শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে

 আপনার শরীর কি দুর্বল? আপনি কি শরীর দুর্বলের সমাধান চাচ্ছেন? আপনি যদি শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে আলোচনা করব শরীর দুর্বল হলে কোন ভিটামিন টি সবথেকে বেশি উপকারে আসবে সেই সম্পর্কে। বাজারে অনেক ধরনের ভিটামিন থাকলেও সব ভিটামিন ভালো মতো কাজ করে না। তাই চলুন এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে।

শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে
অনেকে শরীর দুর্বল থাকার কারণে ভিটামিন খাওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু বাজারে অনেক ধরনের ভিটামিনের ওষুধ থাকলেও কোন ওষুধটি সবথেকে বেশি কার্যকরী সেই সম্পর্কে সবাই জানে না। তাই আজকে আমরা আলোচনা করব শরীর দুর্বল হওয়ার কোন ভিটামিন সব থেকে ভালো সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে।

শরীর দুর্বলতার ঔষধ

আপনি যদি শরীর দুর্বলতার ঔষধ সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক শরীর দুর্বলতার ঔষধ।আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের প্রায়ই শারীরিক কোন ত্রুটির কারণে দুর্বলতা অনুভব করে। বিভিন্ন কারণে শরীর দুর্বল হয়ে থাকে। আপনি যদি শরীর দুর্বলতা কাটানোর ঔষধ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আগে আপনাকে জানতে হবে কেন আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। শরীর দুর্বল হওয়ার কারণ বের করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করাই শ্রেয়। অনেকে আমরা সাধারণ দুর্বলতা কাটানোর জন্য বিভিন্ন রকমের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি এবং বিভিন্ন প্রকার ঔষধ সেবন করে থাকি।

শরীর দুর্বল হওয়ার অন্যতম আরেকটি কারণের মধ্যে ভিটামিন সি এর ঘাটতি হলো অন্যতম। তাই আপনি যদি সাধারণ দুর্বলতা অনুভব করেন তাহলে প্রথমে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেয়ে দেখুন বিশেষ করে কমলা, লেবু, আঙ্গুর, পালং শাক, কাঁচামরিচ, লাল শাক ও টক জাতীয় বিভিন্ন ফল। অনেক সময় আমরা অল্প একটু দুর্বলতা অনুভব করলেই ডাক্তার না দেখিয়েই ঔষধ নিয়ে আসি এবং সেবন করি। যা একেবারেই উচিত নয়। আর আমরা জানি না আমরা যে ঔষধ গুলো সেবন করছি তা আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর। তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে।
সাধারণত শরীর দুর্বল হলে ভিটামিন জাতীয় ট্যাবলেট খেতে পারেন। এছাড়াও নরমালি সিনকারা সিরাপ হামদরদ কোম্পানির খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরের শারীরিক সাধারণ দুর্বলতা দূর করবে এবং খাবারের রুচি বাড়াবে। আপনি যদি খুব বেশি দুর্বল অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহন করতে হবে।

শরীর দুর্বল হলে কি কি সমস্যা হয়

আপনি কি জানেন শরীর দুর্বল হলে কি কি সমস্যা হয়? বিভিন্ন কারণে শরীরের দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শারীরিক দুর্বলতার কারণ মূলত শারীরিক কোন অসুস্থতা নয়। সাধারণত অপুষ্টির কারণেই শরীর দুর্বল হয়ে যায়। বিশেষ করে ভিটামিন এর অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীর দুর্বল হলে কি কি সমস্যা হয় এগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো-
  1. মাথা ঘোরা
  2. মাথাব্যথা
  3. ক্ষুধামন্দা
  4. বমি বা বমি বমি ভাব
  5. কোষ্ঠকাঠিন্য
  6. পাতলা পায়খানা
  7. অধিক পিপাসা বা অধিক প্রসাদ
  8. শরীর ব্যথা
  9. পেট ব্যথা
  10. ওজন কমে আসা
  11. ঘুমের সমস্যা
  12. দষ্টি ঘোলাটে হয়ে আসা
  13. চুলকানি
  14. চুল পড়া
  15. ঠোঁট ফেটে যাওয়া

