দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
আপনি চাইলে এগুলো না করে বাড়িতে বসে আপনার ওজন খুব সহজে কমাতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে ডায়েট কন্ট্রোল করতে হবে না।আবার দ্রুত ওজন কমানোর জন্য অনেকে ডাক্তারের কাছেও যে থাকেন। এর জন্য অতিরিক্ত খরচও হয়ে থাকে। তাই এই সব না করেও কিভাবে ওজন কমানো যায়। তাই আজকে জানবো।
ভূমিকা
ওজন কম থাকলে শরীর ফিট থাকে এছাড়া যোগাযোগে স্বাস্থ্যকর ও ফিটনেস এক্টিভিটি যোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম, হাঁটা, সাইকেলিং ইত্যাদি মাধ্যমে শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। নির্ধারিত সময়ে নিজেকে প্রতিবার মাপ করতে এটি মানুষের উত্সাহ বাড়াতে সাহায্য করে।এছাড়া, পুনরায় ওজন বাড়াতে না দেখার জন্য নিজেকে আবারও শখের সাথে একটি সুস্থ জীবনযাত্রা অনুভব করতে দিতে সাহায্য করে।
সব খাবার খাযেওয়ার মাধ্যমে ওজন কমে যেতে পারেঃ
ডায়েট কন্ট্রোল, জিম ছাড়া আমাদের হাতের কাছে এমন কিছু খাবার রয়েছে যার মাধ্যমে আমরা খুব সহজে আমাদের ওজন কমাতে পারবো। যেসব খাবার আমাদের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। পরে ওজন খুব সহজেই কমে যায়। এর জন্য অতিরিক্ত কোন খরচ করতে হয় না। জানতে হলে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। নিচে আমরা কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করব যেগুলো খেলে দ্রুত ওজন কমে যাবে। দেরি না করে তাহলে চলুন জেনে নেই বিস্তারিত আলোচনা।
লেবু পানি
ওজন কমাতে লেবু অনেক কার্যকরী। লেবু পানি নিয়মিত পান করলে দ্রুত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। যারা খুব দ্রুতই ওজন কমাতে চান তারা লেবু পানি খেতে পারেন। প্রতিদিন সকালে লেবু পানি খাওয়ার ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মধু
মধু শরীরের অতিরিক্ত চর্বি হতে বাঁধা দেয়। তাই অনেকেই রোজ সকালে মধু খেয়ে থাকেন। জানো খুব দ্রুতই ওজন কমে যেতে পারে। তাই ওজন খুব সহজেই কমে যায়। তাই দ্রুত ওজন কমানোর জন্য খাদ্য তালিকায় মধু রাখতে পারেন।
আমলকির রস
আমলকিতে রয়েছে ফাইবার। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করার ফলে, শরীরের অতিরিক্ত খাবার হজম হতে সাহায্য করে। তাই দ্রুত ওজন কমানোর জন্য রোজ সকালে আমলকির রস খেয়ে দেখতে পারেন।
গ্রিন টি
গ্রিন টি ওজন কমানোর জন্য অন্যতম। এটি মূলত ওজন কমানোর জন্যই বানানো হয়েছে। এতে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা খুব দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত গ্রিন টিচার সেবন করলে সহজে আপনার চর্বি কমে যাবে।
পানি
পানি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি।পানি শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সেসঙ্গে চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া হজমের সমস্যা দূর করতে পানি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ডার্ক চকলেট
আমরা হয়তো সবাই মনে করি যে চকলেট আমাদের ওজন বাড়াতে পারে। তাই চকলেট যে আমাদের ওজন কমাতে পারে সেটা আমরা ভাবতে পারি না। সব ধরনের চকলেট কিন্তু ওজন কমাতে সাহায্য করে না। শুধুমাত্র ডার্ক চকলেটই ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ডিম
ডিম প্রাইয় সবাই খেতে পছন্দ করে। কিন্তু আমরা মনে করি যে ডিম খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এটি শরীরের চর্বি বাড়ায়। কিন্তু ডিম শরীরের ফ্যাট কমাতে অনেক সাহায্য করে। এতে থাকা কলিন উপাদান আমাদের ওজন কমানোর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি দ্রুত ওজন কমাতে চান তাহলে উপরোক্ত খাদ্য নিয়মিত পান করতে হবে তাহলে
আপনার দ্রুত ওজন কমে যাবে এর জন্য আপনাকে কোন পরিশ্রম করতে হবে না আশা করি আপনারা
বুঝতে পেরেছেন।
ওজন কমানোর কিছু ব্যায়ামঃ
