অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় - অগ্রণী ব্যাংক পার্সোনাল লোন পদ্ধতি
বিকাশ একাউন্টঃ
আপনার হয়তো অনেকের ফোনে বিকাশ একাউন্ট দেখে থাকবেন । সময়ের সাথে সাথে যেমন মানুষেরা বদলাচ্ছে তেমনি, ব্যাংকও তার নিয়ম শৃঙ্খলা গুলো বদলাচ্ছে। তেমনি বিকাশ একাউন্ট ও তার শৃঙ্খলা গুলো বদলাচ্ছে। আগে ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলে আনতে হতো।
এখন বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা পাওয়ার সুযোগ করা হয়েছে। আর এই সুযোগের ফলে বিকাশ একাউন্টে অনেক জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে। এছাড়াও বিকাশ একাউন্ট এর লোন নেওয়ার কিছু সুবিধা রয়েছে। নিচে সেই সুবিধাগুলো দেওয়া হলোঃ
- কোন কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হয় না।
- লোন অ্যাপ্লাই করার পর সঙ্গে সঙ্গে লোন পাওয়া যাবে।
- আর লোনের লোনের মেয়াদ হবে তিন মাসের।
- এমনকি আপনাকে যেয়ে লোন পরিশোধ করতে হয় না।
- আপনার ব্যালেন্স একাউন্ট থেকে এমনিতেই পরিশোধ হয়ে যাবে। এগুলো ছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে গ্রাহকদের জন্য।
এটা হয়তো অনেকে জানে না যে বিকাশ একাউন্টে সরাসরি বিকাশ থেকে টাকা আসে না বরং সিটি ব্যাংক থেকে টাকা আসে। বিকাশ অ্যাপ দিয়ে সিটি ব্যাংক থেকে ৫০০ থেকে২০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া যায়। বিকাশ একাউন্টে সে ব্যক্তির লোনের টাকা জমা হবে এবং সেখান থেকেই সেই টাকা নিতে পারবেই। আর একজন ব্যক্তি একবার একটি লোন নিতে পারবে।
আর লোন নেওয়ার পর কিস্তির পরিমাণ এবং পরিষদের তারিখ দেওয়া হবে। আর নির্দিষ্ট
দিনে যদি লোন পরিশোধ করা যায় তাহলে ইন্টারেস্ট এর খরচ আরো কমে আসবে। আর
নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে যদি সে পরিশোধ না করতে পারে তাকে জরিপানা স্বরূপ আরো
বেশি টাকা দিতে হতে পারে।
ব্যাংক এশিয়া একাউন্টঃ
আমাদের বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাংক হলঃ ব্যাংক এশিয়া। এটিও বিকাশ একাউন্ট এর মত অনেক আধুনিক হয়ে গেছে। খুব কম সময়ের মধ্যেই ব্যাংক এশিয়া অনেকটা উন্নতি করে ফেলেছে। এসে বিকাশের মতো একটি জনপ্রিয় অ্যাকাউন্ট হিসেবে পরিচিত।
এ ব্যাংকেরও একটি একাউন্ট রয়েছে যেখান থেকে অনলাইন লোন নেওয়া যায়। এ
ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে গ্রাহকের ফাইনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট ও মোটা ডাটা
পরজালোচনা করা হয়। এখানে ক্রেডিট স্কোরিং এর ওপরে লোনের পরিমাণটা নির্ভর
করবে। আপনি এটাকে মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজে করতে পারবেন। আর এরও
কিছু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নিয়ে সুযোগ-সুবিধা গুলো।
- ৫০০ টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন পাওয়া যায়।
- এখানে চাইলে ছয় মাস মেয়াদি লোনের আবেদনও করা যাবে।
-
আর যে ব্যক্তি লোন নেবে সেই ব্যক্তি ২৩ থেকে ৬৫ বছরের হতে হবে।
- আর ওই ব্যক্তি ইনকাম কমপক্ষে মাসে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত হতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক একাউন্টঃ
বাংলাদেশ ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখানে বাহিরের দেশের মুদ্রাও সংরক্ষিত করা থাকে। অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় এই ব্যাংকের সুদের হার অনেকটাই কম। আর বাংলাদেশ ব্যাংক এখন ডিজিটাল রিনো প্রদান করছে। আগে না করা হলেও বর্তমানের সাথে তাল মিলে বাংলাদেশ ব্যাংকও এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটাল ঋণ ব্যবস্থা হল ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০০
টাকা পর্যন্ত। ব্যাংক এশিয়ার মত এগুলোর লোন পরিষদের মেয়াদ ছয় মাস পর্যন্ত
থাকে। আর এই ছয় মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ লোন শোধ করে দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক
থেকে লোন নিতে হলে ইন্টারনেট ব্যাংকিং করতে হবে। অন্যান্য ব্যাংকের একাউন্ট থেকে
যেভাবে লোন নেয়া হয় এই ব্যাংকের একাউন্ট থেকে ঠিক সেভাবেই লোন নেওয়া হয়।
- যেকোনো পর্যায়ের জন্য ঋণ পাওয়া যাবে।
- এই ব্যাংকের লোনের সুদের পরিমাণটা অনেক কম।
- ব্যাংকের লোন সময় মতো পরিশোধ করলে, পরবর্তীতে আরো ভালো মানের লোন দেওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
ই-রিন অ্যাপঃ
কোন কাগজপত্র ছাড়া এরিন অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করে, ঋণ পাচ্ছেন সকলে। আবেদনের পর যাচাই-বাছাই শেষে ১৫ মিনিটের মধ্যে লোন পাওয়া যাচ্ছে। এখানে ১০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। নয় ভাগ সুদে এই ঋণ পরিশোধ করা হয়। আর সকলে এ পদ্ধতিতে ঋণ নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
