খেলা ফুটবল রচনা class 7
ফুটবল খেলার ইতিহাস
আমরা ছোট বড় সবাই ফুটবল খেলা পছন্দ করি। কিন্তু কম সংখ্যক লোকে এই ফুটবল খেলার
ইতিহাস সম্পর্কে জানে। যারা এই ফুটবল খেলার ইতিহাস সম্পর্কে জানেনা তাদের জন্য
আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক উপকারে আসবে। তাহলে চলুন ফুটবল খেলার ইতিহাস জেনে
আসি।
ফুটবলের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ এবং রমনীয়। এই ফুটবল খেলাটির উৎপত্তি প্রাচীন সময়ে
পূর্ব পাশ্চাত্য দেশগুলোতে পাওয়া যায়। ফুটবলের নিয়ম গুলি প্রথমবার ইংল্যান্ডের
১৯ শতাব্দীর শুরুতে তৈরি হয়। ১৮৬৩ সালে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (দা
ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) গঠন হয় এবং এটি ফুটবলের নিয়ম ও ক্রিয়াকলাপ মৌলিকভাবে
শুরু করে।
প্রথম ইংল্যান্ডে খেলার প্রচলন ঘটে। এরপরে ইউরোপ মহাদেশের সারা বিশ্বে এই খেলার পরিধি বিশাল লাভ করেন। ধীরে ধীরে এছাড়া সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে থাকে। এবং এভাবে আজকের পর্যায়ে ফুটবল খেলা এসেছে। বর্তমান বিশ্বে মোটামুটি ২৯০ মিলিয়ন খেলোয়ার এবং অনুদানের বৃহত্তর সংখ্যক দলের এই খেলার চারপাশে সমৃদ্ধ।
ফুটবল খেলার উপকরণ
ফুটবল খেলার জন্য কমপক্ষে 120 গজ দীর্ঘ ও ৮০ গজ প্রশস্ত একটি সমতর মাঠের প্রয়োজন। ১৪/১৫আউন্স ওজনের ২৭-২৮ইঞ্চি একটি চামড়ার বল থাকবে, যার ভেতরে বায়ু ভরা থাকবে।মাঠের চারদিকে দাগ টানা সীমানা থাকে। মাঠের দুই পাশে ৮ ফুট উঁচু দুইটি গোল পোস্ট থাকে। এই গোল পোস্টের অগ্রভাগ বা অন্য কিছু দ্বারা পরস্পর সংযুক্ত থাকে।
ফুটবল খেলার নিয়ম
ফুটবল খেলায় দুইটি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগী প্রত্যেক দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে। এদের মধ্যে একজন ‘গোলরক্ষক' থাকে। দুজন খেলোয়াড় তাদের সাহায্য করে, তাদের ব্যক বলে। আরো তিনজন থাকে যাকে ‘হাফ ব্যাক'বলে। ফারোয়ার্ডেরতাজ হল নিজের পা দিয়ে বল ধরে সম্মুখস্থ বিপক্ষের খেলোয়াড়দের আক্রমণকে প্রতিহত করে তৎপর হাফ ব্যাক ও ব্যাককে অতিক্রম করে বলটি বিপক্ষ দলের গোলপোস্টের মধ্যে নিক্ষেপ করা।
এই অতিক্রম পথে কোন অসুবিধা দেখলে তারা সুবিধামতো বলটিকের ডানে -বায়ে বা পেছনে তার নিজের দলের কোন খেলোয়াড়কে দিয়ে থাকে ।হাফ ব্যাক ৩ জন ফারয়ার্ডকে সাহায্য করে। ফুল ব্যাকের কাজ হলো বিপক্ষে নিক্ষিপ্ত বল প্রতিহত করে গোলরক্ষককে সাহায্য করা। গোলকিপারের কাজ হল বিপক্ষে নিক্ষিপ্ত বল যাতে গলে ঢুকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য করা।
রেফারি উভয় পক্ষের খেলোয়াড়ের নিয়ম রক্ষার বিষয়টি দেখার জন্য সারা মাঠে ছোটাছুটি করে। খেলা পরিচালনার ব্যাপারে রেফারিকে সাহায্য করার জন্য দুজন সীমানা প্রদর্শক থাকে।
ফুটবল নিয়ে একটি ছোট অনুচ্ছেদ কি
ফুটবল বিশ্বে একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় খেলা যার হৃদয়ে জড়িয়ে রেখেছে লাখো বাংলাদেশের এবং বিশ্বের বৃহত্তম বৈশ্বিক খেলা হিসেবে। ফুটবল খেলার সময় স্থানীয় মাঠে একটি প্রতিযোগিতার ভাবনা মননিবেষ হয়। যেখানে দুই দল একে অপরকে মোহও করে জড়িয়ে থাকে।
প্রতিবছর বৃহত্তম ইভেন্ট গুলি যেমন ফিফা বিশ্বকাপ এবং উইফা চ্যাম্পিয়ন লিগ
দেখা হয় যা খেলোয়ার এবং অনুবাদের মধ্যে উৎস ও আগ্রহ উৎ পন্ন অন্য করে এটি
বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল ও তারকা খেলোয়ারদের জন্য একটি অমূল্য মাধ্যমিক হিসেবে
পরিচিত।
বাংলাদেশ ফুটবল কত নাম্বারে আছে?
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশের বর্তমানে কত নম্বর রেংকিং এ আছে।
আজকের পর্বে আপনাদের জানাবো বাংলাদেশ বর্তমানে কত নম্বর রেংকিং এ আছে। তাহলে চল
জেনে নেই বাংলাদেশ ফুটবল কত নম্বর রেংকিং এ আছে। ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে
বাংলাদেশ বর্তমান রেংকিং আছে ১৮৩ তে। সর্বশেষ তথ্য ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে।
ফুটবল খেলার উপকারিতা
ফুটবল খেলার শরীরের জন্য উত্তম ব্যায়াম। নিয়মিত ফুটবল খেলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও শরীরের পুষ্ট, কর্মদক্ষ ও কষ্ট সহিষ্ণু হয়।তাই দেহ ও মনের বিকাশের জন্য এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
ফুটবল খেলার অপকারিতা
ফুটবল খেলায় হাত-পা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া এ খেলায় বেশ উত্তেজনাকর বিধায় যেকোনো সময় দুদলের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনারও আশঙ্কা থাকে।
শেষ কথা
এইযে, বর্তমান বিশ্বে অন্যান্য খেলার যে ফুটবল খেলার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। খেলাটির যেমন আনন্দ দেয় তেমন সাম্য ও প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করে। আজকের এই পর্ব যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা কোন মতামত যদি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url