পোকামাকড় কামড়ালে কি করতে হবে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমরা আলোচনা
করব পোকামাকড় কামড়ালে কি করতে হবে এ সম্পর্কে। আপনারা যদি না জেনে থাকেন
পোকামাকড় কামড়ালে কি করতে হবে তাহলে আজকের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে আপনি দ্রুত পোকামাকড় কামড়ালে প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিন পোকামাকড় কামড়ালে কি করতে হবে। আজকের এই পর্বে
আমরা নিম্নের সব ধরনের প্রকার সম্পর্কে আলোচনা করব। জানতে হলে আমাদের সঙ্গে
থাকুন।মশার কামড়ের চুলকানি বন্ধ করার উপায়
আমরা এই পর্বে আলোচনা করব মশার কামড়ের চুলকানি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়। আপনি যদি
না জেনে থাকেন মশার কামড়ের চুলকানি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে তাহলে আজকের
এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে করুন তাহলে আপনি জানতে পারবেন মশার কামড়ে চুলকানি বন্ধ
করার উপায় সম্পর্কে।
আপনার যদি মশাতে কামড় দেয় তাহলে আপনি কত স্থানে হালকা মধু
ব্যবহার করতে পারে যেখানে মশাতে কামড় দিয়েছে সেখানে হালকা মধু দিয়া আস্তে করে
হাত বোলাতে থাকেন তাহলে অল্প কিছুক্ষণ পর আপনি আরাম পাবেন। এছাড়াও ক্ষতস্থান
যেখানে সেখানে এলকোহল জাতীয় কোন কিছু দিয়ে রাখেন তাহলে অল্প কিছুক্ষণ পর বেশ
আরাম পাবেন। সবচাইতে সহজ বুদ্ধি হলো যেখানে মশা কামড় দিয়েছে সেখানে এলোভেরা জেল
দিতে পারে তাহলে সবচেয়ে দ্রুত আরাম পাবেন।
আরো পড়ুনঃ শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে
মাছির কামড় দেখতে কেমন হয়
আপনি কি জানেন মাছির কামড় দেখতে কেমন হয় নিশ্চয়ই জানেননা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের
এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আপনি জানতে পারবেন মাছির কামড় দেখতে কেমন হয়। যেখানে মাছির কামড় দেয় সেখান কার অংশ অনেক লাল হয়ে যায় এবং তার চারিপাশে লাল দাগ
হয় এবং তীব্র ব্যাথা অনুভব হয়।
মৌমাছির কামড়ে ফোলা কমানোর উপায়
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা এই পর্বে জানবো মৌমাছির কামড়ে ফোলা কমানোর উপায়
সম্পর্কে, যদি কাউকে মৌমাছি কামড় দেয় তাহলে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে
দ্রুত ফোলা কমে যায় এবং ব্যথাও কমানো সম্ভব। মৌমাছি বা মধু মাছি কামড়ালে ওই
জায়গার লবণ গুঁড়ো করে কেরোসিনের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে আঙ্গুল দিয়ে ঘষে দিলে
অথবা কামড়ের জায়গায় কেরোসিন তেল দিয়ে তার উপর লবণ ঘষে দিলে মৌমাছির বিষ
তৎক্ষণাৎ থেমে যায় ও জ্বালা যন্ত্রণাও অবসান হয়।
এর আগে প্রথম কাজ করতে হবে
মৌমাছির হুল শরীর থেকে বের করতে হবে। যদি বাসায় কেরোসিনের তেল না থাকে তাহলে
শুধু লবণ দিয়ে কয়েক ফোটা জল সহযোগে ওই জায়গায় আঙ্গুল করে ঘষে দিল জ্বালা
যন্ত্রণা ও ফোলা অনেক অংশ কমে যায়।
ভিমরুলের বিষ
ভিমরুল জাতীয় পোকাতে কামড়ালে কামড়ের জায়গায় ছোট পিপুল জলে ঘষে চন্দনের মত
করে লাগালে আরাম পাওয়া যায়। হলুদ বোলতা বা ভিমরুল কামড়ালে হলুদ রঙের পাতলা
কোন কাপড় জলে ভিজিয়ে ধ্বংসিত স্থানে লাগালে আরাম পাওয়া যায়। জলের সঙ্গে এক
থেকে দুই চামচ শুকনো ধনে চিবালে ভিমরুল বোলতা মৌমাছি ইত্যাদির কামড়ের জালা
