শ্রমের মর্যাদা রচনা ২৫ পয়েন্ট-শ্রমের মর্যাদা রচনা ssc
প্রিয় পাঠক এই পর্বে আমরা আলোচনা করব শ্রমের মর্যাদা রচনা সম্পর্কে। আপনি যদি
শ্রমের মর্যাদা রচনা সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই
পর্বে আমরা শ্রমের মর্যাদা রচনা সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা অনেকেই
শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে জানি না।
সূচনাঃ কর্মই জীবন সৃষ্টির প্রত্যেকটি
মানুষকে তাদের নিজ নিজ কর্মের উপর বেঁচে থাকতে হয়. ছোট পিপড়া থেকে শুরু করে
বিশাল আকৃতির হাতিকেউ পর্যন্ত পরিশ্রম করতে হয়। এই পরিশ্রম দ্বারা মানুষ অন্য
প্রাণী থেকে নিজেকে আলাদা করেছে। বলা যায় মানুষ ও সভ্যতার অগ্রগতির মোলে রয়েছে
পরিশ্রমের অবদান।
শ্রম কিঃ দৈনিক খাটুনি ও মেহনতী হচ্ছে
শ্রমের আভিধানিক অর্থ। সাধারণত যেকোনো ধরনের কাজই হলো শ্রম। পরিশ্রম হচ্ছে এ
পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সংগ্রামের প্রধান হাতিয়ার। পরিশ্রমের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে
বিশ্ব ও মানব সভ্যতার স্তম্ভ।
শ্রমের শ্রেণীবিভাগঃ শ্রম দুই প্রকার,
একটি হল মানসিক শ্রম আর একটি হলো শারীরিক শ্রম। শিক্ষক ডাক্তার সাংবাদিক অফিসের
কর্মচারী এ শ্রেণীর মানুষ যে ধরনের শ্রম দেয় তাদেরকে মানসিক শ্রম বলে। অন্যদিকে
কৃষক শ্রমিক তাঁতি জেলে দিনমজুর মানুষ যে শ্রম দেয় তাকে শারীরিক শ্রম
বলে।
শ্রমের প্রয়োজনীয়তা
মানুষ নিজের নিজেই ভাগ্যবিধাতা। তার এই ভাগ্যকে নির্ধারণ করতে তাকে প্রচুর
পরিশ্রম করতে হয়। তাই মানব জীবনে পরিশ্রমের প্রয়োজনীয়তা অপরিসম। যারা কর্ম
বিমুখ অলস মানুষ কোনদিন উন্নতি লাভ করতে পারে না। পরিশ্রম ছাড়া জীবনে
উন্নতি একমাত্র কল্পনাতে সম্ভব।
জীবনে আত্মীয় প্রতিষ্ঠান করতে হলে নিরলস পরিশ্রম দরকার। পৃথিবীতে যে জাতি যত
পরিশ্রম সে জাতি তত উন্নতি করেছে। তাই ব্যক্তিগত ও জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত
হতে হলে মানুষকে পরিশ্রমী হতে হবে। একমাত্র পরিশ্রমই মানুষকে সুন্দর ও সার্থক করে
তুলতে পারে।
শ্রমের মর্যাদা
মানুষের জন্ম হয়েছে আল্লাহ তাআলার অধীনে। কিন্তু কর্ম মানুষের অধীনে। জীবনধারণের
তাগিদে মানুষকে নানা ধরনের কাজে লিপ্ত হতে হয়। কৃষক ফসল ফলায় তাঁতি কাপড় বনায়
জেলে মাছ ধরে শিক্ষক ছাত্র পড়ান ডাক্তার চিকিৎসা করেন বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন।
এরা সবাই মানবতার কল্যাণে কাজ করে যায়। পৃথিবীতে কোন কাজে ছোট না। আত্ম ও
পদমর্যাদায় হয়তো সবাই সমান না। কিন্তু এদের প্রত্যেকের সভ্যতা এগিয়ে নিয়ে
চলেছে। তাই সকলের শ্রমের প্রতি আমাদের সম্মান মর্যাদা শ্রদ্ধা থাকা উচিত। উন্নত
বিশ্বের কোন কাজকে অসম্মানের চোখে দেখা হয় না।
সমাজের প্রত্যেকটি লোক নিজের কাজকে গুরুত্বসহ করে করার চেষ্টা করে।
তাই বড় বড় রাষ্ট্র যেমন চীন রাশিয়া আমেরিকা ইংল্যান্ড কানাডা প্রভৃতি দেশ আজ
