নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা - নিউমোনিয়ার লক্ষণ কি
প্রিয় পাঠক আপনি যদি নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা - নিউমোনিয়ার লক্ষণ কি জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ কি সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা - নিউমোনিয়ার লক্ষণ কি।
বর্তমানে এখন অনেকেরই নিউমোনিয়া রোগ হয়ে থাকে। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
বেশি এই রোগটি হয়। আপনি যদি নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা এবং লক্ষণ সম্পর্কে জানতে
চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া
যাক নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা - নিউমোনিয়ার লক্ষণ কি।
নিউমোনিয়া কি বায়ু বাহিত রোগ
নিউমোনিয়া কি বায়ু বাহিত রোগ জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।তাহলে
চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক নিউমোনিয়া কি বায়ু বাহিত
রোগ? নিউমোনিয়া হল ফুসফুসের এক ধরনের সংক্রমিত রোগ।
একটি বা উভয়
ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে। ফুসফুসের থলিগুলো যখন স্ফীত হয়ে আসে এবং বাতাসের
থলিগুলো পুচ বা তরল উপাদান দ্বারা পূর্ণ হয়ে যায় তখন নিউমোনিয়া হয়ে থাকে।
কফ বা পুঁজ সমেত কাশি, ঠান্ডা লাগা জ্বর কিংবা শ্বাসকষ্ট এ রোগের লক্ষণ হতে
পারে।
আরো পড়ুনঃ চোখের রোগের লক্ষণ - চোখের রোগ ও তার প্রতিকার
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির সংক্রমণের কারণে
নিউমোনিয়ার রোগ হতে পারে। বিশেষ করে শীতকালে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই
রোগের পাদুর্ভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক
এরা সবাই নিউমোনিয়ার বাহক। এর অর্থ হল নিউমোনিয়া একটি বায়ুবাহিত রোগ। হাচি
কাশি কিংবা বাতাসের মাধ্যমে এই রোগ গুলি একজন ব্যক্তির মাধ্যমে অন্য
ব্যক্তিদের ছড়িয়ে যেতে থাকে।
এছাড়াও নিউমোনিয়ার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোনো
ব্যক্তি বা স্থান এর সংস্পর্শে গেলেও নিউমোনিয়া ছড়াতে পারে। নিউমোনিয়ায়
আক্রান্ত রোগীর আশেপাশের এলাকায় চলাচলের মাধ্যমেও নিউমোনিয়া ছড়াতে পারে।
এছাড়াও ছত্রাকের আক্রমণে সৃষ্টিকারী নিউমোনিয়া পরিবেশ থেকেও সংক্রমণ সৃষ্টি
করতে পারে। এরা সাধারণত ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে না এরা
পরিবেশের মাধ্যমে ছড়ায়।
নিউমোনিয়ার লক্ষণ কি
আপনি যদি নিউমোনিয়ার লক্ষণ কি জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক নিউমোনিয়ার লক্ষণ কি।
নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ
- সাধারণত সর্দি-কাশি
- নিঃশ্বাসের সমস্যা
- শ্বাসকষ্ট
- বুকে অস্বস্তি ও নিঃশ্বাস বা কাশির সময় প্রচন্ড ব্যথা
- দুর্বলতা
- জ্বর
- বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব
- ডায়রিয়া
- নিঃশ্বাসের সঙ্গে হুইসিং জাতীয় শব্দ।
- বিভ্রান্তি
- মাথাব্যথা
- পেশী ব্যথা
- কাশি
- গলাব্যথা
- বঙ্কাইটিস চিকিৎসা। ইত্যাদি। নিউমোনিয়ায় কখনো কখনো জীবন নাশের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
নিউমোনিয়া কি করোনার লক্ষণ
নিউমোনিয়া হলে আতঙ্কের কিছু নেই। অনেকেই মনে করে থাকে বা অনেকেই জিজ্ঞেস করে
নিউমোনিয়া কি করোনার লক্ষণ? চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক
নিউমোনিয়া কি করোনার লক্ষণ কিনা। করোণা পরিস্থিতিতে নিউমোনিয়া আরো একটি
আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠেছে নিউমোনিয়া কি করোনার লক্ষণ?
