চোখের এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা - চোখের এলার্জির ওষুধ

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আজকের পোষ্টের মাধ্যমে চোখের এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা ও চোখের এলার্জির ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যাদের মধ্যে চোখের এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা নেই তাদেরকে সম্পূর্ণ ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

চোখের এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা


চলুন দেরি না করে জেনে নেই চোখের এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা ও চোখ এর এলার্জির ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত। চোখের এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসার সম্পর্কে সবারই জানা প্রয়োজন। 

এলার্জি  কিভাবে হয়?

 এলার্জি ধুলাবালি, খাবার দাবার যে কোন বিষয় থেকে হতে পারে। এগুলো হওয়ার কারণ কি জানেন? আপনাকে একটি গল্পের মাধ্যমে বলি। বৃষ্টি দিনে জসিম ভালো কিছু খাবার দাবার খাওয়ার জন্য বসে পড়ল। ভুনা খিচুড়ি, মচমচে ইলিশ মাছ আর একটু বেগুন ভাজি নিয়ে। তিনি আয়েশ করে খাবেন বলে। কিন্তু কিছুক্ষণ খাওয়ার পর দেখা গেল তার শরীরে চুলকানি হচ্ছে। 

আর সে জায়গাগুলো লাল হয়ে ফুলে যাচ্ছে। তাহলে এখানে ঘটনাটা কি হলো? জসিমের শরীরে যে পাহারাদার গুলো আছে যার প্রতিদিন তাকে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর হাত থেকে বাঁচায়, তারা খাবারের মধ্যে কোন একটা উপকরণকে ক্ষতিকর মনে পড়েছে। ধরতে পারে বেগুনকে তারা ক্ষতি করে মনে করেছে তাই বেগুনের সাথে তারা মারামারি শুরু করে দিয়েছে। 

ভেতরে মারামারি হচ্ছে আর বাইরে আপনার শরীরে সে প্রভাবটি পড়ছে। আসলে বেগুন তো কোনো ধরনের ক্ষতি করে না শরীরের। কিন্তু আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তাদেরকে শত্রু হিসেবে চিনে নিয়েছে। আর এটাকে মূলত বলে এলার্জি।

চোখের এলার্জি দূর করার উপায়

আমাদের শরীরের সব অঙ্গের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রত্যেকটি অঙ্গই আমাদের জন্য অনেক জরুরী। সব অঙ্গের মধ্যে একটি যদি না থাকে তাহলে স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করা যায় না। তবে মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে চোখ। বর্তমান পরিস্থিতিতে সুন্দর জীবন যাপনের জন্য আমরা অনেক পরিশ্রম করে থাকি। 

নিজের খেয়াল রাখার মত সময়টুকু বের করতে পারি না। এই ব্যস্ততার জীবন যাপনের জন্য নিজের চোখে ঠিকমতো যত্ন নিতে পারি না। সে জন্য চোখের বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃচোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করার উপায়

চোখের এলার্জির ড্রপ

বর্তমানে কিছু মানুষ মস্তিষ্কে ব্যাধিগুলির মতো অন্যান্য অবস্থার ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিকারক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, ঘুঘুগুলি , হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা, মাইস্টেনিয়া গ্যারিস, লিভার ডিজিজ , মৃগীরোগ, একটি অ্যান্টিবায়োটিক এলার্জি ইত্যাদি সমস্যা এগুলো হয়ে থাকে এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য, মহিলাদের বুকের দুধ খাওয়ানো এবং ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের এই অ্যান্টিবায়োটিক এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এটি ক্ষতিকর পরিণতি হয়ে থাকে।

চোখের এলার্জি দূর করার ঔষধ

চোখের এলার্জি সমস্যা এটি একটি অনেক বড় সমস্যা। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হলে চোখের কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অন্য কোন ঔষধ সেবন করা চোখের জন্য ঠিক হবে না। উন্নত মানের চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধই হচ্ছে অনেক বেশি কার্যকর। চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় এ জন্য- এলার্জি যুক্ত এবং আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।

