১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা - ১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা

প্রিয় পাঠক আপনি যদি ১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা  এবং ১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব ১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা , ১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা  সম্পর্কে। ১৫ ই আগস্ট এর রচনা জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক ১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা ।

১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা
আপনি যদি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা  উপস্থাপন করতে চান এবং ১৫ আগস্ট এর রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা দেখাবো ১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা  এবং রচনা সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যায় ১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা - ১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা ।

১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা

আপনি যদি ১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বে আমরা আজকে আলোচনা করব ১৫ই আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক ১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। শুরু করছি আল্লাহ তাআলার নামে। আজ ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট অর্থাৎ আজকের এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং তার সপরিবার কে হত্যা করা হয়। আজকের এই শোক সভায় গভীরভাবে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ৭৫ এর কালো রাতের সকল শহীদদের প্রতি।

আজকের এই দিনে আমি আরো স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ৩০ লক্ষ শহীদদের। স্মরণ করছি ইজ্জত হারানো ২ লক্ষ মা বোনকে সেই সাথে আমি আরো স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা কে।

১৯৭৫ সাল ১৫ই আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার বাড়ির এমন হত্যাকাণ্ড চালায় হত্যাকারী ঘাতক বাহিনী। সেদিনের সেই নির্মম দিনে পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনসহ মোট ১৬ জনকে হত্যা করা হয়। ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শিশু শেখ রাসেল।

কিন্তু ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়ে যাই বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা। তারা দেশের বাইরে থাকার ফলে ভাগ্যক্রমে ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পায়। যে মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেই অবিসংবাদিত নেতাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

আমি আবারও বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ ই আগস্টে শহীদ হওয়া সকল শহীদদের স্মরণ করে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করছি।

১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা pdf

আপনি যদি ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা pdf সংগ্রহ করতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে 15 ই আগস্ট এর বক্তৃতা pdf সংগ্রহ করতে পারবেন। ১৯৭৫ সাল ১৫ই আগস্ট ধানমন্ডির ৩২নাম্বার বাড়ির এমন হত্যাকাণ্ড চালায় হত্যাকারী ঘাতক বাহিনী। সেদিনের সেই নির্মম দিনে পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনসহ মোট ১৬ জনকে হত্যা করা হয়। ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শিশু শেখ রাসেল।

কিন্তু ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়ে যায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা। তারা দেশের বাইরে থাকার ফলে ভাগ্যক্রমে ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পায়। যে মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেই অবিসংবাদিত নেতাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আপনি যদি ১৫ ই আগস্টের বক্তব্যর PDF ডাউনলোড করতে চান তবে এখানে ক্লিক করুন।

জাতীয় শোক দিবস এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২৩

আপনি যদি জাতীয় শোক দিবস এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২৩ জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা দেখাবো জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য কিভাবে দিবেন সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন এখান থেকে সংগ্রহ করা যাক জাতীয় শোক দিবস এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২৩।

এখানে উপস্থিত আমার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ছোট ভাইদের জানাই আমার পক্ষ থেকে সালাম আসসালামু আলাইকুম। আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এই অনুষ্ঠানে আমাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া জন্য।

আজকের এই দেশের অনুষ্ঠানে আমরা উপস্থিত হয়েছি জাতীয় শোক দিবস পালন করার উদ্দেশ্যে। ১৯৭৫ সাল ১৫ই আগস্ট একদল সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা সেদিন বাঙালির ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ করেছে। আজকের এই দিনে সকল বাঙালির প্রিয় নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে।

এখানে উপস্থিত আমার ভাই ও বোনেরা,
১৯৭৫ সাল ১৫ই আগস্ট ধানমন্ডির৩২ নাম্বার বাড়ির এমন হত্যাকাণ্ড চালায় হত্যাকারী ঘাতক বাহিনী। সেদিনের সেই নির্মম দিনে পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনসহ মোট ১৬ জনকে হত্যা করা হয়। ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পায়নে শিশু শেখ রাসেল।

কিন্তু ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়ে যাই বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা। তারা দেশের বাইরে থাকার ফলে ভাগ্যক্রমে ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পায়। যে মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেই অবিসংবাদিত নেতাকে হারাই হারিয়েছে বাংলাদেশ।

আমি আবারও বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ ই আগস্টে শহীদ হওয়া সকল শহীদদের স্মরণ করে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করছি।

১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা ২০২৩

১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা সম্পর্কে জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক ১৫ আগস্ট সম্পর্কে চমৎকার একটি রচনা ।

ভূমিকাঃ

দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে যখন দেশ একটু একটু এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সহ পরিবারকে হত্যা করে ফেলে। 

সেদিন জাতির ইতিহাসে রচিত হয় অন্য এক কালো অধ্যায়। যার নেতৃত্বে বাঙালি জাতির স্বাধীন হয়েছিল তাকে মেরে ফেলেছিল একদল শাসক হায়নার দল। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট এর পর বাঙালির জাতি হয়ে পড়ে অভিভাবক শূন্য। সেদিন থেকে দেখা দেয় দেশে চরম দুর্নীতি এবং অনিয়ম।

বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় শোক দিবস

বাঙালি জাতির পুরো জীবনে যে কয়েকজন মানুষ ইতিহাস সৃষ্টি করতে পেরেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার ডাকে সাড়া দিয়েছিল একদিন সমগ্র বাঙালি জাতি। ৩০ লক্ষ বাঙালির রক্তের রঞ্জিতের বাংলাদেশ তিনি হয়ে উঠেছিলেন মুক্তির পথিক হয়েছিলেন মানুষের মনের মধ্যে গাথা। 

পৃথিবীর খুব কম নেতা তার মত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে। কিন্তু তাকেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট আজকের এই দিনে। এই জন্য আজকের এই দিনটিকে বাংলাদেশ ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট এর আগস্টের প্রেক্ষাপট

স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের কোন ১১ই জানুয়ারির তারিখ হতে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন কার্যকর ছিল। এ সময়ে মাত্র তিন বছর ৮ মাসের মাথায় স্বাধীনতা যুদ্ধ নেতৃত্বদানকারী বাঙালি জাতির একমাত্র আস্থার প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের একক ও সর্বাত্মক নেতৃত্ব আওয়ামীলীগ দলীয় সরকারের পতন ঘটে ও নেতৃত্বের অবসান হয়ে যায়।

১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট সেদিন যাদের হত্যা করেছিল ঘাতক দল

১৫ই আগস্ট ভোর রাতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ বাসভবনে সেনাবাহিনীর কতিপয়ে বিশ্বাসঘাতক অফিসারদের হাতে ভোররাতে নিহত হন। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বেগম ফজলুতুননেসা, বঙ্গবন্ধুর পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল, এবং বঙ্গবন্ধুর দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী কামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, 

ভগ্নিপতি ও কৃষি মন্ত্রী আব্দুল রব, সেরনিয়াবাত ও তার কন্যা বেবি সেরনিয়াবাত পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহবাবু সহ ১৬ জনকে সেদিন ঘাতকরা হত্যা করে। সেই সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা দেশের বাইরে থাকার কারণে বেচে যান।

১৫ ই আগস্ট এর পরবর্তী ঘটনাঃ

১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শহীদ হবার পর দেশের সামরিক শাসন জারি করা হয়েছিল। কেড়ে নিয়েছিল জনগণের ভাত অধিকার এবং ভোটের অধিকার। বিশ্ব মানবাধিকার রক্ষার জন্য হত্যাকারীদের বিচার বিধান রয়েছে 

কিন্তু বাংলাদেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীকৃতি খুনিদের বিচার হাত থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য  সেপ্টেম্বর এক সামরিক অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল।

উপসংহার

১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট ছিল বাঙালি জাতির জীবনের কলঙ্কময় অধ্যায়। বাঙালি জাতি এই দিনটি পালন করে শোকের মধ্য দিয়ে। কেননা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এভাবে নির্মমভাবে খুন হতে হয় এই দিনে। এর চেয়ে বড় বেদনার মুহূর্ত বাঙালি জাতির জন্য আর হয় না। তাই এই দিনটি বাংলাদেশের ২০কোটি মানুষ গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করে।

১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস

স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী। এমন একটি দিবস যেদিন আমাদের জাতির পিতা কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আর এটি করা হয় ষড়যন্ত্র করে। শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নয় তার পুরো পরিবারকে সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। 

বঙ্গবন্ধু এমন একজন মানুষ যার জন্য বাঙালিরা নতুন করে আসা ফিরে পেয়েছিল স্বাধীন হওয়ার। নতুন করে লড়াই করার সাহস খুঁজে পেয়েছিল। আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পিছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল অনেক বড় একটি অবদান। তারে এই অবদান বাঙ্গালীরা কখনো ভুলবেন না। তিনি আমাদের জাতির পিতা। 

তার মৃত্যু দিবস আমাদের সকল বাঙ্গালীদের কাছে একটি শোক দিবস। আর এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস কততম শোক দিবস

আপনি কি জানেন ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস কততম শোক দিবস। যদি না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস কততম শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট ছিল বাঙালি জাতির জীবনের কলঙ্কময় অধ্যায়। 

বাঙালি জাতি এই দিনটি পালন করে শোকের মধ্য দিয়ে। কেননা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এভাবে নির্মমভাবে কোন হতে হয় এই দিনে। এর চেয়ে বড় বেদনার মুহূর্ত বাঙালি জাতির জন্য আর হয় না। তাই এই দিনটি বাংলাদেশের ২০কোটি মানুষ গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করে। ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ৪৮ তম শোক দিবস।

১৫ আগস্ট শোক দিবসের বক্তব্য

আপনি যদি ১৫ আগস্ট শোক দিবসের বক্তব্য জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন এই পর্বে জেনে নেওয়া যাক ১৫আগস্ট শোক দিবসের বক্তব্য।

