গ্রাফিক্স ডিজাইন - গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স

মানুষ বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তার শিল্প দক্ষতাকে সবার সামনে তুলে ধরে। এরকমই এক ধরনের শিল্প হল চিত্রশিল্প। কমবেশি সবাই প্রায় এই চিত্র আঁকতে পারে। আবার যারা পারেনা তারা একটু অনুশীলনের মাধ্যমে খুব সহজেই চিত্র আঁকতে পারবে। চিত্র আঁকা হয় মূলত রং তুলি দিয়ে। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রের ফলে, এটিকে বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রের সাহায্য আঁকা যায়।


চিত্র একটি ভিন্ন রকমের স্বাধীনতা পেয়েছে বর্তমান সময়ে ।এর মাঝে সবচেয়ে প্রচলিত হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন।এটিকে মূলত কিছু আধুনিক যন্ত্র দ্বারা করা হয়ে থাকে। এ আধুনিক যন্ত্র দ্বারা শিল্পী তার মনের ভাব চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারবে। সেই সঙ্গে তার ইচ্ছামত কিছু কথাও যোগ করে দিতে পারবে।

ভূমিকা

বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক চাহিদা রয়েছে। কারণ এটি ব্যবসার উন্নতির জন্য অনেক সাহায্য করে। তাই কেউ চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে তার ক্যারিয়ার গড়তে পারে। সে তার ক্যারিয়ার গড়তে পারে কারণ, বর্তমানে এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভবিষ্যতেও এর চাহিদা বাড়তে থাকবে বলে মনে করা যায়। তাই কেউ চাইলেই গ্রাফিক্স ডিজাইনকে তার ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি 

গ্রাফিক ডিজাইন হল এমন একটি জিনিস যা আপনার দক্ষতা, চিন্তা, ধারণা ব্যবহার করে একটি চিত্র আঁকাকে বোঝায়। যার মধ্যে আপনার ধারণা দক্ষতা প্রকাশ পাবে। গ্রাফিক্স ডিজাইন দুই ধরনের হয়ে থাকে। 

  • virtual


ভারচুয়াল হল যেটা অনলাইনে করা হয়। আর ফিজিক্যাল হল যেটা যে কোন কোম্পানির জন্য করা হয়।আপনি চাইলে দুইটি মাধ্যমের মধ্যে যেকোনো একটি মাধ্যমে কাজ করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত এক ধরনের ছবি আঁকানোকে বোঝানো হয়। বিভিন্ন ডিজিটাল যন্ত্রের সাহায্যে এটি করা হয়ে থাকে। এর একটি সুবিধা হল যে বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেড়ে চলেছে।

মানুষ চাইলেই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে টাকা ইনকাম করতে পারবে। এটি সবচেয়ে প্রয়োজন হয় যে কোন ধরনের ব্যবসার জন্য। কারণ ব্যবসার উন্নতি ঘটানোর জন্য গ্রাফিক ডিজাইন অনেক সাহায্য করে। 

আমাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন এর অবদান। যা আমরা এখনো ভালো করে জানি না। যেমন আমাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এর ওয়ালপেপার তৈরি করা মূলত এক ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ। আবার টি-শার্টে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করাও গ্রাফিক্স  ডিজাইনের কাজ। 

এছাড়া বিভিন্ন পোস্টার কিংবা কোন নতুন প্রোডাক্টের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করা হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইন দিন দিন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে।তাই কেউ চাইলে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন দিয়ে তারপরও ক্যারিয়ার করতে পারে। এর আরেকটি সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটিকে ঘরে বসে করা যেতে পারে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন সুবিধাজনক 

এটির অন্যান্য কাজের থেকে চাহিদা বেশি রয়েছে। বর্তমানে এর চাহিদা আরো বেড়েই চলেছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতেও এর চাহিদা বাড়তে থাকবে। গ্রাফিক ডিজাইন শিখে আপনার কোন ধরনের লস হবে না। আপনি এখান থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