যেমন  আপনার যদি বাড়ীতে কোন পোষা প্রাণী থাকে তাহলে তার থেকে সতর্ক থাকতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় চোখে সানগ্লাস বা রোদচশমা ব্যবহার করলে। চোখের এলার্জি দূর করার ঔষধ হিসেবে নিচের ঘরোয়া চিকিৎসা অনুসরণ করার চেষ্টা করতে পারেন।

  • তিন চার ফোটা গোলাপ জল এনার্জি আক্রান্ত চোখে দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য চোখ বন্ধ করে রাখতে হবে যেন চোখে থাকা এনার্জি আর ইনফেকশন সরিয়ে তুলতে পারে।
  • তিন থেকে চার চামচ লবণ এক গ্লাস পানিতে ২৫ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর সেটিকে ঠান্ডা করে কয়েক টুকরা পুরস্কার সাহায্যে আক্রান্ত চোখের কোনা ভালো ভাবে মুছতে হবে।

চোখের এলার্জির হোমিও চিকিৎসা

চোখের এলার্জি বা এলার্জিক কঞ্জাঙ্কটিভাইটিস হল এক ধরনের চোখের ব্যাধি যা হলে চোখের কঞ্জাঙ্কটিভাতে প্রদাহ হয়। চোখের এলার্জি মূলত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত কঞ্জাঙ্কটিভাইটিস এর থেকে কিছুটা আলাদা হয়ে থাকে। চোখের এলার্জি সাধারণত গরমকালে হয়। হোমিও প্যাথি এর কিছু চিকিৎসা রয়েছে। এই এলার্জির যে যে লক্ষণ দেখা দেয় তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।
  • তীব্র শ্লেষ্মা নেত্রপ্রদাহ।
  • চোখে ঘন ঘন জল আসে এবং চোখ মিটমিট করতে থাকে।
  • চোখে অনেক জ্বালা পোড়া করে যাতে চোখের পাতার প্রান্তে ক্ষত হতে শুরু হয়।
  • কর্নিয়ার অস্বচ্ছতার সাথে জ্বালা পোড়া এবং ঘন স্রাব নিঃস্বরণ হতে থাকে।
  • কর্নিয়ায় ফুস্কুড়ি বা ইস্ফটক হতে থাকে।
  • বাত জনিত কারণে চোখের আইরিস প্রদাহ সহ আংশিক ভাবে চোখের পাতা প্যারালাইসিস এর ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে ভাল একটি ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
  • প্রায় সবসময়ই চোখ থেকে সব সময় পানি পড়তেই থাকে।
  • চোখের পাতা ফোলা সহ জ্বালা পোড়া থাকে যা খোলা বাতাসে ভাল অনুভব হয়ে থাকে।
  • আমাদের চোখের ভালোর জন্য সন্ধ্যায়, গৃহমধ্যে , আলো এবং উষ্ণতায় বৃদ্ধি।
  • মুক্ত বাতাস , কফি পানে, অন্ধকারে হ্রাস পেতে থাকে।
  • নেত্র প্রদাহ সঙ্গে যুক্ত এলার্জিক রাইনাই-টিস এর ক্ষেত্রে চোখ ও নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরে পড়াকে এলিয়াম সেপার সঙ্গে তুলনা করা হয়।

এলার্জির হোমিও ঔষধের নাম

রুটা
রুটা তীব্র ও যন্ত্রণাদায়ক এলার্জি গুলোর চিকিৎসা করে থাকে। চোখের চারপাশ ফুলে যায়, চোখের পাতাও ফুলে থাকে। চোখ থেকে সব সময় পানি বেরিয়ে আসে।

ইউফ্রেসিয়া
চোখ থেকে অনেক সময় এসিডিক কিছু বা ঝামেলা নির্গত হয় যার ফলে চোখ জ্বালাপোড়া হতে থাকে এবং চোখ থেকে ক্রমাগত পানি বের হয়ে থাকে। এরকম সমস্যা দেখা গেলে ইউফ্রেসিয়া নামক হোমিও প্যাথি ওষুধটি ব্যবহার করতে হয়।

