হাইব্রিড শিমের জাত - শিম চাষ

শিম মূলত একটি শীতকালীন ফল। আর শীতকালে শিমের তরকারি প্রায় সবাই ভালো লাগে। কেউ এটিকে তরকারি হিসেবে খান আবার কেউ ভর্তা করে খান। যেভাবে খান না কেন শিম মানব দেহের জন্য অনেক উপকারী। কারণ এতে যে পুষ্টি প্রদানগুলো রয়েছে তা দেহের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।


এই শিম বিভিন্ন রোগের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি, চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। শিম শিশু থেকে শুরু করে বয়স্কদের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়া গর্ভবতীদের জন্য অনেক উপকারি। কারণ এটি গর্ভবতী ও গর্ভের শিশুর অপুষ্টির হার কমাতে সাহায্য করে। 

ভূমিকা

এই শিম বিভিন্ন রোগের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি, চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। শিম শিশু থেকে শুরু করে বয়স্কদের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়া গর্ভবতীদের জন্য অনেক উপকারি। কারণ এটি গর্ভবতী ও গর্ভের শিশুর অপুষ্টির হার কমাতে সাহায্য করে।  শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে অনেক সাহায্য করে। আজকাল বিভিন্ন শিশুরই জন্মের পর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেমন চোখের সমস্যা কিংবা শারীরিকভাবে অসুস্থ।

কিন্তু গর্ভবতী অবস্থায় যদি শিম খাওয়া যায়। তাহলে শিশুর এ ধরনের সমস্যার আশঙ্কা থাকে না। তাই গর্ভবতী অবস্থায় সিম খাওয়া অনেক উপকারী। এছাড়া বয়স্কদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই শিম।যেমনঃ যেমন হাড়ের সমস্যা, চোখে কম দেখা ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। এসব সমস্যা দূর করতেও সিম অনেক উপকারী।

শিমের পুষ্টিগুণঃ

শীতকালের ফলের মধ্যে শিম প্রায় সবারই পছন্দ। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন এর পুষ্টিগণ অনেক বেশি। এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের সুস্থ শরীরের জন্য প্রয়োজন। বর্তমানে ওজন নিয়ে প্রায় সবারই সমস্যা রয়েছে। তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাবারের লিস্টে শিম রাখতে পারেন। 

কারণ শিমে রয়েছে ফাইবার যা পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। ফলে যারা বেশি খাবার খায় । তাদের খাবার কম করতে সাহায্য করে। আবার এটি ওজন কমানোর পাশাপাশি পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। 

এতে আরো যেসব পুষ্টি পতন গুলো রয়েছে সেগুলো হলোঃ খনিজ উপাদান, শর্করা, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি-৬ সহ আরো অনেক পুষ্টিকর উপাদান। আর এই পুষ্টি উপাদান গুলোর জন্যই, সিম খাওয়ার স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক উপকারী।

 শিমের উপকারিতাঃ

বাংলাদেশের সব এলাকাতে শিম চাষ হয়। এটি শীত মৌসুমে পাওয়া যায়। এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আবার এই শিমকে অনেকে বাড়ির বাগানে কিংবা ছাদে চাষ করে। এই শিমে যে পুষ্টি উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এই শিম আমাদের জন্য অনেক উপকারী কারণ এটি চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণের রাখতে সাহায্য করে। আর এসব কারণেই মূলত শিম আমাদের জন্য এত উপকারী। তাই শিম খাওয়া আমাদের জন্য উপকারে।

শিমের কিছু উপকারিতা নিচে দেওয়া হলঃ

গর্ভবতীদের জন্য অনেক উপকারী

শিম গর্ভবতীদের জন্য অনেক উপকারী কারণ, এটি এটি গর্ভের শিশুর অপুষ্টির হার কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও গর্ভবতীরা অপুষ্টির হার কমাতে সাহায্য করে। ফলে সুস্থভাবে শিশু জন্ম হয়। তাই গর্ভবতীদের জন্য শিম অনেক উপকারী।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

