হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার - হার্টের সমস্যার প্রাথমিক চিকিৎসা
প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন। আজকে আমরা আলোচনা করব হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার -হার্টের সমস্যার প্রাথমিক চিকিৎসা।বর্তমান সময়ে এখন প্রায় সকল বয়সের মানুষের মাঝেই হাটের সমস্যা লক্ষণীয় তাই আজ হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানব। চলুন আমরা জেনে নেই হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার কি কি।
বর্তমান সময়ে দিন দিন হার্টের সমস্যা বেড়েই চলেছে তাই আজ আমরা হার্টের সমস্যার লক্ষণ প্রতিকার সম্পর্কে আজকে আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানবো। হার্টের সমস্যার লক্ষণ প্রতিকার গুলো কি কি? তাই আর কথা না বাড়িয়ে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই আমরা হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার -হার্টের সমস্যার প্রাথমিক চিকিৎসা।হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও কারণ
বর্তমান সময়ে অধিক পরিচিত একটি রোগের নাম হচ্ছে হার্টের সমস্যা। এখন প্রায়
সকল বয়সের ব্যক্তিদের দেখা দিচ্ছে হার্টের সমস্যা। গ্রীষ্মকালে এ রোগের পরিমাণ
আরো বেড়ে যায়। একটি মানুষের স্বাভাবিক বিপি ১২০/ ৮০ থাকে,কিন্তু যদি এর
থেকে বিপি বেড়ে যায় তাহলে সেইটা হাইপ্রেসার আর যদি কম থাকে তাহলে সেটা
হবে লোপ্রেসার উভয় কিন্তু ভয়ংকর সমস্যা। হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও
কারণগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
আরো পড়ুনঃ দাঁত ভাল রাখার উপায় কি
- অল্প কাজ করতেই হাঁপিয়ে যাওয়া।
- শরীরের দম কমিয়ে যাওয়া।
- বুকের বা পাশে তীব্র ব্যাথা অনুভব করা।
- শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়া।
- শরীর অকারণে অধিক ঘেমে যাওয়া।
- বুকে ধরফর অনুভব হওয়া।
- ওজন কমে যাওয়া।
- দিন দিন শরীর দুর্বলতা বেড়ে যাওয়া।
- হাড়ের সমস্যার কারণ গুলো হচ্ছে
- নিয়মিত ঘুমের অভাব।
- খাদ্যাবাসে শাস্য জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করে থাকলে।
- খাবারে কাঁচা লবন খেলে।
- মাদকাসক্তির জন্য।
- দীর্ঘদিন দিন একটানা রাত জাগলে।
শরীরে হার্টের সমস্যা একটি বড় ধরনের সমস্যা। হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও
প্রতিকার এটি যেন না হয় সেই ব্যাপারে আমাদের অধিক সজাগ বা পোপার নিয়ম মেনে
জীবন যাপন করতে হবে। যেসব কারণে হার্টের সমস্যা হতে পারে সেসব জিনিস বা
দ্রব্যকে না বলতে শিখতে হবে। হার্টের সমস্যার কারণে আপনার নিজে ছাড়াও পারিবারিক
এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। সুতরাং উপরে বর্ণিত যেসব কথা বলা হয়েছে
সেই লক্ষণ গুলো কোন মানুষের মধ্যে বিদ্যমান থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের
পরামর্শ নিতে হবে।
মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ
হার্ট অ্যাটাক বর্তমান সময় খুবই একটি সাধারণ ব্যাপার।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন এর মত নারীদের পুরুষের তুলনায় বেশি লক্ষণ
দেখা যায়। যা তাদের হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।ছেলেদের
মতো মেয়েদের মাঝেও হার্টের সমস্যার লক্ষণ চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই এইসব
লক্ষণগুলো নারীর মধ্যে যদি বিদ্যমান থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে
হবে। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এখন প্রায় সকল বয়সের ব্যক্তিদের
দেখা দিচ্ছে হার্টের সমস্যা। গ্রীষ্মকালে এ রোগের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়।
হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও কারণগুলো হচ্ছে।
- শ্বাস ছোট হয়ে আসা
- অবসন্নতা
- ঘুমের অসুবিধা
- শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়া।
- শরীর অকারণে অধিক ঘেমে যাওয়া।
- বুকে ধরফর অনুভব হওয়া।
- ওজন কমে যাওয়া।
- দিন দিন শরীর দুর্বলতা বেড়ে যাওয়া।
মেয়েদের হার্টের সমস্যার সমস্যার কারণ গুলো হচ্ছে
- নিয়মিত ঘুমের অভাব।
- খাদ্যাবাসে শাস্য জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করে থাকলে।
- খাবার কাঁচা খেলে।
- মাদকাসক্তির জন্য।
- দীর্ঘদিন দিন একটানা রাত জাগলে।
শরীরে হার্টের সমস্যা একটি বড় ধরনের সমস্যা। হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও
প্রতিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সেই ব্যাপারে আমাদের অধিক সজাগ বা পোপার
নিয়ম মেনে জীবন যাপন করতে হবে। যেসব কারণে হার্টের সমস্যা হতে পারে সেসব
