ড্রাগন ফল গাছের পরিচর্যা - ড্রাগন ফলের উপকারিতা অপকারিতা
ড্রাগন ফল একটি বিদেশী ফল। এটি বিদেশি ফল হলেও বাংলাদেশ এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। বাংলাদেশেও এটি এখন অনেক জায়গায় চাষ করা হয়। বাংলাদেশের মাটি উর্বর হওয়ায় ড্রাগন ফলের খুব ভালো ফলন পাওয়া যায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই ফলের কিংবা সবজি বাগান করতে অনেক ভালোবাসেন।
তারা যদি ড্রাগন ফলের চাষ করতে চান। তাহলে তাদের কিছু নিয়ম অবলম্বন করে ড্রাগন ফল চাষ করতে হবে। তাহলে তারা খুব সহজেই ড্রাগন গাছের ভালো ফলন পাবে। ড্রাগন ফল গাছের পরিচর্যা ও ড্রাগন বলের উপকারিতা জানতে আজকের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ড্রাগন ফলের ১০ স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং পুষ্টির তথ্য
এছাড়া ড্রাগন ফল আমাদের জন্য অনেক উপকারী। এতে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে।
এগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিভিন্ন
রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলে রয়েছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার এছাড়াও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ
রয়েছে। এগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়া এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে
রাখতে সাহায্য করে। তাই যাদের ওজন নিয়ে সমস্যা রয়েছে তারা এ ড্রাগন ফলটি
খেতে পারে। এর ড্রাগন ফল আপনাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে।
ড্রাগন ফলের উপকারিতাঃ
ড্রাগন ফল বিদেশি হলেও আমাদের দেশে এটি দিন দিন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর এর উপকারিতা ও নানা ফলের থেকে অনেক বেশি। এর উপকারিতার পাশাপাশি এটি খেতেও অনেক সুস্বাদু। আর এ কারণে মূলত বাংলাদেশে এটি অনেক জনপ্রিয়। ড্রাগন ফল বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এর মধ্যে লাল ড্রাগন ফলটি একটু বেশি দেখা যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রক্তস্বল্পতা দূর করে
ড্রাগন ফলে রয়েছে আইরনের একটি ভালো উৎস। আইরন মানবদেহে রক্তস্বল্পতা দূর করতে
সাহায্য করে। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
ফলে রক্তস্বল্পতো সমস্যা দূর হয়ে যায়। তাই রক্তস্বল্পতার দূর করার
জন্য ড্রাগন ফল অনেক উপকারি
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
ড্রাগন ফলে থাকা আইরন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও
এটি হজমের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যাদের এসিডিটির সমস্যা
রয়েছে , তাদেরও এই এসিডিটির সমস্যা দূর করতে ড্রাগন ফল অনেক উপকারী। প্রায় এ
ধরনের সমস্যার জন্য ড্রাগন ফল খাওয়া ভালো।
হাড়ের সমস্যা দূর করে
ড্রাগন ফলে রয়েছে ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস। আমরা সকলেই জানি যে, ক্যালসিয়াম
হাড়ের জন্য ঠিক কতটা উপকারী। ক্যালসিয়ামের অভাবের ফলে হাড়ের বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা হতে পারে। হাড়ের ব্যথা করা এমনকি হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা
রয়েছে। এইসব হারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে
ড্রাগন ফলে রয়েছে ফাইবার। ফাইবার পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য
করে। সে সঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে অনেক সাহায্য করে। চর্বি কমে যাওয়ার
ফলে ওজনও খুব সহজে কমে যায়। আর ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেট প্রায় সময়
ভরা থাকে। ফলে অতিরিক্ত খাবারের যে সমস্যাটি রয়েছে সেটিও দূর হয়ে যাবে। তাই ওজন
খুব সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
ড্রাগন ফলের বীজ তৈরির প্রক্রিয়াঃ
ড্রাগন ফলের এই বীজ গুলোকে বাজারেও কিনতে পাওয়া যায়। তবে
বাড়িতেও ড্রাগন ফলের বীজ তৈরি করা যাবে। তাই বাড়িতে ড্রাগন ফলের বীজ তৈরি
করতে হলে কি কি প্রয়োজন এবং কিভাবে তৈরি করতে হবে। সেটি জেনে নিতে হবে।
ড্রাগন ফলের বীজ তৈরি করতে হলে প্রথমে প্রয়োজন কোকোবিট। গুলোকে আলাদা করে নিতে হবে। এগুলোকে আলাদা করে নেওয়ার পর সেখানে সামান্য পরিমাণে গোবর সার ব্যবহার করতে হবে। কোকোবিটের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশিয়ে নেওয়ার পর ।
সংগ্রহ করে রাখা ড্রাগন ফলের তিলের মতো বীজগুলোকে রোপন করে দিতে হবে। চারপাশে ভালো করে ছিটিয়ে দেওয়ার পর সেখানে আবার কোকোবিট ও গোবর সারের মিক্সারটি দিয়ে দিতে হবে। মনে রাখবেন বীজগুলো দেওয়ার পর হালকা করে শুধুমাত্র ঢেকে দেওয়ার জন্যই শুধুমাত্র ঢেকে দেওয়ার জন্যই মিক্সারটি ব্যবহার করতে হবে।
সেখানে পাতলা করে লেয়ার দিতে হবে। নইলে বীজ থেকে চারা গাছ বের হবে না।এরপর এরপর যে পাত্রে বীজগুলোকে রোপন করেছেন বীজগুলোকে রোপন করেছেন, সেই পাত্রটি ভালো করে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে জানো সেখানে কোন বাতাস না ঢোকে। এরকমটা করার ফলে খুব দ্রুতই ড্রাগন ফলের বীজ থেকে ছোট চারা গাছ বের হতে শুরু করবে।
ড্রাগন ফল গাছের পরিচর্যা
ড্রাগন গাছের ভালো ফলন পেতে হলে অবশেষে সঠিকভাবে মাটির তৈরি করতে হবে।
তাহলে সেখান থেকে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। তাই ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য যেভাবে
মাটি তৈরি করতে হবে সেটি অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত।
ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য প্রয়োজন বেলে মাটির। বেলে মাটিতে আপনারা যে কোন ধরনের জৈব সার ব্যবহার করতে পারেন। সেই সঙ্গে সেখানে কোকো বিট ব্যবহার করতে হবে। ড্রাগন ফলের জন্য কোকোবিট অনেক প্রয়োজনীয় এবং সেখানে কিছু পরিমাণে বালি ব্যবহার করতে হবে।
আর এই জিনিসটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, ড্রাগন গাছ কিন্তু বেশি পানি পছন্দ করে না। অর্থাৎ ড্রাগন গাছে বেশি পানি প্রয়োগ করা যাবে না। এতে ড্রাগন গাছের ফলন ভালো হবে না।এরপর এই মাটিকে একটি টবে তুলে নিতে হবে। ভালো করে মাটি গুলোকে চেপে দেওয়ার পর। সেখানে ড্রাগন ফলের গাছটি রোপন করে দিতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url