মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি যদি মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক উপায় সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কিভাবে মানসিক চাপ কমানো যায় এবং মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক পদ্ধতির সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক উপায়।
আপনি যদি মানসিক দুশ্চিন্ত এবং মানসিক অশান্তিতে ভুগে থাকেন তবে এই পর্বের
মাধ্যমে জেনে নিন কিভাবে মানসিক চাপ কমানো যায় সেই সম্পর্কে। আজকের এই পর্বের
মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ইসলামিক উপায়ে মানসিক চাপ কমানোর উপায়। তাহলে চলুন
আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যায় মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক উপায়।
মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকারী উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি যদি মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকারী উপায় সম্পর্কে জানতে
চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন
মানসিক চাপ কমানোর জন্য পাঁচটি কার্যকারী উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই
পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকারী উপায়।
১।নিয়মিত ব্যায়াম করা
নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর ভালো থাকবে এবং মানসিকভাবে ও সুস্থতা আশা করা
যায়। নিয়মিত যোগব্যায়াম এর মাধ্যমে মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোন এর নিঃসরণ
কমিয়ে আনা সম্ভব। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে
এন্ডারফিন নামক হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আপনাকে হাসিখুশি রাখতে সাহায্য
করে।
তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। যদি আপনার একদমই
সময় না থাকে সে ক্ষেত্রে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। এটিও আপনাকে
অনেক সাহায্য করবে।
২।বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া ,কথা বলা ,হাসিখুশি থাকা ,খেলাধুলা করা ইত্যাদি
।আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। এমনকি আপনার মানসিক চাপের কারণ যদি
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেন সেক্ষেত্রেও কিছুটা সত্যি অনুভব করবেন।
৩।পর্যাপ্ত ঘুমান
একজন মানসিক চাপ যুক্ত ব্যক্তির কখনোই ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না। কারো কারো মতে
ঘুমের ঔষধ খেয়ে ও ঘুম আসে না। কিন্তু সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ঘুম আমাদের
শরীরকে নতুন জীবন দান করে এবং সতেজ রাখে। নিয়মিত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো
উচিত। এটি আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
৪।নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা এড়িয়ে চলুন
মানসিক চাপে থাকা অবস্থায় নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে থাকুন এবং সব
সময় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করুন। সবসময় ভাবতে থাকুন যা হচ্ছে তা আপনার সঙ্গে
ইতিবাচকভাবেই হচ্ছে। এ ধরনের ভাবনা আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে বিশেষ সাহায্য
করবে।
৫।সঠিক পরিকল্পনা
এ সময় ভুল পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক।। তবে আপনাকে আপনার সমস্যা
অনুযায়ী তালিকা তৈরি করে সেই অনুযায়ী কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে এ
থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা খুঁজে বের করতে হবে। তাই এই সময় শান্ত থাকুন এবং
সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে মানসিক চাপ মোকাবেলা করুন।
মানসিক চাপ কমানোর ঔষধ
আপনি যদি মানসিক চাপ কমানোর ঔষধ এর নাম জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য।
আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমি আলোচনা করব মানসিক চাপ কমানোর জন্য কোন ওষুধ সেবন
করবেন সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক
মানসিক চাপ কমানোর ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত। মানসিক চাপ কমানোর জন্য ওষুধের
নামগুলো নিচে দেওয়া হলঃ বিঃদ্রঃ নিম্নলিখিত ঔষধ গুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া
কোনভাবেই সেবন করা যাবে না।
আরো পড়ুনঃ রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল
- Ibugesic Plus
- Combiflam
- Tizapam
- Brufen MR
- Fenlong
- Endache
- Lumbril
মানসিক চাপ কমানোর খাবার
মানসিক চাপ কমানোর খাবার এর নাম জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন
আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক মানসিক চাপ কমানোর খাবার এর
নাম। গবেষণায় দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের ৫০% মানুষ কোন না কোন কারণে মানসিক
দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকে। এদের মধ্যে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী লোকের সংখ্যা প্রায়
৮০%।
দিন দিন এ সংখ্যা বেড়ে চলেছে। মানসিক চাপের কারণে শরীরে ফ্রি রেডিকেল
