খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল - ডায়াবেটিস কত হলে ঔষধ খেতে হবে
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী বিপাকীয় ব্যাধি যা ইনসুলিন
উৎপাদন করতে ব্যর্থ হয়। আপনারা অনেকেই জানতে চান যে খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে
নরমাল। আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন খালি পেটে ডায়াবেটিস
কত হলে নরমাল এবং সে সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে।
রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে বেশি হলে আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ দেখা দেয়। ছোট বড় প্রত্যেকটি মানুষেরই এ রোগ হতে পারে। তাই খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য নিচে আলোচনা করা হলো।
ভূমিকা:খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ হলো এমন একটি রোগ যেখানে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে
বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়। এসব দীর্ঘমেয়াদী জটিলতার মধ্যে
রয়েছে:হৃদরোগ,ডায়াবেটিস নেফ্রোপ্যাথি,ডায়াবেটিস জনিত পায়ের ক্ষত, স্ট্রোক,
হার্ট অ্যাটাক,চিন্তাশক্তির লোপ, ইত্যাদি। এ সকল অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে
ডায়াবেটিস সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই আজকের
আর্টিকেলে খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য
সম্পর্কে জানানো হবে।
খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
ডায়াবেটিস সনাক্তের জন্য নির্ভুল এবং বহুল ব্যবহৃত একটি নির্ভুল পদ্ধতি হলো ওরাল
গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট বা ওটিজি। এই পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস সনাক্ত করার জন্য
রোগীকে প্রথমে সকালে খালি পেটে একবার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করতে হয়
তারপর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ শরবত পানের দুই ঘন্টা পর আরেকবার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ
পরীক্ষা করতে হয়।
খালি পেটে রক্তে সুগারের পরিমাণ ৫.৫ এর আশেপাশে থাকলে নরমাল। এবং রক্তে এই
সুগারের মাত্রা যদি ৫.৫ থেকে ৬.৯ এর মধ্যে থাকে তাহলে এ অবস্থাকে ফ্রি ডায়াবেটিস
বা ডায়াবেটিস এর পূর্ব লক্ষণ বলা হয়। যদি এইমাত্রা ৭ পয়েন্ট এর উপরে চলে যায়
তাহলে আমরা সেটাকে ডায়াবেটিস বলি।
ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের মধ্যে ডায়াবেটিসের উপসর্গ সমূহ দেখা দিয়েছে অথবা
ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন। তারা অনেকেই জানতে চান ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে
নরমাল। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল।
সাধারণত ভরা পেটে রক্তে সুগারের পরিমাণ সামান্য বেড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক কিন্তু
এই সুগারের পরিমাণ যদি ৭.৮ এর বেশি হয়ে থাকে তাহলে এটাকে প্রি ডায়াবেটিস বা
ডায়াবেটিস এর পূর্ব লক্ষণ বলা হয়ে থাকে। এবং এইমাত্র ১১.১১ এর চাইতে বেশি হলে
তা ডায়াবেটিসের জন্য যথাপযোক্ত মাত্রা হিসেবে গণ্য করা হয়।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের শরীর গরম থাকে কেন
এবং আমেরিকান ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের মত অনুযায়ী HBA1C এর মান ৫.৬ এর কম হলে
স্বাভাবিক এবং এর মান ৭.৫ এর বেশি হলে ডায়াবেটিস হিসাবে বিবেচিত হয়।
ডায়াবেটিস কত হলে ঔষধ খেতে হবে
ডায়াবেটিস সনাক্তের পর ডায়াবেটিস যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ
করার জন্য ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বিভিন্ন
ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এতে বিভিন্ন ধরনে জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং দ্রুত
তা নিয়ন্ত্রণে না আনলে এর মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এসব জটিলতার মধ্যে রয়েছে:
কিডনি বা বৃক্ষের অক্ষমতা,অতিরিক্ত মেদ, দৃষ্টিবিচ্যুতি, দ্রুত ক্ষত না শুকানো বা
অঙ্গচ্ছেদ ইত্যাদি।তাই বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ঝুঁকি এড়াতে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওষুধ খাওয়া
জরুরি।
ডায়াবেটিসের চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:ইনসুলিন, অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ এবং জীবনধারার
পরিবর্তন।
ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের গাইডলাইন গুলো অনুযায়ী এইচবিএ ১ সির মান যদি ৫.৭ - এর নিচে থেকে থাকে তাহলে তাকে স্বাভাবিক ধরা যায় । এটি এর পরিমাণ ৬.৫ - এর বেশি হলে আপনার মূলত ডায়াবেটিস আছে বলে ধরা হবে । এই মান সাধারণত ৫.৭ থেকে ৬.৫ - এর মধ্যে থাকলে তাকে মূলত প্রি - ডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিস এর পূর্বাবস্থা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে ।
