আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ - জাতীয় শোক দিবস কবে
জাতীয় শোক দিবস কত সাল থেকে পালন করা হয়
জাতীয় শোক দিবসের গুরুত্ব
বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট প্রত্যেক বছরেই শোক দিবস পালন করা হয়। ১৯৭৫ সালে কিছু সেনাবাহিনীতে থাকা কিছু সেনা সদস্য আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সহ তার সমস্ত পরিবার হত্যা করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা দেশের বাহিরে ছিলেন।
সে দুইজন হল শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। সেজন্য তারা দুইজন বেঁচে গেছে। এজন্যই ১৫ই আগস্ট কে কাল রাত হিসেবে অনেকে বলেন। বাঙ্গালীদের কাছে এ দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ শোকাহত দিন।
আরো পড়ুনঃ১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা - জাতীয় শোক দিবস এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২৩
১৫ই আগস্ট কাল রাতে যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও স্ত্রী রয়েছেন এবং ছেলে ও তার ছোট ভাইসহ ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধু ছিলেন। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো তার ছেলের এক মাস আগে বিয়ে হওয়ার পর তিনি হত্যা হয়েছিলেন।
সেজন্য বাঙালিরা এই দিনকে কোনদিন এর জন্য ভুলে নাই। এই দিনটির কথা বাঙ্গালীদের মনে আসলেই অনেক কষ্ট হয়। কাল রাতের মত অনেক মানুষের জীবন চলে গেছে। সেজন্য ১৫ আগস্ট কে কালো রাত হিসেবে ধরা হয়।
২৮ এপ্রিল শোক দিবস কেন
২৮ এপ্রিল শোক দিবস বলা হয় কারণ ২৮ এ এপ্রিল হলো একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনে অনেক শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছিল। বিশেষ করে শ্রমিকদের একটি শোকের দিন হলো ২৮ এপ্রিল। আমাদের দেশে যারা শ্রমিক রয়েছেন তারা অনেক ধরনের ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন এবং তাদের মনের ভেতরে যত ধরনের খোব রয়েছে সেগুলো সব কিছুই প্রকাশ করেন ২৮ এপ্রিল এই দিনে।
তারা সাধারণত এই দিনকে নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে প্রচার করার জন্য সুযোগ নেন কিন্তু এটি কোন ধরনের নিরাপত্তা দিবস হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।
বিভিন্ন ধরনের শিল্প কলকারখানা ও সরকার সহ আরো অনেক ধরনের নিরাপত্তা রয়েছে যেগুলো এই দিন উদযাপন করে না। এই দিনে বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকের প্রাণ চলে গেছে অনেক ধরনের মানুষ অনেক গরীব অসহায় তারা অসুস্থ তাই ভুগেছে এভাবেই শ্রমিকরা লক্ষ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অনেক শ্রমিক বাসা থেকে কাজ করার জন্য বেরিয়েছে কিন্তু তারা পরবর্তীতে আর বাসায় ফিরে আসার সুযোগ পায়নি। সাময়িকভাবে ২০২৩ সালে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং শ্রমিকদের শান্তি নিয়ে আসার জন্য তারা আহবান করে থাকে।
সরকার এগুলো হত্যা করা সন্ত্রাসীদের আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয় এবং হত্যা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারিভাবে অনেক ধরনের অর্থনৈতিক সংস্থা রয়েছে তারা হত্যার জন্য যেগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া এবং তাদের নতুন ভাবে জীবন দান করার সুযোগ করে দেওয়া দরকার।
শ্রমিকদের কর্ম ক্ষেত্রে তাদের প্রাণহানি থেকে রক্ষা করা উচিত। উপরোক্ত আমরা আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ জানিয়েছি।
জাতীয় শোক দিবস কি জার্মানি
বাঙালি হল সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বকালের বাঙালি। আমাদের বাঙালির স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদাত বার্ষিকী৪৭ তম এবং জার্মানিতে পালন করা হয়েছিল। সব কর্মচারীরা একটি সামান্য পাঁচতারা হোটেলে রাজধানী স্থানীয় একটি স্থানে জার্মানির বিভিন্ন ধরনের বাঙালি প্রবাসীরা আমাদের জাতীয় শোক দিবস পালন করে থাকে। এই অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া অর্থাৎ তিনি ছিলেন রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশে স্থানীয় সময় হলো সোমবার আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে সকালবেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া অর্থাৎ রাষ্ট্রদূত সহ বিভিন্ন ধরনের কর্মচারীরা কালো পতাকার উপস্থিতি উত্তোলন করেছিলেন। আমাদের জাতীয় পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মান জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন শুরু করার পরে এক মিনিট তারা নীরবতা পালন করেছিলেন।
জাতীয় শোক দিবস হিসেবে বিভিন্ন ধরনের বাণী গুলো ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের ঘটে যাওয়া ঘটনা সহ আরো অনেক কিছু এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো সবকিছু একটি ভিডিও চিত্র মাধ্যমে সবকিছু দেখানো হয়েছিল।
আরো পড়ুনঃ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা - ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা বক্তব্য
জার্মানিতে সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য শুনে এবং তার জীবনের আদর্শ গুলো ও তার আত্মত্যাগগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছিল। আমাদের জাতীয় পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রদ্ধা ও স্মরণ করে তার যেগুলো স্বপ্ন ছিল এবং দেশের দারিদ্র মুক্ত করার জন্য একটি সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ডিজিটালের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য শুনে রাষ্ট্রদূত ১৫ আগস্ট কে অনেক শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বলেছেন আমাদের এই মহান নেতার সবকিছু স্মরণ করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে এবং তার পতাকাকে সারা জীবন উৎসর্গ করেছেন আমাদেরকেও করতে হবে। আমাদের রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া আরো বলেছেন যে ১৫ আগস্ট যেভাবে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে তার পরিবারসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং আরো বাঙ্গালীকে সেজন্য তার স্বপ্নগুলোকে ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিল কিন্তু তিনি যদি থাকতেন তাহলে আমাদের দেশে আরো অনেক এগিয়ে যেত এবং সোনার বাংলাদেশ হয়ে আরো বেশি সম্মানিত হতো।
কিন্তু এখন সেই ১৫ আগস্ট এর কষ্টগুলো বুকে নিয়ে আমাদের শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তিনি পিছুপা হননি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাজের মধ্যে ২০৪১ সালের মধ্যে আরও অনেক উন্নত করবেন বলে জানিয়েছেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস জার্মানিতে এভাবে পালন করা হয়ে থাকে।
জাতীয় শোক দিবস কবে
ইতিহাসের স্মরণীয় ঘটনা হলো জাতীয় শোক দিবস। জাতীয় শোক দিবস ১৫ই আগস্ট পালিত হয়ে থাকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদত বার্ষিকী ২০২৩ সালে পালন করা হবে। ১৯৭৫ সালে কিছু সেনা সদস্য আমাদের রাজধানী ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে হত্যা করেছিলেন। সেদিন শুধু আমাদের বঙ্গবন্ধুকে শুধু হত্যা করেনি তার পরিবারসহ সবাইকে হত্যা করেছিল।
আরো পড়ুনঃসেরা ১০টি ক্ষুদ্র ব্যবসার তালিকা দেখে নিন
আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ সালে ৪৩ তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করা হবে। আমরা অনেকেই জানিনা জাতীয় শোক দিবসে কি কি করা লাগে। আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২৩স্মরণীয় দিন ১৫ই আগস্ট কালো পতাকার উত্তোলনের মাধ্যমে পালন করা হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url