 শিমে রয়েছে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বদহজমের মত যে কোন সমস্যা দূর করে। তাই এসব সমস্যা দূর করতে শিম খাওয়া ভালো।

চুল পড়া কমায়

আজকাল চুল পড়া নিয়ে প্রায় সবারই মাথাব্যথা। বর্তমানে মেয়েদের চুল পড়ার সমস্যার বেড়ে গেছে। তাই চুল পড়া কমাতে শিম আমাদের জন্য অনেক উপকারি ধরনের রোগ দূর করতে সাহায্য করে তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন ধরনের রোগের থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি এটি চুল পড়া কমাতে অনেক সাহায্য করে।

কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

বর্তমানে ক্যান্সার হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি বড় সমস্যা। এখন বেশিরভাগ মানুষেরই ক্যান্সার ধরা পড়ছে। তাই ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমাতে শিম আমাদের অনেক সাহায্য করে।শিমে রয়েছে এক বিশেষ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ দূর করতে সাহায্য করে। এটি যে কোন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে অনেক সাহায্য করে।

হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে

 শিম রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গেলে, হার্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ঝুকেও কমে যায়। ফলে হার্ট এটাকের মত বড় সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী

শিম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। কারণ এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। শুধু যে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপকারিতা কিন্তু নয়। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে অনেক সাহায্য করে এই সিম। ডায়াবেটিসের হাত থেকে বাঁচতে গেলে সিম খাওয়া প্রয়োজন।

শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে

শিমের রয়েছে শর্করা। শর্করা মানব দেহের শক্তি যোগাতে অনেক সাহায্য করে। তাই যাদের শরীর দুর্বল তাদের জন্য শিম অনেক উপকারি। তাই শরীরের দুর্বলতা কমাতে শিম অনেক ভালো কাজ করে।

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে

এই ঘর থেকে ভেবে গেলেন কি জন্য সে ঘরে আপনি যাচ্ছেন। কিন্তু ঘরে গিয়ে ভুলে গেলেন যে আপনি কি আনার জন্য সে ঘরে এসেছিলেন। এরকম ছোটখাটো অনেক জিনিসই আমরা ভুলে যাই। তাই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে হলে শিম খাওয়া প্রয়োজন। কারণ শিম আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। শিমে থাকা ভিটামিন বি-৬ মূলত আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে

শিমের রয়েছে ক্যারোটিনের একটি ভালো উৎস। এই ক্যারোটিন আমাদের চোখের জন্য অনেক উপকারী। শিম খাওয়ার ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। অনেকেরই বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের সমস্যা ও বেড়ে যায়। তাই শিম খাওয়ার ফলে এই সমস্যাটা দূর হয়ে যাবে। শুধু চোখের দৃষ্টি বাড়াই না এই সিম। বরং এটি চোখে আরও বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

শিমের রয়েছে ফাইবার। পাকস্থলীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। শিম খাওয়ার ফলে, পেট ভরা থাকে। তাই এটি শরীরের অতিরিক্ত খাবার থেকে রক্ষা করে। ফলে ওজন খুব সহজে কমে যায়।

শিম চাষ

বাড়িতে গাছ লাগাতে সবাই পছন্দ করে। বাড়িতে বাগান করা প্রায় সবারই শখ। কেউ ফুলের বাগান করে আবার কেউ সবজি বাগান করে। কিন্তু সব গাছ সব সময় ভালো হয় না কিংবা গাছ হলেও গাছে ঠিকমত ফল হয় না। তাই বাড়িতে কিভাবে গাছ লাগালে কিংবা কি কি কাজ করলে গাছের ফলন ভালো হবে তা জানা প্রয়োজন।

গাছের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে কিছু টেকনিক রয়েছে। এসব টেকনিকের ফলে খুব সহজেই গাছের বিভিন্ন সমস্যাগুলো দূর করা যাবে।

