয়া
ফলে। এ কথাটি আসলেই সত্য। তাই জীবনের সফল হতে হলে ধৈর্য ধারণ করে বারবার চেষ্টা
করতে হবে।
পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল
মনে রাখা এবং স্মরণ করা একটি প্রাকৃতিক ক্ষমতা, কিন্তু কিছু গোপন কৌশল রয়েছে যা স্মরণ ক্ষমতা বা মনে রাখার প্রক্রিয়ায় সাহায্য করতে পারে। কিছু গোপন কৌশল হল:
1. *সম্মুখীন হোন:* যখন কারোর সাথে দেখা করেন, তাদের নাম পুনঃপুনঃ বলুন এবং তাদের সাথে সম্পর্কে কিছু কথা বলুন। এটি আপনার মনে রাখার সাহায্য করবে যে আপনি তারা সঙ্গে কোনো বিষয়ে আলাপ করেছেন।
2. *মানচিত্র তৈরি করুন:* একটি স্মৃতি মানচিত্র তৈরি করুন যেখানে আপনি মনে রাখতে চান আপনি কোথায়, কখন, এবং কে সাথে ছিলেন।
3. *সংলগ্ন মন্তব্য স্মরণ করুন:* একটি সম্মুখীন সময়ে যখন একজন ব্যক্তি আপনার সাথে কিছু বলেন, তাদের কথা শুনুন এবং তা মনে রাখুন।
4. *আলাপে অংশগ্রহণ করুন:* আপনি যখন অনুমতি পান, তখন আলাপে অংশগ্রহণ করুন। এটি আপনার মনে রাখার জন্য সাহায্য করবে যে আপনি সম্প্রচারিত অভিজ্ঞতা আবার বার্তা করা হয়েছিল।
5. *পুনরায় দেখুন:* একটি স্থিতিশীল অথবা দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর মনে রাখা জরুরি হলে পুনরায় দেখুন। এটি আপনাকে স্মরণ করতে সাহায্য করতে পারে যে আপনি তথ্য বা অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রাপ্ত হন।
এই কৌশলগুলি প্রয়োগ করে আপনি আপনার মনে রাখতে সাহায্য পেতে পারেন। তবে, পরিকল্পিত এবং প্রতিষ্ঠিত স্মৃতিপটে অধিকাংশ মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হয়। সে সময়ে স্মৃতির পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন হতে পারে।
পড়া মনে রাখার দোয়া কি
পড়া মনে রাখার জন্য দোয়া করা একটি উপযুক্ত অনুরোধ হতে পারে। নিম্নলিখিত দোয়াটি মনে রাখার জন্য আপনি পড়া ও সম্প্রচারিত জিনিসগুলির ক্ষেত্রে উপযুক্ত হতে পারেন:
"আমি আল্লাহর কাছে মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি চাই, তারা আমাকে সঠিকভাবে মনে রাখতে সাহায্য করুন।"
এই দোয়া আপনার মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তির প্রাপ্তির জন্য আল্লাহর দিকে একটি অনুরোধ করে। এটি আপনাকে কোনো নিখোঁজগুলির সঠিক স্মৃতিতে সহায়তা করতে সাহায্য করতে পারে। আবার, মনে রাখা সম্পর্কিত যে কোনো অনুরোধ বা দোয়া আপনি করতে চান, তা আপনার নিজের বিশেষ পছন্দ এবং আধুনিক পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে।
তাড়াতাড়ি পড়া মুখস্ত করার দোয়া
"আমি আল্লাহর কাছে শীঘ্র শীঘ্র মুখস্ত হতে অনুরোধ করছি, যেন আমি সঠিকভাবে পড়া শেষ করতে পারি এবং যেন আমি সঠিক ধারণা করতে পারি।"
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক তারপর করছি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি খুবই দ্রুতভাবে পড়া মনে রাখতে পারবেন। তাই আজকের আর্টিকেল থেকে যদি আপনি কোন ভাবে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url