নিমের উপকারিতা

 নিম বড়ই উপকারী গাছ। তাই বলা হয়  নিম হাকিমের কাজ করে। মানুষের মাথা থেকে পা পর্যন্ত চিকিৎসা করা সম্ভব এই নিম গাছ থাকলে। নিমের গাছ থাকলে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। নিমের বাতাসও খুব স্বাস্থ্যকর। আজকের পূর্বে আমরা আলোচনা করব নিমের উপকারিতা সম্পর্কে। নিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।


আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব নিম গাছের ব্যবহার সম্পর্কে এবং নিম গাছের উপকারিতা সম্পর্কে। তাই নিম গাছের উপকারিতা জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। বিভিন্ন রোগের নিমের ব্যবহার করা হয় তাই এর উপকারিতা অনেক বেশি।চলুন আমরা বিস্তারিত নিচে জেনে নেই।

বিভিন্ন রোগে নিমের ব্যবহার

চর্ম রোগ

চর্ম রোগের ব্যবহার বহুকাল ধরে আমাদের সমাজে হয়ে আসছে। নিমের পাতা জলে সিদ্ধ করে সেই জলে স্নান করলে চর্মরোগ নিরাময় হয়।

ব্রণ

নিম পোড়ানোর পর তার সাই, ক্রিম বা ভেসলিনের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখলে ব্রণ ফুসকুড়ি ইত্যাদি নিরাময় হয়।

দাঁতের রোগ

প্রতিদিন সকালের নিমের তালের দাতন করলে দাঁত মজবুত থাকে. পায়রিয়া বা দন্ত ক্ষয় রোগ হতে পারে না।

চোখ জ্বালা

নিমের পাতা রস বের করে তাতে তোলো ভিজিয়ে চোখের ওপর রাখুন এতে চোখের লাল ভাব ও চোখ জ্বালাপোড়া নিবারণ হবে।

ফোড়া

ফোড়া যদি পেকে ফেটে যায় তাহলে নিমের পাতা থকথক করে থেকে নিয়ে ফোড়ার উপর লাগিয়ে পটি বেধে দিলে আরাম পাওয়া যায় এবং ফোড়া দ্রুত শুকিয়ে যায়।

হাঁপানি ও কাশি

10 ফোটা ডিমের তেল পানির উপর দিয়ে খেলে হাঁপানি ও কাশিতে আরাম পাওয়া যায়

উকুন ও নিকি

নিমের তেল প্রতিদিন মাথায় মাখলে মাথার উকুন ও নিকি মরে যায়। অন্তত আট থেকে দশ দিন মাখতে হবে।

পায়রিয়া

পাওরিয়া বা মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া রোগেও নিমের তেল খুব উপকারী। নিয়মিত কিছুদিন নিমের তেল দিয়ে মাড়ি মালিশ করলে এর রোগ সেরে যায়।

নিমের শরবত

গরমের দিনে মিমের পাতা শরবত তৈরি করে নিজেও খান এবং অপরকেও খাওয়ার পরামর্শ দিন এতে শরীর মন শান্ত হয় ঠান্ডা হয় এবং রক্ত পরিষ্কার হয়।

নিম পাতার অপকারিতা

প্রিয় পাঠক এ পর্বে আমরা আলোচনা করব নিমপাতার অপকারিতা সম্পর্কে। আপনি যদি নিমপাতার অপকারিতা সম্পর্কে না জানেন তাহলে আজকের এই পর্বটি আপনার জন্য। জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
গর্ভাবস্থায় নিমের পাতার রস বা নিমের গাছের কোন উপকরণে গ্রহণ করতে পারবেন না। এই নিম গাছের উপকরণ গর্ভবতী ব্রণের জন্য অনেক ক্ষতির কারণ হয় এটি ভ্রুণকে নষ্ট করে দিতে পারে তাই গর্ব অবস্থায় নেমে যে কোন উপকরণ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

নিম পাতার রস যেমন বড়দের জন্য উপকার ঠিক তেমনি ছোট শিশু বা বাচ্চাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে যায় নিম গাছের কিছু পদার্থ রয়েছে যা শিশুদের জন্য ক্ষতির কারণ।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে যেসব মানুষ অল্পতেই ক্লান্তি ও দুর্বলতার শিকার হয় তাদের জন্য নিম পাতার যেকোনো ধরনের সেবন করা উচিত নয় এতে সে আরও অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

নিম পাতার রস খেলে কি সুগার কমে

প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন নিম পাতার রস খেলে কি সুগার কমে যায়। আজকে আমরা আপনাকে জানানোর চেষ্টা করবো নিম পাতার রস খেলে সুগার কমে যায় কিনা। তাহলে চলুন জেনে নিমপাতার রস খেলে জোগাড় কমে যায় কিনা।
নিম পাতার রস খেলে সুগার কমে যায় এবং রক্তনালী প্রসারিত করে। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে প্রতিদিন সকালে দশটি তাজা নিমপাতা এবং পাঁচটি গোল মরিচ বিশ্বে গুড়ো করে খালি পেটে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে।

নিম ফল খেলে কি হয়

আপনি জানতে চেয়েছেন নিম ফল খেলে কি হয়। চলুন আমরা আলোচনা করি নিম ফল খেলে কি হয় সে সম্পর্কে। নিম ফল খেলে পিত্ত কমাতে চোখের রোগ ডায়াবেটিস কুষ্ঠ রোগ এবং পেটের কৃমির ভালো করার জন্য নিম ফল অনেক উপকারি ফল। টুথব্রাশের বদলে অনেকের নিমের ডাল দিয়েও মাজন করে দাঁত কে ভালো রাখতে পারে।

নিম তেল সরাসরি ত্বকে লাগানো যাবে কি

প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন নিম তেল সরাসরি কি তকে লাগানো যাবে কিনা। যদি আপনি না জেনে থাকেন সরাসরি তোকে লাগানো যাবে কিনা তাহলে আজকের এই পর্বটি আপনার জন্য। তাহলে চলুন জেনে নিম তেল সরাসরি লাগানো যাবে কিনা। হ্যাঁ আপনি সরাসরি নিমতলা আপনার শরীরে লাগাতে পারেন কিন্তু গন্ধের জন্য আমরা অনেকে নিম তেল সরাসরি সরিয়ে লাগাই না। আপনি অন্য তেলের সংমিশ্রনের নির্দল আপনার শরীরে লাগালে সেই গন্ধ থাকবে না।

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

প্রিয় পাঠক এরপর আমরা আলোচনা করব চুলকানির জন্য কিভাবে নিম পাতা ব্যবহার করতে হবে। আপনার শরীরে যদি চুলকানি হয়ে থাকে তাহলে আপনি প্রতিদিন নিমপাতার পানি হালকা গরম করে সেই পানিতে স্নান করবেন তাহলে আপনার চুলকানি কমে যাবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আমরা আজকে এই আর্টিকেলের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। এই পর্বে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে। নিম পাতার তেল সরাসরি লাগানো যাবে কিনা- নিম ফল খেলে কি হয়- নিম পাতার রস খেলে কি সুগার কমে যায়- নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এই নিম পাতা সম্পর্কে যদি আপনার আরো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর এই পর্ব যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবের মধ্যে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url