তবে এইচবিএ ১ সি পরীক্ষা করে ভালো মানের ল্যাবরেটরি তে নির্দেশিত পদ্ধতি তে করতে হবে । কার ও যদি বংশগত জনিত রক্তরোগ থাকলে বা রক্ত ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা গুলো থাকলে এই পরীক্ষা সঠিক ফল না - ও দিতে পারে । গর্ভকালীন সময় এর ডায়াবেটিস নির্ণয়ে এই পরীক্ষার ব্যবহার করা হয় না ।
ডায়াবেটিস পয়েন্ট তালিকা
সাধারণত 5.8 মিলিমল হলে ধরে নেওয়া হয়ে থাকে যে তা সুস্থ । আর যদি কোন প্রকার কোন কারণ এর জন্য এই পরিমাণ 5.8 এর বেশী হয়ে থাকে যা 7.5 মিলিমলের কম পরিমাণ হলে ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি থেকে থাকে । তাই বলা হয়ে থাকে যে , 7.5 থেকে 10 মিলিমোল পয়েন্ট হলে ডাক্তারি ভাষায় তা কম ঝুঁকিপূর্ণ ডায়াবেটিস ।এ গুলো সাধারণত ঔষধ খেলে সুগার কমে যায় ।
অবশ্য কিছু নিয়ম গুলো প্রতিনিয়ত পালন করে চলতে হয়ে থাকে ৷ এর থেকে বেশী পরিমাণ হলে সেই ডায়াবেটিস এর বেশী ঝুঁকিপূর্ণ । তখন কোনো প্রকার কোন ঔষধের দ্বারা এই সুগার কমতে চায় না । তখন সাধারণত ইনসুলিন নিতে হয়ে থাকে ৷
ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়
মানবদেহে সাধারণত ডায়াবেটিস ৪০ mg/dl এর নিচে অথবা ৪০০ mg/dl এর চেয়ে যদি বেশি হলে যে কোন সময় রোগীর স্ট্রোক করে মৃত্যু হতে পারে । আবার অনেক সময় দেখা যায় , অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ডায়াবেটিস এর কারনে যদি শরীরের যে কোন অঙ্গ যেমন - কিডনি , হার্ট , স্নায়ু ইত্যাদি বিকল হয়ে যেতে পারে । যার ফলেও একজন ডায়াবেটিস রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে । যার ফলে বোঝা গেল যে একজন মানুষ এর ডায়াবেটিস অতিমাত্রায় কমে গেলে কিংবা অতিমাত্রায় বেড়ে গেলেই হতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু । তাই এটা বলার উপায় নেই যে , কার ঠিক কত পয়েন্ট হলেই মৃত্যু হতে পারে ।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
অধ্যাপক মাহাতাবের মতে বলা হয়ে থাকে যে , গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিস পয়েন্ট এর পরিমাণ গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি । " গর্ভকালীন অবস্থায় যদি একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময় খালি পেটে রক্তে গ্লুকোজ এর মাত্রা ৪.৫ মিলিমোল / লিটার থেকে ৫ বা সর্বোচ্চ ৫.৫ মিলিমোল / লিটার হতে পারে । আর খাওয়ার দু ঘন্টা পরে কিন্তু ঐ মাত্রা ৫ থেকে ৬ মিলিমোল / লিটার হতে পারে । "
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
ডায়াবেটিস অত্যন্ত ভয়াবহ একটি রোগ যেটি আমাদের কিডনি, হাড়, চোখ ও লিভার এর মত
বিভিন্ন অঙ্গে প্রভাব ফেলে।তাই বিভিন্ন ধরনের জটিলতা এড়াতে ডায়াবেটিসের লক্ষণ
সমূহ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন এবং দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আনা প্রয়োজন।
ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ সমূহ:
- ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া এবং পিপাসা লাগা
- ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া
- মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া
- বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে লাগা
- চোখে ঝাপসা বা কম দেখা
- দুর্বল লাগা
- স্বাভাবিকের তুলনায় চোখে কম দেখা এবং
- কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি
উপরোক্ত লক্ষণ সমূহ দেখা দিলে দ্রুত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন এবং
ডায়াবেটিস শনাক্ত হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন। নিচের দ্রুত ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণ করার উপায় তুলে ধরা হলো:
শারীরিক ব্যাযাম:আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে
রাখার জন্য প্রতিদিন পরিমিত ব্যায়াম করা এবং অন্ততপক্ষে এক ঘন্টা হাটা প্রয়োজন।
ধূমপান ও মদ্যপান ছেড়ে দেওয়া:একজন স্বাভাবিক মানুষের জন্যও ধূমপান এবং
মদ্যপান অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ধূমপান এবং মদ
পান এর অভ্যাস পরিত্যাগ করা অত্যন্ত জরুরি।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন:দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আপনার
খাদ্যাভাস পরিবর্তন করা প্রয়োজন। আমাদের প্রত্যেক দিনের খাবার তালিকায় পর্যাপ্ত
পরিমাণে সুষম খাদ্য রাখতে হবে এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার ও অতিরিক্ত তেল চর্বি
জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। মৌসুমী বিভিন্ন ধরনের ফল ও ভিটামিন জাতীয়
পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। এবং পরিমিত পরিমাণের নিয়ম করে প্রতিদিন
শাকসবজি খেতে হবে।