জিনিস বা দ্রব্যকে না বলতে শিখতে হবে।
হার্টের সমস্যার প্রতিকার
প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন হার্টের সমস্যার প্রতিকার সম্পর্কে? জি হা আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি হার্টের সমস্যার বিস্তারিত বিষয়ে জানতে পারবেন। বর্তমানে হাটের সমস্যা একটি নীরব ঘাতক রোগ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এ রোগের সবচেয়ে বড় কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে বেশ কিছু নিয়ম কানুন ফলো করলে হার্টের সমস্যা অনেক অংশে কমে যাবে। আমাদের খাবার বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। চর্বি জাতীয় জিনিস এবং শর্করা জাতীয় জিনিস কম খেতে হবে, বেশি পরিমাণে খেতে হবে আমিষ। আধাঘন্টা করে হাঁটতে হবে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় দিন, বেশিক্ষণ বসে থাকা যাবে না একটানা, ত্যাগ করতে হবে ধূমপান, সুগার, রক্তচাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃচর্ম রোগের ক্রিম সম্পর্কে জেনে নিন
এসব বিষয় মাথায় রেখে যদি আপনি জীবন যাপন করেন তাহলে হার্টের সমস্যা অনেক
অংশ কমে যাবে। তারপরও বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং
সেই রকম জীবন যাপন করতে হবে।
হার্টের সমস্যার কারণ
এখন প্রায় সকল বয়সের ব্যক্তিদের দেখা দিচ্ছে হার্টের সমস্যা। গ্রীষ্মকালে এ
রোগের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। একটি মানুষের স্বাভাবিক বিপি ১২০/ ৮০ কিন্তু যদি
এর থেকে যদি বিপি বেড়ে যায় তাহলে সেইটা হাইপ্রেসার আর যদি কম থাকে তাহলে সেটা
হবে লোপ্রেসার উভয় কিন্তু ভয়ংকর সমস্যা। হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও কারণগুলো
হচ্ছে
- অল্প কাজ করতেই হাঁপিয়ে যাওয়া।
- শরীরের দম কমিয়ে যাওয়া।
- বুকের বা পাশে তীব্র ব্যাথা অনুভব করা।
- শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়া।
- শরীর অকারণে অধিক ঘেমে যাওয়া।
- বুকে ধরফর অনুভব হওয়া।
- ওজন কমে যাওয়া।
উপরে বর্ণিতএই বিষয়গুলো যদি আপনার সঙ্গে ঘটে বা আপনার শরীরে হয় তাহলে
আপনি দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন বেঁচে যেতে পারে আপনার
সুন্দর জীবন।
হার্টের ব্যথা কোথায় হয়
প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চাচ্ছেন হার্টের ব্যথা কোথায় হয়, তাহলে এই পোস্টটি
মনো যোগ সহকারে পড়ুন তাহলে জানতে পারবেন হার্টের ব্যথা কোথায় হয় এবং কেন
হয়। হার্টের ব্যথা অনেক সময় এটি বুকের মাঝখান থেকেও শুরু হয়, ব্যাথা
মূলত বুকের বাম পাশে অনুভূতি হয় । পেটের উপরিভাগে ব্যথাও অনেক ক্ষেত্রে
হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে । এই ব্যথাগুলো যখন তীব্র আকার ধারণ করবে
তখন বুঝতে হবে আপনার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা আছে।
হার্টের সমস্যার প্রাথমিক চিকিৎসা
কোন ব্যক্তির হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার কিছু লক্ষণের মাধ্যমে আমরা
সনাক্ত করতে পারি যে তার মাঝে হার্টের সমস্যা রয়েছে বুকের বা পাশে তীব্র
ব্যাথা হয় অনুভব করা। শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা থাকা। অল্প কিছুক্ষণের
মধ্যেই দম ফুরিয়ে যাওয়া। কোন ব্যক্তির মাঝে যদি আমরা সনাক্ত করতে পারি বা
উক্ত লক্ষণ বা হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার গুলো দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে
হার্টের সমস্যার প্রাথমিক চিকিৎসা গুলো হচ্ছে ব্যক্তিটিকে হেলান দিয়ে প্রথমে
বসাতে হবে কিছুক্ষন মাথায় ঠান্ডা পানি দিতে হবে এতে করে উচ্চরক্তচাপ কমে
আসবে।
আরো পড়ুনঃ walton চার্জার ফ্যানের দাম
ব্যক্তিটিকে রিলাক্স ফিল করাতে হবে। ব্যক্তিটির শরীরে যদি এলার্জি না থাকে সে
ক্ষেত্রে ব্যক্তিটিকে একটা অ্যাসপিরিন খাওয়ানো যেতে পাড়ে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ
হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। এরপর হার্টের সমস্যার
জন্য দায়ী সকল দ্রব্যাদি তাকে পরিহার করতে হবে। কারণ হার্ট অ্যাটাক একটি
প্রাণঘাতক রোগ এটি থেকে সর্বদাই নিজেকে দূরে রাখারর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনি নিশ্চয় জেনে গেছেন হাটের সমস্যার কারণ কি,এই সমস্যা
থেকে বাঁচার উপায় কি, তাহলে আমাদের প্রত্যেকেরে উচিত এসব নিয়ম মেনে জীবন যাপন
করা তাহলে আমরা হার্ট অ্যাটাকের বড় অসুখ থেকে আমরা নিজেকে বাঁচাতে পারবো
আমাদের এই পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে শেয়ার করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url