নিউমোনিয়া হলো ঠান্ডা জাতীয় রোগ।
আরো পড়ুনঃ আমিষ জাতীয় খাবার কি কি
ফুসফুসের থলিগুলো যখন স্ফীত হয়ে আসে এবং বাতাসের থলিগুলো পুচ বা তরল উপাদান
দ্বারা পূর্ণ হয়ে যায় তখন নিউমোনিয়া হয়ে থাকে। কফ বা পুঁজ সমেত কাশি,
ঠান্ডা লাগা জ্বর কিংবা শ্বাসকষ্ট এ রোগের লক্ষণ হতে পারে। ভাইরাস,
ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়ার রোগ হতে
পারে। বিশেষ করে শীতকালে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই রোগের পাদুর্ভাব বেশি
লক্ষ্য করা যায়। নিউমোনিয়ার লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে-
- সাধারণত সর্দি-কাশি
- নিঃশ্বাসের সমস্যা
- শ্বাসকষ্ট
- বুকে অস্বস্তি ও নিঃশ্বাস বা কাশির সময় প্রচন্ড ব্যথা
- দুর্বলতা
- জ্বর
- বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব
- ডায়রিয়া
- নিঃশ্বাসের সঙ্গে হুইসিং জাতীয় শব্দ। ইত্যাদি
উপরোক্ত লক্ষণ গুলোর মধ্যে করণা রোগের লক্ষণ অনেকাংশে মিলে যায়। ভয়ের কিছু
নেই নিউমোনিয়া করনার লক্ষণ নয়। তবে বর্তমানে করোনার এই সময়ে সবসময়
সতর্কতা অর্জন করে চলা উচিত। বিশেষ করে যাদের নিউমোনিয়ার পাদুর্ভাব রয়েছে
তাদের আরো বেশি করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এসব রোগীদের ক্ষেত্রে করোনা
খুব সহজেই আক্রমণ করতে পারে। তাই করোনা থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকুন।
নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা
আপনি নিশ্চয় নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আপনি সঠিক
জায়গায় এসেছেন। চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক নিউমোনিয়া
রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত। নিউমোনিয়া সনাক্তকরণের জন্য বিভিন্ন
রকম নিউমোনিয়ান ডায়গনস্টিক পরীক্ষা করা হয়।
এ ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে
অণুজীবের পরিচয় এবং কতটা ফুসফুসের ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত ধারণা
পাওয়া যায়। যার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন। তাই সঠিক
চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ার সঠিক ডায়গনস্টিক অপরিহার্য।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন কি- ভিটামিন এর উপকারিতা
সাধারণভাবে নিউমোনিয়ার রোগ শনাক্তকরণ বা এর জীবাণু শনাক্তকরণ অত্যন্ত কঠিন যার
ফলে রোগীর চিকিৎসার ইতিহাস জানতে হয়। এছাড়াও রোগের প্রাথমিক উপসর্গ এবং
পূর্ববর্তী জেনারেশনে কারো এ ধরনের সমস্যা ছিল কিনা তার ইতিহাস ও জানা
প্রয়োজন। আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ এবং স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর ভিত্তিস্বরূপ
সঠিক চিকিৎসার জন্য একজন সার্টিফাইড ডাক্তার যে ধরনের পরীক্ষাগুলো দিয়ে থাকেন।
এগুলোর মধ্যেও রয়েছেঃ-
- বুকের এক্সরে
- সিটি স্ক্যান
- কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট
- ধমনীর রক্তে গ্যাসের পরিমাণ
- ব্যাসিক মেটাবলিক প্যানেল
- স্পুটাম কালচার
- প্লুরাল ফ্লুইড এনালাইসিস
- ব্লাড বিশ্লেষণ
- আর এস ভি পরীক্ষা
- ছত্রাক পরীক্ষা
- ইনফ্লুয়েঞ্জা পরীক্ষা
- লেজিওনেলা
- মাইক্রোপ্লাজমা।
নিউমোনিয়ার এন্টিবায়োটিক
