লিভার রোগের লক্ষণ - লিভার রোগের চিকিৎসা ২০২৩
লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ
বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার রোগের আক্রান্ত মানুষের বেড়েই চলছে।লিভার রোগের লক্ষণ, 2018 সালে পৃথিবীতে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে 96 লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, 2030 সালের মধ্যে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এক কোটি 30 লক্ষ মানুষ মারা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।
মানবদেহে ক্যান্সার নিয়ে দুশ্চিন্তা শেষ নেই আমাদের। তবে ক্যান্সার হলে আর বেঁচে থাকা সম্ভব নয় এ ধারণা তাও কিন্তু সঠিক নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের দাবি মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এর থেকে রক্ষা পাওয়া একেবারেই সম্ভব।
আরো পড়ুনঃজোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয় - জোভিয়া গোল্ডমাল্টিভিটামিন
যার অর্থ হলো আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করা।লিভার রোগের লক্ষণ,ক্যান্সারের
বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে যেগুলো প্রথম পর্যায়ে দেখা দিলেই আমাদের সাবধান হওয়া
দরকার এবং ডাক্তারের কাছে থেকে পরামর্শ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তাহলে
আমরা জেনে নিই ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ গুলোঃ
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ক্লান্তি বোধ করেন
বা অসুবিধা ভোগেন, তাহলে সেটা অনেক রোগের কারণেই হতে পারে এবং এটা
ক্যান্সারের কারণেও হতে পারে। মলাশয়ে ক্যান্সার(Colon Cancer) বা(Blood Cancer)
রক্তে ক্যান্সার হলে সাধারণত এমন উৎসর্গ মানুষের শরীরে দেখা যায়।
খুব দ্রুত ওজন কমে যাওয়া কোন কারণ ছাড়া হঠাৎ করেই দ্রুতগতিতে যদি আপনার ওজন কমতে থাকে তবে তা চিন্তার বিষয়। কারণ এটি ক্যান্সারের অন্যতম উপসর্গ অথবা লক্ষণ।
দীর্ঘদিনের ব্যথা কোন কারন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে শরীরের কোন অংশে যদি ব্যথা হয় আর
তাতে ঔষদে যদি কোনো কাজ না করে, তাহলে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ ভাবার কারণ
আছে। তবে শরীরের কোন স্থানে ব্যথা হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করে রোগীর ব্রেইন টিউমার
বা মলাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে কিনা।
অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড শরীরের কোন অংশে অসাভাবিক কোন মাংসপিণ্ড উপস্থিত দেখা দিলে
বা মাংস জমাট ধরে থাকলে কিংবা এ ধরনের পরিবর্তন লক্ষণীয় যদি আপনি করতে পারেন
তাহলে এটা ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে। এসব বিষয়ে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ
নেওয়া খুবই জরুরী।
ঘনঘন জ্বর যে কোন রোগের উপসর্গ হতে পারে। শরীরে ক্যান্সার জেকে বসলে স্বাভাবিক
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এতে করে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।
ব্লাডক্যান্সারে ঘনঘন জ্বর হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃহার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার - হার্টের সমস্যার প্রাথমিক চিকিৎসা
ত্বকে পরিবর্তন পরিবর্তনই ক্যান্সারের সনাক্ত করা সহজ। ত্বকে অতিরিক্ত তিল
বা ফ্রীকেল অথবা আঁচিলের বিষয়টি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। যদি আঁচিলের
রং, আকারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যায় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে
হবে।
দীর্ঘস্থায়ী অনেকদিন যাবত ঔষধ খাওয়ার পরও যদি কাশি না ভালো হয় বাতাসের কারণে
বুক পিঠ বাঁকা যে ব্যথা হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সামান্য ভেবে একেবারেই
অবহেলা করা ঠিক নয়।
মলমূত্র অভ্যাস পরিবর্তন যদি ঘন ঘন মলমূত্রের অনুভব হয় তাহলে ক্যান্সার নিয়ে