একটি ক্লাসে কিছু পরিমাণে পানি নিয়ে সেখানে হাফ চামচ ইনো নিতে হবে। এরপর চা পাতি দিতে হবে। চাপাতি দেওয়ার পর সেগুলোকে কিছুক্ষণ ভিজতে দিতে হবে। এরপর এটি ভালো করে গুলিয়ে নিয়ে এর ভিতর দিতে হবে। এরপর ৪-৫ ঘন্টা এই সিমের বিচিকে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর সিমের বিচি পানি থেকে আলাদা করে নিয়ে নিতে হবে।

যেইখানে শিমের বিচি রোপন করা হবে সেখানে আগে থেকে গোবর সার দিয়ে দিতে হবে। গোবর সার দিয়ে মাটি ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে, সেখানে শিমের বিচিগুলো রোপন করে দিতে হবে। যে পানিতে শিমের বিচি ভেজানো ছিল সে পানি কিছু পরিমাণে রোপন করা জায়গায় দিয়ে দিতে হবে। তাহলে গাছ ভালো বাড়বে। আর এটি করার মাধ্যমে গাছের ফলন অনেক ভালো হবে। গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এরপর ৭-৮ দিন পর গাছটি বের হয়ে আসবে।

ধীরে ধীরে গাছটি বড় হয়ে উঠবে। যখন গাছটা অনেক বড় হয়ে যাবে তখন এর বারতি ডালগুলোকে যদি  একটু কেটে দেওয়া যায়, তাহলে গাছে ফুল বেশি হবে। পরে ফলন অনেক বেশি হবে। তাই এই টেকনিক গুলো ফলো করলে গাছের ফল অনেক ভালো হবে।

হাইব্রিড শিমের জাত

হাইব্রিড শিম একটি সবজির জাতি, যা বীজবিন্যাসে এবং উদ্ভিদের গুণাবলী একত্র করে তৈরি করা হয়। এই জাতি প্রায় সমস্ত উদ্ভিদের সুবিধা এবং বীজের সহিত অনুষ্ঠিত করা হয় যাতে তাদের ফলন এবং গুণমান উন্নত হতে পারে।

হাইব্রিড শিম সবজি বাগান এবং খোলামেলা অভিজাত এলাকায় বিশেষভাবে চাষ করা হয়। এটি সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত এবং সাবধানভাবে প্রস্তুত করা হয় এবং সাধারণভাবে পানি দ্বারা উত্স হওয়া এই জাতির চাষে উচ্চ ফলন এবং গুণমান সংরক্ষণ করা হয়।

হাইব্রিড শিমের উন্নত পোষণ, প্রতি বীজের প্রসারণ, এবং রোগ দ্রুত প্রতিরোধ বৃদ্ধি করা হয় যাতে এই জাতির চাষে উচ্চ মানের ফলন হতে পারে। হাইব্রিড শিম সবজি হিসেবে বাজারে আসলে এটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং চাষকরা এটি সুবিধাজনক এবং উপকারী মনে করে।

শেষ কথা

শিম, জনপ্রিয় একটি সবজি, বড়, পুষ্টিকর, এবং স্বাদু ভাষায় বিশেষভাবে বর্ণিত হয়। এই পোষকদৃষ্টিতে ধান্যমান সবজি বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত উপকারিতা দেয়, এবং এটি বিশেষভাবে ভিটামিন C, ভিটামিন কে, এবং ফোলেটিক এসিডে ধনী। শিমে ক্যারোটিনও পাওয়া যায়, যা চশমা দেখভালের জন্য উপকারী। 

শিম অনেক বগুড়াইয়াসি, অরিয়া বিভাগ এবং ভারতে চাষ করা হয় এবং এটি পূর্ব এশিয়ায় ব্যাপকভাবে খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শিম তাজা ও প্রস্তুত অবস্থায় একটি স্বাদু ও উজ্জ্বল ফলন দেয়, এবং এটি বিভিন্ন রকমে খাদ্যে ব্যবহার হতে পারে, যেমন স্টার শিম, ভূত শিম, ও ডাল।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url