বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমান কোনটি - বাংলাদেশ বিমানের দাম কত
SRTEC IT
আমরা অনেকেই জানতে চাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমান কোনটি। আমরা আজকে আপনাদেরকে
জানাবো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমান কোনটি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমান কোনটি এবং সে সম্পর্কিত আরও বিভিন্ন ধরনের তথ্য
সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য বিমান অত্যান্ত সুবিধাজনক একটি
পরিবহন।বিমান এর সাহায্যে আমরা খুব সহজেই দূর দূরান্তে পাড়ি দিতে পারি। তাই
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমান কোনটি সে সম্পর্কে
বিস্তারিত জানব।
ভূমিকা।বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমান কোনটি
সুপ্রিয় পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমান কোনটি এবং বাংলাদেশ বিমানের দাম কত সেই সম্পর্কে। তার আগে বিমান সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই।পাখা না থাকলেও প্রযুক্তির মানুষকে দিয়েছে ওরা স্বাধীনতা। আকাশকে ছুঁয়ে দেখার স্বাধীনতা। উড়োজাহাজ কিংবা বিমান মানুষের আকাশকে ছোঁয়ার ইচ্ছাকে পূর্ণ করতে পেরেছে। এটি যে শুধু মানুষের ইচ্ছাকে তৃপ্ত করেছে তা কিন্তু নয়। বরং এটি পরিবহনেও অন্যতম অবদান রেখেছে। দিন দিন আধুনিক প্রযুক্তি যে, বিমানকে কতটা উন্নত করছে তা চিন্তাও করা যায় না।
আমাদের মধ্যে আমার খুব কম মানুষ রয়েছে যাদের জীবনে একবার না একবার পাখি হওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল। তারাও চাইতো পাখির মত হতে। পাখির মতো পুরো পৃথিবীটাকে একবার ঘুরে দেখতে। আপনারও কি এমন ইচ্ছা হয়েছিল? আধুনিক প্রযুক্তি মানুষের এই ইচ্ছেটাকে খুব সহজেই পূরণ করে দিয়েছে। মানুষ এখন পাখির চোখে পুরো পৃথিবীটাকে ঘুরে দেখতে পারে।
আর এ পাখির চোখে পৃথিবী দেখানো বিমান যে শুধু পৃথিবীটাকে ঘুরে দেখাচ্ছে তা কিন্তু নয়। বরং এই বিমান আমাদের পৃথিবীকে উন্নত করতেও অনেক সাহায্য করছে। এই বিমান আমাদের চলাচল ব্যবস্থাটা কেউ অনেক সহজ করে দিয়েছে। আচ্ছ! আপনাদের কি জানতে ইচ্ছে করে না যে আমাদের পৃথিবীর সবথেকে বড় বিমান কোনটি? আপনারা কি জানতে চান পৃথিবীর সবথেকে বড় বিমান কোনটি। আপনারা যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে আপনাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্ট।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমান কোনটি
বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য আমরা অনেক সময় বিমানে ভ্রমণ বেছে নেই। কারণ বিমান
অত্যন্ত আরামদায়ক এবং সুবিধাজনক একটি যানবাহন। বিমানে করে আমরা খুব সহজে একই
স্থান থেকে অন্য স্থানে খুব কম সময়ের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারি।
বাংলাদেশের প্রথম বিমান চালু করা হয় ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি।বাংলাদেশের
সবচেয়ে বড় বিমান কোনটি অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়
বিমান হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এটি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বাহি
বিমান পরিবহন সংস্থা এবং একমাত্র সরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা। বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইন্স এর বিমান সেবা চুক্তি প্রায় ৭০ টি দেশের সাথে রয়েছে। এবং
বর্তমানে ১৬ টি দেশে এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রধানত ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে
কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের
পাশাপাশি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও এর কার্যক্রম রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা হলো ২১ টি। বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রয়েছে ৬ টি ব্র্যান্ড নিউ বোয়িং, ৩টি ড্যাশ ও ৭৮৭টি