এটার আরেকটি সুবিধা হল গ্রাফিক ডিজাইন করতে হলে কোন যন্ত্র কেনার প্রয়োজন নেই। এটিকে শুধুমাত্র কিছু ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই শেখা যায় এবং করা যায়। এই গ্রাফিক্স এর কাজ শেখার ফলে কিছু সুবিধা রয়েছে।

  • ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণ  কিভাবে করতে হয় তা  শেখা যায় 
  • ছবি সম্পাদন করা 
  • চিত্র তৈরি করা 
  • জনপ্রিয় সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করা 
  • বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করা 
  • অ্যানিমেশন তৈরি করা 
  • রং তত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞান 

গ্রাফিক ডিজাইন শেখার ফলে এসব আপনারা খুব সহজেই শিখতে পারবেন। এখন আপনি চাইলে ঘরে বসেও গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য আলদা টাকা খরচ করতে হবেনা।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স

বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ ঘরে বসে শেখা যাবে। শুধুই ইউটিউবের যে আপনি যেই ডিজাইন শিখতে চান শুধু সেটাকে সার্চ করতে হবে। এরপর অনেকগুলো ফলাফল সেখানে আসবে। সেইগুলো প্লেলিস্ট থেকে কোর্সের প্রতিটা পার্ট ভালো করে দেখলে আপনি পাওয়া যায় গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ শিখতে পারবেন। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ শিখতে হলে প্রথমে কিছু সফটওয়্যার এর কাজ শিখতে হবে।এরমধ্যে জনপ্রিয় কিছু সফটওয়্যার গুলো হলঃ

  • Adobe Illuustratur
  • Photoshop 
  • Abode Indesing

আমি বলব সর্বপ্রথম  Photoshop সফটওয়্যারটির ব্যবহার শেখা।Photoshop এর সব টুলস এর ব্যবহার শিখে নিতে হবে। কোনটা কিভাবে কাজ করে সে সব ভালো করে শিখে নিতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে গ্রাফিক্সের কাজ শুরু করতে হবে। ইউটিউবের ভিডিও কোড গুলো দেখে গ্রাফিক্সের কাজ। 

আর যদি একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে চান তাহলে একটি ওয়েবসাইটে আপনার করা কাজগুলোকে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। জানো যে কোন ক্লাইন্ট আপনার কাজগুলোকে দেখতে পারেন। এবং আপনাকে কাজ দিতে পারে। এভাবে আপনার গ্রাফিক্সের কাজ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। 

কোথায় করবেন গ্রাফিক্সের কাজ 

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কিংবা পার্মানেন্ট জব করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম রয়েছে।সেগুলো নিচে দেওয়া হলঃ

  • Upwork.com 
  • freelancer.com 
  • fiver.com 
  • people per hour.com 
  • designhail.com 
  • 99designs.com

এইসব ওয়েবসাইট  বিভিন্ন ধরনের জব পোস্ট করে থাকে। এইসব ওয়েবসাইটে  আপনার নিজের একটি একাউন্ট খুলে কাজ করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে কোন কোম্পানিতে ফুলটাইম জব করতে পারেন।এর জন্য আপনাকে জবের এপ্লাই করতে হবে । গ্রাফিক্সের কিছু কোম্পানি গুলোর মধ্যে রয়েছে 

  • Bdjobs.com
  • Kormo.com

ইত্যাদি আরো কোম্পানি রয়েছে যে কোম্পানিগুলোতে আপনি জবের অফার করে,ফুল টাইম জব করতে পারেন। এভাবে আপনি গ্রাফিক্সের কাজ করে আপনার ক্যারিয়ার করতে পারেন। 

