রাইস স্যালাইন তৈরির নিয়ম - রাইস স্যালাইন দাম
প্রিয় পাঠক আপনি যদি রাইস স্যালাইন তৈরির নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কিভাবে বাড়িতে রাইস স্যালাইন তৈরি করা যায় সেই সম্পর্কে। অনেকেই রয়েছে যারা বাড়িতে স্যালাইন তৈরি করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাই। তাদের জন্য আজকের এই পর্বটি। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক রাইস স্যালাইন তৈরির নিয়ম।
রাইস স্যালাইন কি
আপনি কি জানেন রাইস স্যালাইন কি? যদি না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি আপনার জন্য।
আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব রাইস স্যালাইন মূলত কি বা কাকে বলে।
তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক রাইস স্যালাইন কি।
রাইস স্যালাইন মূলত চাউলের গুঁড়ো। এটি একটি শর্করা জাতীয় উপাদান। এতে
রয়েছে সোডিয়াম, ট্রাইসোডিয়াম সাইটেট, পটাশিয়াম ক্লোরাইড এবং ফ্লেভার।
এই স্যালাইনটি যখন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর অন্তে গিয়ে পৌঁছায় ঠিক তখনই
পরিপাকতন্ত্রের জারক রস দ্বারা এটি বিভক্ত হয়ে ধীরে ধীরে গ্লুকোজের রূপান্তরিত
হতে থাকে। তখন অন্তের নল থেকে গ্লুকোজ লবণ সহ অন্তের দেওয়ালে দিয়ে
ঢুকে।
এখানে পানির শোষণকে ত্বরান্বিত করে লবণ। এবং এ পর্যায়ে অন্তের কৈশিক
জালিকা, রক্ত রসের মাধ্যমে সারা দেহে পানি, লবণ ও গ্লুকোজ প্রবেশ করায়। এবং
এভাবেই রাইস স্যালাইন দেহের ডি হাইড্রেশন তথা তরলের ঘাটি পূরণে সহায়তা করে
থাকে।
রাইস স্যালাইন তৈরির নিয়ম
আপনি যদি রাইস স্যালাইন তৈরির নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি সম্পূর্ণ
মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কিভাবে বাড়িতেই
রাইস স্যালাইন তৈরি করা যায় সেই সম্পর্কে।
অনেক সময় বাজারে অথবা হাতের কাছে রাইস স্যালাইন না পাওয়া গেলেও আপনি বাড়িতেই
এই স্যালাইন তৈরি করতে পারবেন। চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক
রাইস স্যালাইন তৈরির নিয়ম। রাইস স্যালাইন তৈরি করার নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ
- একটি পরিষ্কার পাত্রে ২৫০ মিলিলিটার(এক পোয়া) ফুটন্ত গরম পানি ঢালুন।
- এবার একটি রাইস স্যালাইন প্যাকেটের সবটুকু ওই গরম পানিতে ঢালুন
- এরপর পরিষ্কার একটি চামচ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল খুব সহজেই রাইস স্যালাইন।
রাইস স্যালাইন ব্যবহারের নিয়ম
আপনি যদি রাইস স্যালাইন ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি
আপনার জন্য। কারণ আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব রাইস স্যালাইন
কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং কিভাবে খাবেন সেই সম্পর্কে।
তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক রাইস স্যালাইন ব্যবহারের
নিয়ম। প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর নিম্নমাত্রায় রোগীকে রাইস স্যালাইন
খাওয়াতে হবে-
আরো পড়ুনঃশরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে
- ৬ মাস থেকে দুই বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রেঃ ১০ থেকে ২০ চামচ পরিমাণ খাওয়াতে হবে।(50-100 ml)
- দুই বছর থেকে ১০ বছরঃ আধা পোয়া থেকে এক পোয়া পরিমাণ খাওয়াতে হবে।(১০০-২৫০ ml)
- 10 বছরের বেশিঃ ২৫০ মিলিলিটার থেকে ৫০০ মিলিলিটার পরিমাণ খাওয়ানো যাবে।
- ডায়রিয়া কলেরা বা পাতলা পায়খানা বন্ধ হওয়ার পরও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার না পর্যন্ত রোগীকে রাইস স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
- শিশুদের ক্ষেত্রে রাইস স্যালাইন দেওয়ার পাশাপাশি বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। স্বাভাবিক মতোই সব খাবার খেতে পারবেন।
সতর্কতাঃ রাইস স্যালাইন তৈরির ৫ ঘন্টার মধ্যেই ব্যবহার করতে হবে এবং এই
স্যালাইন তৈরির পর ফুটানোবা গরম করা যাবে না। এতে স্যালাইনের গুনাগুন
নষ্ট হয়ে যায়।
রাইস স্যালাইন কাজ
আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা রাইস স্যালাইন কাজ কি। আপনি যদি রাইস স্যালাইনের
কাজ কি না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। রাইস স্যালাইনের কাজ সম্পর্কে
জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক রাইস স্যালাইন কাজ কি।
রাইস স্যালাইন কি কি কাজে ব্যবহার করা হয় সেগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
- ডিহাইডেশন বা পানি শূন্যতা রোধ করা
- ডায়রিয়া কলেরা বমি ও পাতলা পায়খানা নিরাময়
- তীব্র তরল ও ইলেকট্রোলাইট রিকভার
দিনে কয়টা রাইস স্যালাইন খাওয়া যায়
রাইস স্যালাইন অধিক পরিমাণ খেলেও আপনার যে পরিমাণ উপকারে আসবে তা পরিমাপ মত
খেলেও একই কাজে আসবে। তবে অবশ্যই আমাদের পরিমাপমতো সবকিছু খেতে হবে। রাইস
স্যালাইন খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে দিনে কয়টা রাইস
স্যালাইন খাওয়া যায়।
আপনি যদি না জেনে থাকেন তবে আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নিন রাইস স্যালাইন
আপনি দিনে কয়টি করে খেতে পারবেন। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে
জেনে নেওয়া যাক দিনে কয়টা রাইস স্যালাইন খাওয়া যায়। প্রতিবার পাতলা
পায়খানার পর নিম্নমাত্রায় রোগীকে রাইস স্যালাইন খাওয়াতে হবে-
আরো পড়ুনঃজোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়
- ৬ মাস থেকে দুই বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রেঃ ১০ থেকে ২০ চামচ পরিমাণ খাওয়াতে হবে।(50-100 ml)
- দুই বছর থেকে ১০ বছরঃ আধা পোয়া থেকে এক পোয়া পরিমাণ খাওয়াতে হবে।(১০০-২৫০ ml)
- 10 বছরের বেশিঃ ২৫০ মিলিলিটার থেকে ৫০০ মিলিলিটার পরিমাণ খাওয়ানো যাবে।
বিভিন্ন কারণে ঔষধের তাপমাত্রার তারতম্য হতে পারে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে ঔষধ সেবন করুন। আপনার প্রেসক্রিপশনের
নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
সতর্কতাঃ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদান কালে স্বাভাবিক মাত্রায় নিরাপদে রাইস
স্যালাইন ব্যবহার করা যায়।
রাইস স্যালাইন দাম
আপনি যদি রাইস স্যালাইন দাম সম্পর্কে না জেনে থাকেন তবে আজকের এই পর্বটি আপনার
জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নিন রাইস স্যালাইনের দাম কত। কিছু অসাধু
ব্যবসায়ী রয়েছে যারা অধিক অর্থ লাভের আশায় বেশি দাম নিয়ে থাকে।
তাই অবশ্যই স্যালাইন কেনার পূর্বে স্যালাইনের আসল দাম সম্পর্কে আপনার ধারণা
থাকা আবশ্যক। তাই চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক রাইস স্যালাইন
দাম। রাইস স্যালাইন এর দাম নিচে দেওয়া হলঃ
- ২৫০ ml রাইস স্যালাইন এর দাম ১০ টাকা
- ৫০০ ml রাইস স্যালাইন এর দাম ১৭ টাকা
বাচ্চাদের স্যালাইন এর নাম
আপনি নিশ্চয়ই বাচ্চাদের স্যালাইন এর নাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি
সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব বাচ্চাদের কোন
ধরনের স্যালাইন খাওয়ালে ক্ষতি হবে না এবং উপকারে আসবে সেই সম্পর্কে। বাজারে
অনেক ধরনের স্যালাইন থাকলেও সব স্যালাইন গুলো বাচ্চাদের ক্ষেত্রে না খাওয়ানোর
উত্তম।
কারণ বাচ্চাদের শরীরে অনেক সময় সেই স্যালাইন গুলো অনেক ক্ষতি করতে পারে। তাই
চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক বাচ্চাদের স্যালাইন এর নাম।
বাচ্চাদের স্যালাইনের নাম হল রাইস স্যালাইন । যা মূলত কলেরা, ডায়রিইয়া, পাতলা
পায়খানা ও বমি নিরাময় করে ও পানি শূন্যতা পূরণের জন্য ব্যবহার করা হয়।
শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয় রাইস স্যালাইন তৈরির নিয়ম
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আজকের এই পর্বটি সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থেকে
থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে
তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এ ধরনের পোস্ট আরো পেতে আমাদের সাথেই
থাকুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url