আর এই লোনটা ছয় মাসের মধ্যে শোধ করতে হবে। আর এ লোন নেওয়ার সংখ্যাটা ধীরে ধীরে বাড়ছে। আর এখানে খুব কম বয়স পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। এখানে লোন নিতে হলে ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন । যাদের ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে তারা খুব সহজে লোন নিতে পারবে। আর যেখানে ২৩ কিংবা ২৪ বছরের নিচে লোন দেওয়া হয় না।
আর এই অ্যাপের মাধ্যমে 18 বয়সের উপরে মানুষেরাও নিতে পারবেন।
- সব ধরনের কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না।
- কম সময়ের মধ্যে খুব সহজে লোন পাওয়া যায়।
- শুধুমাত্র ভোটার আইডি কার্ডের কিছু তথ্য দিয়ে। আবেদন করার 15 মিনিট পরে যাচাই-বাছাই করে আপনাকে লোন দেয়া হবে।
- সুদের হার ৯%
- ৬ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত লোন পরিষদের সময় থাকে
- ২৩ কিংবা২৪ বছর উপরে হতে হয় না, ভোটার আইডি কার্ড থাকলেই লোন পাওয়া যাবে।
- দশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত লন দেওয়া হয়।
- এখানেও বিভিন্ন ধরনের লোন পাওয়া যাবে।
- আপনার ব্যালেন্স থেকে নির্দিষ্ট দিনে টাকা নেয়া হবে
আর এইসব কারণে মূলত এটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। খুব কম সময়ের মধ্যে লাভ করেছে
এই ই-রিন অ্যাপটি। বর্তমানে অনেক মানুষই এই অ্যাপটি থেকে লোন নিচ্ছেন। আর এ
লোন নিতে কোন ধরনের অসুবিধা হবে না এবং খুব কম সময়ের মধ্যে পূরণ পাওয়া
যাচ্ছে।
নগদ একাউন্টঃ
খুব কম সময়ের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করার অন্যতম একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হলো এই নগদ। এটি বর্তমানে দেশের অন্যতম একটি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম। থেকে যেকোনো কাজের জন্য লোন নেওয়া যেতে পারে।
এ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার কিছু শর্তাবলী রয়েছে এগুলোকে ঠিকঠাক মেনে চলতে হবে।
তাহলে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। আর এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভালো। এ কারণে
অনেকেই অ্যাকাউন্টটা ব্যবহার করে থাকেন। পরিশোধ করতে হবে।
- নগদ একাউন্টে নিরাপদ ব্যবস্থা অন্যান্য ব্যাংক একাউন্ট থেকে অনেক বেশি রয়েছে।
- আর এখানে খুব কম সুদেই লোন পরিশোধ করা হয়। প্রথমবারের মতো যদি লোন না হয় তাহলে এর পরিমাণটা আরো কমে যায়। আর আপনি যদি ঠিক সময়মতো লন পরিশোধ করে থাকেন তাহলেও সুদের পরিমাণটা কম হবে।
- ২ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দেয়া হয় এই নগদ একাউন্টে।
- আপনার যদি সিম হারিয়ে যায় তাহলে নগদ হেল্পলাইন(১৬১৬৭) নাম্বারে ফোন করে আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
অগ্রণী ব্যাংক পার্সোনাল লোন পদ্ধতি
প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন অগ্রণী ব্যাংকের লোন পদ্ধতি সম্পর্কে. যদি না জেনে
থাকেন তাহলে আজকের এই পরবর্তী আপনার জন্য. কেননা আজকে আমরা আলোচনা
করব অগ্রণী ব্যাংকের লোন পদ্ধতি সম্পর্কে. তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই
অগ্রণী ব্যাংকের লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা.
অগ্রণী ব্যাংকের লোনের বৈশিষ্ট্য
- ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা
- যে কোন বেতনভুক্ত ব্যক্তি অগ্রণী ব্যাংকের পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন
- লোনের সুদের হার ৯%
- লোন পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ 8 বছর মেয়াদ পাবেন
- আবেদনকারীর বয়স সীমা ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে হতে হবে
- ই এম আই পদ্ধতিতে মাসিক কিস্তি পরিশোধ করতে হবে
- কোন জামানতের প্রয়োজন নেই
- যেকোনো পরিমাণ ঋণে প্রসেসিং ফি ৫০০ টাকা
- জিরো পার্সেন্ট আর্লি সেটেলমেন্ট ফ্রি
- চাকরির মেয়াদ কমপক্ষে এক বছর হতে হবে
অগ্রণী ব্যাংকের পার্সোনাল লোনে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে
বেতনভুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যে সমস্ত কাগজপত্র লাগবে নিচে সেগুলোর তালিকা দেয়া হলো।
- সেলারি সার্টিফিকেট
- অফিস আইডি কার্ডের ফটোকপি
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- e tin সার্টিফিকেট।
- দুই কপি ল্যাব প্রিন্ট ছবি
- দুইজন গ্যারান্টি দিতে হবে
- গ্যারান্টি ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং এনআইডির ফটোকপি লাগবে
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url