মদের নেশা ছাড়ানোর উপায়
নেশা এমনই এক জিনিস তা মদ, গাজা, বিড়ি- সিগারেট চরস তামাকএবং ইদানিংকালের হিরোইন ইত্যাদি যাই হোক তা একবার ধরলে তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে চট করে ছাড়া মুশকিল হয়ে যায়। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি আমরা নিয়ে এসেছি নেশা ছাড়ানোর উপায় সম্পর্কে। আপনারা যারা নেশা করেন কিন্তু ছাড়তে পারছেন না তারা খুব মনোযোগ সহকারে পড়বেন। অনেক উপকারে আসবে।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব মদের নেশার চিকিৎসা, সিদ্ধির নেশার চিকিৎসা,
আফিমের নেশার চিকিৎসা গাজার নেশার চিকিৎসা এবং যেকোনো ধরনের নেশা থেকে মুক্তির
ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে নিচে বিস্তারিত আলোচনা
জেনে নেই।
মদের নেশা
মদের নেশা ছাড়ার জন্য বা ছাড়িবার জন্য একটা লেবু এক কাপ জলে চিপে নিয়ে
প্রয়োজনমতো কয়েকবার পান করতে দিন অথবা দুইটি আপেলের রস বের করে পান করতে দিন।
যদি অত্যা ধিক মধ্য পান করার জন্য জীবন বিপন্ন হয়ে ওঠে তাহলে ২৫ গ্রাম দেশি ঘি
এর মধ্যে ২৫ গ্রাম গুড়ো করা চিনি বা মিসরি মিশিয়ে বেটে খেতে দিন। তৃতীয়
চিকিৎসা যখন মদের নেশা চাপে তখন মাথায় ঠান্ডা পানি দিলে মদের নেশা কেটে যায়।
যদি কেউ মদের নেশা কাটাতে চান তাহলে পেয়ারা অথবা গুঁড়ো করার ধনে ও চিনি মিশিয়ে
খেতে দিলে মদের নেশা কেটে যায়।
আরো পড়ুনঃ ইবনে সিনা হাসপাতাল এখন রাজশাহীতে
সিদ্ধির নেশা
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন সিদ্ধির নেশা কি করে কাটানো বা কমানো
যায় সেই সম্পর্কে। আজকের এই পর্বে আমরা আলোচনা করব সিদ্ধির নেশা কি করে কাটানো
যায়, তাহলে চলুন নিচে দেখে আসি। সিদ্ধির নেশা বেশি হয়ে গেলে তেতুল গোলা জল তৈরি
করে তাতে ২৫০ গ্রাম জলে পাকা তেতুল ভালো করে চটকে নিয়ে ৩০ গ্রাম গুড় মিশিয়ে
পান করতে দিন নেশা কেটে যাবে।
মদ এবং ধুতরার বিষ বাজে যেকোন ধরনের নেশা এই তেতুলের জলে নষ্ট হয়ে যায় একে
তেতুলের পানা বলে।.১)সিদ্ধির নেশা কাটানোর জন্য ঘোল খেতে দিন অথবা টাটকা মিষ্টি
দই খেতে দিন।
২) লেবু চোষে খেতে দিন অথবা লেবুর আচার খেতে দিন নেশা কেটে যাবে
৩)বেশি বেশি পেয়ারা খেতে দিন এমনিতেই নেশা কেটে যাবে
৪)যদি কেউ সিদ্ধির নেশায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তাহলে তাকে জাম গাছ থেকে খুব কচি কচি
পাতা খাওয়ালে নেশা কেটে যায় এবং জ্ঞান ফিরে আসে।
আফিমের নেশা
প্রিয় পাঠক যদি কেউ খুব বেশি নেশা হয়ে যায় তাহলে আধা গ্রাম থেকে এক
গ্রাম অথবা যতটা আফিম খেয়েছে ঠিক ততটা মাত্রায় হীরা হীন ৬০ গ্রাম জলে বা
ঘোলের মধ্যে গুলে দুই থেকে তিনবার খাওয়ালে আফিমের নেশা কেটে যায়। যদি কেউ খুব
বেশি ঘোনাফিল না খেয়ে থাকে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে বমি করার নেশা এমনিতে কেটে
যাবে।
বমি করানোর জন্য ২৫ গ্রাম ঘি খেতে দিন বা দুই চামচ খাওয়ার লবণ জলে গুলে দেন।