কোন রোগ হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায়

আপনি যদি জানতে চান কোন রোগ হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায় তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন রোগ হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায়। যেকোনো ধরনের রোগ হলে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া মূলত কোন রোগ নয়। আপনি যখনই খাবার খেতে পারছেন না আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি এবং ভিটামিন পৌঁছাচ্ছে না।তখনই আপনি স্বাভাবিক দুর্বলতা অনুভব করবেন। যে কোন রোগ হলে আপনার খাবার খাবার প্রতি আগ্রহ কমে যায়,তখনই আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্ট্‌ ,ভিটামিন,আইরন ইত্যাদি পৌঁছাতে পারেনা।তখনই মূলত আপনি দুর্বল হয়ে পড়েন। দুর্বলতার বিভিন্ন কারণ থাকলেও আমাদের দেশে মূলত দুর্বলতার কতকগুলো কারণ রয়েছে এগুলো হল-

রক্তস্বল্পতা

সাধারণত আয়রনের অভাবে রক্তস্বল্পতা দেখা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে আমাদের দেশে মহিলারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। এর প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত রক্তস্রাব। এছাড়াও কৃমি, অর্শ থেকে রক্তপাত, ভিটামিনের অভাব, জন্মসূত্রের রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম থাকা কিনবা অস্থি মজার বিভিন্ন রোগ এর আরো কিছু কারণ হতে পারে। দুর্বলতা এই রোগের প্রধান এবং একমাত্র লক্ষণ। এর সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি খাবারের প্রতি মনোযোগী হলে এর রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।

আমিষের অভাব

সাধারণত আমিষের অভাবে বিভিন্ন রকম শারীরিক জটিলতা ও দুর্বলতা দেখা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আমিষ জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। দুধ,ছানা,পনির, ডিম বিভিন্ন রকম সবুজ শাকসবজি আমিষের প্রধান উৎস।

ভিটামিনের অভাব

বিভিন্ন রকমের ভিটামিনের অভাবে শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ভিটামিন সি এর অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি থেকে থাকে তবে শরীর কখনোই দুর্বল হবে না। তাই স্বাভাবিক দুর্বলতা থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে টক জাতীয় ফল খাওয়া উচিত।

ডায়াবেটিস

যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা সব সময় দুর্বলতা অনুভব করেন। তাই বলা যায় সাধারণ দুর্বলতার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিসের কারণে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন হার্ট, কিডনি ও দৃষ্টি শক্তির জটিলতা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা এবং নিয়ন্ত্রান্তিক জীবনযাপনের মাধ্যমেই এর থেকে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।

পাতলা পায়খানা/ডায়রিয়া

আমাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন রকমের পুষ্টি উপাদান এবং খাদ্য রয়েছে যা আমাদের শরীর খুব সহজেই হজম করে থাকে। কিন্তু কোন কারণে যদি আমাদের শরীর সেই সমস্ত খাবার হজমে কোনরকম সমস্যা বা ত্রুটি দেখা দেয় তখন আমাদের ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হতে পারে। বিশেষ করে ক্ষুদ্রান্তে অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে এটি হয়ে থাকে। ডায়রিয়ার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ পানি বের হয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের অত্যন্ত পরিমাণ দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি রি হাইড্রেশন পর্যন্ত হতে পারে। তাই ডায়রিয়া হলে বারবার খাবার স্যালাইন খেতে হবে। এর সাথে তরল খাবার খাওয়া উচিত। অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ার আগেই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

থাইরয়েড রোগ

আমাদের গলার সামনের দিকে চামড়ার নিচের অংশে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড নামে একটি গ্ল্যান্ড রয়েছে। এটি মূলত খাবার ও পানির আয়োডিন থেকে থাইরয়েড হরমোন তৈরি হয়। থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলে শরীরে থাইরয়েড রোগ দেখা দেয়। এ রোগের লক্ষণ গুলোর মধ্যে সাধারণ দুর্বলতা সহ শরীরে পানি আসা এবং হাত-পা ফুলে যায়। থাইরয়েড হরমোন টেস্টের মাধ্যমে এর রোগ সম্পর্কিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ সেবন করলে এর থেকে নিরাময় পাওয়া যায়।