ভাবনার যথেষ্ট পরিমাণ কারণ রয়েছে। ঘনঘন ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যও মলাশয়ের
ক্যান্সার লক্ষণ।লিভার রোগের লক্ষণ, মূত্র ত্যাগের সময় অস্ত্রে ব্যথা বা
রক্তক্ষরণ মূত্রথলির ক্যান্সার কারণ।
খাবারে অনিচ্ছা, নিয়মিত বদহজম পেট কন্ঠনালী বা গলায় ক্যান্সার নিয়ে
চিন্তার কারণ এটা। সাধারণত এসব কারণে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়না। তবে এড়িয়ে
যাওয়াটা উচিত নয় আমাদের।
অন্যান্য উপসর্গ এগুলো ছাড়াও ক্যান্সারের আরো বিভিন্ন লক্ষ দেখা দিতে পারে তার
মধ্যে রয়েছে পা ফুলে যাওয়া, শরীরের আকারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন হওয়া
ইত্যাদি।
তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারি আমরা তাহলে বেশিরভাগ
ক্যান্সারের চিকিৎসা ও এর সমাধান সম্ভব।লিভার রোগের লক্ষণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থা বলেছে ক্যান্সারে 30 থেকে 50 শতাংশ মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব। যে বিষয়ে
ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে যেমন সিগারেট, অ্যালকোহ্ অতিরিক্ত ওজন এবং
প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিতে হবে।
এছাড়া স্বাস্থ্যকর একটি জীবন যাপন প্রক্রিয়া বেঁছে নিতে হবে আমাদের, যেটা ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়ানো ক্ষেত্রে ভালো পথ।লিভার রোগের লক্ষণ, কারণ গবেষকরা বলেছেন পৃথিবীতে অন্তত 200 ধরনের ক্যান্সার হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলোই রয়েছে যেগুলো আক্রান্ত হওয়ার পর মানুষ সুস্থ হওয়ার হার অনেক বেশি। যেমনঃ স্তন ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার। হলে অবহেলা না ভয় না পেয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আমাদের খুবই জরুরী।
লিভার রোগের চিকিৎসা
লিভার রোগ মানে জানো হৃদয়ে নাড়া দিয়ে ওঠে। অন্য কোন রোগ যেমন তেমন কিন্তু লিভারে অসুখ হয়েছে মনে করলেই মনের নানা অজানা আশঙ্কা উঠে আসে। আর চারপাশের সবাই হয়ে ওঠেন একজন লিভার বিশেষজ্ঞ। এটা করতে হবে ওটা করো না জাতীয় পরামর্শ আসতে থাকে আমাদের নিকটে। বিশেষ করে কি খেতে হবে আর কি খাওয়া যাবে না এ নিয়ে পরামর্শ শেষ থাকে না।
প্রতিদিন লিভার রোগীদের চিকিৎসা করতে যেয়ে যে জিনিসটা মনে হয় তা হলো এ ধরনের রোগীরা তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে খুবই বৃদ্ধিতে ভোগেন।
বিশেষ করে লিভার বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলতে যে তাদের বৃদ্ধি অনেক ক্ষেত্রেই আরো
বেড়ে যায়। কারণ লিভার মুভি পাথর ব্যাপারে আমাদের যে প্রচলিত বিশ্বাস তা অনেক
ক্ষেত্রেই আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে মিলেনা। এই লিভার রোগ থেকে মুক্তি
পাওয়ার জন্য আপনি যে উপায় গুলো ব্যবহার করতে পারেন তাহলোঃ
আরো পড়ুনঃমেট্রোনিডাজল কিসের ওষুধ - মেট্রোনিডাজল ( ৪০০ মি. গ্রা. ) এর কাজ
লেবুর রসের পানি, প্রতিদিন লেবু পানি পানের অভ্যাস করুন। লেবুর পানিতে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যার ফলে লিভার কে দূষণমুক্ত করতে সাহায্য
করে।
গ্রিন টি, প্রতিদিন সকালে ও বিকালে এক কাপ করে আপনি গ্রিন টি পান করুন। গ্রিন টি
লিভার ফাংশন ঠিক রাখতে আপনাকে সহায়তা করবে।
আপেল সিডার ভিনিগার, এক কাপ গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
মিশিয়ে প্রতিদিন খাবার আগে পান করুন। এভাবে যদি আপনি কয়েক দিন পান করেন অথবা
কয়েক মাস পান করলে। দেখবেন লিভারে জমে থাকা চর্বি সব গায়েব হয়ে
যাবে আপনার।
আদা পানি, এক চামচ আদা গুড়া গরম পানি দিয়ে মিশিয়ে দিয়ে দিনে দুইবার পান
করুন। এইভাবে। কমপক্ষে 15 দিন গেলেই দেখবেন অনেক সুস্থতা বোধ করতে পারতেছেন আপনি।
কারণ এটি লিভারের চর্বি জ প্রক্রিয়াটি প্রায় বন্ধ করে দেয়। এর ফলে লিভার
আস্তে আস্তে ঠিক হতে শুরু করে।