আপনি যদি নিউমোনিয়ার এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে চান তবে এই
পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক নিউমোনিয়ার
এন্টিবায়োটিক ওষুধ সম্পর্কে। নিউমোনিয়ার এন্টিবায়োটি ওষুধের নাম নিচে দেওয়া
হলঃ
- Azithromycin 500 mg
- Am 500 mg
- A TM 500mg
- Az 20 mg
- Adiz 200 mg
- Adiz 500 mg
- Alzith 250 mg
- Alzith 500 mg
- Apozyth 200 mg
- Azicn 250 mg
- Azin 250 mg
এজাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের পাশাপাশি জ্বর, সর্দি কাশি গলা ব্যথা ও
অন্যান্য উপসর্গের জন্য ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের ঔষধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন।
যেহেতু নিউমোনিয়া নিরাময় করা খুব কঠিন সেহেতু সঠিক নিয়ম মেনে ঔষধ সেবন এর
পাশাপাশি আরো অনেক কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো মেনে চলার মাধ্যমে এই রোগ থেকে
কিছুটা উপশম পাওয়া সম্ভব। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন অ্যান্টিবায়োটিক এর ডোজ
শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই ঔষধ সেবন গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন না।
বড়দের নিউমোনিয়ার রোগের লক্ষণ
বড়দের নিউমোনিয়ার রোগের লক্ষণ কি জানতে হলে এর পর্বটি মনোযোগ সহকারে
পড়ুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক বড়দের নিউমোনিয়ার
রোগের লক্ষণ গুলো কি। বড়দের নিউমোনিয়া হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় তা নিচে
দেওয়া হলঃ
- নিঃশ্বাসের সঙ্গে হুইসিং জাতীয় শব্দ।
- বিভ্রান্তি
- মাথাব্যথা
- পেশী ব্যথা
- কাশি
- গলাব্যথা
- বঙ্কাইটিস চিকিৎসা
- সাধারণত সর্দি-কাশি
- নিঃশ্বাসের সমস্যা
- শ্বাসকষ্ট
- বুকে অস্বস্তি ও নিঃশ্বাস বা কাশির সময় প্রচন্ড ব্যথা
- দুর্বলতা
- জ্বর
- বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব
- ডায়রিয়া
নিউমোনিয়া কি ঘটিত রোগ
আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন নিউমোনিয়া কি ঘটিত রোগ? আপনার এই প্রশ্নের উত্তর পেতে এই
পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিউমোনিয়া কি ঘটিত রোগ কিনা চলন এই পর্বের
মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক। নিউমোনিয়া হল ফুসফুসের এক ধরনের সংক্রমিত রোগ।
একটি বা উভয় ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে। ফুসফুসের থলিগুলো যখন স্ফীত হয়ে আসে
এবং বাতাসের থলিগুলো পুচ বা তরল উপাদান দ্বারা পূর্ণ হয়ে যায় তখন নিউমোনিয়া
হয়ে থাকে।
কফ বা পুঁজ সমেত কাশি, ঠান্ডা লাগা জ্বর কিংবা শ্বাসকষ্ট এ রোগের
লক্ষণ হতে পারে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির সংক্রমণের
কারণে নিউমোনিয়ার রোগ হতে পারে।ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক এরা সবাই
নিউমোনিয়ার বাহক। এর অর্থ হল নিউমোনিয়া একটি বায়ুবাহিত রোগ।
শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা -
নিউমোনিয়ার লক্ষণ কি জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই পর্বটি সম্পর্কে কোন মতামত
থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে
থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url