ব্রকলির উপকারিতা

ভূমিকা

বিদেশি উৎপাদন হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশও উৎপাদন হচ্ছে। যার ফলে, তাই আমরাও এর পুষ্টিগুণ গুলো পাচ্ছি। বর্তমানে ব্রকলি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষেরা এখন এই ব্রকলিকে বিভিন্ন উপায়ে রান্না করে খাচ্ছে। রান্নার উপায় যেমন হোক না কেন, মূল কথা হলো এর পুষ্টিগুন আমরা পাচ্ছি। 

এ ব্রক লিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আইরন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আন্টি এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান সঙ্গে ক্যালরির পরিমাণও অনেক কম। ফলে আমরা যদি এটিকে খায় তাহলে এর উপকারিতা গুলো পাব। 

যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে সুস্থ করতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেই ব্রকলি খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে। আমাদের এগুলোর উপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে আমরা বুঝতে পারবো।

ব্রকলির উপকারিতাঃ

ব্রকলিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। যেগুলো আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, তাই অনেক পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি খাবার। তাই অবশ্যই নিয়মিতভাবে আমাদের প্রয়োজন।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের পৃথিবীতে এসে পৌঁছাচ্ছে। এরপরে আমাদের পৃথিবীর মানুষের রোগের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। তেমনে ক্যান্সার রোগের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে  যাচ্ছে। ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি অনেক আগে হলো বর্তমানে এ রোগের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। 

ক্যান্সার এমন একটি রোগ যার কোন অ্যানসার নেই , এরকম অনেক কথা মানুষের কাছে শোনা যায়। আপনি যদি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে চান অথবা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে চান তাহলে, খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

ব্রকলিতে থাকা উপাদানগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। ব্রকলি শরীরে স্ট্রোজেনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ক্যান্সার কোষ সহজে সৃষ্টি হতে পারে না। তাই ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাটা অনেক কমে যায়। ব্রকলি জরায়ু, স্তন, মুখ ইত্যাদি ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ব্রকলিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। ব্রকলিতে শুধু একটি অ্যান্টঅক্সিডেন্ট উপাদান নয় বরং আরো বিভিন্ন ধরনের অ্যান্ডঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। আর এই এন্ট্মেন্ট উপাদান গুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বর্তমান সময়ে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি হচ্ছে। আগের তুলনায় অনেক বেশি রোগের সমস্যার উপক্রম বেড়ে গেছে।

 তাই এই সময়ে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার খাবার গুলো অনেক বেশি পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন। যেন এই ধরনের রোগ গুলো আমরা খুব সহজে প্রতিরোধ করতে পারি। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলে অবশ্যই ব্রকলি খেতে হবে। ভাবে খাবার ফলে, আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে দিবে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে

মানুষের শরীর খারাপ ভালো মিলে তৈরি। আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়াও দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি ভালো এবং একটি খারাপ। আবার আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল ও দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি ভালো এবং একটি খারাপ। কিন্তু যখন আমাদের শরীরে খারাপ কলেজের মাত্রা বৃদ্ধি পায় তখন, হার্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। 

কারণ এই কোলেস্টেরল গুলো আমাদের রক্ত সঞ্চালনা বাধা দেয়। আর আপনারা হয়তো সকলে জানেন যে হৃদপিণ্ড থেকে রক্ত সঞ্চালন হয়। ফলে যখন রক্ত সঞ্চালনে বাধা দেওয়া হয়, তখন সে প্রভাবটির হৃদপিন্ডের উপর যে পড়ে। তাই রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার জন্য হাটের যে কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে।

ব্রকলি আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্টকের মতো যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো থেকে বেঁচে থাকা যায়। তাই হার্টের যেকোনো ধরনের সমস্যা এড়াতে হলে, ব্রকলি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তাহলে রক্তের ফরেস্টেরলের মাত্রা কমে যাবে এবং হার্ট সুস্থ থাকবে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার মানব দেহের পাকস্থলীর যে কোন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটা শুধু পাকস্থলী সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে তা কিন্তু নয় বরং এগুলো আমাদের চর্বির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। 

