আমিষ জাতীয় খাবার কি কি - আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আপনি যদি আমিষ জাতীয় খাবার কি কি জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কোন খাবারগুলোতে আমিষ যুক্ত রয়েছে সেই সম্পর্কে। আমিষ জাতীয় খাবারের তালিকা গুলো জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বে জেনে নেওয়া যাক আমিষ জাতীয় খাবার কি কি।
আমরা দৈনন্দিন জীবনে যেসব খাবার খেয়ে থাকি সেই সকল খাবারের মধ্যে সবগুলো আমিষ
জাতীয় খাবার থাকে না। আবার অনেকেই জানেনা কোন খাবারগুলোতে আমিষ রয়েছে। আপনি যদি
আমিষ জাতীয় খাবারের তালিকা গুলো জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। চলুন এই
পর্বে জানা যাক আমিষ জাতীয় খাবার কি কি।
আমিষের প্রধান কাজ কি
আপনি কি আমিষের প্রধান কাজ কি জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায়
এসেছেন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব আমিষ জাতীয় খাবারের প্রধান কাজ
কি বা আমিষ খাবার খেলে কি উপকারিতা হয় সেই সম্পর্কে। আমিষের উপকারিতা এবং
গুনাগুন সম্পর্কে জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে চলুন আজকের এই
পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আমিষের প্রধান কাজ কি। দৈনন্দিন জীবনে আমিষ
জাতীয় খাবারের উপকারিতা অপরসীম। মানব দেহে যখন চর্বি ও শর্করার অভাব দেখা দেয়
তখন কঠিন তাপ শক্তি উৎপাদনের জন্য কাজ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় মধু খেলে কি হয়
শরীরের রোগ সৃষ্টিকারী রোগ জীবাণুগুলোকে প্রতিরোধ করার জন্য মানবদেহে তাদের
প্রতিরোধে পদার্থ অথবা অ্যান্টি বডি তৈরি করা আমিষের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
মানুষের শরীরে এবং মানসিক বিকাশ অথবা মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য আমিষ জাতীয় খাবার
অপরিহার্য। প্রতিদিন খাবারের তালিকার মধ্যে আমিষ জাতীয় খাবার রাখা অত্যন্ত
জরুরী।
আমিষ কত প্রকার ও কি কি
আপনি কি জানেন আমিষ কত প্রকার ও কি কি? যদি না জেনে থাকেন তবে আজকের এই পর্বটি
আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব আমিষ কত প্রকার হয়ে থাকে
এবং কি কি। আমিষের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আমিষ কত প্রকার ও কি কি।
উৎসগত দিক দিয়ে দেখতে গেলে আমিষের শ্রেণীবিভাগ নিচে দেওয়া হলঃ আমরা সকলেই জানি আমিষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
- প্রাণিজ আমিষঃ যে ধরনের আমিষ গুলো প্রাণী জগৎ থেকে উৎপন্ন করা হয় বা পাওয়া যায় তাদেরকে প্রাণীজা আমিষ বলে। যেমনঃমাছ,মাংস,দুধ,ডিম ইত্যাদি। এই ধরনের প্রোটিনকে প্রথম শ্রেণীর প্রোটিন বলে।
-
উদ্ভিজ্জ আমিষঃ উদ্ভিদ জগত থেকে যে ধরনের আমিষ তৈরি করা হয় বা উৎপন্ন
হয় তাকে উদ্ভিজ্জ আমিষ বলে। যেমনঃডাল,সোয়াবিন, বাদাম, শিমের
বিচি ইত্যাদি।
আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা
আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে
পড়ুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব আমিষ জাতীয় খাবারের কি কি
উপকারিতা রয়েছে এবং আমিষ জাতীয় খাবার খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে।
তাহলে চলুন
আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা। আমিষ
জাতীয় খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানব দেহের জন্য।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
আমিষ জাতীয় খাবার দেহের বৃদ্ধি সাধন এর জন্য প্রয়োজন। কখনো কখনো আবার আমিষ
খাবার অক্সিজেনের ধারক এবং বাহক হিসেবেও কাজ করে। আমিষের কারণে দেহে এমন
এনজাইম সরবরাহ হয় যে যা ডিএনএ এবং rna উৎপন্ন করে। আমিষের গঠন উপাদান গুলো
আমাদের শরীরে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে এবং নানা রকম বিক্রিয়া সম্পাদন করে
থাকে।
আমিষ জাতীয় সবজি
আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন আমি জাতীয় সবজি কোনগুলো? হ্যাঁ আপনি সঠিক
জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা জানাবো কোন সবজিগুলোতে আমিষ
রয়েছে সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আমিষ
জাতীয় সবজি তালিকা গুলো। দৈনন্দিন জীবনে খাদ্য তালিকা মধ্যে আমরা সবজি খেয়ে
থাকি।
কিন্তু সব সবজির মধ্যে যে আমিষ রয়েছে এমন কিন্তু নয়। আমরা এমন অনেক
সবজি খেয়ে থাকি যেগুলোর মধ্যে আমিষ থাকে না। আমিষ জাতীয় সবজির তালিকা গুলো
পর্যায়ক্রমে নিচে দেওয়া হলঃ
- মাশরুমঃ আপনি যদি মাংস সম্পূর্ণ স্বাদ নিতে চান এবং সেই সাদগুলো উপভোগ করতে চান তবে এগুলো আপনি মাশরুমের মধ্যেই পাবেন। আমিষ জাতীয় শব্দের মধ্যে এবার খাবারের মধ্যে আপনি মাশরুম খেতে পারেন।
-
মটর ছোলা ও ভুট্টাঃ মটর ছোলা ও ভুট্টা তে রয়েছে অনেক আমিষ। আধা কাপ মটর
ডালের মধ্যে সাড়ে তিন গ্রাম আমিষ থাকে। এছাড়া ভোটটাতে আমিষের জন্য একটি
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস।
- আমলকি
- শিম
- গুটি জাতীয় উদ্ভিদ
- ডাল
আমিষের অভাবে কি রোগ হয়
আপনি কি জানেন আমিষের অভাবে কি রোগ হয়? যদি না জেনে থাকেন তবে আজকের এই পর্বটি
আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব আমিষ এর অভাবে কোন রোগ
হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে। আমিষের অভাবে কোন রোগ হয় জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আমিষের অভাবে
কি রোগ হয়।
মানবদেহে আমিষের অভাব দেখা দিলে বর্ধনরত বয়ষের শিশুদের স্বাভাবিক
বৃদ্ধির ব্যাহত হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে খাদ্য আমিষের ঘাটতি থাকলে
কোয়াশিয়রকর রোগ হয়ে থাকে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মেধা ও বুদ্ধি কমে
যায়। তাই এসব সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার জন্য আমি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে
হবে।
শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয় আমিষ জাতীয় খাবার কি কি জানতে
পেরেছেন। আপনার যদি এই পর্বটি সম্পর্কে কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট
করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের
মাঝে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url