মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়

আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ত্বকের যত্ন করি। তবে ত্বকের মতো কখনো আমার ঠোঁটের যত্ন করি না। কারণ কি আমরা ঠোঁটের গুরুত্বই করি না। কিন্তু ত্বকের পাশাপাশি আমাদের ঠোঁটের ও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কারণ ঠোঁটের যত্ন না নিলে ঠোঁটে কালো দাগের সমস্যা হতে পারে।

মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়

যেটি আপনার ত্বকের মানানসই নষ্ট করে। তাই আমাদের ত্বকের পাশাপাশি অবশ্যই ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। এখন প্রশ্ন হল আমরা কিভাবে আমাদের ঠোঁটের যত্ন নেব এবং কিভাবে ঠোঁটের কালো দাগ গুলো দূর করবো? এটি জানতে হলে পুরো পোস্টটি পড়তে হবে।

মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়ঃ

অনেকেই মুখ ফর্সা থাকার সত্ত্বেও ঠোটের কালো দাগের জন্য চেহারাটা অন্যরকম হয়ে থাকে। এই দাগ নিয়ে অনেকে অনেক সমস্যায় ভুগছেন। কারণ শুধুমাত্র এই ঠোঁটের কালো দাগ আমাদের পুরো মুখের মানানসইটা নষ্ট করে দেয়। বিভিন্ন কারণে আমাদের ঠোঁটের এই কালো দাগ হতে পারেঃ যেমন সূর্যেরা বেগুনি রশ্মির জন্য অথবা বংশগত সমস্যার জন্য। এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেসব কারণে ঠোটের এই কালো দাগের সমস্যা হয়ে থাকে। 

ঠোটের কালো দাগ দূর করার বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বের হয়েছে বাজারে। কিন্তু এই ক্রিমগুলো কি ঠিকমতো কাজ করবে কিনা এই নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে। তাই সকলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে ঢোলের কালো দাগ দূর করা যায় এই উপায়টি খোজেন। কারণ ঘরোয়া উপায়ে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় সেগুলো মূলত প্রাকৃতিক উপাদান হয়। 

আর প্রাকৃতিক উপাদানের কোন ধরনের ক্ষতিকরক দিক থাকে না বরং এগুলো ব্যবহার করলে আমাদের ত্বক এবং ঠোঁটের জন্য আরো উপকারী। তাহলে চলুন জেনে নেই ঠোঁটের কালো দাগ কিভাবে দূর করা যায়।

মধু এবং চিনি

মধু তরল একটি পদার্থ। এটি যদি আমরা আমাদের ত্বকের ব্যবহার করে তাহলে এটি আমাদের ত্বকে কোমল রাখতে সাহায্য করে। আর আপনারা হয়তো ত্বকের ময়লা দূর করতে চিনির ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ স্ক্রাবিংয়ের জন্য চিনির ব্যবহার করেছেন। তেমনি আপনারা যদি ত্বকের বদলে এটিকে ঠোঁটে এপ্লাই করেন তাহলে ভোটের কালো দাগ দূর করতেও কিন্তু সাহায্য করবে। মধু ব্যবহারের ফলে, আপনার ঠোঁটকে আরো কোমল বানাতে সাহায্য করবে। 

আর চিনি দিয়ে স্ক্রাবিং করার মাধ্যমে আপনার ঠোঁটের কালো দাগ গুলো দূর হয়ে যাবে। এখন এই দুটো উপাদানকে যদি একসাথে মিস করা হয় তাহলে একই সাথে আমাদের ঠোঁটকে কোমল করবে এবং তাদের কালো দাগও দূর করবে। তাই আপনারা চাইলে এই উপাদান দুটিকে একসাথে মিস করা ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণটি তৈরি করার জন্য মধু এবং চিনি ভালো করে মিক্স করে নিতে হবে এরপর হাতের সাহায্যে ঠোঁটে লাগিয়ে হালকাভাবে স্ক্রাবিং করতে হবে। পাঁচ থেকে দশ মিনিট স্ক্রাবিং করার পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন দুই সপ্তাহ পর্যন্ত যদি করতে থাকেন তাহলে এর একটি ভালো রেজাল্ট আপনারা পেয়ে যাবেন।

লেবু এবং চিনি

আপনার হয়ত অনেকে জানেন যে লেবু আমাদের তাঁকে কালো দাগ দূর করতে অনেক সাহায্য করে। আর চিংড়ির মাধ্যমে আমাদের ত্বকের ময়লাগুলো খুব সহজেই বের করা যায়। তাহলে আপনাদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে দুটো উপাদানকে ব্যবহার করতে পারেন। 

এর জন্য একটি বাটিতে এক চামচ পরিমাণ চিনি নিয়ে এক চামচ পরিমাণ লেবুর রস ভালো করে মিক্স করে নিতে হবে। এরপর হাত দিয়ে এটিকে ভালো করে স্ক্রাবিং করতে থাকুন। এরপর যখন এটি সুখে যাবে তখন ব্রাশ দিয়ে ভালো করে তুলে ফেলুন। এতে আপনার ঠোট আগের থেকে আরো পরিষ্কার এবং গোলাপি হয়ে উঠবে।