এখানে উপস্থিত আমার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ছোট ভাইদের জানাই আমার পক্ষ থেকে সালাম আসসালামু আলাইকুম। আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এই অনুষ্ঠানে আমাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া জন্য।

১৫ আগস্ট শোক দিবসের বক্তব্য ।আজকের এই দেশের অনুষ্ঠানে আমরা উপস্থিত হয়েছি জাতীয় শোক দিবস পালন করার উদ্দেশ্যে। ১৯৭৫ সাল ১৫ই আগস্ট একদল সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা সেদিন বাঙালির ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ করেছে। আজকের এই দিনে সকল বাঙালির প্রিয় নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে।

এখানে উপস্থিত আমার ভাই ও বোনেরা,

১৯৭৫ সাল ১৫ই আগস্ট ধানমন্ডির ৩২নাম্বার বাড়ির এমন হত্যাকাণ্ড চালায় হত্যাকারী ঘাতক বাহিনী। সেদিনের সেই নির্মম দিনে পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনসহ মোট ১৬ জনকে হত্যা করা হয়। ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পায়নে শিশু শেখ রাসেল।

কিন্তু ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়ে যাই বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা। তারা দেশের বাইরে থাকার ফলে ভাগ্যক্রমে ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পায়। যে মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেই অবিসংবাদিত নেতাকে হারাই হারিয়েছে বাংলাদেশ।

আমি আবারও বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ ই আগস্টে শহীদ হওয়া সকল শহীদদের স্মরণ করে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করছি।

১৫ আগস্টের তাৎপর্য

প্রতিবছর ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বলা যায় রাষ্ট্রীয়ভাবে এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল কলেজে কাল পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং জাতীয় পতাকা অর্থনিমিত রাখা হয়। ১৯৭৫ সালের এই ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ও তার পরিবারকে হত্যা করা হয়। তাই এই দিনটি সকলের কাছে একটি শোক দিবস। এই  দিবসটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

জাতীয় শোক দিবস প্রতিবেদন


১৭ই আগস্ট ২০২৪

বরাবর

প্রধান শিক্ষক

মির্জাপুর ক্যাডেট স্কুল

বিষয়ঃ জাতীয় শোক দিবস পালন সম্পর্কিত প্রতিবেদন।

জনাব,

গত ১৫ই আগস্ট ২০২৪ সালের জাতীয় জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯ তম জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেশ করা হলো। 

মির্জাপুর ক্যাডেট স্কুলের জাতীয় শোক দিবস পালন

যথাযোগ ও মর্যাদা ও ভাব গম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে আগস্ট ২০২৪ তারিখ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯ তম জাতীয় শোক দিবস, স্কুলের প্রাঙ্গণে পালিত হয়। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নির্দেশনায় সেদিন শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল।

সেদিন সকাল ৭ঃ২৫ মিনিটে জাতীয় পতাকা অর্ধ-আমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়েছিল। নবম শ্রেণীর ছাত্র নজরুল ইসলাম পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও তরজমা করেন। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা। এ আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্য দেন৩ জন শিক্ষক ও দুইজন শিক্ষিকা। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতি," বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদান", "বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন", "স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু" ও" মহান নেতা বঙ্গবন্ধু"।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহোদয় সমাপনী বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, আদর্শ এবং একজন নেতা হিসেবে তিনি কতটা উদার ও মহৎ ছিলেন তা তার বিভিন্ন ভাষণ ও লেখা থেকে উদ্ধৃত করে্‌ যা উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি থেকে আরো বৃদ্ধি করে দেয়।

প্রথম পর্বে  একটি ইসলামিক সংগীত পরিবেশন করে সপ্তম শ্রেণীর একজন ছাত্র আবরার ও নবম শ্রেণীর ছাত্র সবুজ হাসান।। সবশেষে ধর্ম শিক্ষক কামরুল হাসান বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।

দ্বিতীয় পর্বে দশটায় বিদ্যালয়ের শুরু হয় রচনা ও চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা চিত্রাঙ্গন এবং নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা রচনা লিখন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। রচনার বিষয় ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু।

এই দিনটি তৃতীয় পর্বে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কাজ কর্মের ওপর বিভিন্ন ক্রমান্য ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করে আনে।

সবশেষে প্রধান শিক্ষক মহোদয়ের প্রতিযোগিতার বিজয়ী প্রথম তিনজনকে বঙ্গবন্ধুর ওপর লিখিত মূল্যবান বইসহ সার্টিফিকেট প্রদান করে, বঙ্গবন্ধুর ৪৯ তম জাতীয় শোক দিবসের সমাপনী ঘোষণা করেন।

প্রতিবেদকের নামঃ সুভাষ চৌধুরী

প্রতিবেদনের শিরোনামঃ জাতীয় শোক দিবস

শেষ কথা।১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা - ১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা 

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয় ১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা২০২৩ এবং ১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। আপনার যদি এই পর্বটি সম্পর্কে কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। আশা করি ১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা আপনি শিখে গিয়েছেন।
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url