বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি কয়টি ও কি কি
আপনারা অনেকেই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি কয়টি ও কি কি এ সম্পর্কে জানতে
চান। আমরা আজকে আপনাদের জানাবো,বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি কয়টি ও কি কি।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি কয়টি ও কি কি এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি
বিস্তারিত পড়ুন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে আকাশ সীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। আমরা
অনেকেই জানি না বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি কয়টি ও কি কি। বাংলাদেশ বিমান
বাহিনীর ঘাঁটি কয়টি ও কি কি এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভূমিকা
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি কয়টি ও কি কি এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। আজকে
আমরা আপনাদের, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি কয়টি ও কি কি সম্পর্কে এবং তার সাথে
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানাবো।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি কয়টি ও কি কি
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর আকাশ যুদ্ধ শাখা হচ্ছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অন্যতম দায়িত্ব গুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের
সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌ বাহিনীকে বিমান সহায়তা দেওয়া।
- বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাসার,ঢাকা
- বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু,ঢাকা
- বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি পাহাড় কাঞ্চনপুর,টাঙ্গাইল
- বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক,চট্টগ্রাম
- বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি মতিউর রহমান,যশোর
- বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি,কক্সবাজার
- মৌলভীবাজার রাডার ইউনিট,মৌলভীবাজার
- বরিশাল রাডার ইউনিট,বরিশাল
- বগুড়া রাডার ইউনিট মাটিডালি,বগুড়া।
- রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট,লালমনিরহাট
- রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট,শমশেরনগর,মৌলভীবাজার
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বেতন কত
আপনারা অনেকেই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকরি করতে চান এবং বাংলাদেশ বিমান
বাহিনীর বেতন কত এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পদ
সংখ্যা,বেতন ও দক্ষতা,যোগ্যতা,দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত
আলোচনা করা হলো।
পদের নাম ----- বেতন
জেনারেল/অ্যাডমিরাল/এয়ার চিফ মার্শাল-----৮৬০০০
লে.জেনারেল /ভাইস এডমিরাল/এয়ার মার্শাল ----৮২০০০
মেজর জেনারেল/রিয়ার এডমিরাল/এয়ার ভাইস মার্শাল ----৭৮০০০
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল /কমডোর/এয়ার কমডোর ----৬৩৫৭০
লিফটেন্যন্ট (সেনা)/সাব লে ও ফ্লাইং অফিসার---২৫০০০
অনারারি সেনা ও অনারারি সাব লে. ----৩৮৪৮০
ক্যাপ্টেন/লেফটেন্যান্ট ও ফ্লাইট লে.---- ২৯০০০
কর্নেল/ক্যাপ্টেন (নৌ) /গ্রুপ ক্যাপ্টেন---- ৬১০০০
সেকেন্ড লে,অ্যাক্টিং সাবলে ও পাইলট অফিসার---- ২৩১০০
সিপাহী রিক্রুট (এম ও জি টি)--- ৮৮০০
লেন্স নায়েক,ওডি এবং এসি-১ রিকরুট---- ৯০০০
চিফ আর্টিফিশার অফিসার -----২২৪০০
মাস্টার চিফ এটি অফিসার ও মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার----- ২২৫০০
সিনিয়র চিফ পেটি অফিসার ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার----- ২২২৫০
চিফ পেটি অফিসার ও ওয়ারেন্ট অফিসার----- ২০০০০
সার্জেন্ট ও পেটি অফিসার----- ১৬০০০
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অফিসারদের পদসমূহ
আজকে আমরা আপনাদেরকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অফিসারদের পদসমূহ সম্পর্কে
জানাবো। আপনারা অনেকেই এ সম্পর্কে জানতে চান। তাই নিচে বাংলাদেশ বিমান
বাহিনীর অফিসারদের পদসমূহ দেওয়া হল:
- ফ্লাইং অফিসার
- এয়ার মার্শাল
- স্কোয়াড্রন লিডার
- গ্রুপ ক্যাপ্টেন
- ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট
- উইং কমান্ডার
- এয়ার ভাইস মার্শাল
- এয়ার কমোডর
- এয়ার চিফ মার্শাল এখন আপনারা নিশ্চয়ই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অফিসারদের পদসমূহ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমান সেনাদের পদসমূহ
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমান সেনাদের পদসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো:
- সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার
- ওয়ারেন্ট অফিসার
- মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার
- এন এ সি (লিডিং এয়ারক্রাফট মেন)
- এসি - ১ (এয়ার ক্রাফ্ট ম্যান ১)
- এসি-২ (ইয়ারক্রাফ্ট ম্যান ২) কর্পোরেল সার্জেন্ট
বিমানবাহিনী অফিসারদের কাজ কি
ওপরে আমরা বিমানবাহিনীর অফিসারদের বিভিন্ন পদের নাম উল্লেখ করেছি।
উপরিক্ত পদে বাংলাদেশের নারী ও পুরুষ উভয়ে যোগদান করতে পারেন। বাংলাদেশ
বিমান বাহিনীর অফিসার পদে নিযুক্ত কর্মীদের কাজ হচ্ছে মূলত বিমান বাহিনীর
প্রতিষ্ঠানগুলো ভালোভাবে পরিচালনা করা। সাধারণত নিম্নোক্ত কাজগুলো করে
থাকে:
- বিমান বাহিনীর ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা
- বিমান বাহিনীর নিরাপত্তা করা
- বিমান বাহিনী সংক্রান্ত অনুসন্ধান ও উন্নয়ন