আমড়ার রস, আমলায় ভিটামিন-সি থাকায় এটি লিভার কে দূষণমুক্ত করে। তাই লিভারের
অসুখে আক্রান্ত রোগী যদি তারা 25 দিন এক চামচ করে প্রতিদিন সকালে খান তাহলে তিনি
খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ।
লিভার ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ
একজন ক্যান্সারের রোগীর আটটি লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে বলে দেওয়া যাবে তিনি আর কতদিন বাঁচতে পারবেন। নতুন এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের এমডি অ্যান্ডারসন ক্যান্সার সেন্টার এর গবেষকরা সংশ্লিষ্ট গবেষণাটি আলোচনা করেন।
লিভার রোগের লক্ষোণ, ক্যান্সার প্রকাশিত গবেষণা প্রতিদিনে বলা হয়, এর আগে বেশ কিছু গবেষণায় শুধুমাত্র মৃত্যুপথযাত্রী রঙের শনাক্তদের উপায় সম্পর্কে জানা গিয়েছিল। এ গবেষণায় গবেষকরা প্রতিদিন তাদের রবিকে দুইবার করে পর্যবেক্ষণ করে থাকেন।
তারা রোগীর দৈহিক ও মস্তিষ্কের ধরনের পরিবর্তন শনাক্ত করতে সক্ষম হন।লিভার রোগের লক্ষণ, এসব মিলিয়ে আটটি লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। এর আগের গবেষণায় পথ ধরে এদের মধ্যে কারা মারা যাবেন তা নিশ্চিত করা গেছে। পরীক্ষিত 357 জন রোগীর মধ্যে 57 শতাংশ মারা গেছেন।
আর যাদের বানানো ধরনের লক্ষণ ধরা পড়েছিল তারা পরবর্তী তিনদিনের মধ্যে মারা যায়। গবেষক ডেভিড হুই বলেন, যারা তিনদিনের মধ্যে মারা গেছেন তাদের মৃত্যুর তিন দিন আগে থেকেই এসব চিহ্ন দেখা গিয়েছিল। যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় সেগুলো হলোঃ
- ১.কথা বলার সময় মুখ প্রতিক্রিয়া কমে যায়।
- ২.আলোর বৃদ্ধি বা হ্রাসে চোখের পিউপিল কোন প্রতিক্রিয়া করে না।
- ৩.দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
- ৪.চোখের পাতা বন্ধ করতে পারে না রোগী এমন অবস্থা হয়ে যায়।
- ৫.নাক থেকে ঠোঁটে তুই কোন প্রয়োজন যে রেখা পড়ে আসার সময় এই রেখা তৈরি হয় তাতে ব্যাপক ভাঁজ পড়ে যায়।
- ৬.মাথা সামনের দিকে চলে আসে।
- ৭.কন্ঠনালী থেকে গরগর আওয়াজ আসে।
- ৮.যে প্রথম খাবারের উপাদান ও পুষ্টি শুষে নেয় অর্থাৎ গ্যাস্ট্রিইনটেস্টিনাল এর উপরের অংশে রক্ত ক্ষরণ হয়। এই আটটি লক্ষণ যেসব রোগীর মধ্যে দেখা যেতে শুরু করেছিল তাদের সবাই পরবর্তী তিনদিনের মধ্যে মারা যান।
লিভার ক্যান্সার কি ভাল হয়?
বৈজ্ঞানিক তথ্য অপত্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর যে পরিমাণ মানুষ নানা ধরনের ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তাদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয় লিভার ক্যান্সারের কারণে। আমাদের দেশে ক্যানসারজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ লিভার ক্যান্সার।লিভার রোগের লক্ষণ , আমাদের দেশে লিভার ক্যান্সারের কারণ নানাবিধ।
সবার আগে চলে আসবে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের নাম। পাশাপাশি হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আর
ফ্যাটি লিভার ও আমাদের দেশে লিভার ক্যান্সারের অন্যতম একটি কারণ।
লিভার ক্যান্সারের চিকিৎসা আর দশটি ক্যান্সারের চিকিৎসার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রচলিত অর্থে কেমোথেরাপি রেডিওথেরাপি ক্যান্সারে অচল।লিভার রোগের লক্ষোণ, এখানে আমরা ব্যবহার করি মুখে খাওয়ার কেমোথেরাপি আড়ালের সর্বশেষ সংযোজন ইমিউনোথেরাপি।
সবথেকে খুশীর কথা হলো এসব ঔষধ তৈরি কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ হয়। আর এগুলোর
কাজ করে প্রচলিত আর রেডিওথেরাপির চেয়ে অনেক বেশি। সমস্যা হচ্ছে ওষুধগুলো দেরিতে
প্রয়োগ করলে ততটা ভালো কাজ করে না যতটা আমরা আশা করি।
আর আমাদের দেশে বেশিরভাগ লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি অনেক দেরিতে
আমাদের কাছে চিকিৎসার জন্য আসেন ফলে তারা এসব ঔষধ গুলো পুরোনো ফলাফল পায়না।
সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে লিভার ক্যান্সার ভালো হওয়া সম্ভব।
লিভার ক্যান্সার রোগী কতদিন বাঁচে?
ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ, এমনটা প্রায় সকলেই মনে করেন।। আসলে সব ধরনের ক্যান্সার মারাত্মক নয়।লিভার রোগের লক্ষণ, তবে বেশিরভাগ ক্যান্সার মারাত্মক। তাই কারো ক্যান্সার রোগ ধরা পড়লে আত্মীয়-স্বজন সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েন।
আমি একজন প্যাথলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। সাইটোপ্যাথলজি হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষা করে আমি ক্যান্সার রোগ শনাক্ত করে থাকি। রোগী বা রোগীর আত্মীয় স্বজন পরীক্ষা নেওয়ার সময় আমাকে জিজ্ঞেস করে থাকে কি রোগ ধরা পরল?
ক্যান্সার রোগের কথা শুনলে কেউ কেউ অনেকক্ষণ ধরে থাকেন। তারপর জিজ্ঞাসা করে কোন স্টেজে আছে? অথবা কতদিন বাঁচতে পারে? অথবা এর চিকিৎসা কি আছে? কতদিন বাঁচবে তা নির্ভর করে অনেক কিছুর ওপর।
সবচেয়ে বড় কথা হল হায়াত মওত একমাত্র আল্লাহর হাতে। ডাক্তার রোগীর চিকিৎসা
করে থাকেন। চিকিৎসা করে দেখা গেছে অনেক রোগী ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেয়েছেন
এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছেন। ক্যান্সার এর ধরন ক্যান্সার হওয়ার স্থান,
প্যাথলজিক্যাল গ্রেট, ক্লিনিক্যাল স্ট্যাজ, চিকিৎসার ধরন ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে বলা যায় রোগীর পরিণতি কী হবে। তবে কতদিন বাঁচবে এমন কথা কোন ডাক্তার বলেন না। তবে আমি এখন গ্রামের আড্ডায় অনেক মুখরোচক গল্প শুনেছি এমন আমার এক খালাতো ভাইয়ের ক্যান্সার হয়েছিল।
ডাক্তার বলে দিয়েছিল রোগী আর মাত্র 28 দিন বাঁচতে পারে, যা হওয়ার তা-ই খাইয়ে দিন। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে? রোগের চিকিৎসা ছাড়াই পাঁচ বছর ধরে এখন পর্যন্ত বেঁচে আছে ।
শুনতে চমকপ্রদ মনে হলেও এমন আলাপ আমি বিশ্বাস করিনা। তবে এমন অনেক শুনতে পছন্দ করেন।লিভার রোগের লক্ষণ, ক্যান্সার হলে রোগী কেন মারা যায়? এর উত্তরে বলা যায় ক্যান্সার হলো শরীরের একটি পরগাছার মত রোগ।
শরীরের একটি স্বাভাবিক কোনো ধরনের কোন ভাবে পরিবর্তন হয়ে ক্যান্সার ঘোষিত হয়। তারপর এগুলো একটা থেকে দুইটা হয়ে দুইটা চারটা ষোলটা 64 টা এভাবে অসংখ্য কোষ তৈরি হয়ে টিউমার আকার ধারণ করে ফেলে। যে কারণে স্বাভাবিক কস ক্যান্সার কোষ রূপান্তর হয় সেই
কারণটিই উঠিয়ে নিলে ও ক্যান্সার কোষ তার নিজস্ব ক্ষমতা বলে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ঔষধ প্রয়োগ করে ক্যান্সার সেল মেরে ফেলা সম্ভব। সাথে স্বাভাবিক কোষের মৃত্যু হতে পারে। ক্যান্সার কোষ বিভিন্ন পথে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে বাসা বেঁচে থাকে। শরীরের পুষ্টি ভাগ বসায়। তাই, রোগীর রুগ্ন হতে থাকে।
পরিশেষ
আশা করি আমাদের পোস্টটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন লিভার রোগের লক্ষণ কি? যদি আমাদের পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি হল করে দেবেন এবং আমাদের পোস্টটি আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করবেন।
দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেইসাথে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকে এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url