উন্নতির চরম শিখরে অবস্থান করছে। অথচ আমাদের দেশে শারীরিক শ্রমকে মর্যাদার চোখে
দেখা হয় না। আর সেই জন্যই আমাদের সোজলা সুফলা শস্য-শ্যামলা দেশের অধিবাসী হয়েও
আমরা আজও চরম দারিদ্রতার মধ্যে বসবাস করি।
শ্রমের মর্যাদা রচনা pdf
সৌভাগ্য আকাশ থেকে পড়ে না। জীবনে সৌভাগ্য অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও
নিরন্তর সাধনার দরকার হয়। প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা আছে ।
পরিশ্রমের মাধ্যমে সেই সত্য প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে হয়। যে মানুষ তার কর্মকে
জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছে জীবন সংগ্রামে সেই লোকের জয়
হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ঘুমের ঔষধের নাম কি ও দাম কত
কর্মের প্রতি নিবেদিত প্রাণ সে ব্যক্তি জীবনে সফল সৈনিক হতে পেরেছে। কর্মহীন
মানুষ সমাজের বোঝা। তাই শ্রমকে মর্যাদা দেওয়া উচিত এবং সম্মান করা উচিত তাহলে
জীবনে চলার পথে কোন ধরনের বাধা-বিপত্তি থাকবেনা। জীবনের সুখী হতে হলে শ্রমের
কোন বিকল্প নেই। তাইতো আমরা ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি পরিশ্রমী হলো সৌভাগ্যের
প্রসূতি।
শ্রমের মর্যাদা রচনা উক্তি
প্রিয় পাঠক এই পর্বে আমরা জানবো শ্রমের মর্যাদা রচনার বিশেষ কিছু উক্তি। আপনি
যদি না জেনে থাকেনশ্রমের মর্যাদা রচনার উক্তি তাহলে আজকের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আপনিও
জানতে পারবেন উক্তি। নিচে কিছু উক্তি তুলে দেয়া হলো
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
পরিশ্রমী হলো সকল সুখের চাবিকাঠি।
কিছুই সফল হয় না শ্রম ছাড়া ।- সোফোক্লেস
কোনও শ্রমের ভয় পাবেন না সৎ হওয়ার সাহস করুন ।- রবার্ট বার্নস
দুঃখজনক পরিণতি ডেকে
আনে বিনাশ্রমে অর্জিত সম্পদ । - মহিউদ্দিন
আমরা জানি মানুষকে অসম্মান করে না শ্রম । - রাষ্ট্রপতি ইউলিসেস এস গ্রান্ট
তার কিছুই আশা করা উচিত নয় যার জীবনে শ্রমের যন্ত্রণা নেই। - কার্ভেন্টিস
ধারণার জন্ম দেয় শ্রম । - জিম রোহান
শ্রমময় সাধনা সেই করতে পারে যে শ্রমকে ভালােবাসে, । - জে জি হল্যান্ড
উপসংহার
পরিশ্রম শুধু সৌভাগ্যের নিয়ন্ত্রক নয় সভ্যতা বিকাশের ও সহায়ক। মানব সভ্যতা
উন্নতির ও অগ্রগতির জন্য পরিশ্রম অপরিহার্য। আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম
বাংলাদেশের নাগরিক। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ও সাধনা আমাদের। তাই কোন প্রকার
শ্রম থেকে আমাদের মুখ ফিরিয়ে থাকলে চলবে না। শ্রমের বিজয় রথে চরে আমাদের
উন্নত সভ্যতার সিংহদারেরে পৌঁছাতে হবে। আজকে আমরা এখানেই শেষ করছি। যদি আমাদের
এই পর্বটি আপনাদের কোন উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবের সাথে
শেয়ার করবেন আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url