- বিমান বাহিনী সংক্রান্ত নীতিমালা ও গাইডলাইন তৈরি করা
- বিমান বাহিনী চলাচল সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় খেয়াল রাখা
- বিমান বাহিনীর সামগ্রিক বাজেট পরিচালনা ও অর্থ ব্যবস্থাপনা করা ইত্যাদি।
বিমানবাহিনীর বিমান সেনাদের কাজ কি
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে বিমান সেনা হিসেবে নারী-পুরুষ উভয়ে যোগদান করতে
পারেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সেনাদের কাজ হলো:
- যুদ্ধবিমানকে সব সময় সচল রাখা
- সার্বক্ষণিক দেশের আকাশ সীমা রক্ষা করা
- যুদ্ধবিমানের টেকনিক্যাল ত্রুটি সমাধান করা
- যুদ্ধবিমান চালু করার পূর্বে সেটা চেক করা
- সার্বক্ষণিক দেশের আকাশ সীমা রক্ষা করা
- এবং দেশ রক্ষায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকা
- বিমান ভিত্তিক বিভিন্ন অপারেশন চালানো
বিমান বাহিনীর কাজ হল সফলভাবে বিমান অপারেশন সম্পাদন করা। সেনাবাহিনীর
নিরাপত্তা ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও নির্দেশনা
প্রদান করা ইত্যাদি।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতীক কি
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আকাশযুদ্ধ শাখা হলো বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।
বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ও জাতীয় পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা হচ্ছে বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতীক হলো বলাকা,যার অর্থ হচ্ছে
বক পাখি।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠিত হয় কবে
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের ডিমাপুর
বিমানবন্দরে,পাকিস্তান বিমান বাহিনীর বাঙালি অফিসার এবং এয়ারম্যানদের মাধ্যমে
১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গঠিত হয় এবং ৮ অক্টোবর ১৯৭১ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে
চালু হয়।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত অনেক
বাংলাদেশী কর্মকর্তা,বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করে যার ফলে শুরুতেই
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একদল প্রশিক্ষিত জনশক্তি পাই। এবং পরবর্তীতে ১৯৭৩-১৯৭৪
সালের দিকে এ জনবল বিমানবাহিনীতে যোগদান করে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদানের জন্য মহিলাদের কি কি যোগ্যতা লাগে
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অনেক মহিলা প্রার্থীরা আবেদন করতে চান। তার জন্য তারা
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদানের যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চান। বাংলাদেশ বিমান
বাহিনীতে যোগদানের জন্য মহিলাদের কি কি যোগ্যতা লাগে সেগুলোর নিচে উল্লেখ করা
হলো:
- উচ্চতা:জিডি (পি) কমপক্ষে ৬৪ ইঞ্চি
- চোখ:জিডি (পি) শাখার প্রার্থীদের জন্য দু চোখের দৃষ্টিশক্তি হতে হবে৬/৬
- বুকের মাপ:কমপক্ষে ২৮ ইঞ্চি
- প্রসারণ:২ ইঞ্চি
- ওজন:বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী থাকতে হবে
- নাগরিকত্ব:বাংলাদেশী
- বৈবাহিক অবস্থা পদ অনুযায়ী অবিবাহিত/বিবাহিত
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদানের জন্য পুরুষদের কি কি যোগ্যতা লাগে
আরো পড়ুনঃঢাকা টু কক্সবাজার বিমান ভাড়া আপডেট
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদানের জন্য পুরুষদের কি কি যোগ্যতা লাগে তা
নিচে তুলে ধরা হলো:
- উচ্চতা:জিডি (পি) কমপক্ষে ৬৪ ইঞ্চি
- চোখ:জিডি (পি) শাখার প্রার্থীদের জন্য দু চোখের দৃষ্টিশক্তি হতে হবে ৬/৬
- বুকের মাপ:কমপক্ষে ৩২ ইঞ্চি
-
প্রসারণ:২ ইঞ্চি
- ওজন:বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী থাকতে হবে
- নাগরিকত্ব:বাংলাদেশী
- বৈবাহিক অবস্থা:পদ অনুযায়ী অবিবাহিত/বিবাহিত
-
শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও কাগজপত্রের ফটোকপি
- আবেদন ফরম
- নাগরিকত্ব সনদপত্র
- চারিত্রিক সনদপত্র
-
পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর স্লোগান
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মূলমন্ত্র হলো 'ফ্লাই-ফ্লাইট-উইন'। এবং বাংলাদেশ বিমান
বাহিনীর স্লোগান হলো 'বাংলার আকাশ রাখিবো মুক্ত'।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পোশাক
বিমানবাহিনীর পোশাক, অন্যান্য বিমানবন্দরে কর্মরত বিমান চালক অথবা ইয়ার হোস্টেল থেকে কিছুটা আলাদা। নিচে বিমানবাহিনীর পোশাক এর ছবি দেওয়া হল।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বেতন কত?
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কর্মরত বাহিনীরা প্রথমে প্রশিক্ষণকালীন সময়ে ১০৫০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। আর প্রশিক্ষণ শীর্ষে তারা এর থেকে বেশি বেতন পান এবং ভাতাদি প্রাপ্ত হন। আপনি চাইলেই বিমান বাহিনীতে যোগদান করতে পারবেন। আর এর বেতনও অনেক ভালো রয়েছে।
তবে সকলের কিন্তু এ বিমান বাহিনীতে যোগদান করতে পারবেন না। বিমানবাহিনীতে যোগদান করতে হলে তাদের যোগ্যতা থাকতে হবে। আর আপনার যদি সে যোগ্যতা থেকে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই এ বাহিনীতে যোগদান করতে পারবেন। আর যাদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে যায় তাদের বেতন ২২ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য
উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনাদের কাছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর
ঘাঁটি কয়টি ও কি কি আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url