মানুষের কাছে তাদের সৌন্দর্যের দাম অনেক বেশি। প্রত্যেকেই চাই তার চেহারা যেন আরো
সুন্দর হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যেখানে বিভিন্ন রকম চেহারার মানুষ
রয়েছে। তাই কেউ কাল আবার কেউ ফর্সা আবার কেউ কালো ও ফর্সা উভয় মিলে হয়ে থাকেন।
কালো চেহারা একেবারে ফর্সা করা কখনো সম্ভব নয়। কিন্তু তোকে আসল
সুন্দর্য বের করে আনাটা সম্ভব। আমাদের চেহারার পিছনে রয়েছে আরেকটি আসল
চেহারা। সূর্যের তাপ ,ধুলাবালি ইত্যাদি জিনিসের কারণে
আমাদের আসল চেহারা ঢেকে যায়। আজকের পর্বে আমরা জানবো কালো ত্বক ফর্সা করার
ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
ভূমিকা
এমন কিছু কিছু টিপস রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে ত্বকের যা আসল সৌন্দর্য সেটি বের
করে আনা যায়। আবার ত্বকের উপর যে ময়লা আস্তরণ থাকে সেটি কেউ তুলে ফেলা
যায়। আর চেহারা আরো গ্লো করার উপায়ও রয়েছে।এগুলো ছাড়াও প্রয়োজন
ত্বকের সঠিক যত্নের। যে কোন জিনিসের যত্ন ছাড়া কখনো ভালো হয় না। তাই অবশ্যই
ত্বকের যত্ন নিতে জানতে হবে। শুধু ত্বকের নয় চুলের যত্ন না নিলেও চুল
কখনো ভালো হয় না। তাই অবশ্যই নিজেকে আরো স্মার্ট ও সুন্দর গড়ে তুলতে চান
তাহলে অবশ্যই নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে।
ত্বক ধিরে ধিরে আরো বেশি কালো হওয়ার কারণঃ
মানুষের গায়ের রং ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে। ছোটবেলা অনেকের হয়তো গায়ের রং ফর্সা
ছিল। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে তার রং পরিবর্তন হয়। অনেকের মনে এই
প্রশ্ন জাগে। যে কেন গায়ের রঙের পরিবর্তন হয়। আমরা হয়তো জানি না কিছুদিন
পর পর আমাদের গায়ের চামড়া পরিবর্তন হয়। এছাড়াও কেউ ফর্সা আবার কেউ কালো এরকমটা
হয় হরমোনের আলাদা হওয়ার কারণে।বিভিন্ন কারণে গায়ের রং কালো হয়ে থাকে। তাহলে
চলুন দেখে নিয়ে গায়ের রং কি কি কারণে কালো হয়ে থাকে।
১। লিভারের সমস্যা থাকলে গায়ের রং কালো হয়। লিভারের সমস্যা হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে
যায়। খাবারের অনীহা দেখা দেয়। এই সমস্যা এড়াতে হলে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার
বেশি বেশি খেতে হবে।
২।অপুষ্টির হার বেশি হওয়ার জন্য মাঝে মাঝে গায়ের রং কালো হয়ে থাকে। তাই শরীরে
অপুষ্টির হার কমাতে হলে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
৩।শরীরে ভিটামিনের অভাব দেখা গেলেও গায়ের রং ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে। আমাদের শরীর
যখন অসুস্থ থাকে। সেটি আমাদের ত্বকের মধ্যে ফুটে উঠে। তাই সুস্থ থাকলে আমাদের
ত্বকও আরো সুন্দর হয়ে উঠবে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে সব প্রতিদিন ভিটামিন সমৃদ্ধ
খাবার খেতে হবে।
৪।সূর্যের অতিরিক্ত তাপের জন্য গায়ের রং কালো হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় যদি সূর্যের
আলোতে থাকা হয় তাহলে গায়ের রং কালো হয়ে যায়। কারণ বর্তমান জলপাইয়ের
পরিবর্তনের কারণে, ওজন স্থল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার
কারণে অতি বেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে পড়ছে সূর্যের আলোর সাথে। তাই অনেক সময় সূর্যের
মতো থাকার ফলে এটি আমাদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
কিন্তু আবার এমনও করা যাবে না যে, একদমই সূর্যের আলোতে যাব না। এটাও কিন্তু
ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। কারণ আমার সূর্য থেকে ভিটামিন ডি পায় এটি আমাদের
ত্বক ভালো রাখতে অনেক সাহায্য করে। সূর্যের উপকারিতা পাওয়ার পাশাপাশি, সূর্যের
আলো যারা ত্বকের জন্য কোন ক্ষতিকারক প্রভাব না ফেলে সেজন্য সান প্রটেকশন ক্রিম
ব্যবহার করতে হবে। এটি সূর্যের আলো থেকে আপনার ত্বকের রক্ষা করবেন। যার স্কিনে
যেটা শুট করে সেই স্থান প্রটেকশন ক্রিম ব্যবহার করুন।
৫। বিভিন্ন বয়সে হরমোনের পরিবর্তন হয়ে থাকে। এই হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও অনেক
সময় গায়ের রং এর পরিবর্তন হয়ে থাকে।
কালো ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়ঃ
