কাউন্সিলিং কিভাবে করা হয় - কাউন্সিলিং বই
আপনি যদি কাউন্সিলিং কিভাবে করা হয় জানতে চান তবে এই পর্বটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। কারণ আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কিভাবে কাউন্সেলিং করা হয় সেই সম্পর্কে। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন কাউন্সেলিং এর গুরুত্ব এবং কাজ সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কাউন্সিলিং কিভাবে করা হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
কেউ যদি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে ও অনেক চিন্তিত থাকে এবং এই চিন্তার কথা যদি কাউকে
বলতে না পারে তখন কাউন্সিলিং করা হয়। কাউন্সিলিং মূলত নিজের চিন্তা দুশ্চিন্তার
কথা মন খুলে প্রকাশ করা। কিন্তু আপনি কি জানেন কাউন্সেলিং কিভাবে করা হয়। চলুন
আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কাউন্সিলিং কিভাবে করা হয় সেই
সম্পর্কে বিস্তারিত।
কাউন্সিলিং কত প্রকার ও কি কি
আপনি যদি কাউন্সিলিং কত প্রকার ও কি কি জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে
পড়ুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কাউন্সিলিং মূলত কত প্রকার এবং
কি কি সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক
কাউন্সিলিং কত প্রকার ও কি কি। কাউন্সিলিং হলো মূলত মনের কথা প্রকাশ করার একটি
মাধ্যম। অনেকে রয়েছে দুশ্চিন্তাই থাকে এবং তাদের মনের কথাগুলো কাউকে বলতে
পারেনা মনের মধ্যে চেপে রাখে।
কাউন্সিলিং মূলত তাদের হেল্পার হিসেবে কাজ করে থাকে। যেমন কেউ যদি মনের কথা
অন্য কাউকে প্রকাশ করতে না পারে এবং চিন্তার দুশ্চিন্তার বিষয়গুলো প্রকাশ করতে
না পারে তবে সে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে অন্যর মাঝে প্রকাশ করতে পারবে।
কাউন্সিলিং সাধারণত দুই প্রকার।
- মুখোমুখি কাউন্সিলিংঃ মুখোমুখি কাউন্সিলিং হল মূলত কাউন্সিলিংরা সাধারণত ব্যক্তিকে মুখোমুখি বা সামনা সামনি বসে কাউন্সিলিং করে থাকে।
- গ্রুপ কাউন্সিলিংঃ এ ধরনের কাউন্সিলিং মূলত কাউন্সিলররা পাঁচ ছয় জন বা তারও বেশি সেমিনারের মাধ্যমে কাউন্সিলিং করে থাকে।
কাউন্সেলিং কিভাবে করা হয়
কাউন্সেলিং কিভাবে করা হয় আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক
জায়গায় এসেছেন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে কাউন্সেলিং করা
হয় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কাউন্সেলিং কিভাবে করা হয়।
আধুনিক জীবন যাপনের মাধ্যমে আমরা অনেকেই এখন একাকীত্ব তার মধ্যে পড়ে গিয়েছি।
আমাদের দুঃখ কষ্টের কথা বা সমস্যার কথা আমরা এখন অন্য কাউকে মন খুলে বলতে পারি
না। সমস্যার সম্মুখীন হয়ে মুখোমুখি হওয়া বা সমাধান করা খুবই কষ্টকর যা
বেশিরভাগ মানুষই পারেনা। কাউন্সিলিং মূলত মনের ভাব বা আবেগ প্রকাশ করার মাধ্যম
একটি এবং সমস্যার সমাধানের উত্তম মাধ্যম।
যারা কাউন্সিলিং করে থাকে তারা অন্যের মনের ভাব বুঝতে পারেন। কাউন্সিলরা একা
থাকে না অনেক কাউন্সিলর গ্রুপ ভিত্তিক হয়েও কাজ করে থাকেন। ধরুন আপনি কোন
সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কিন্তু কাউকে বলতে পারছেন না এবং সমাধানের পথ খুঁজে
পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় আপনি যদি কোন কাউন্সিলিংয়ের শরণাপন্ন হন তবে তারা
আপনার মনের সব আবেগ এবং না বলা কথাগুলো শুনবে। আপনাকে বোঝাবে, আপনার মানসিক
শক্তি এবং মনোবল বাড়িয়ে দিবে, আপনার সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে বের করে
দিবে।
কাউন্সেলিং এর উদ্দেশ্য
আপনি যদি কাউন্সেলিং এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কাউন্সিলিং সদস্যদের
উদ্দেশ্য এবং কাজ কি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কাউন্সেলিং এর উদ্দেশ্য কি।
কাউন্সেলিং এর উদ্দেশ্য গুলো নিচে দেওয়া হলঃ
- ব্যক্তির মধ্যকার সমস্যাগুলো এবং দুর্বলতা গুলো চিহ্নিত করা।
- ব্যক্তির সমস্যার সমাধান করা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা।
- সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে ফলগুলো কি হতে পারে তার নিকট ব্যাখ্যা করা
- একজন ব্যক্তিকে মানসিকভাবে শক্ত করে তোলা।
- মানসিক দুর্বল ব্যক্তির অন্তর্দৃষ্টি জাগরণের সহায়তা প্রদান করা।
- উপযুক্ত শিক্ষা এবং ক্যারিয়ার নির্বাচনে শিক্ষার্থীকে সহায়তা প্রদান করা
- একজন শিক্ষার্থীর অকৃত কার্যকতার বিশ্লেষণ করে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
- পরামর্শ গ্রহিতার বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে নেওয়া।
- ব্যক্তির আগ্রহ ও চাহিদা এবং সামর্থ্য কে প্রাধান্য দেওয়া এবং তাকে সহায়তা করা।
কাউন্সিলিং এর গুরুত্ব
একজন মানসিক দুর্বল ব্যক্তির কাউন্সিলিং এর গুরুত্ব অনেক। আপনি যদি
কাউন্সিলিংয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এই পর্বটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন কাউন্সিলিং এর গুরুত্ব কতটুকু। তাহলে চলুন
জেনে নেওয়া যাক কাউন্সিলিং এর গুরুত্ব। কাউন্সিলিংয়ের সেবা পেয়ে সমাজ বদলে
দিতে পারে। কেননা আমাদের সমাজে অনেকেই রয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছে অনেক প্রতিভা।
তারা চাইলেই তাদের প্রতিভা দেখিয়ে সমাজ এবং দেশের উপকারে আসতে পারে। যারা
মানসিকভাবে দুর্বল তাদের জন্য কাউন্সেলিং এর গুরুত্ব অপরিসীম।
আরো পড়ুনঃমেয়েদের কি গিফট করলে খুশি হয়
কেননা কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে কাউন্সিলিংয়ের সদস্যরা মানসিক দুর্বল ব্যক্তিকে
বোঝানোর চেষ্টা করে তার মধ্যে প্রতিভা দিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব। কাউন্সেলিং
এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তির সমস্যার সমস্যার কথা শুনে থাকে এবং সেই সমস্যার
সমাধান করে থাকে। আমাদের সমাজে অনেকেই রয়েছে যাদের সমস্যার কথা কাউকে বলতে
পারেনা এবং অনেকেই রয়েছে তাদের ব্যক্তিগত সমস্যার কথা অন্য কাউকে না বলে হুট
করে ডিসিশন নিয়ে ফেলে। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে এসব ব্যক্তিদের মানসিক শক্তি
বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
কাউন্সেলিং এর কার্যবলী
আপনি যদি কাউন্সেলিং এর কার্যবলী জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এই পর্বের মাধ্যমে কাউন্সিলিং এর সকল কার্যাবলী গুলো জানতে পারবেন। তাহলে চলুন
জেনে নেওয়া যাক কাউন্সেলিং এর কার্যবলী গুলো। কাউন্সিলিং হল বিশেষ ধরনের
সাইকোথেরাপি বা মনবিকোলন করার পদ্ধতি। মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসার এবং অনেক
ধরনের মানসিক অবসাদগ্রস্ত মানুষদের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে তাদের সকল সমস্যার
রোগের নিরাময়ের চেষ্টা কে বলা হয় কাউন্সিলিং পদ্ধতি। কাউন্সিলিং পদ্ধতির
মাধ্যমে দিক থেকে অসুস্থতা এবং বিপর্যস্ত বা হতাশাগ্রস্থ কিংবা দিশেহারা
ব্যক্তির প্রকৃত সমস্যাগুলো শুনে বোঝে এবং ধীর স্থির ভাবে বাস্তব অবস্থা
অনুযায়ী সমাধান এবং পরিকল্পনা নিতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলে সমস্যা কিত
ব্যক্তি সুষ্ঠু উপায়ে সমস্যার সমাধান এবং মোকাবেলা করতে পারে।
কাউন্সিলিং বই
আপনি যদি কাউন্সিলিং বই ক্রয় করতে চান এবং কাউন্সিলিং বই এর সকল নাম গুলো
জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বটি পড়ার মাধ্যমে আপনি
কাউন্সিলিং বইয়ের নাম গুলো জেনে যেকোনো বুক শপ থেকে কাউন্সিলিং এর বই সংগ্রহ
করতে পারবেন। তাহলে চলুন কাউন্সিলিং বইয়ের কিছু নাম দেখে নেয়া যাকঃ
- চিত্ত লোচন
- বিহাইন্ড অফ সুইসাইড
- অন্তর মহল
- ধর্ষণ
- মনের অসুখ
- চাইন্ড সাইকোলজি
- মন ও মানুষ
- অবচেতন মন
শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয় কাউন্সিলিং কিভাবে করা হয়
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই পর্বটি সম্পর্কে কোন মতামত থেকে থাকে তবে
অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে
অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url