ড্রিমলাইনার। ঢাকার উত্তরাঞ্চলের কুর্মিটোলায়,এটির প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবন
অবস্থিত।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান কোনটি
আচ্ছা! আপনারা কি বিশ্বের সবথেকে বড় বিমান টি দেখেছেন। এমন একটি বিমান হয়েছে, এই বিমানটি এতই বড় যে এই বিমানের ভিতরে আরও একটি বিমান বহন করা যাবে। এই প্লেনটিকের ল্যান্ডিং করানোর জন্য ৩২ টি চাকা লাগানো হয়েছে। এ বিমানটি তৈরি করা হয়েছে অনেক ভারী ভারী বস্তু পরিবহন করার জন্য। এরপর এটিকে এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্যাটেলাইট গ্রহণ করার জন্য ব্যবহার করা হতো।
এই বিমানটি এত বড় হওয়ার শর্তেও অনেক দ্রুত চলাচল করতে পারে এবং একবারে ১৫ হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারে। আপনারা কি জানতে চান এই বিমান টির নাম কি? এই বিমান টির নাম হল এ এন ২২৫ মিড়িয়া। এ বিমানটি ১৯২৮ সালে ইউক্রেনে তৈরি করা হয়েছিল। ইউক্রেনের অ্যান্টোনো এয়ারলাইন্স বিমানটির বর্তমান মালিক। আগে বিমানটি সেভিয়েত ইউনিয়ন আর্মি ব্যবহার করত।
এই বিমানটি যদি কোথাও যায় এ বিমানটি দেখার জন্য হাজারো মানুষ ভিড় করে থাকে। দুটি পাখার দূত ফুটবল মাঠের চেয়েও অনেক চওড়া। এ বিমানটি ছয়জনের দ্বারা ছয়টি বিশাল ইঞ্জিন চালিত হয়ে থাকে। এর বিমানটিতে রয়েছে ৩২ টি চাকা। একবারে ৩ লক্ষ ৩০ জ্বালানি নিতে পারে এ বিমানটি। ২০২৪ সালেও এই বিমানটির এর ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী বিমান
বিশ্বের সবথেকে বড় যাত্রীবাহী বিমান হল এয়ারবাস A380 নামটা একটু খটমটে বটে। দুই তলার বিশিষ্ট এ প্লেন্টিকে নির্মাণ করা হয় ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল। তবে বাণিজ্যিকভাবে এর চলাচল শুরু হয় ২০০৭ সাল থেকে। এটি বিশ্বের সবথেকে বড় এবং প্রশস্ত যাত্রীবাহী বিমান। এই বিমানে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অন্যান্য সাধারণ বিমানের তুলনায় একেবারে অন্যতম।
প্লেনটির দৈর্ঘ্য ৭২.৭ মিটার। উচ্চতা 24.1 মিটার। তবে বিমানের তুলনায় সব থেকে বড়। এয়ারপোর্টে না থেমে লন্ডন থেকে সিডনিতে পৌঁছে দিতে পারবে। ভালো হবে বলতে গেলে এ বিমানে যদি একবার যাত্রা শুরু করা হয় তাহলে, কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ২৫ বার আসা-যাওয়া করা যাবে। সম্পূর্ণ পৃথিবীকে একবার চক্র দিল এর কিছু জ্বালানি বেঁচে যাবে। এই বিশাল আকার বিমানটি ৫০০ থেকে ৫২৫ জন যাত্রী বহন করতে পারে। অন্যান্য বিমানের চলাকালীন শব্দ থেকে এই বিমানের শব্দটাও কম হয়ে থাকে। তাই যাত্রাটা অনেক আনন্দময় হয়।
বাংলাদেশ বিমান মোট কয়টি
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও হয়েছে বিমান পরিবহনের সুবিধা। আগের তুলনায় বেড়েছে বিমানের পরিবহন ব্যবস্থা তার পাশাপাশি। বাংলাদেশও অন্য দেশে তুলনায় কিন্তু পিছিয়ে নেই। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকেও বাহিরের দেশে যাচ্ছেন বাংলাদেশের। বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারছে বিমানের মাধ্যমে।
এখন আমাদের মনে অনেকেরই প্রশ্ন জানতে পারে যে, বাংলাদেশের মোট বিমান সংখ্যা কত? আসলে বাংলাদেশের মোট বিমান সংখ্যা হল ২১ টি। ২১ টি সুপরি স্বর বিমান মোট চারটি দাগে ভাগ করা রয়েছে। প্রথম যে বিমানগুলো রয়েছে সেগুলো হলঃ-8q400 এই মডেলের প্লেন মোট পাঁচটি রয়েছে। আর এটি কানাডার তৈরি প্লেন। এই বিমানের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিবহন সঞ্চালিত হয়ে থাকে। এছাড়াও আশেপাশের কাছাকাছি যে কোন দেশেও পরিবহন কার্যক্রম হয়ে থাকে। এর প্রত্যেকটা প্লেনে ৭৪ টা সিট রয়েছে।
দ্বিতীয় টি হলঃboeing 737-800 মডেলের বিমান। এই বিমানটি বাংলাদেশের মোট ছয়টি রয়েছে। বিমানের মাধ্যমে কাছের কিছু দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যে পরিবহন বজায় থাকে। এর প্রত্যেকটা প্লেনে ১৬২ টা সিট রয়েছে। এরকমই আরো বিভিন্ন ধরনের প্লেন রয়েছে আমাদের বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক রুট কয়টি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ রুটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রুটিন
