থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ ও লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আপনি কি থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব থ্যালাসেমিয়ার রোগের লক্ষণ কি এবং কেন থ্যালাসেমিয়া রোগ হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে। আজকের এই পর্ব শেষ আমরা আরো জানতে পারবো থ্যালাসেমিয়া রোগ হলে করণীয় কি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ ও লক্ষণ।

থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ ও লক্ষণ

থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণে অনেক বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই অবশ্যই এই রোগ থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা জেনে নেব কি কারনে থ্যালাসেমিয়া রোগ হয়ে থাকে বা এই রোগের লক্ষণ কি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ ও লক্ষণ।

থ্যালাসেমিয়া কি

আপনি কি জানেন থ্যালাসেমিয়া কি? যদি না জেনে থাকেন তবে আজকের এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি জানতে পারবেন থ্যালাসেমিয়া রোগ কি বা কেন হয়। থ্যালাসেমিয়া(Thalassemia) হল রক্তের এক প্রকারের জিনঘটিত বংশগতরোগ। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর রক্তের অক্সিজেন বহনকারী হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনে ত্রুটি থাকে। যার ফলে আক্রান্ত রোগী রক্তস্বল্পতা বা রক্তে অক্সিজেনের স্বল্পতায় ভুগেন।

আপনি জেনে অবাক হবেন যে,প্রতিবছর প্রায় ১ লক্ষ শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।

থ্যালাসেমিয়া রোগের অপর নাম কি

আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন থ্যালাসেমিয়ার রোগের অপর নাম কি। থ্যালাসেমিয়া এই রোগের অপর নাম কি জানতে আজকের পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক থ্যালাসেমিয়া রোগের অপর নাম কি। থ্যালাসেমিয়া নামক এ রোগের অপর নাম হল মেডিটেরিয়ান এনিমিয়া। 

অনেকে এই রোগ কে অ্যানিমিয়া বলে থাকে থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রধান লক্ষ্যন হলো রক্তশূন্যতা। থ্যালাসেমিয়া(Thalassemia) হল রক্তের এক প্রকারের জিনঘটিত বংশগতরোগ। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর রক্তের অক্সিজেন বহনকারী হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনে ত্রুটি থাকে। যার ফলে আক্রান্ত রোগী রক্তস্বল্পতা বা রক্তে অক্সিজেনের স্বল্পতায় ভুগেন।

থ্যালাসেমিয়া রোগ কি ভাল হয়

আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন থ্যালাসেমিয়া রোগ ভালো হয় কিনা অথবা থ্যালাসেমিয়া রোগ কি ভাল হয়। হ্যাঁ আপনি সব প্রশ্নের উত্তর গুলো পাবেন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে। চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক থ্যালাসেমিয়া রোগ কি ভাল হয় কিনা। যেহেতু থ্যালাসেমিয়া একটি জিন ঘটিত রোগ, রোগ সেহেতু থ্যালাসেমিয়া কখনোই ভালো হয় না।
তবে নিয়মিত রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে এবং রক্ত রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নের সুচিকিৎসা গ্রহণ করলে একজন থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীকেদীর্ঘদিন সুস্থ ভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায়। তবে এর থেকে আরও একটি কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে সেটি হল অস্থিমজ্জা স্থাপন। তবে,এটি অনেক এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা পদ্ধতি। যা সবার পক্ষে এ চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা।

শিশুর থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ

আপনি কি শিশুর থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন শিশুর থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ গুলো কি কি সেই সম্পর্কে। যেহেতু থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত রোগ সেহেতু একটি শিশু জন্মগতভাবে এর রোগটি নিয়ে আসে। 

বাবা মা উভয়ই কিংবা বাবা অথবা মা যে কোন একজন যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হয়ে থাকেন তবে তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হবে। এক্ষেত্রে শিশুর দুই বছরের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পাবে। যতদূত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করলে এই রোগ নিরূপণ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বাহক মা-বাবার প্রথম সন্তান 30 বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণগুলো নিম্নরূপ-
  • স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়ে থাকে
  • রক্তস্বল্পতা
  • রুচিহীনতা
  • দুর্বলতা
  • ওজন হ্রাস
  • অপুষ্টি
  • খিটখিটে
যেহেতু থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত রোগ সেহেতু একটি শিশু জন্মগতভাবে এর রোগটি নিয়ে আসে। বাবা মা উভয়ই কিংবা বাবা অথবা মা যে কোন একজন যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হয়ে থাকেন তবে তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হবে। এক্ষেত্রে শিশুর দুই বছরের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পাবে। যতদূত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করলে এই রোগ নিরূপণ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বাহক মা-বাবার প্রথম সন্তান 30 বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।

থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ কি

আপনি যদি থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ কি জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ কি বা কেন হয় এই রোগটি। তাহলে চলুন এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ কি।আমরা ইতিপূর্বেই জেনেছি থালাসমিয়া কি এবং থ্যালাসেমিয়া কেন হয়ে থাকে। থ্যালাসেমিয়া সাধারণত ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন জিন এর কারণে হয়ে থাকে। 

এটি এক ধরনের জিনগত রোগ। তাহলে বুঝতেই পারছেন,এটি আপনার বংশের বা পূর্বপুরুষদের কারণ যদি থেকে থাকে তবেই আপনার মাঝে ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এটি কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়।
কোন পিতা বা মাতা যদি থ্যালাসেমিয়া জিন বহনকারী বাহক হয়ে থাকে কিংবা পিতা-মাতা উভয়েই থ্যালাসেমিয়া জিন বহনকারী হয়ে থাকে তবে তাদের সন্তানের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া উপস্থিত থাকবে। 

তবে সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা যায় যে থ্যালাসেমিয়া জিন বহনকারী পিতা-মাতার সন্তানদের চারজনের মধ্যে একজন থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হবেন বাকি তিনজন সুস্থ এবং স্বাভাবিক হলেও তাদের মধ্যে থ্যালাসেমিয়ার জিন থেকে যাবে এবং বংশানুক্রমে তাদের সন্তান সন্ততিতে থ্যালাসেমিয়া রোগ ছড়াতে পারে।থ্যালাসেমিয়া সাধারণত দুই প্রকার। আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বিটা থ্যালাসেমিয়া।

থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ ও লক্ষণ

আপনি নিশ্চয়ই থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পর্বে মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন থ্যালাসেমিয়ার রোগের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ ও কারণ কি।

রোগের কারণ

থ্যালাসেমিয়া সাধারণত ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন জিন এর কারণে হয়ে থাকে। এটি এক ধরনের জিনগত রোগ। তাহলে বুঝতেই পারছেন,এটি আপনার বংশের বা পূর্বপুরুষদের কারণ যদি থেকে থাকে তবেই আপনার মাঝে ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এটি কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। কোন পিতা বা মাতা যদি থ্যালাসেমিয়া জিন বহনকারী বাহক হয়ে থাকে কিংবা পিতা-মাতা উভয়েই থ্যালাসেমিয়া জিন বহনকারী হয়ে থাকে তবে তাদের সন্তানের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া উপস্থিত থাকবে।

লক্ষণ

  • স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়ে থাকে
  • রক্তস্বল্পতা
  • রুচিহীনতা
  • দুর্বলতা
  • ওজন হ্রাস
  • অপুষ্টি
  • খিটখিটে

বিটা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট ট্রিটমেন্ট

বিটা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট ট্রিটমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে নিচে দেওয়া হলো এক নজর এ দেখে নিতে পারেন এবং আপনারা আপনার অবস্থার সাথে মিলিয়ে নিবেন এবং দেখবেন আপনার পরিস্থিতি এর সাথে মিলে যায় কি , না ৷ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে , বিটা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট ট্রিটমেন্ট -থ্যালাসেমিয়া মাইনরে সাধারণত কোন প্রকার কোন চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না । 

থ্যালাসেমিয়া মেজরে সাধারণত রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে নিয়মিত ভাবে রক্ত সঞ্চালন করা হয়ে থাকে ৷ বারবার রক্ত গ্রহণ করার ফলে একটি বিপজ্জনক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে থাকে যা হলো বিভিন্ন অঙ্গে অতিরিক্ত পরিমাণ আয়রন জমে যাওয়া । এর ফলে যকৃত বিকল হয়ে রোগী মারা ও যেতে পারে । এ ধরনের জটিলতা প্রতিরোধ করার জন্য আয়রন চিলেটিং এজেন্ট দেয়া হয়ে থাকে , যা দেহের অতিরিক্ত পরিমাণ আয়রন বের করে দেয় ।

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার ও ঔষধ পরিহার করতে হবে , সঙ্গে ফলিক এসিড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে দেয়া হয়ে থাকে ৷ এছাড়া বারবার রক্ত সঞ্চালন করার ফলে রোগীর প্লীহা ( SPLEEN ) বড় হয়ে যায় , ফলে প্লীহা কেটে ফেলতে হয়ে থাকে ৷থ্যালাসেমিয়া রোগ এর একটি কার্যকরী চিকিৎসা হচ্ছে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন ( Bone Marrow Transplantation ) . কিন্তু এটি হলো সাধারণত অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল ।

থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ কোন বয়সে প্রকাশ পায়

থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ কোন বয়সে প্রকাশ পায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে অবগত নন তাদের কে এই থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ কোন বয়সে প্রকাশ পায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে অবগত করার জন্য নিচে থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ কোন বয়সে প্রকাশ পায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হলো এক নজর এ দেখে নিতে পারেন এবং আপনারা আপনার অবস্থার সাথে মিলিয়ে নিবেন এবং দেখবেন আপনার পরিস্থিতি এর সাথে মিলে যায় কি , না ৷ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে , থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ কোন বয়সে প্রকাশ পায় -

সাধারণত , জন্মগত ভাবে কোন একটি শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে যা , ঐ শিশু টি ও মা - বাবা এর কোন প্রকার কোন ভুল থেকে নয় বরং জেনেটিক্যালি বা জিনগত কারণ এর জন্য সংঘটিত হয়ে থাকে ৷ শিশুর বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার ২ বছরের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ গুলো প্রকাশিত হতে শুরু করে থাকে যা পরবর্তী তে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া পর তথা পরীক্ষা নিরীক্ষা করার মাধ্যমে এই রোগের নিরুপণ করা হয়ে থাকে ৷

থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রতিকার

থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিকার করা সম্ভব । এটি একটি প্রতিরোধ যোগ্য রোগ । যদি স্বামী - স্ত্রী দুজনই থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক বা একজন থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক এবং একজন হিমোগ্লোবিন - ই এর বাহক হয়ে থাকে , তবে প্রতি গর্ভাবস্থায় এই রোগে আক্রান্ত শিশু জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা থাকে শতকরা ২৫ ভাগ , বাহক শিশু জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে শতকরা ৫০ ভাগ , আর সুস্থ শিশু জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে শতকরা প্রায় ২৫ ভাগ ।

স্বামী - স্ত্রী দুজন এর মধ্যে যে কোনো একজন যদি সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ থেকে থাকেন , তাহলে নবজাতক শিশুর থ্যালাসেমিয়া হওয়ার কোনো প্রকার কোন সম্ভাবনা থাকে না । তবে কিন্তু নবজাতক শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হতে পারে যা কিন্তু কোনো রোগ নয় । তাই সাধারণত এ রোগের বাহকদের মধ্যে বিয়ের ব্যপারে নিরুৎসাহিত এবং প্রতিহত করার মাধ্যমে সমাজে নতুন করে থ্যালাসেমিক শিশুর জন্ম গ্রহণ হ্রাস করা যায় । 

সুতরাং , দেরি না করে আজই থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় করার জন্য হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস নামক পরীক্ষাটি করুন এবং আপনার শিশু কে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়া থেকে মুক্ত রাখুন ।এ ছাড়া ও ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অর্থাৎ যেসব পরিবারে স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই এ রোগ টির বাহক অথবাযাদের এক বা একাধিক পরিমাণ থ্যালাসেমিক শিশু আছে তারা তাদের গর্ভস্থ ভ্রূণ পরীক্ষা করার মাধ্যমে সম্ভাব্য থ্যালাসেমিক শিশু নির্ণয় এবং তা পরিহার ( গর্ভপাত ) করতে পারেন । গর্ভাবস্থার ১৬ থেকে ১৮ সপ্তাহ এর মধ্যে পরীক্ষা টি করালে ভালো হয়ে থাকে ৷

শিশুর থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ

শিশুর থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে অবগত নন তাদের কে এই শিশুর থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে অবগত করার জন্য নিচে এই শিশুর থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হলো এক নজর এ দেখে নিতে পারেন এবং আপনারা আপনার অবস্থার সাথে মিলিয়ে নিবেন এবং দেখবেন আপনার পরিস্থিতি এর সাথে মিলে যায় কি , না ৷ তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে , শিশুর থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ -
শিশুদের ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ গুলো -

থ্যালাসেমিয়া রোগের মেজর বা কুলি অ্যানিমিয়া ( Cooley anemia ) - রোগে তে আক্রান্ত সন্তান গুলো বড় হয়ে সাধারণত ৩০ বৎসর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে । শিশুর ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি যে সমস্যা গুলো দেখা দেয় সেটি হলো - সাধারণত তার যথাযথ ভাবে তার বৃদ্ধি না হওয়া । আর সেই সাথে রক্ত স্বল্পতা জনিত সমস্যা , অরুচি জনিত লক্ষণ , দুর্বলতা সহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে ।

শেষ কথা: থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ ও লক্ষণ 

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আপনার যদি এই পর্বটি সম্পর্কে কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url