বাড়িতে কিছু ব্যায়াম করে খুব সহজে ওজন কমানো যায়। এইসব ব্যায়াম করার মাধ্যমে ওজন খুব দ্রুতই কমে যাবে। ব্যায়াম করার পাশাপাশি ওজন কমানোর এই খাবারগুলো খেতে হবে। তাহলে যাদের খুব দ্রুতই ওজন কমানো প্রয়োজন। তারা কম সময়ে খুব সহজেই ওজন কমাতে পারে।
ব্যায়াম যে শুধু ওজন কমায় তা কিন্তু নয়। আমাদের সকলেরই নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। ব্যায়াম আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। আপনি যদি দ্রুত ওজন কমাতে চান তাহলে নিচে কিছু ব্যায়ামের নিয়মাবলী দেয়া হলো এই ব্যায়ামগুলো আপনি ফলো করলে খুব সহজে আপনার ওজন আপনি কমাতে পারবেন তাহলে চলুন জেনে নেই বিস্তারিত আলোচনা।
সাইকেল চালানো
সাইকেল চালানোর মাধ্যমে ওজন কমানো অনেক সহজ।প্রতিদিন সাইকেল চালানোর মাধ্যমেও ওজন কমানো যায়। তাই প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাইকেল চালানো ভালো। এটি শরীরের জন্য উপকারী।
সাঁতার কাটা
সাঁতার কাটের মাধ্যমেও ওজন কমানো যায়। হয়তো বেশিরভাগ মানুষের সাঁতার কাটা জানেন না। কিন্তু সাঁতার শিখা আমাদের জন্য অনেক জরুরী। তাই প্রত্যেকেরই সাঁতার শিখা প্রয়োজন। সাঁতার কাটার ফলে শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
জোরে জোরে হাটা
প্রতিদিন সকালে জোরে জোরে হাটার মাধ্যমেও শরীরের ওজন খুব সহজেই কমে যায়। জোরে জোরে হাঁটার ফলে শরীরের চর্বি খুব দ্রুতই কমে যায়। পরে ওজন ও সহজেই কমলা যাবে হাটাহাটির মাধ্যমে।
সিঁড়িতে উঠানামা
যারা হয়তো হাটাহাটি করার জন্য বাইরে যেতে চান না, সাঁতার কিংবা সাইকেল চালাতেও জানেন না। তারা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার করার ব্যায়ামটাও করতে পারেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। এই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর ফলেও ওজন কমে যেতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর ফলে শরীর ফিট থাকে। ফলে ওজন ও নিয়ন্ত্রণে থাকে। একজন মানুষের রাতে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। কিন্তু দুপুরে ঘুমানো স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব একটা ভালো নয়। তাই দুপুরে না ঘুমিয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট করতে পারেন। এটা আপনার শরীরের জন্য উপকারী।
ওজন কমাতে দিনে কত ক্যালরি খেতে হবে?
ওজন কমাতে দিনে কত ক্যালোরি খেতে হবে সে বিষয়ে একটি স্বাধীন সেবা প্রদানকারী চিকিৎসা পেতে ভালো। তবে, মোট দৈহিক ক্যালোরি হিসাবে সাধারিত উপায়ে ওজন কমাতে দিনে প্রায় ১,৫০০-২,০০০ ক্যালোরি হতে পারে। এটি ব্যক্তির ওজন, জীবনযাপন, আবৃত্তি, এবং শারীরিক পৌষ্টিক অবস্থা অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারে।
৫০ কেজি ওজন কমাতে কত ক্যালরি খাওয়া উচিত
৫০ কেজি ওজন কমাতে সাধারিত সুস্থ প্রকারে প্রতিদিন প্রায় ১,৫০০ থেকে ২,০০০ ক্যালোরি হারানো সামান্য হতে পারে। তবে, এটি ব্যক্তির জীবনযাপন, শারীরিক কাজের পরিমাণ, এবং অন্যান্য পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে। স্বাস্থ্যকর ওজন কমার জন্য পৌষ্টিক ও নিয়মিত খাবার এবং ব্যায়ামের সঙ্গে একইভাবে মিলাতে প্রয়োজন।
কত ক্যালরিতে ১ কেজি ওজন কমে
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন এক কেজি ওজন কমানোর জন্য কত ক্যালরি খরচ করতে
হবে। জানতে হলে আজকের এই পর্বটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি যদি প্রতি
সপ্তাহে ৫০০ ক্যালোরি করে কমান তাহলে আপনার এক কেজি ওজন কমে যাবে আর এর জন্য
আপনাকে খাদ্যভাস এবং শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।
শেষ কথা
ওজন কমানো শুরু করতে প্রথমে আপনার ডায়েটে কম ক্যালরি এবং পুষ্টির সঠিক সমন্বয় করতে হবে। তাতে তেল, চিনি, মিঠা, ওজন বাড়ানোর খাদ্য পরিহার করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১ থেকে ২ কেজি ওজন কমবে। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে লাগবে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url