উপরিউক্ত অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে পারলে দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সুগার লেভেল কত হলে ডায়াবেটিস
গ্লুকোজ হলো কোষের প্রাথমিক শক্তির উৎস। আমরা অনেকেই জানতে চাই সুগার লেভেল কত
হলে ডায়াবেটিস। আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো সুগার লেভেল কত হলে ডায়াবেটিস।
রক্তে শর্করার মাত্রা ১০০ এবং ১২৫ mg এর মধ্যে হলে এটি প্রি ডায়াবেটিস অবস্থান
নির্দেশ করে যা চীনের স্বাভাবিক মাত্রা থেকে কিছুটা বেশি এবং দুইবার পরীক্ষার পর
১২৬ mg ভাতার বেশি হলে রক্তে শর্করার গ্লুকোজ বা ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত দেয়।
নিপোর্ট এর একটি জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা
প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ।
নবজাতকের ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
শুধুমাত্র বয়স্কদের না যে কোন বয়সের মানুষেরই ডায়াবেটিস হতে পারে। সাধারণত ছয়
মাস বয়সের আগেই যে ডায়াবেটিস হয় তাকে নবজাতকের ডায়াবেটিস বলে। এক্ষেত্রে
নবজাতকের রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, এবং এ রোগ হয় মূলত ইনসুলিনের অভাবে।
নবজাতকের ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল এ সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য জেনে রাখা
প্রয়োজন। শিশুদের স্বাভাবিক রক্তের শর্করার পরিমাণ ৯৯ mg/dl বা তার কম হয়ে থাকে
এবং ডায়াবেটিস হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ ১৪০ mg/dl বা তার বেশি হয়ে থাকে।কোনো
নবজাতকের ডায়াবেটিস ধরা পড়লে দ্রুত তাকে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং
চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
শিশুদের ব্লাড সুগার কত থাকলে নরমাল?
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যেটি সারাজীবন বয়ে নিয়ে যেতে হয়। কারণ এই ডায়াবেটিসের কোন চিকিৎসা হয় না। একেবারে ডায়াবেটিস কে কখনো নির্মূল করা যায় না। তাই আপনি যদি এই ডায়াবেটিস রোগ থেকে বাঁচতে চান তাহলে আগে থেকে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। নইলে আপনার যদি ডায়াবেটিস রোগ হয়ে যায় তাহলে এই ডায়াবেটিস রোগ নেই সারাজীবন কাটাতে হয়। বড়দের তুলনায় শিশুদের মাত্রা নরমাল থাকে।
কারন শিশু বয়সে ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম, তবুও জানা প্রয়োজন শিশুদের ব্লাড সুগার কত থাকলে সেটা নরমাল হয়। নিচে যে শিশু রয়েছে তাদের সুগারের মাত্রা ৮০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত। আর ৬ বছর থেকে ১২ বছরের শিশুদেরও সুগারের মাত্রা ৮০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম এর মধ্যে থাকলে নরমাল বোঝায়। আর যারা ১৩ থেকে ১৯ বছরের বয়সে তাদের সুগারের মাত্রা ৭০ থেকে ১৫০ মিলিগ্রামের মধ্যে থাকলে সেটিকে নরমাল বলা হয়।
ডায়াবেটিস কত থাকা ভালো?
ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত ব্লাড সুগারের মাত্রা চেক করতে হয়। কারণ হুট করে তাদের যদি ব্লাড শোকের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে যেকোনো ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাদের ডায়াবেটিস রোগটা হওয়ার মূল কারণ হলো ব্লাড সুগারের মাথা বৃদ্ধি পাওয়া। তাই তাদের ব্রাশ্যকালের মাত্রা যদি আগে তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়ে যায় তাহলে যেকোনো বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে গেলে অবশ্যই ব্লাড সুগার রাখতে হবে।
তাদের যদি খালি পেটে ব্রাশুড়ির মাত্রা ৮০ কিংবা ৯০ থাকে এবং ভরা পেটে ব্লাড সুগারের মাত্রা ১৩০ থেকে ১৫০ থাকে তাহলে কোন চিন্তার কারণ নেই। আর এটি যদি না হয়ে খালি পেটে ব্লাড সুগারের মাত্রা ৭০ এবং ভরা পেটে ৪৭০ কিংবা ৮০ থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ডায়াবেটিস। ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়া কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়। তাই যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার খাবার খেতে হবে।
শেষ কথা:খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
আজকে আমরা ডায়াবেটিস সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য এবং খালি পেটে ডায়াবেটিস কত
হলেনরমাল, ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল,ডায়াবেটিস কত হলে ওষুধ খেতে
হবে,দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়,সুগার লেবেল কত হলে
ডায়াবেটিস,গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়, নবজাতকের
ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল এ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে
আলোচনা করেছি। আশা করছি,খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল আর্টিকেলটি আপনাদের
উপকারে আসবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url