কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম - কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো
প্রিয় পাঠক আপনি যদি কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম - কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো জানতে চান
তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আজকে আমরা আলোচনা করব কৃমির ঔষধ
খাওয়ার নিয়ম এবং কোন ওষুধটি সবথেকে বেশি কার্যকর সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন
আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম - কৃমির ঔষধ
কোনটা ভালো।
আপনি নিশ্চয়ই কিমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম এবং কোন ঔষধটি সবথেকে ভালো জানতে চাচ্ছেন?
আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কিমি রোগ
ভালো হওয়ার কোন ওষুধটি সবথেকে ভালো সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন এই পর্বের মাধ্যমে
জেনে নেওয়া যাক কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম - কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো।
বড়দের কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি বড়দের কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার
জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বড়দের এই ট্যাবলেট খাওয়ার
নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক বড়দের
কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম।
কৃমি আমাদের শরীরের শত্রু তাই কোন অবস্থাতেই পেটে কৃমিকে রাখা চলবে না।
কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিলে প্রথমেই অভিভাবকদের মনে আসে হাজারো প্রশ্ন।
কখন খাওয়াবো, কিভাবে খাওয়াব, কোন সময় খাওয়ানো যাবে গরমে নাকি শীতে নাকি
বর্ষাতে ইত্যাদি প্রশ্ন জমে থাকে। তবে বাজারে যে সমস্ত কৃমিনাশক রয়েছে তা
সবগুলোই নিরাপদ। এবং বছরের যে কোন সময় বা দিনের যেকোনো সময়ে খাওয়ানো
যাবে।
খালি পেটে নাকি ভরা পেটে এটাও বিষয় না। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য
কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার তেমন কোন নিয়ম নেই।
কৃমির ঔষুধ খাওয়ার নিয়ম খালি পেটে
আপনি নিশ্চয়ই কৃমির ঔষুধ খাওয়ার নিয়ম খালি পেটে জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি
সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন খালি পেটে এই
ওষুধটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কৃমির ঔষুধ খাওয়ার নিয়ম
খালি পেটে। অনেকের মধ্যেই ভুল ধারণা প্রচলনতি রয়েছে যে কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর
সঠিক নিয়ম নিয়ে এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে।
কৃমির ঔষধের কোন পার্শ প্রতিক্রিয়া নেই এবং এই ওষুধটি যে কোন নিয়মেই খাওয়া
যায়।কখন খাওয়াবো, কিভাবে খাওয়াব, কোন সময় খাওয়ানো যাবে গরমে নাকি শীতে
নাকি বর্ষাতে ইত্যাদি প্রশ্ন জমে থাকে। তবে বাজারে যে সমস্ত কৃমিনাশক রয়েছে তা
সবগুলোই নিরাপদ।
এবং বছরের যে কোন সময় বা দিনের যেকোনো সময়ে খাওয়ানো যাবে। খালি পেটে
নাকি ভরা পেটে এটাও বিষয় না। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য কৃমির ট্যাবলেট
খাওয়ার তেমন কোন নিয়ম নেই।
কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয়
আপনি নিশ্চয়ই কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয় জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক
জায়গায় এসেছেন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কৃমির ট্যাবলেট চুষে
খেতে হয় কিনা সেই সম্পর্কে?কৃমির ঔষধ চুষে খেতে হয় নাকি পানি দিয়ে খেতে হয়
জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে
খেতে হয় নাকি পানি দিয়ে খেতে হয় সেই সম্পর্কে। কৃমির ঔষধ খাওয়ার তেমন কোন
নিয়ম বা ধরা বাধা নেই। শুধুমাত্র বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এক বছরের কম বয়সি
শিশুদের কৃমির ওষুধ দেওয়া যাবে না।
এই ওষুধটি আপনি যেভাবে ইচ্ছায় খেতে পারেন। অনেকেই রয়েছে চুষে খেতে পারেনা
তারা পানি দিয়ে গিলে খেলেও কাজ হবে। আর যারা চুষে খেতে পারে তাদের ও উপকার
হবে।
শিশুদের কৃমির ঔষুধ খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি শিশুদের কৃমির ঔষুধ খাওয়ার নিয়ম জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য?
এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন শিশুদের ক্ষেত্রে কৃমির ঔষধ
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ খাওয়ার নিয়ম জানতে এই
পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক শিশুদের কৃমির ঔষুধ খাওয়ার
নিয়ম। বাংলাদেশের বাচ্চাদের একটি বড় সমস্যা হলো কৃমি। দূষিত এবং অপরিচ্ছন্ন
খাদ্যদ্রব্য ও মলমূত্র কিংবা মাটি থেকে কৃমিছড়াতে পারে।
আক্রান্ত ব্যক্তির মলমূত্র মাটির সঙ্গে মিশে মাটিকে দূষিত করে এবং কৃমির ডিম
মাটির সাথে মিশে যায় যার ফলে সুস্থ মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে।
দূষিত মাটি, দূষিত পানি, অপরিষ্কার গৃহস্থালী দ্রব্য, অস্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন,
বড় নখ, শৌচালয় ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে হাত না ধোয়া, খালি পায়ে মাটিতে
হাটা, ফলমূল খাওয়ার পূর্বে না ধুয়ে খাওয়া, যথেষ্ট সময় না নিয়ে খাবার
রান্না করা, ইত্যাদি কৃমিতে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ কারণ সমূহ।
বাংলাদেশে মূলত গুড়া কৃমি, ফিতা কৃমি ও গোল কৃমির পাদুর্ভাব বেশি ও এরা
পরজীবী।
মেবেনডাজোল ক্রিমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে দুই বছর উর্ধ্বে বয়সী শিশুদের
ক্ষেত্রে এক দোষ করে দিনে দুইবার তিন দিন খেতে হবে। এতে যদি সমস্যা ভালো না হয়
তবে সাত দিন পরে পুনরায় একই ভাবে খেতে হবে।
এছাড়াও গুড়া কৃমির ক্ষেত্রে স্যান্টোনাইন ট্যাবলেট, প্রতিদিন তিনটি করে খেতে
হয়। এবং রাতে খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে খেতে হয়।
কৃমির ঔষুধ কোনটা ভালো
কৃমির ঔষুধ কোনটা ভালো জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন
আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কৃমির ঔষুধ কোনটা ভালো। বাজারে
বিভিন্ন ধরনের কৃমির ঔষধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে সবথেকে ভালো ও কার্যকরী ঔষধ
গুলো হলো-
মেবেনডাজল
এটি সিরাপ বা ট্যাবলেট হিসেবে শিশুদের দেওয়া হয়ে থাকে। বাজারে এটি এরমক্স
বা নেবেন নামে পাওয়া যায়। দুই বছরের ওপরে বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এক চা
চামচ বা 100 মিলিগ্রাম করে দৈনিক দুইবার তিন দিন খাওয়াতে হবে।
পাইরেনটাল পায়োমেট
এটি মূলত বাজারে মেলফিন বা ডিলেনটিন নামে পাওয়া যায়। এক বছর বয়সী শিশুদের
জন্য 10 মিলিগ্রাম / কেজি হিসেবে ডোজ দেওয়া হয়।
লিভোমিসেল
এটি মূলত বাজারে কেটেক্স নামে পাওয়া যায়। শিশুর প্রতি কেজি ওজনের 3
মিলিগ্রাম মাত্রায় এক ডোজ দেওয়া যায়।
এছাড়াও বাজারে আরও কিছু কৃমির ঔষধ পাওয়া যায়। এগুলো হল-Albezen Tablet,
Estazol Tablet,& Almex Tablet এগুলো কিমির ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
কৃমির ঔষুধ খাওয়ার পর কি ভিটামিন খেতে হয়
আপনি যদি কৃমির ঔষুধ খাওয়ার পর কি ভিটামিন খেতে হয় জানতে চান তবে এই পর্বটি
আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কৃমির ঔষধ খাওয়ার পর ভিটামিন
খেতে হয় কিনা সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া
যাক কৃমির ঔষুধ খাওয়ার পর কি ভিটামিন খেতে হয় কি না।
নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের দেশ হওয়ায় অপুষ্টিজনিত ও ভিটামিনের অভাবে দেশের
প্রায় শিশুই আক্রান্ত। এক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি ভিটামিন
দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে তবে কৃমির ঔষধ খাওয়ালে যে শিশুকে ভিটামিন খাওয়াতে
হবে এতে কোন যুক্তি নেই। তবে ভিটামিনের ক্ষেত্রে ভিটামিন খাওয়ালে কোন ক্ষতি
নেই।
কৃমির ঔষুধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি কৃমির ঔষুধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য।
আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কৃমির ওষুধের নাম কি ও এগুলো
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
তাহলে চলুন আজকের এই পর্বে জেনে নেওয়া যাক কৃমির ঔষুধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের কৃমির ঔষধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে সবথেকে ভালো ও কার্যকরী
ঔষধ গুলো হলো-
মেবেনডাজল
এটি সিরাপ বা ট্যাবলেট হিসেবে শিশুদের দেওয়া হয়ে থাকে। বাজারে এটি এরমক্স বা
নেবেন নামে পাওয়া যায়। দুই বছরের ওপরে বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এক চা চামচ বা
100 মিলিগ্রাম করে দৈনিক দুইবার তিন দিন খাওয়াতে হবে।
পাইরেনটাল পায়োমেট
এটি মূলত বাজারে মেলফিন বা ডিলেনটিন নামে পাওয়া যায়। এক বছর বয়সী শিশুদের
জন্য 10 মিলিগ্রাম / কেজি হিসেবে ডোজ দেওয়া হয়।
লিভোমিসেল
এটি মূলত বাজারে কেটেক্স নামে পাওয়া যায়। শিশুর প্রতি কেজি ওজনের 3 মিলিগ্রাম
মাত্রায় এক ডোজ দেওয়া যায়।
এছাড়াও বাজারে আরও কিছু কৃমির ঔষধ পাওয়া যায়। এগুলো হল-Albezen Tablet,
Estazol Tablet,& Almex Tablet এগুলো কিমির ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পিরিয়ডের সময় কৃমির ঔষুধ খাওয়া যায়
আপনি নিশ্চয় পিরিয়ডের সময় কৃমির ঔষুধ খাওয়া যায় কিনা না জানতে চাচ্ছেন। হ্যাঁ
আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন পিরিয়ড চলাকালীন
সময়ে কৃমির ঔষধ খাওয়া যাবে কিনা সেই সম্পর্কে।পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে এই
ওষুধটি খাওয়া যাবে কিনা জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক পিরিয়ডের সময় কৃমির ঔষুধ
খাওয়া যায় কিনা সেই সম্পর্কে। আমরা অনেকেই ভেবে থাকি যে পিরিডের সময়
কৃমির ওষুধ খেলে হয়তো অনেক ক্ষতি হবে। আবার অনেকেই রয়েছে যারা অন্য
কাউকে প্রশ্ন করতে পারেনা।
তাই আজকের পর্বটি শুধুমাত্র আপনাদের জন্যই। পিরিয়ডের সময় কৃমির ঔষধ খাওয়া
যাবে। তবে মাসিকের পর খাওয়া ভালো।
শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয় কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম - কৃমির
ঔষধ কোনটা ভালো জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই পর্বটি সম্পর্কে কোন মতামত থেকে
থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে
তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url