শান্ত হয়। হলুদ বোলতা বা ভিমরুলের কামড়ের বিষ সাধারণত কম হয়।
সে
তুলনায় কালো ভীমরুল বোলতা যাদের বড় বড় শিং আছে তাদের বিষ অনেক বেশি। এই কালো
জাতীয় ভিমরুল যদি কামড় দেয় তাহলে তুলসী পাতা বেটে তাতে লবণ মিশিয়ে লেপন
করলে বিষ নষ্ট হয় ও জ্বালা যন্ত্রণা কমে যায়।
সাপের বিষ নষ্ট করার উপায়
সাপে কামড়ালে প্রথম এবং একমাত্র কর্তব্য হলো সাপে কাটা জায়গার উপরটা একটা
দড়ি দিয়ে বেঁধে যত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া। এ ব্যাপারে যত
দেরি করবেন রোগীর জন্য তত ক্ষতি হবে। এমনকি বেশি দেরি করার কারণে রোগী মারা
যেতে পারে তবে ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা অবলম্বন করলে রোগীর জন্য কষ্ট একটু কম হবে
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই সাপের বিষ নষ্ট করার উপায় সম্পর্কে
১)সাপে কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে ৫০ গ্রাম ঘিয়ে ১ গ্রাম ফিটকারি মেরে লাগালে
বিষ দূর হয়।
২) সাপে কামড়ালে ১০ থেকে ২০ বা ১০০ থেকে ২০০ মিলি বিশুদ্ধ ঘি রোগীকে খাইয়ে
বমি করালে সাপের বিষের প্রভাব অনেক গুণ কমে যায়।
৩) সাপে কাটার পর বাঁধন দিতে হবে যেমন হাত-পা আঙ্গুল ইত্যাদি জায়গায়
কামড়ালে সেখান থেকে যতটা বিষ ছড়িয়েছে বলে মনে হয় কতটা উপরে বা তার থেকে
তার থেকে ছয় আঙ্গুল বা চার সেন্টিমিটার উপরে দড়ি বা কাপড় দিয়ে শক্ত করে
বাঁধন দিতে হবে এতে রক্তের গতি রোদ হবে এবং সাপের বিষ শরীরে অন্যত্র
ছড়াতে পারবে না।
৪)সাপে কাটা জায়গায় গোটা চুন চেপে ধরলেও সেখান থেকে বিষ রক্ত টেনে নেবে।
চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি ওই জায়গায় একটু খুঁচিয়ে ক্ষতের উপর পটাশিয়াম
পারম্যাগনেট এর দানা ভালো করে ঘুরে করে দিয়ে দেন।
আবারো বলি সাপে কাটা রোগীকে সর্বপ্রথম সম্ভব হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন
করেন
বিচ্ছু কামড় দিলে কি হয়
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চাচ্ছেন বিচ্ছু কামড় দিলে কি হয় এ সম্পর্কে। আপনি
যদি না জেনে থাকেন বিচ্ছু কামড় দিলে কি হয় তাহলে আজকের এই পর্বটি মনোযোগ
সহকারে করুক তাহলে আপনি জানতে পারবেন বিচ্ছু কামড় দিলে কি হয়। সেখান থেকে
প্রতিকার পাওয়ার উপায় কি। নিছে আমরা বিচ্ছু কামড় দিলে কি হয় এবং এর থেকে
পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানব।
কামড়ের জায়গায় যদি বিচ্ছুর হোল ঢুকে থাকে তাহলে সেটা প্রথমে বের করে নিতে
হবে ভুলটা বের করার জন্য কোন সেফটিপিন বা সুচ ব্যবহার করতে পারেন তবে
প্রথমের সেফটিপিন গরম আগুনে ভালো করে তেতে নিতে হবে। কামড়ের জায়গায় প্রথমে ফিটকারির
প্রলেপ দিতে হবে। অথবা বিচিতে কামড়ানোর জায়গায় চুন দিয়ে সেইখানটাতে
পেঁয়াজ ঘষে দিতে হবে। এগুলি প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ হলে রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে
ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমরা এই পর্বে আলোচনা করেছি পোকামাকড় কামড়ালে কি করতে হবে এবং
বিভিন্ন পোকামাকড়ের বিষ কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি আপনাদের যদি এই
পর্বটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে এই
পর্বটি শেয়ার করবেন তাহলে অনেকেরই উপকার হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url