একটি শীতের সকাল রচনা class 9
প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে আসলাম একটি শীতের সকালে রচনা সম্পর্কে। আপনারা যদি শীতের সকাল রচনা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের এই পর্বে আমরা আলোচনা করব একটি শীতের সকাল রচনা। শীতের সকালে কি কি পরিবর্তন দেখা যায় প্রকৃতিতে সেটাই আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব।
শীতের সকালের রচনার ভূমিকা- শীতের আগমন- শীতের সকালের দৃশ্য- শীতের খাবার
-এবং শীতের সকাল সম্পর্কে জেনে নিব বিস্তারিত বিষয়। আপনারা আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
তাহলে আপনিও জানতে পারবেন শীতের সকালে সমস্ত বিষয় সমূহ। তাহলে চলুন জেনে নেই
একটি শীতের সকালের রচনা সম্পর্কে।
ভূমিকাঃ
শীতের আগমন
পৌষ -মাঘ দুই মাস শীতকাল ।তবে হেমন্তকালের শেষ অর্থাৎ অগ্রহায়ণ মাস থেকে
শীতের আবির্ভাব ঘটে এবং ধীরে ধীরে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে ।এটি ফাল্গুন
মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। এ সময়ে প্রকৃতির মধ্যে এক নীরব সৌন্দর্য দেখা
যায়।শীতকালের প্রকৃতি ও মানব সমাজেও নানারকম প্রভাব পড়ে ।
শীতের সকালের দৃশ্য
শীতের সকালে পূর্ব দিকে সূর্যের আলো ধীরে ধীরে ফুটতে থাকে। গাছপালা ,ঘাসের ওপর ভোরের শিশির দেখা যায়। এই শিশির বিন্দু সূর্যের আলোয় ঝলমল করতে থাকে। যতদূর চোখ যায় শুধু কুয়াশা আর কুয়াশা.চারিপাশ কুয়াশার মেঘে ঢাকা থাকে। আলোর রশি ধীরে ধীরে বাড়ার কারণে কুয়াশাও দূর হয়ে যায়. সূর্যের আলো মাটিতে পড়ার পর সবাই যে যার কাজে লেগে পরে।
শীতের খাবার
শীত মানে হরেক রকম শাক সবজির বাহার. নানা রকম শীতের ফল ,খেজুরের রস, পিঠা- পায়েস যেন এই শীতের কনকনে ঠান্ডা কেউ মিষ্টি করে তোলে। এই শীতে বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায় যেমন: কমলা, জলপাই, আমলকি, সাফেদা ,ডালিম ইত্যাদি। শীতকাল প্রিয় হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হলো নানা রকমের পিঠাপুলি। পিঠাপুলে প্রত্যেকের পছন্দ।
শীতকালে যে সব পিঠা তৈরি হয় যেমন: ভাপা পিঠা ,পুলি পিঠা, চিতই পিঠা , পায়েস
ইত্যাদি। এই শীতকালে পিঠাপুলির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের নাড়ুয়া বানানো হয় যেমন:
নারকেল নারু , মোয়া ইত্যাদি। শীতকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হল খেজুরের
রস। কারণ এটি শীতকাল ছাড়া অন্য কোন মৌসুমা পাওয়া যায় না। এই খেজুর রস দিয়ে
তৈরি করা হয় নানা ধরনের গুড় ।
শহরে শীতের সকাল
শহরের শীতের সকাল এর পরিবেশ গ্রামের তুলনায় একটু ভিন্ন। লেপের উষ্ণতা থেকে
অনেকেরই কাজ-কর্মে যেতে ইচ্ছে করেনা। তাই বেশিরভাগ মানুষই শীতের সকালের দেরিতে
ঘুম থেকে উঠে। তাই তারা গ্রামের লোকেদের মত শীতের সকালের এ অপরূপ
দৃশ্য উপভোগ করতে পারে না। বস্তুত যান্ত্রিক জীবনে যারা অভ্যস্ত তাদের কাছে ওসব
অর্থহীন আবেগ।
গ্রামে শীতের সকাল
গ্রামের শীতের সকাল শুরু হয় এই কুয়াশার মাধ্যমে। শহরের মতো গ্রামের মানুষদেরও লেপের উষ্ণতা থেকে উঠতে ইচ্ছা করেনা। কিন্তু তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বাধ্যতামূলক এই কনকনে শীতে উঠতে হয় এবং কাজ করতে হবে। তারা শীতের সকালের এই সুন্দর দৃশ্যকে উপভোগ করতে পারে।
শীতের সকালে এই সুন্দর দৃশ্য তাদের মনে এক আনন্দের সৃষ্টি করে। চারপাশে গাছপালা, ঘাসের ওপর কুয়াশার শিশির লেগে থাকে, এই শিশির মধ্যে দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে যাওয়ার আনন্দটা একটু অন্যরকম। যা শহরের মানুষেরা উপভোগ করতে পারে না। সকালের সেই গাছপালা পশু পাখির মত গ্রামের মানুষেরাও সূর্যের আলোর অপেক্ষা করে।
শীতের সকালে উপকারী ও অপকারিতা
শীতের সময় বাজারে নানা রকমের শাকসবজি ওঠে। যেমন: আলু, পটল, বরবটি, টমেটো, গাজর, বেগুন, কুমড়া,মুলা, পালং শাক ,লাল শাক, ইত্যাদি। এসব শাক আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। শীত যেমন মানুষের জীবনে একটি নতুন আনন্দের সৃষ্টি করে তেমনি কিছু মানুষ ভয় কাঁপতে থাকে।
যাদের কাছে এই শীতের সকাল এক অভিশাপ মনে হয়। কারণ কিছু গরিব মানুষ আছে ,যারা{ অন্য}- বস্ত্রহীন। শীতের দিনে একটু সূর্যের উত্তাপের জন্য সারারাত অপেক্ষা করে। তাদের কাছে সূর্যের আলো সোনার থেকেও দামি। কারণ তাদের কাছে শীত নিবারনের জন্য কোন ধরনের বস্ত্র থাকে না। তারা অনেক কষ্টে শীতের দিনগুলোকে পার করে করে।
উপসংহার
শীতের সকালের শিশির ভেসা মৌসুম দেখে মানুষের মনে একটি অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে.নানা অসুবিধা থাকার পরেও শ্বেত সকলের প্রিয়। শীতের সকাল এর মনোরম দৃশ্য, নানা রকমের পিঠাপুলি, ফল ইত্যাদি শীতের একটি বৈশিষ্ট্য যা অন্য কোন সময় পাওয়া যায় না। আজকের এই পর্ব সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url