তৈরি হয় যা ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম কারণ। উপরে আমরা জেনেছি কিভাবে মানসিক
চাপ কমানো যায় এখন আমরা জানবো কোন খাবারগুলো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
নিচে খাবারের তালিকা দেওয়া হলঃ
- সেমন মাছ
- টার্কির মাংস
- পালং শাক
- জাম
- পেস্তা বাদাম
- আভোকাডো
- বিজ জাতীয় শস্য
- শাকসবজি
- গাজর
- গ্রিন টি
- বেড়ি জাতীয় ফল (স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরি)
- বাদাম
- ডার্ক চকলেট
- টক দই
- রসুন
- ওট
- ওটমিল
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার।
মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক উপায়
মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক উপায় জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন
আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক
উপায়। রোগ শোক, বিপদ-আপদ হতাশা সবকিছুই মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার
পরীক্ষা। আল্লাহ তা'আলা বলেন-
নিশ্চয়ই তুমি জয়লাভ করবে যদি তুমি বিশ্বাসী হও। (সূরা বাকারা)
আরো পড়ুনঃ দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার উপায়
যেকোনো পরিস্থিতিতে মানসিক চাপ ও হতাশা থেকে মুক্তি পেতে কুরআন ও সুন্নাহর আমল
করা। আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা অত্যন্ত আবশ্যিক। মানসিক চাপ কিংবা
হতাশা বেড়ে গেলে আপনি যে আমলগুলো করতে পারেন, এগুলো হল-
- কুরআন তেলাওয়াত করা
- দোয়া ও জিকির করা
- নামাজে মনোযোগী হওয়া
- হাসিখুশি থাকা
- আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল করা\
- তাওবাহ-ইস্তেগফার করা
- দান-সাদ্গা করা
মানসিক চাপ ও হতাশা থেকে মুক্তির দোয়াঃ
উচ্চারণঃ"ইয়া-হাইয়ু ইয়া-কাইয়ুম বিরাহমাতিকা আত্মাগীছ"
অথবা, উচ্চারণঃ" লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলিমিন"
অর্থঃ" হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই; আমি তোমার পবিত্রতা
বর্ণনা করছি। নিঃসন্দেহে আমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত"(তিরমিজি)
এছাড়াও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেরেশানি ও চিন্তার
সময় যে বিশেষ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন।
উচ্চারণঃ" আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়া
আওজু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন দালা'য়িদাইনিওয়া
গালাবাতির রিজাল"(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত)
অর্থঃ" হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি দুশ্চিন্তা ও আপনার আশ্রয় চাই, অপারগতা ও
অলসতা থেকে আপনার আশ্রয় চাই, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে আপনার আশ্রয় চাই আর
ঋণের ভার ও মানুষের দমন-পীড়ন থেকে আপনার আশ্রয় চাই।"
মানসিক স্ট্রেস কমানোর উপায়
মানসিক স্ট্রেস কমানোর উপায় জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন এইভাবে
জেনে নেওয়া যাক মানসিক স্ট্রেস কমানোর উপায়।
নিয়মিত ব্যায়াম করা
নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর ভালো থাকবে এবং মানসিকভাবে ও সুস্থতা আশা করা
যায়। নিয়মিত যোগব্যায়াম এর মাধ্যমে মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোন এর নিঃসরণ
কমিয়ে আনা সম্ভব। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে
এন্ডারফিন নামক হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আপনাকে হাসিখুশি রাখতে সাহায্য
করে। তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। যদি আপনার
একদমই সময় না থাকে সে ক্ষেত্রে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। এটিও
আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার
মানসিক চাপ থাকলে কোন কিছুতেই মন বসে না। এমনকি খাবারের প্রতিও অবহেলা চলে
আসে। সেক্ষেত্রে আপনার শরীর আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই স্বাস্থ্যসম্মত
খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ সময় বিশেষ করে ক্যাফেইন জাতীয় খাবার এড়িয়ে
চলুন।
সঠিক সময়ে খাবার খান
মানসিক চাপে থাকা অবস্থায় খাবারের উপর অবহেলা আসবে এটাই স্বাভাবিক। মানসিক
চাপে থাকা একজন ব্যক্তির কোন কিছুতেই মন বসে না। কিন্তু মনে রাখতে আপনি যদি
সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ না করেন সেটি আপনার শরীরকে অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।
তাই সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করুন। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে রাতের খাবার
পর্যন্ত সঠিক সময়ে খেতে থাকুন। বিশেষ করে ভিটামিন ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ
খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং এর পাশাপাশি আন্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার
খান।
পর্যাপ্ত ঘুমান
একজন মানসিক চাপ যুক্ত ব্যক্তির কখনোই ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না। কারো কারো মতে
ঘুমের ঔষধ খেয়ে ও ঘুম আসে না। কিন্তু সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ঘুম আমাদের
