মরিয়ম ফুল সম্পর্কে হাদিস - মরিয়ম ফুলের উপকারিতা কি
মরিয়ম ফুলের ইতিহাসঃ
মরিয়ম ফুলের নামকরণ করা হয় হযরত ঈসা আঃ এর মায়ের নাম অনুসারে এবং একই সাথে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর কন্যা হযরত ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর নাম অনুযায়ী। হ্যান্ড অফ ফাতেমা বলা হয়। মূলত মরিয়ম আলাইহিস সাল্লাম এর সময় থেকে এই মরিয়ম ফুলের উৎপত্তি।
এটি আল্লাহ প্রদত্ত এক বিশেষ ঔষধি গাছ।এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম,লোহা এবং দস্তা।এর বৈজ্ঞানিক নাম হল লোহা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় এক ধরনের পাথরের মত। কিন্তু যখনই এটি পানির সংস্পর্শে আসে তখন আবার নতুন করে জীবন ধারণ করে এবং বংশবিস্তার করে। হযরত মুহাম্মদ সাঃ কথা অনুযায়ী এটি একটি ওষুধে হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
মরুভূমিতে এত তাপের মধ্যে এটি জীবন ধারণ করে থাকে। যখনই গোড়া থেকে আলাদা হয়ে যায় তখন এটি গড়তে গড়তেপানি সংস্পর্শে আসে । এবং নতুন ভাবে জীবন ধারণ করে। অনেকের মুখে শোনা যায় ফুলের ভেজানো পানি খেলে প্রসব ব্যথা কমে যায় এবং সহজেই বাচ্চা ডেলিভারি হয়। কিন্তু আল কোরআনে এই ফুলের বিশেষত্ব নিয়ে কোন কিছু জানা যায়নি।
মরিয়ম ফুল সম্পর্কে হাদিস
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন মরিয়মপুরের হাদিস সম্পর্কে। অনেকে মনে করে
বাচ্চা হওয়ার সময় মরিয়ম ফুল ওই ঘরে রাখলে বাচ্চা খুব সহজে প্রসব হয়। কোরআন
হাদিস এবং বড় বড় আলেম দ্বারা প্রমাণিত হয় এই কথার সাথে তেমন কোনো কোরআন
হাদিসের মিল নাই। তবে হ্যাঁ যদি কারো বাচ্চা হওয়ার সময় এই মরিয়ম ফুল ঘরে রাখলে
উপকার পাওয়া যায় তাহলে রাখতে পারেন তবে কোরআন হাদিস সম্পর্কে তেমন কোন দলিল
পাওয়া যায় না।
মরিয়ম ফুল কোথায় পাওয়া যায়ঃ
মরিয়ম ফুল মূলত পাওয়া যায় সৌদি আরবে। অনেকে মক্কায় হজ করতে গিয়ে এর মরেও ফুলটি কিনে নিয়ে আসে । ময়ুরফুলের জন্ম মরু অঞ্চলের মধ্যপ্রাচ্যে ও সাহারার বিস্তীর্ণ মরুভূমিতে। এটি দেখতে কিছুটা দূর থেকে পাথরের মত লাগে। এ ফুলটিকে দেখলে মনে হয় কোন মরা ডাল। কিন্তু যখনই এটি পানি সংস্পর্শে আসে অবিশ্বাস্যভাবে এতে আবার জীবন ধারণ করে। এটি ফুলে ওঠে। এটি সত্যি একটি আশ্চর্য ব্যাপার। ফুলের কদর রয়েছে যুগ যুগ ধরে। এটি এক বিশেষ ঔষধি ফুল।
মরিয়ম ফুলের উপকারিতাঃ
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর কথা অনুযায়ী এই বিশেষ ফুলকে ঔষধি ফুল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ফুলের ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর জন্য পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। বাচ্চা ডেলিভারির সময় ঐকক্ষে কোন একটি পাত্রে কিছু পরিমাণে পানি ঢেলে তাতে মরিয়া ফুলটি ভিজিয়ে রাখতে হবে এতে গর্ভবতী মায়ের প্রসব ব্যথা লাঘব হয়। এবং খুব সহজে বাচ্চা ডেলিভারি হয়।
ব্যবহার শেষে এটি কি তুলে রাখলে এটি আবার আগের মত রূপ ধারণ করে, ফলে এটিকে অসংখ্য বার ব্যবহার করা যেতে পারে। এও শোনা যায় যে গর্ভবতী মায়ের দশ মাসে প্রতিদিন ২৫ গ্রাম পানিতে একটি মরিয়ম ফুলের ডাল ভিজিয়ে সে পানির সাথে মিষ্টি জাতীয় কিছু মিস করে পান করলে গর্ভবতী মা এর তিনগুণ শক্তি বেড়ে যায়। এবং খুব সহজেই চলাফেরা করতে পারে।
মরিয়ম ফুল নিয়ে কিছু ভ্রান্তি ধারণাঃ
অনেকে মনে করেন এই মরিয়ম ফুল এর কারণে মরিয়ম আঃ গর্ভবতী হয়েছিলেন । আবার এও শোনা যায় যাদের বাচ্চা হয় নাতারা যদি এই ফুলের উপকারিতা গ্রহণ করেন তারাও নাকি গর্ভবতী হন। তবে কোরআন ও হাদিসে এর কোন বিশেষত্বর কথা বলা হয়নি। এটিও বিশ্বাস করেন যে মরিয়ম ফুল ভিজে রাখলে গর্ভবতী মায়ের প্রসব ব্যথা লাঘব হয়। মহানবী সাঃ বলেছেন এটি এক ধরনের ঔষধি ফুল।
তারপর থেকে এটির বিশেষ মর্যাদা রয়েছে।সৌদি আরবে ও আমেরিকায় বর্তমানে এর বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। অনেক মানুষেরা হজ করতে যেয়ে এই ফুলটি কিনে থাকেন। ইসলামের শরীয়তে এর কোন তাৎপর্য না থাকলেও এটি বিশেষ ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কোরআন হাদিসে এর কোন বর্ণনা নেই কিন্তু ওষুধ হিসেবে এটি পরীক্ষিত করে ব্যবহার করা যাবে। এর ধর্মে কোন বিশেষ ফজিলত কিংবা তাৎপর্য আছে বলে বিশ্বাস করা যাবেনা।
শেষ কথা
সুপ্রিয় পাঠক আজকের পর্বে আমরা আপনাদের জানিয়েছি মরিয়ম ফুল সম্পর্কে হাদিস-
মরিয়ম ফুলের উপকারিতা কি-মরিয়ম ফুলের ইতিহাস-মরিয়ম ফুল কোথায় পাওয়া যায়
এইসব বিষয়ে । আজকের পর্ব যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার
বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url