তাতেও যদি কাজ না হয় গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করানো যেতে পারে। রোগীকে ঘুমাতে
দিবেন না জাগিয়ে রাখবেন। খালি পেটে আফিম খেয়ে ঘুমালে বিষ প্রভাব অনেক বেড়ে
যায়। রোগীকে জাগানোর জন্য মাথায় জল ঢালতে পারে।
বমি করার পরে রোগী যাতে ঘুমিয়ে না পড়ে তার জন্য পাঁচ থেকে দশ মিনিট পর পর কড়া
চা খেতে দিন। একটা কথা বলে রাখা ভালো তিলের তেলে মিশে আফিম খেলে বাঁচানো মুশকিল
হয়ে যায়। এ মতঅবস্থায় চার গ্রাম ফিটকির চূর্ণ জলে গুলে সেবন করতে
দিলে আফিমের নেশা কেটে যায়।
গাজার নেশা
এখন আমরা আলোচনা করব গাজার নেশা দূর করার উপায় সম্পর্কে। গাজার নেশা দূর
করতে পুদিনা পাতার রস খেতে দিন অথবা গুটিকয়েক পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে দিন এতে
গাজার নেশা কেটে যাবে।
গাজার নেশা দূর করার জন্য যতটা পারেন খাঁটি গাওয়া দিয়ে খেতে দিন। তেতুলের জল
খেতে দিন গাজার নেশা এমনিতে কেটে যাবে। গাজা ছাড়া এই তেতুলের জল ধুতরা সিদ্ধির
নিশাকেও নষ্ট করতে পারে।
যেকোনো ধরনের নেশা দূর করা ঘরোয়া চিকিৎসা
প্রিয় পাঠক এরপরও আমরা আলোচনা করব যেকোনো ধরনের নেশার দূর করার ঘরোয়া চিকিৎসা
সম্পর্কে। আপনি যদি জানতে চান ঘরোয়া পরিস্থিতি কিভাবে যেকোনো ধরনের নেশা দূর করা
যায় তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই যে
কোন ধরনের নেশা দূর করার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।
যেকোনো ধরনের নেশা দূর করার জন্য সাধ্যমত ২০০ থেকে ২৫০ রাম পিঁয়াজের রস খাইয়ে
দিন সঙ্গে সঙ্গে নেশা কেটে যাবে। যদি কোন নেশা করো অজ্ঞান হয়ে যায় তাহলে তাকে
পলাশ পাতার উপরের ডাটা পাঁচ থেকে ছয়টি নিয়ে অল্প জলে ঘটে নিয়ে পান করালে নেশা
কেটে যায়। আর যদি জ্ঞান থাকে তাহলে তাকে পলাশ পাতার উপরের ডাটা দুই থেকে চারটি
মুখে দিয়ে চিবালে ও নেশা কেটে যায়।
নেশার বদ অভ্যাস ছাড়াতে
বিড়ি সিগারেট বা তামাক অর্থাৎ ধুম পান ছাড়াতে হলে ১০০ গ্রাম জোয়ান ও ১০০ গ্রাম
মৌরি বড় দানা নিয়ে দুটোকে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। পরে তাদের ৬০ গ্রাম বিট
লবণ দিয়ে তিনটা আলাদা আলাদা ভাবে গুড় করে নিন। এবার এই মিশ্রের মধ্যে দুটি
লেবুর রস মিশিয়ে সারারাত পড়ে থাকতে দিন পরের দিন সকালে ওই মিশ্রণ চাটুতে হালকা
আছে শুকিয়ে পরিষ্কার করে শিশিতে ভরে রেখে দিন অথবা গরম জলের ছিটা দিয়ে ছোলা বা
মটরের দানার মত গুলি করে ঘরে রেখে দিন এটাই ওষধ।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমরা আজকে এই আর্টিকেলের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আজকের এই আর্টিকেল
সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং
আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে আজকের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন। আপনার নিজেরও
জানা হবে এবং আপনার বন্ধু বন্ধ করে জানা হবে। তাহলে সবাই ভালো থাকেন আল্লাহ
হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url