শরীরকে নতুন জীবন দান করে এবং সতেজ রাখে। নিয়মিত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো
উচিত। এটি আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া ,কথা বলা ,হাসিখুশি থাকা ,খেলাধুলা করা ইত্যাদি
।আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। এমনকি আপনার মানসিক চাপের কারণ যদি
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেন সেক্ষেত্রেও কিছুটা সত্যি অনুভব করবেন।
নিজেকে সময় দিন
আপনাকে প্রথমেই নিজেকে জানতে হবে। কোন কোন বিষয়গুলো আপনাকে মানসিকভাবে চাপে
রাখে সেই বিষয়গুলো জানতে হবে। আপনার বর্তমান অবস্থা পরিস্থিতি ইত্যাদি
সমস্যা নিয়ে নিজে ভাবুন এবং এর থেকে কি করে মুক্তি পাওয়া যায় এর সমাধান
বের করুন।
নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা এড়িয়ে চলুন
মানসিক চাপে থাকা অবস্থায় নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে থাকুন এবং সব
সময় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করুন। সবসময় ভাবতে থাকুন যা হচ্ছে তা আপনার সঙ্গে
ইতিবাচকভাবেই হচ্ছে। এ ধরনের ভাবনা আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে বিশেষ সাহায্য
করবে।
পছন্দের কাজ
আপনার খুব পছন্দের কাজগুলো এ সময়ে খুব কাজে দেবে। আপনার যা করতে ভালো লাগে
তাই করুন। ছবি আঁকা, গান শোনা, বই পড়া, পড়তে যাওয়া, ঘুরতে যাওয়া খেলাধুলা
করা ইত্যাদি হতে পারে।
ডায়েরী লেখা
অনেক সময় অনেকে মনে করেন তাদের কথাগুলো ডাইরিতে বা অন্য কোথাও লিখলে হয়তো
কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়। আপনি আপনার নিত্য দিনের সকল কাজকর্ম আপনার ভালো
লাগা লাগা আপনার ভবিষ্যত চিন্তা সবকিছু নিয়ে ডায়েরি লিখতে পারেন। ডাইরি
লেখার এই অভ্যাসটি আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে অনেকটাই সাহায্য করবে।
যোগ ব্যায়াম করা
নিয়মিত যোগব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর সাথে
আপনি গভীর শ্বাস নেওয়ার ব্যায়ামটিও করতে পারেন এটি আপনার শরীরকে শিথিল
করবে। এর সাথে আপনার আত্মবিশ্বাস কে বাড়াতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য
করবে।
নিজেকে শিথিল রাখুন
মানসিক চাপ মোকাবেলায় নিজেকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যন্ত জরুরি। এতে করে
মানসিক চাপ আপনার কোন ক্ষতি করতেই পারবে না আর এটা দূর হতে ও তেমন বেগ পেতে
হবে না। নিজেকে শিথিল রাখতে মনকে ও শরীরকে ভালো রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে আপনি
আপনার পছন্দের গান শোনা বা শরীর মেসাজ করাতে পারেন।
সঠিক পরিকল্পনা
এ সময় ভুল পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক।। তবে আপনাকে আপনার সমস্যা
অনুযায়ী তালিকা তৈরি করে সেই অনুযায়ী কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে এ
থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা খুঁজে বের করতে হবে। তাই এই সময় শান্ত থাকুন এবং
সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে মানসিক চাপ মোকাবেলা করুন।
উদ্বিগ্নতা দূর করার উপায়
উদ্বিগ্নতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক উদ্বিগ্নতা দূর করার উপায়।
উদ্বিগ্নতা দূর করার কিছু উপায় নিচে দেওয়া হলঃ
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
- স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান
- নিয়মিত ঘুমান
- বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখুন
- সবার সাথে ভালো ব্যবহার করুন
- সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করুন
- ডায়রি লিখুন
- সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করুন
- ভালো লাগার কাজগুলো করুন
- নিজেকে সময় দিন
- ভ্রমনে যান
- নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা দূর করুন
- নিজেকে শান্ত রাখুন
- যোগ ব্যায়াম করুন
- শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে ধর্মীয় কাজে যুক্ত থাকুন
মানসিক চাপ কেন হয়
আপনি কি জানেন মানসিক চাপ কেন হয়? যদি না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি আপনার
জন্য। চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক মানসিক চাপ কেন
হয়। পারিবারিক নানারকম সমস্যা, কর্ম ক্ষেত্রে সমসা, সম্পর্ক নষ্ট হয়ে
যাওয়া, সম্পর্কে অবনতি, পড়াশোনার প্রেসার, সংসারের পেশা্র, অর্থনৈতিক কারণ,
স্বাস্থ্য হীনতা কিংবা আপন জনের মৃত্যু ইত্যাদি কারণে মানসিক চাপ হতে পারে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ স্বাস্থ্য ধুঁকির অন্যতম কারণ।
নিজেকে ভালো রাখতে ও সুস্থ
স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে মানসিক চাপ কমানো অত্যন্ত জরুরী। বিশেষজ্ঞদের মতে
একা একা কখনো মানসিক চাপ কমানো সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়
পরিজন ও প্রিয় মানুষটি আপনার মানসিক চাপ কমানোর অন্যতম মাধ্যম। প্রয়োজনে
মানসিক চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক
উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই পর্বটি সম্পর্কে কোন মতামত থেকে
থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে
তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url