অন্যান্য দেশের তুলনায় ত্বক কালো হওয়ার সমস্যাটি বাংলাদেশে একটু বেশি
রয়েছে। তাই এই কালো ত্বকের সমস্যা দূর করতে অনেকে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম
ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সব সময় ক্রিম ত্বকের জন্য ভালো হয় না। বর্তমানে
বাজারে যেসব ফর্সা হওয়ার ক্রিম বিক্রি করা হয় সেগুলোতে অনেক ধরনের জিনিস মিক্স
করা থাকে। যেগুলো হয়তো সব ত্বকের জন্য ভালো নাও হতে পারে।
এখন কথা হলো কোন ক্রিম ব্যবহার না করে কিভাবে কালো ত্বক ফর্সা করা যাবে। যেহেতু
সমস্যা আছে তার সমাধান অবশ্যই রয়েছে। ঘরে বসে কালো ত্বকের ফর্সা করা যাবে। আবার
সেটি কোন ক্ষতি ছাড়ায় একদম প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে। প্রাকৃতিক জিনিস অবশ্যই
আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এগুলো আমাদের ত্বক ফর্সা করার পাশাপাশি ত্বকের
বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে কালো ত্বক কোনো ক্ষতি ছাড়াই
খুব সহজে ফর্সা করা যাবে। প্রাকৃতিক উপায় ত্বক ফর্সা করার বেশ কিছু উপায়
রয়েছে। যার যেটা ভালো লাগে সে সেভাবে করতে পারে।
১। হলুদের গুঁড়া ও বেসন একসাথে মিক্স করে। এতে দুধ দিয়ে মুখে ব্যবহার করতে
পারেন। এটিকে ততক্ষণ রাখতে হবে, যতক্ষণ না এটি শুকিয়ে যায়। এটি আপনার স্কিনের
ময়লা গুলোকে দূর করে দিবে। সেই সঙ্গে এটি ব্যবহার করার ফলে তিনটি আরো বেশি গ্লো
করবে।
২। মধু আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। তাই মধু ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কোন কিছু মিক্স না করে ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করতে হবে। এরপর যখন এটি একটি শুকিয়ে
যাবে। তখন হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩। অনেকে বলে হলুদ ফল আমাদের ত্বকের জন্য অনেক ভালো। এটি আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা
বাড়াতে সাহায্য করে। তেমনি এক ধরনের ফল হল পেঁপে। এটি খেলে যেমন আমাদের ত্বকের
উজ্জ্বলতা বেড়ে যায়। তেমনি এটি ব্লেন্ড করে যদি তোকে এপ্লাই করা যায়। তাহলেও এর
ভাল একটি বেনিফিট পাওয়া যাবে।
৪। টক দই আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। তাই এক চামচ বেসনের
সাথে এক চামচ টক দই ও সামান্য পরিমাণে হলুদ ব্যবহার করে।ত্বকে ব্যবহার করা যেতে
পারে।
৫। ধরনের ফেস মাক্সও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। বাড়িতেও প্রাকৃতিক
জিনিস ব্যবহার করে ফেস মাক্স বানানো যায়। এজন্য প্রয়োজন ক্লিনিক প্লাস
শ্যাম্পু, কোলগেট এবং হলুদ গুড়োর। এই তিনটি উপাদান একসাথে মিক্স করে ত্বকে
ব্যবহার করলে, এর একটি ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এটি ১৫ বয়সের ঊর্ধ্বে ব্যবহার
করাই ভালো।
কোন কোন খাবার ত্বকের রং আর উজ্জ্বল করেঃ
বিভিন্ন ক্রিম কিংবা ঘরোয়া তৈরি ফেস মাক্স ছাড়াও বিভিন্ন খাবার
খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ত্বকের উজ্জলতা আরো বাড়িয়ে তুলতে পারি। তাই অবশ্যই
জানতে হবে কোন কোন খাবার আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। আপনারা
হয়তো অনেকেই শুনে থাকবেন যে, হলুদ খাবার আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এটি
আসলেই সত্যি । হলুদ খাবার আমাদের ত্বকের উচ্চতা আরো বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য
করে।
তাই চেষ্টা করবেন, প্রতিদিন কোন না কোন হলুদ সবজি খাওয়ার। হলুদ খাবার ছাড়া
অন্যান্য খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। যতটা সম্ভব
চেষ্টা করবেন তেল কম খাওয়ার। তেল আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে
ফেলে। তাই যতটা সম্ভব খাওয়াই ভালো।
প্রতিদিন এর খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখার চেষ্টা করবেন। সবুজ শাকসবজি
আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারি। বাহিরের অতিরিক্ত খাবার খাওয়াও ধীরে
ধীরে কম করে দিতে হবে। এভাবে নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খেলে, ত্বকের উজ্জ্বলতা
আরো বেড়ে যাবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url