ক্রনিক হার্ড ফেইলিউর

হার্টের বিভিন্ন রকম রোগ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ না করলে এক সময়ে হার্টের মাংস পেয়েছি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ব্লাড পাম্প করার শক্তি কমে যায়। যার ফলে আপনি অল্প একটু পরিশ্রম করেই হাঁপিয়ে উঠবেন। এর পরবর্তী পর্যায়ে শরীরের অন্যান্য জটিল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হতে থাকে। যেমন পায়ে পানি আসা, পেটে পানি আসা, লিভার ফুলে যাওয়া ও দুর্বলতা এর প্রধান উপসর্গ হয়ে দাঁড়ায়। এ চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহন করুন এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করুন।

ক্লনিক লিভার ডিজিজ

জন্ডিস হলো লিভারের এমন একটি রোগ যা লিভার কে পুরোপুরি নষ্ট করে দিতে পারে। অতিরিক্ত মদ্যপান এর প্রধান কারণ হতে পারে। এর লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে রক্ত বমি হওয়া, পা ও পেট ফুলে যাওয়া, চিন্তাশক্তি ঘোলাটে হয়ে আসা ও নিয়মিত অবসাদ। তবে মদ্যপান ছেড়ে দিয়ে আমিষ ভিটামিন ও শর্করা জাতীয় খাবার খেলে এ ধরনের রোগের দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ক্রনিক কিডনি ডিজিস

কিডনি আমাদের শরীরের ছাঁকনির মতো কাজ করে। শরীরে উপস্থিত পানি থেকে বর্জ্য পদার্থ আলাদা করে মুত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়। কিডনিতে কোন রোগ দেখা দিলে তা আমাদের শরীরের পানি ঠিকমতো ছাড়তে পারেনা যার ফলে প্রসাবে বিদ্যমান বিষাক্ত ও বর্জ্য পদার্থ সঠিকভাবে শরীরের বাহিরে আসতে পারে না। যার ফলে বিষাক্ত কিছু উপাদান আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে থেকে যায় যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তখন আমাদের শরীর নানারকম জটিলতায় এবং অবসাদ এবং দুর্বলতার মত উপসর্গ দেখা দেয়। শরণাপন্ন হতে হবে এবং সঠিক গ্রহণের মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়

আপনি কি জানেন কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়? যদি না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়। আমরা সবাই কমবেশি আমাদের শরীরকে অনেক বেশি ভালোবাসি। যার কারণে আমাদের শরীরে একটু কিছু হলে আমরা অস্থির হয়ে উঠি। শরীরের স্বাভাবিক দুর্বলতা কাটাতে অনেক রকম ঔষধ কিংবা ঔষধি গাছ ব্যবহার করে থাকি এমনকি ডাক্তারের পরামর্শ পর্যন্ত নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি না। শরীরের দুর্বলতা কাটাতে ভিটামিন সি অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত শরীরের ভিটামিন সি এর অভাবে মূলত আমাদের শরীরকে দুর্বল করে তোলে। 
শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে তাহলে কখনোই শরীর দুর্বল হবে না। সাধারণত ভিটামিন সি এর অভাবে শরীরের দুর্বল হয়ে পড়ে। যা আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না। এক্ষেত্রে ভিটামিন সি জাতীয় ফল বিশেষ করে টক জাতীয় ফল খেলে সাধারণ দুর্বলতা কেটে যাবে। যেমন-লেবু, কমলা, আঙ্গুর, করম চা, কামরাঙ্গা, তেতুল, আমলকি ইত্যাদি। এছাড়াও সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, লাল শাক, কিউবি, ক্যাপসিকাম ও কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই স্বাভাবিক দুর্বলতা থেকে রক্ষা পেতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।