নারিকেল তেল, চিনি, লেবু এবং মধু

এর চারটি উপাদান একসাথে মিক্স করে ঠোঁটে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই চারটি উপাদান যদি একসাথে মিক্স করে ব্যবহার করা যায় তাহলে, ঠোঁটের কালো দাগ খুব সহজে দূর হয়ে যাবে। তাই আপনারা চাইলে এই চারটা উপাদান একসাথে মিস করেও ব্যবহার করতে পারে। এভাবে ব্যবহার করার ফলে আপনার কালো দাগটা দীর্ঘদিনের জন্য দূর হয়ে যাবে। 

আপনি যদি এভাবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ঠোঁটের যত্ন নিতে থাকেন তাহলে ঠোঁটের কালো দাগের সমস্যা আর কখনো হবে না। আমাদের ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটেরও যত নেয়া প্রয়োজন কিন্তু আমরা ঠোঁটকে অবহেলা করি। কিন্তু ত্বকের পাশাপাশি ছোট আমাদের চেহারার একটি মানানসই। তাই অবশ্যই আমাদের ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটের ও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

ঘরে বসে কিভাবে ঠোঁট গোলাপি করা যায়ঃ

এতক্ষণ আমার জানালাম ঠোঁটের কালো দাগ কিভাবে দূর করা যায়। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি ঠোঁটকে গোলাপিও ও করে রাখতে হবে। কারণ কি আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা লিপস্টিক পড়তে পছন্দ করেন না। ন্যাচারালি ঠোঁট গোলাপি পছন্দ করেন। কারণ লিপস্টিক আমাদের ঠোঁটের কালো দাগের সমস্যার অন্যতম একটি কারণ। 

লিস্ট থেকে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে যেগুলো আমাদের ক্ষতি করে থাকে। অনেকে লিপস্টিক ব্যবহার করতে চান না। তাই আপনার ঠোঁটের ন্যাচারাল গোলাপ আনতে চায় বেশ কিছু টিপস রয়েছে সেগুলো কে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেই সে টিপস গুলো।

 টুথপেস্ট

আপনারা ঠোটকে গোলাপি করতে হলে টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। কারণ টুথপেস্ট একটি শক্তিশালী উপাদান যেটি আমাদের ত্বকের ময়লা দূর করতে অনেক সাহায্য করে। কিন্তু এটি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে পারে। তাই অনেকে একটু টেস্ট ব্যবহার করেন না তবে এদিকে ঠোটে ব্যবহার করলে কোন ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। 

তাই আপনার কালো দাগ দূর করার জন্য টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এটিকে ঠোঁটে ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে, দুই থেকে তিন মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর একটি ব্রাশের সাহায্যে ভালো করে ম্যাসাজ করুন আরো এক মিনিট ধরে। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন অলরেডি আপনার ঠোটে একটি গোলাপী ভাব চলে এসেছে। 

আপনারা যদি খুব কম সময়ে গোলাপি করতে চান তাহলে এই উপায়টি ব্যবহার করতে পারেন। কোথাও যাওয়ার আগে এই টিপসটি ফলো করে খুব সহজেই ঠোঁটকি গোলাপি করে নিতে পারবেন। আর আপনি যদি এটিকে নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ঠোঁট একদম দীর্ঘ সময়ের জন্য গোলাপি হয়ে যাবে।

বিটরুট

আপনারা হয়তো অনেকে এই ফলকে চেনেন। এটি ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁট কেউ ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে এটি ঠোঁটকে গোলাপি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনারা যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য ভোটকে গোলাপি করতে চান তাহলে এই ফলের ব্যবহার করতে পারেন। 

এটি ঠোটে ব্যবহার করার জন্য এর সাথে আরো কিছু উপাদান মিস করে ব্যবহার করতে পারেন যেমনঃ এ ফলের রসের সাথে এক চামচ ঘি এবং এক চামচ এলোভেরা জেল মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখলে আপনার আগের থেকে অনেক বেশি গোলাপ হয়ে যাবে। এক সপ্তাহ পর্যন্ত এটি কিভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এর একটি ভালো রেজাল্ট দেখতে পেয়ে যাবেন। আর এই উপায়টি আপনার ঠোঁটকে দীর্ঘসময়ের জন্য গোলাপি রাখতে সাহায্য করবে।

ঠোঁট ভালো রাখার উপায়ঃ

এতক্ষণ আমার জানলাম কিভাবে আমাদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা যায় এবং কিভাবে আমাদের ঠোঁটকে আমরা গোলাপি রাখতে পারব। আমরা আমাদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার পর ঠোঁটকে গোলাপি করলাম ঠিক আছে তবে এটুকু করে বসে থাকলে হবে না। আমরা যেমন প্রতিনিয়ত আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে মনে প্রতিনিয়ত আমাদের ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। প্রশ্নটা হল কিভাবে আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ঠোঁটের যত্ন নিতে পারে অর্থাৎ আমাদের ঠোঁটকে ভালো রাখতে পারি। 