গ্রাফিক্সের কাজ করে কত টাকা ইনকাম হয় 

এটি একটি জনপ্রিয় কাজ হয় প্রথম দিক থেকে  আপনি এ থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ধারণা অনুযায়ী বলা যায় প্রথমদিকে যখন কাজগুলো শিখবেন, এবং ধীরে ধীরে দক্ষ হতে থাকবে না এই গ্রাফিক্সের কাজে তখন আপনার সেলারি হবে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা পর্যন্ত। এভাবে ইনকাম করতে করতে আপনি এই বিষয়ে অনেক দক্ষ হয়ে উঠবেন। 

একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার, যেহেতু এ কাজে অনেক দক্ষ এবং সবাই তার কাজ অনেক পছন্দ করবে। ফলে তার ডিমান্ড অনেক বেশি হবে। একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার মূলত ৫০০০০-৭০০০০ টাকা ইনকাম করে। 

৩ মাসে কি গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা যায়

প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন তিন মাসে কি গ্রাফিক ডিজাইন শেখা যায়। হ্যাঁ তিন মাসে গ্রাফিক ডিজাইন কাজ শেখা যায়। গ্রাফিক ডিজাইনার কাজ শিখতে হলে আপনাকে কমপক্ষে দুই বছরের ট্রেনিং নিতে হবে। তবে তিন মাসের মধ্যে বেসিক আপনার ধারণা নিতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে কত সময় লাগে?

সুপ্রিয় পাঠক গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ শিখতে মোটামুটি তিন মাস সময় লাগে এখানে বিভিন্ন ধরনের টুলস এর ব্যবহার শিখতে হয়। যা আপনার তিন মাস সময় লেগে যাবে। আর যেটা নির্ভর করে সম্পন্ন আপনার উপরে আপনি কতটা শিখতে পারছেন আর কতটা প্র্যাকটিস করছেন।

ফ্রি গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

ফ্রি ট্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য অনেক অপশন রয়েছে, যা আপনার ক্যারিয়ার বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। 

প্রথমত, Canva-এ আপনি বিভিন্ন ধরণের ট্রাফিক ডিজাইন শেখতে পারেন। এটি ব্যবহারকারী-বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস প্রদান করে, এবং এতে ছবি, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ওয়েব ব্যানার, লোগো ইত্যাদি ডিজাইন করতে সুবিধা প্রদান করে।

আপনি এছাড়া, YouTube-এ বিভিন্ন প্রফেশনাল ট্রাফিক ডিজাইন টিউটরিয়াল পাবেন, যা আপনাকে কিভাবে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা ওয়েব ব্যানার তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।

সাহায্যের জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সকলেই এবং বিকেন্দ্রিত করা হয়েছে, যারা অভিজ্ঞ ডিজাইনারদের সাথে আপনার কাজ দেখানোর চেষ্টা করে দিতে পারে।শেখা শুরু করার আগে, আপনার লক্ষ্য ও শখের সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে সাইট গুলি এবং কোর্স গুলি পরীক্ষা করতে ভুলবেন না।

শেষ কথা

গ্রাফিক ডিজাইন হলো একটি ক্রিয়াশীতা যেখানে ছবি, আইকন, লোগো, ওয়েব ব্যানার ইত্যাদি তৈরি করা হয়। এটি সাধারিতভাবে কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহার করে হয়, যেগুলি রাস্টার বা ভেক্টর বেসিক হতে পারে।রাস্টার গ্রাফিক্স পিক্সেল ভিত্তিতে থাকে এবং ছবির স্কেল করতে সীমিত, তার বিপরীতে, ভেক্টর গ্রাফিক্স বেশি মাত্রায় এবং ছবি সোজা রেজোলিউশনে থাকে, এটি বিভিন্ন সাইজে স্কেল করা যায় এবং স্থায়ী রয়েছে।

একজন গ্রাফিক ডিজাইনার সহজেই রঙ, টেক্সচার, ফন্ট, লেআউট ইত্যাদি ব্যবহার করে একটি সান্ত্বনামূলক এবং ভিন্নস্বরূপ ডিজাইন তৈরি করতে পারে, যা প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তিগত প্রকল্পের প্রচার করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url