শরীর দুর্বল থেকে মুক্তির উপায়

আপনি যদি শরীর দুর্বল থেকে মুক্তির উপায় কি জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক শরীর দুর্বল থেকে মুক্তির উপায় কি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায় প্রতিদিনই শরীরের রাজ্যের ক্লান্তি ও দুর্বলতা ছেয়ে বসে। তখন আর কোন কিছুই ভালো লাগেনা। এমনকি শরীর নাড়াতেও ইচ্ছে করে না কিংবা চোখ তুলে তাকাতেও ইচ্ছা করে না। সারাদিনের কাজকর্ম ব্যস্ততা সবমিলিয়ে একটা মানুষের জীবনে ক্লান্তি আসবেই এটা স্বাভাবিক। যখন আপনি ক্লান্ত বোধ করেন তখন এমন মনে হয় যেন মাথায় কোন কাজই ঢুকেনা।

শারীরিক এই দুর্বলতার কারণে কাজের উৎসাহ একেবারেই চলে যায়। তবে একটু সতর্কতার মাধ্যমে খুব সহজেই স্বাভাবিক এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারেন। স্বাভাবিক এই দুর্বলতা কাটাতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত খাবার আর একটু সতর্কতা। যা আপনাকে স্বাভাবিক দুর্বলতা কাটিয়ে সুস্থ এবং স্বাভাবিক করে তুলবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া এই খাবারগুলোর কথা-

খেজুর

খেজুরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা আপনার শরীরে স্বাভাবিক দুর্বলতা দূর করবে এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করবে। খেজুর এমন একটি খাবার যেটি আপনার শরীরকে সারা দিনের পুষ্টি যোগাড়ের সাহায্য করবে এবং এটি আপনার হজমেও সাহায্য করে।

কাজুবাদাম

প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই থাকায় কাজুবাদাম আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে সেই সাথে শরীরে দুর্বল হয়ে যাওয়ার লক্ষণগুলোর সাথে মোকাবেলা করে আমাদের শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখে। আপনি আপনার সাথে সব সময় কাজুবাদাম রাখতেই পারেন। যখনই একটু দুর্বলতা অনুভব করবেন তখনই দু টুকরো কাজুবাদাম খেয়ে ফেলুন। দেখুন সাধারন দুর্বলতা কেটে যাবে।

ডুমুর

ডুমুর এমন একটি ফল যা আপনার সারের শরীরের স্বাভাবিক দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে। যা আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। কিন্তু এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আইরন যা আপনাকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাতে এবং শরীরের দুর্বলতা কাটাতে অনেক সাহায্য করে। কয়েকটি ডুমুর সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এরপর সকালে ওই পানিটি পান করুন। ভেজানো ডুমুর গুলো আপনি কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন কিংবা পেস্ট তৈরি করে তার সাথে হালকা চিনি মিশিয়েও খেতে পারেন এতে অনেক উপকৃত হবেন।

কিসমিস

কিসমিস শুকনো খাবার হাওয়ায় এতে প্রচুর পরিমাণ এর ভিটামিন রয়েছে। যা আপনাকে অন্যান্য খাবারের তুলনায় অনেক অংশে বেশি পরিমাণ ভিটামিন দেয় এবং আপনার শরীরের সাধারণ দুর্বলতা কাটাতে এটি অনেকাংশের সাহায্য করে। শুধুমাত্র কিসমিস কিংবা কাজুবাদাম নয়। ড্রাই ফুড যত রকমের আছে সমস্ত খাবারই আপনাকে অন্যান্য খাবারের তুলনায় অনেক গুণ বেশি ভিটামিন সরবরাহ করবে। তাই সব সময় এ ধরনের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ডিম

শরীরের দুর্বলতা দূর করতে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে প্রোটিন ও আয়রন যুক্ত খাবার। দুর্বলতা দূর করতে সবথেকে ভালো খাবার হলো ডিম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ , প্রোটিন , ফলিক এসিড , আয়র্‌ন, পেনটেনিক অ্যাসিড ও বিরফ্লেভিন যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম রাখুন।