বরফ ব্যবহার

ঠোঁটের যত্ন নিতে আপনারা বরফ ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন ঠোঁটে বরফ ঘষার ফলে আপনাদের ঠোঁট দীর্ঘ সময়ের জন্য গোলাপি থাকবে এবং ঠোঁট সুস্থ থাকবে। আমাদের ঠোঁটের ওপর যে কাল যেভাবে সমস্যা হয়েছে সেটা খুব সহজে দূরে যাবে। তাই আপনারা প্রতিদিন ঠোঁটের যত্ন নিতে বরফ ব্যবহার করতে পারেন।

লিপ বাম ব্যবহার

ঠোঁটকে ভালো রাখতে এবং কোমল রাখতে অবশ্যই আমাদের নিয়মিত লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। নইলে ঠোঁট ফাটার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই অবশ্যই ঠোটে একটি ভালো লিপ বাম্ব ব্যবহার করা প্রয়োজন। আপনারা আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন।

ঠোঁটের দুই পাশে কালো হয়ে যায় কেন?

ঠোঁটের দুই পাশে কালো হওয়ার পিছনে বেশিরভাগ সময় কারণ হল পুরোপুরি সাধারণ কারণ যে মানুষের ঠোঁটের পাশে ব্যাংক হয়। এই এলাকায় মাটির দাগ অথবা ধূসর রঙ থাকলে এটি ঠোঁটে চিপকে যেতে পারে এবং কালো মশা বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে এর রঙ কালো হতে পারে। অন্য কিছু সাধারণ কারণ হলে ব্যক্তিগত হাইজিন অথবা ধূসর রঙের খাবারের অসম্মিলনের ফলে পানির অবশিষ্ট মাথায় চিপকে যাওয়া এবং তারপর কালো হতে পারে।

ঠোঁটে দাগ দিলে কি ফুড কালার ব্যবহার করা যায়?

হ্যাঁ, যদি ঠোঁটে দাগ দেখা যায়, তবে কালার ব্যবহার করা যেতে পারে যেন দাগ অদৃশ্য হয়ে যায়। এটি সাধারণত গোপন দাগ বা চিকিৎসার প্রকার যেমন স্কিন রিসার্চ ক্রিম বা আস্তি প্রোডাক্টের ব্যবহারের মাধ্যমে করা হতে পারে। এছাড়াও, কিছু লোক ঠোঁটে দাগ দেখতে খাবারের রং বা ডায়েটারি কারণে অপ্রকাশিত দাগ দিয়ে এই সমস্যা লুকিয়ে রাখতে পারে।

মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম

কালো দাগ দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট বিদ্যমান থাকে, এবং এগুলোর মধ্যে কিছু ক্রিম বা গেল স্কিন প্রোডাক্ট আছে যা মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে সহায়ক হতে পারে। কিছু প্রমুখ উল্লেখযোগ্য উপায় হল:

1. হাইড্রোকোর্টিসোন ক্রিম: এটি অত্যন্ত কালো দাগ দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
2. অ্যালোভেরা গেল: অ্যালোভেরা গেল প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
3. বিটামিন সি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট: এই প্রোডাক্টগুলি সাধারণত ত্বকের জন্য উজ্জ্বলতা এবং একইভাবে অসম্মিলনের দাগ দূর করতে সহায়ক হতে পারে।

এই ক্রিম বা জেল ব্যবহারের আগে সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, সহজলাভ্য প্রোডাক্টগুলি ব্যবহার করা হলেও।

মেয়েদের ঠোঁট গোলাপি করার উপায়

মেয়েদের ঠোঁট গোলাপি করার উপায় অনেক রয়েছে। যদি মেয়েদের ঠোঁট গোলাপি করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই পর্বটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

1. *নির্মিতির দ্বারা উপায়*: রুমাল বা শাঁখার মাধ্যমে মুখ দহন করার উপায়ে ঠোঁটের রঙ গোলাপি করা যেতে পারে।

2. *লিপস্টিক বা লিপ টিন্ট*: গোলাপি বা পিংক রঙের লিপস্টিক বা লিপ টিন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।

3. *বীজমুখী ফলের রস*: বীজমুখী ফলের রস ঠোঁটে লাগালে তা গোলাপি বা লাল রঙে পরিণত হতে পারে।

4. *চেরি ফলের রস*: চেরি ফলের রস ঠোঁটে লাগালে সাধারণত গোলাপি বা লাল রঙে পরিণত হয়।

5. *স্টেনিক্স বা হারির উপান্বিত পাদকা বা পাড়া*: এই পদক বা পাড়া ব্যবহার করে স্টেনিক্স বা হারির উপান্বিত হয়ে যেতে পারে।

যেকোনো উপায়ে ঠোঁটের রঙ গোলাপি করার আগে পরীক্ষা করা যেতে পারে, কারণ প্রতিটি ব্যক্তির ত্বকের রসায়ন প্রকৃতি উপর ভিত্তি করে। সে কারণে বেশিরভাগ উপায় এইচটি স্বাভাবিক উপায়ে সংজ্ঞায়িত হলেও, তা প্রতিটি ব্যক্তির জন্য কার্যকর নয় হতে পারে।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url