ঘাড় ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আমাদের ঘাড় ব্যথা করে কিন্তু আমরা অনেকেই ঘাড় ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে তেমন জ্ঞান নেই। তাই আপনে যদি এমন সমস্যার সমাধান পেতে চান তাহলে জেনে নিন ঘাড় ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সাথেই থাকুন।
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সাধারণ ঘাড় ব্যথার কারণ ও প্রতিকার জানা খুবই দরকার
কারণ এমন সমস্যায় আমরা কম বেশি সকলে পড়ি। তাই আজ আমরা আলোচনা করবো ঘোরায়া এবং
কৃত্রিম ভাবে ঘাড় ব্যথার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আপনারা আমাদের সাথেই থাকুন। তাই
আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক কোন কোন উপায়ে ঘাড় ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
করা যায়।
হঠাৎ ঘাড় ব্যথার কারণ
নিত্যদিনের কাজকর্মের কারণে বা খারাপ একটি অভ্যাসের কারণে হঠাৎ করে ঘাড় ব্যাথা
হতে। হঠাৎ করে ঘাড় ব্যথার অনেকগুলো কারণ রয়েছে উদাহরণস্বরূপ প্রতিদিনের
শোয়ার ভঙ্গিমায় যদি কোন রকম ব্যাঘাত ঘটে সেক্ষেত্রে সে কারণে ঘাড়ে ব্যথা হতে
পারে। তাই রাতে শোয়ার সময় সঠিকভাবে শুইতে হবে। বামসাইটে কাত হয়ে হাটু অল্প
একটু মুড়ে শুতে হবে। এবং বালিশ যেন উঁচু না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে। রাতে
অতিরিক্ত উচু বালিশের কারণে হঠাৎ করে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ব্রণের হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম
এছাড়াও কতগুলো আরো কারণ রয়েছে এগুলো হচ্ছে অধিক সময় ধরে মাথা নিচু করে
মোবাইল চালানো, অধিক সময় ধরে ডেক্সে কম্পিউটারে কাজ করা। প্রতিদিন ব্যায়াম
করার সময় হঠাৎ করে ঘাড়ে ঝাঁকুনি লাগলে সেখান থেকে ব্যথার কারণ হতে পারে
সৃষ্টি হতে পাড়ে। তাই ব্যায়াম করার সময় বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত। যেন
তাড়াহুড়া করতে গিয়ে কোথাও ঝাঁকুনি না লেগে যায়। এসব কারণগুলোর জন্য হঠাৎ
করে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এসব সব আমাদের অসতর্কতার কারণের জন্য ঘটতে পারে।
ঘাড় ও মাথা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
প্রিয় পাঠক আপনি সঠিক জায়গায় এসেছে কারণ আপনি ঘাড় ও মাথা ব্যথার কারণ ও
প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাই। আমার নিচে ঘাড় ও মাথা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
- শোয়ার ভঙ্গিমার ব্যাঘাতের কারণে ঘাড়ও মাথা ব্যথা হতে পারে।
- অনেকক্ষণ ধরে ফোন চালানোর কারণে মাথা এবং ঘাড় ব্যথা করতে পারে ।
- অনেকক্ষণ ধরে কম্পিউটার বা ডেক্সে বসে থাকার কারণে মাথা এবং ঘাড় ব্যথা হতে পারে।
- নিত্যদিনে কাজকর্ম করতে গিয়ে পেশীতে টান বা বেশি চাপ লাগার কারণে মাথা ব্যথা ও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
- আঘাত লাগার কারণ ও মাথা এবং ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে যেমন ক্রিকেট বা ফুটবল খেলার সময় হুটহাট করে লেগে যাওয়ার কারণে ঘাড়ে এবং মাথায় ব্যথা হতে পারে।
- শারীরিক অসুস্থতার কারণে জন্য মাথায় এবং ঘাড়ে ব্যাথা অনুভব হতে পারে।
- উচ্চ রক্ত বৃদ্ধির কারণ ও ঘাড়ে এবং মাথায় ব্যাথার অনুভব হতে পারে যদি আরো কিছু বিশেষ বিশেষ কারণ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে বমি বমি ভাব হওয়া শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়া প্রভৃতি।
উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য আমাদের শরীরে মাথা এবং ঘাড়ে হঠাৎ করে ব্যথার অনুভব হতে
পারে। যদি আমাদের বিশেষ কারণে মাথা এবং ঘাড়ে ব্যথায় অনুভব হয় তাহলে দ্রুতই
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর যদি আমাদের অসতর্কতার কারণে যদি ঘাড়ে এবং মাথা
ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে ঘরোয়া বা প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেই যথেষ্ট।
ঘাড় ব্যথার প্রতিকার
আমাদের অসতর্কতার জন্য বিভিন্ন কারণে ঘাড়ে ব্যাথা হতে পারে। তবে প্রথমে আমাদের
দেখতে হবে এ ব্যথা আমাদের অসতর্কতার কারণে হয়েছে নাকি বিশেষ কারণেই ব্যথা
হচ্ছে এসব চিহ্নিত করে আমাদের ব্যথার প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে
হবে। প্রাথমিক অবস্থায় ব্যথার প্রতিকারের কারণগুলো নিম্নে দেয়া হলো
- সারাদিন মাথা নিচু করে ফোন ব্যবহার করার থেকে বিরত থাকতে হবে।
- সারাদিন ডেক্সে বসে বসে একটানা কাজ করা যাবে না মাঝে মাঝে সময়ে রেস্ট নিতে হবে।
- মাথার উপর কোন ধরনের ভারী জিনিস বহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- প্রতিদিন শোয়ার সময় বালিশটি যেন উঁচু না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