দুধ

আমরা জানি, দুধ একটি আদর্শ খাদ্য। দুধে খাদ্যে উপস্থিত সকল প্রকার পুষ্টি উপাদান একসঙ্গে পাওয়া যায় বলেই একে আদর্শ খাদ্য বলা হয়ে থাকে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এক গ্লাস দুধ রাখতেই পারেন। এটি আপনার শরীরকে শক্তিশালী ও সুন্দর ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

কলা

কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ, ন্যাচারাল সুগার ও ফ্রুটজ যা আপনার শরীরের শক্তি যোগায়। এছাড়াও কলাতে বিদ্যমান মিনারেল ও পটাশিয়াম শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং স্বাভাবিক দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে। কলাতে থাকা ফাইবার শরীরের রক্তে গ্লুকোজের লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে সুস্থ রাখে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখে। তাই প্রতিদিন এক থেকে দুইটি কলা খেতে পারেন।

হঠাৎ শরীর দুর্বল হলে করণীয়

আপনার কি হঠাৎ শরীর দুর্বল করে? আপনার যদি হঠাৎ শরীর দুর্বল হয়ে যায় তবে করণীয় কি জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আজকে জানাবো হঠাৎ শরীর দুর্বল হলে করণীয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক হঠাৎ শরীর দুর্বল হলে করণীয় কি।
  1. ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে । বিশেষ করে টক জাতীয় ফল যেমন(কমলা, লেবু, আঙ্গুর ফ্‌ল, কামরাঙ্গ, আমলকি ইত্যাদি) বেশি করে খেতে হবে। এছাড়াও পালং শাক, লেটুস পাতা, কিউই ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এই সবজিগুলো বেশি বেশি খাওয়া উচিত।
  2. আয়রনঃ শরীরে আইরনের অভাব দূর করতে কিংবা আইরনের সমতা বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে শুকনো ফল , ডার্ক চকলেট, বিজ জাতীয় ফসল, কাঁচা কলা, আপেল, কচু শাক, বেগুন ইত্যাদি আয়রনের খুবই ভালো উৎস।
  3. প্রোটিনঃ প্রোটিনযুক্ত খাবার শরীরের স্বাভাবিক দুর্বলতা দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের সাধারণত প্রোটিনের অভাব দেখা দিলেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে ডিম হলো প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস।
  4. প্রোবায়োটিকসঃ শরীরকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাতে দুধ ও দ্রুত জাতীয় খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। এর মধ্যে রয়েছে দই, দুধ, পনির, ছানা ইত্যাদি উপাদানে প্রচুর পরিমাণে প্রবায়োটিক থাকে যা আপনাকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শরীর দুর্বল হলে কোন ডাক্তার দেখাবো

শরীর দুর্বল হলে কোন ডাক্তার দেখাবো জানতে চাচ্ছেন? আপনার শরীর দুর্বল হলে কোন ডাক্তার দেখাবেন জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক শরীর দুর্বল হলে কোন ডাক্তার দেখানো উচিত সেই সম্পর্কে। শারীরিক যেকোনো সমস্যা বা শরীর দুর্বল হতে যার তার কাছে না দেখিয়ে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করানোই শ্রেয়। এক্ষেত্রে আপনি যে কোন চিকিৎসক(জেনারেল ফিজিশিয়ান) এর কাছে দেখাতে পারেন। সমস্যা যতই ছোট হোক না কেন কখনোই দোকানেই কিংবা আত্মীয়-স্বজন বা নিজের ইচ্ছে মত ঔষধ কিনে খাবেন না। নিজে থেকে উল্টাপাল্টা চিকিৎসা নিয়ে নিজের স্বাস্থ্যর অবনতি করানোর কোনই প্রশ্ন আসে না। অবশ্যই যে কোন ঔষধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরি পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন।

শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয় শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই পর্বটি সম্পর্কে কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এ ধরনের পোস্ট আরো পেতে অবশ্যই আমাদের সাথেই থাকুন।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url