যাত্রী পরিবহন করে।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বর্তমানে ২১ টি আন্তর্জাতিক রুটে
পরিচালিত হলেও এর সংখ্যা বাড়িয়ে ২৫ টি করা হচ্ছে। বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইন্সের শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক রুটে বিমান বৃদ্ধি করা হচ্ছে না বরং এর
সাথে সাথে বিমানের সক্ষমতাও বৃদ্ধি করা পাচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন রুট গুলো হল- হংকং,গুয়াংজু,মালদ্বীপ,কলম্ব
ভুতান ও দিল্লি। এছাড়াও এর নতুন গন্তব্যে পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে নিউ ইয়র্ক,
কানাডা,অস্ট্রেলিয়া,নারীতা।
বিমানের সিট কয়টি
একটি যাত্রীবাহী বিমানে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন শ্রেণীর সিট থাকে। বিমানের সিট
মূলত কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে যেমন:বিমানের নির্মাণ
(এয়ারবাস,বোয়িং,এটিআর), বিমানের আকার, পরিষেবার উদ্দেশ্য ইত্যাদি।বিমান সংস্থার পরিষেবার ওপর নির্ভর করে এর সিট সংখ্যা কমতে পারে আবার বাড়তেও
পারে।
যদি কোন বিমান শুধুমাত্র ইকোনমি ক্লাস অফার করে তাহলে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি
পায় আবার অন্যদিকে যদি কোন বিমান সংস্থা বিজনেস ক্লাসের আসন অফার করে তাহলে
আসন সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়।সবথেকে বেশি যাত্রী পরিবহন করতে পারে এযার বাস এ ৩৮০,যেটি নির্মাণ করা হয় ২০০০
সালে। বিমানটিতে তিন শ্রেণীর সিট রয়েছে যার মধ্যে বিজনেস ক্লাস এর সিট
ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ৫২৫টি আসন এবং সুলভ শ্রেণী দিয়ে মোট ৮৫৩ জনের বসার
জায়গা হয়।
বাংলাদেশবিমানের ড্রিমলাইনার কয়টি
বোয়িং কমার্শিয়াল এয়ারপ্লেন কোম্পানির তৈরি দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট মাঝারি
আকারের সুপরিষদ বিমান হচ্ছে ড্রিমলাইনার। প্রকারভেদে বিমানটি সর্বোচ্চ তিন
শ্রেণীতে ৪৪২ থেকে ৩৩৫ জন পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করতে পারে।
২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল এর সর্বশেষ আপডেট তথ্য মতে বাংলাদেশ বিমানের সর্বমোট
ড্রিমলাইনার রয়েছে ছয়টি। যার মধ্য দুইটি রয়েছে বোয়িং ৭৮৭-৯ এবং চারটি
রয়েছে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিম লাইনার।অন্যান্য বিমানের থেকে ড্রিমলাইনার আলাদা
হওয়ার কারণ হলো এটিতে ৫০ শতাংশ যৌগিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে এটি
অন্যান্য বিমানের তুলনায় হালকা।
এটির কেবিনের আর্দ্রতা বেশি যার কারনে যাত্রীদের কাছে মনে হয় যে তারা
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ছয় হাজার ফুট উপরে আছেন।কিন্তু অন্যান্য যাত্রীবাহী
বিমানের কেবিনে থাকলে মনে হয় তারা আট হাজার ফুট উপরে রয়েছেন। কেবিনের এই
পরিবেশের কারণে যাত্রীদের আগের মতো ক্লান্ত অনুভব হবে না এবং চোখ শুকিয়ে
যাওয়া ও মাথাব্যথা সহ কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা থেকে রেহাই দিবে।
বাংলাদেশ বিমানের শ্লোগান কি
বাংলাদেশ এর প্রথম বিমান চালু করা হয় ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। ১৯৭২ সাল থেকে
১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স দেশের একমাত্র বিমান সংস্থা
হিসেবে ব্যবসায় পরিচালনা করে।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে নিরাপদ সংস্থা
হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপিয়ান এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি।
বাংলাদেশ বিমানের স্লোগান হলো- ' আকাশে শান্তির নীড়'।
বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা কয়টি
বর্তমানে বাংলাদেশে তিনটি বিমান পরিবহন সংস্থা রয়েছে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে
সরকারি এবং এন অন্য দুইটি হচ্ছে বেসরকারি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হচ্ছে
বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি বিমান সংস্থা। ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোয়ার
এয়ারলাইন্স,ব্যাক্তি মালিকানাধীন দুটি বিমান সংস্থা।
ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্সঃ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ
বেসরকারি বিমান সংস্থা হচ্ছে ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স। ইউ এস বাংলা
এয়ারলাইন্সের সাতটি এটিআর এবং ১৬ টি এয়ারক্রাফট ও ছয়টি বোয়িং রয়েছে। এটি
প্রাথমিকভাবে মূলত দুইটি অভ্যন্তরীণ গন্তব্যের মাধ্যমে পথচলা শুরু করলেও
বর্তমানে এটি অভ্যন্তরীণ রুটসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জায়গায় ফ্লাইট পরিচালনা
করছে। যেমন চেন্নাই,সিঙ্গাপুর,মালে,গুয়াংজু,কুয়ালালামপুর,শারজাহ,দুবাই
মাসকাট ও কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
নভোয়ার এয়ারলাইন্সঃ বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থার আরেকটি হচ্ছে নভোএয়ার। নভোএয়ার প্রধানত
অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে যাত্রী সেবা প্রদান করে থাকে। অতীত প্রতিদিন ৯টি
গন্তব্যে মোট ২৫ টি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। এর গন্তব্যসমূহ হলো
ঢাকা,চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,রাজশাহী,যশোর,সিলেট,সৈয়দপুর, বরিশাল ও কলকাতা।
বাংলাদেশ বিমানের ড্রিমলাইনার কয়টি ও কি কি
বাংলাদেশ বিমানের ড্রিমলাইনার হল ছয়টি। সেগুলো হলো আকাশবিনা ,হংসবলাকা,
গাংচিল, রাজহংস, মেঘদৃত ও ময়ূরপঙ্খীযেগুলোর নাম পছন্দ ও বাছাই করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ড্রিমলাইনার
বিমানের অনেকগুলো বিশেষত্ব রয়েছে,যেমন:
ড্রমলাইনার অন্যান্য বিমানের তুলনায় বিশ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় হয়ে থাকে
যার ফলে বিমান সংস্থা গুলোর খরচ অনেক কমবে।
বিমানের পাইলটদের জন্যেও এই বিমান নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়ে থাকে। যেমন আগে
যেকোনো তথ্য দেখতে পাইলটের উপরের দিকে তাকাতে হতো কিন্তু এই বিমানে এই তথ্যগুলো
সামনের গ্লাসে দেখতে পাওয়া যাবে যার মাধ্যমে পাইলটরা খুব সহজে তথ্যগুলো দেখতে
পাবে।
ড্রিমলাইনারের জানালাগুলো ১৯ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে যা অন্যান্য বিমানের তুলনায়
ত্রিশ শতাংশ বড়। এটি অনেক আধুনিক। ইলেকট্রিক বোতাম চেপে জানালা বন্ধ করা যায় ও
প্রয়োজন অনুযায়ী এতে ছায়া তৈরি করা যায় যার ফলে সূর্যের আলোয় যাত্রীদের ঘুম
ভাঙ্গার কোন সুযোগ থাকে না।
বাংলাদেশ বিমানের দাম কত
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন মডেলের বিমান রয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের
একটি বোয়িং এর বর্তমান মূল্য ২৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশ এর ২৯৮৬ কোটি
৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৩০০ টাকা।
শেষ কথা।বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমান কোনটি
আজকের এ আর্টিকেলে আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমান কোনটি বাংলাদেশ বিমানের
আন্তর্জাতিক রুট কয়টি বিমানের সিট কয়টি বাংলাদেশ বিমানের কয়টি বাংলাদেশ
বিমানের স্লোগান কি বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা কয়টি বাংলাদেশ বিমানের দাম
কত ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনাদের কাছে
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমান কোনটি আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url