- মাথায় অতিরিক্ত প্রেসার বা টেনশন থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
- অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি নিকট সেলুনে ম্যাসাজ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
- আর যদি বিশেষ কারণে ব্যথার অনুভব হয় তাহলে দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ
আমাদের ঘাড়ে ব্যাথা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। কিছু ঘাড়ের ব্যথা হয় আমাদের
অসতর্কতার কারণে এবং কিছু ঘাড়ে ব্যথার কারণ আমাদের বিভিন্ন রোগের কারণে দেখা
দিতে পারে। সুতরাং আমাদের প্রথমে চিহ্নিত করতে হবে যে এই ব্যথা আমাদের অসতর্কতার
কারণে হচ্ছে নাকি বিশেষ কোনো রোগের কারণে আমাদের ঘাড়ে ব্যথার অনুভব হচ্ছে। তা
চিহ্নিত করে আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিভিন্ন রোগের কারণে যেসব লক্ষণ গুলো
দেখা দিতে পাড়ে সেসব লক্ষণ গুলো নিম্নোক্ত তুলে ধরা হলো
- ঘাড়ের চারিদিকে পেশীগুলো দুর্বল হয়ে পড়া।
- হাড়ের জয়েন্ট যুক্ত স্থানে দ্রুত ভুলে যাওয়া।
- ঘারের হারের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে যাওয়া।
- ঘাড় এবং এর আশেপাশে জায়গাগুলোতে ব্যথা অনুভব হওয়া। মাথার পেশী দুর্বল হওয়ার কারণে ঘাড়ের হারের অধিক চাপ সৃষ্ট রোগের কারণ হতে পারে।
উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য যদি আমাদের ঘাড়ের ব্যথা অনুভব হয় তাহলে দ্রুতই
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বা অতি জরুরি। কারণ এসব ব্যাথা আমাদের অসর্তকতার
জন্য হচ্ছে না বরং এগুলো প্রাণনাশক রোগের লক্ষণ তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের
পরামর্শ প্রয়োজন পরবে।
ঘাড় ও বুক ব্যথার কারণ
ঘাড় এবং বুকে ব্যাথার বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে এটা সম্পন্ন রোগের লক্ষণের উপর
নির্ভর করে। তবে সাধারণ অর্থে যে রোগ হবার সম্ভবা তুলনা মুলকভাবে বেশি হয় সেটি
হলো স্পন্ডাইলোসিস যা আমাদের ঘারের অধিক ক্ষয়প্রাপ্ত হবার পর যে রোগটি ঘটে। এই
রোগটি হবার পর পরে প্রথম দিক ঘারে তিব্র ব্যাথা অনুভব হয় এবং পরে সেই ব্যাথা
বুকেও অনুভব হয়। এই রোগটা হবার মূলত কারণগুলো হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে হেলে কোন কাজ
করা যেমন মোবাইল চালানো, কম্পিউটার চালানো
আরো পড়ুনঃভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি - ভেষজ ঔষধের নাম
প্রভৃতি কারণে আমাদের ঘরের ক্ষয়প্রাপ্ত ঘটতে পাড়ে আর পরিষেশে এই স্পন্ডালাইটিস
রোগটি দেখা দিতে পারে। তাই এসব লক্ষণ গুলো যদি আমাদের শরীরের মাঝে দেখা দেয়
বা পরিলক্ষিত হয় তাহলে রোগিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে
হবে। এবং দীর্ঘদিন ধরে রেস্ট করতে হবে বালিশ ছাড়ায় ঘুমাতে হবে। দীর্ঘদিন হেলে বা
ঝুঁকিপূণ্য কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ঘাড় ব্যথার ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এই পর্বে এসে আমরা
আলোচনা করব ঘাড় ব্যথার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত বিষয় জানতে আমাদের
সঙ্গে থাকুন।
ঘাড় ব্যথার ঘরোয়া উপায় গুলো হচ্ছে কোনে কাজ করার সময় অধিক সময়ে শরীর যেনো
ঝুৃকে না থাকে সেই দিকে সজাক দৃষ্টি রাখতে হবে।নিয়মিত ভাবে উঠা নামা সাইটে
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেহকে সোজা রাখতে হবে।
- সারাদিন মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে কোনো করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
- বাঁকা হয়ে অধিক ক্ষণ কোথাও দাঁড়ানো ঠিক হবে যতা সম্ভম মেরুদণ্ড সোঁজা রেখে দাঁড়াতে হবে এবং মেরুদণ্ড সোঁজা রেখেই চলাফেরা করতে হবে।
- আবার কাঁধ নিচে করে কোথায় উপরে একটানা তাকিয়ে থাকা উচিত হবে না। সেই ব্যাপারেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
- রাতে বিছানায় ঘুমানোর সময় বাম দিক মুখ করে দুই পায়ের হাঁটু সামান্য পরিসরে ভাঁজ করে মেরুদণ্ড সোঁজা রেখে ঘুমাতে হবে।
- আবার বিছানার বালিস অধিক উঁচু না সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে বালিস ছাড়া ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে ঘাড় ব্যথার কারণ ও প্রতিকার হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে
প্রথমে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে যে এটি সাধারণ কারণে ব্যথা হচ্ছে নাকি বিশেষ
কারণে ব্যথা হচ্ছে । যদি সাধারণ কারণে ব্যথা হয় তাহলে ঘরোয়া কিছু উপায় প্রয়োগ
করলেই ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু যদি বিশেষ কারণে ব্যথার অনুভব হয় তাহলে তাহলে দেরি
না করে সরসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url