এছাড়াও অল্প খাওয়ার ফলে খুব সহজে পেট ভরে যায়। তাই চাঁদের বেশি খাওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়। আর ওজন খুব সহজে কমানো যায়। ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। আপনারা যদি ওজনের সমস্যায় ভুগছেন তাহলে, খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এটি আপনাদের ওজনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

মস্তিষ্কের জন্য উপকারী

বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রকলিতে এক বিশেষ প্রকারের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যেগুলো আমাদের মস্তিষ্কের জন্য অনেক উপকারে। তাই আমরা যদি নিয়মিতভাবে এ ব্লকলিস্ট হওয়ার অভ্যাস করি তাহলে, আমাদের মস্তিষ্ক খুব দ্রুতই কাজ করবে। আমাদের বুদ্ধি শক্তিও পাবে। তাই বিশেষ করে এটি বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী। বাচ্চাদের অভ্যাস করাতে পারেন তাহলে, পরবর্তীতে তাদের ব্রেন অনেক ভালো হবে।

 ফলে পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও তারা অনেক এগিয়ে থাকবে। এটি মস্তিষ্কের জন্য কার্যকরী হওয়ার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তির যেকোনো ধরনের সমস্যা দূর করতো অনেক সাহায্য করে। আমাদের মধ্যে অনেকেই এই ধরনের সমস্যা রয়েছে যে, ছোটখাটো অনেক জিনিসই আমরা প্রায় ভুলে যায়। তাই এ ভুলে যাওয়ার রোগটি সারাতে চাইলে ব্লকলির খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তাহলে এ ধরনের সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।

রক্তশূন্যতা দূর করে

ব্রকলিতে রয়েছেপ্রচুর পরিমাণে আইরন। আমরা হয়তো সকলে জানে যে আয়রন আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে অনেক সাহায্য করে। যেটা অন্যান্য কোন উপাদান সহজে করতে পারে না। তাই আমাদের রক্তস্বল্পতা দূর করতে হলে অবশ্যই আয়রন জাতীয় খাবার খেতে হবে। এছাড়া রক্তস্বল্পতার জন্য শরীর দুর্বল, মাথা ঘোরা ইত্যাদি ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক মানুষেরই রক্তস্বল্পতার কারণে মৃত্যু হয়ে থাকে। 

তাই রক্তস্বল্পতা দূর করতে হলে অবশ্যই আমাদের ব্রকলি নিয়মিতভাবে খেতে হবে। আমরা যদি নিয়মিত ভাবে এই ব্রকলি খেতে পারি তাহলে, রক্তস্বল্পতার পাশাপাশি আরো যে ধরনের সমস্যাগুলো হয় এটি হওয়ার কারণে। সেগুলোর সমস্যাও দূর হয়ে যাবে। ব্রকলি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় আপনি চাইলে স্যুপ কিংবা সবজি রান্না করে খেতে পারেন। দুটি উপাদানে আপনার জন্য অনেক উপকারি। তবে সুপ করে খেলে একটু বেশি উপকার হবে যদি আপনার রক্তস্বল্পতার সমস্যা থাকে।

হাড়ের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে

ব্রকলিতে রয়েছে ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস। আমরা হয়তো সকলে জানি যে ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড়গুলোকে ঠিক রাখতে কতটা সাহায্য করে। ক্যালসিয়ামের অভাবে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায় যেমনঃ হারে ব্যথা, হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। 

তাই এসব ধরনের সমস্যা দূর করতে ব্লকলি আমাদের অনেক সাহায্য করে । আপনাদের যদি হারের এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনারা ব্লকলি খেতে পারেন। এছাড়াও হাড়ের সমস্যা না থাকলেও ব্রকলি খেলে, পরবর্তীতে আপনার হাড়ের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়া হারগুলোকে আর মতামত রাখতে সাহায্য করে এই ব্রকলি। আবার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বাড়তে থাকে। অনেক উপকারী।