আর্জেন্টাম নেট্রিকাম
চোখ দিয়ে অনেক বেশি পুজ বের হলে আর্জেন্টাম নেট্রিকাম হোমিওপ্যাথি ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। কি সমস্যা গুলোর ক্ষেত্রে রোগীর ফটো ফোবিয়া হতে থাকে। চোখের ভেতর ছোট ছোট টুকরো হয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে বলে মনে হয়। এতে কঞ্জাঙ্কটিভা ক্রমশরস্ফীত হয়ে থাকে।

পালসাটিলা
যখন চোখের মধ্য দিয়ে একটা হলুদ কালার এর মত পাতলা শ্রাব বের হয়ে থাকে, চোখে অনেক জ্বালা পোড়া করে, চুলকায়, চোখের পাতা গুলো দেখে মনে হয় দানা বেঁধে আছে তখন পালসাটিলা নামে হোমিও প্যাথি ঔষধটি ডাক্তারের পরামর্শ দেন ব্যবহার করার।

চোখে এলার্জির সমস্যা হয় কেন?

চোখে এলার্জি খুব কমন একটি সমস্যা। আমাদের জীবনে প্রায় অনেক সময় এ ধরনের সমস্যায় ভুগতে হয়। মনে হয় তো অনেকেরই বেচে যাবে এ ধরনের সমস্যা হয়েছে যে চোখ চুলকায় কিংবা অল্পতেই চোখ লাল হয়ে যায়। চোখের এলার্জি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি বড়দেরও হতে পারে আবার ছোটদেরও হতে পারে। 

বাচ্চাদের সমস্যা হয় তাহলে তখনই তাদের চিকিৎসা করা প্রয়োজন। আর যদি দেরি হয়ে যায় তাহলে সে সমস্যাটি আরো বেড়ে যাবে। ভার্নাল কনজাংটিভাইটিস বা এটোপি কনজাংটিভাইটিস এর মত রোগগুলোকে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করতে হয়। আর এগুলোর জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হবে, ডাক্তার চোখের অবস্থা দেখে তারপরে যে ড্রপটি আপনার চোখের জন্য ভালো হবে সেগুলো দিবে।

 যেমনঃ চোখের ড্রপ,  এন্টি অ্যালার্জির ড্রপ ইত্যাদি ড্রপ দিতে পারেন। যেগুলোর মাধ্যমে তার চোখের চিকিৎসা করা যেতে পারে।এইযে এলার্জির সমস্যাগুলো হয় এগুলো হওয়ারও কিন্তু কিছু কারণ রয়েছে । যেমনঃ ধুলাবালির কারণে হতে পারে, আবার কিছু খাবার থেকেও আমাদের শরীরে এনার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে আর সেখান থেকে চোখের এলার্জি সমস্যা হতে পারে। 

যার যেই বিষয়ে তাকে সেই বিষয়কে আগে থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। নইলে পরবর্তীতে এর থেকে বড় কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই আগে আমাদের জানতে হবে কোন বিষয় থেকে এলার্জি সমস্যা হচ্ছে। আর এলার্জির সমস্যা হলে এই নিয়ে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই এটিকে চিকিৎসা করা সম্ভব। এলার্জি হওয়ার ক্ষেত্রে চোখে কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেমনঃ চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ চুলকানো, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। 

আর এ ধরনের সমস্যা যখন দেখা দিবে বেশি দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং চেকআপ করতে হবে আপনার কোন ধরনের সমস্যা হয়েছে। আর সে অনুযায়ী ডাক্তার আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ বা ড্রপ দিবে। সেগুলোকে নিয়মিত খেতে হবে।

চোখে এলার্জি সমস্যা এড়াতে কি করা প্রয়োজনঃ

এখনো পর্যন্ত যাদের অ্যালার্জি সমস্যা হয়নি, তারা চাইলে আগে থেকে এলার্জির সমস্যা থেকে বাঁচতে পারেন। তাই পরবর্তীতে যেন এলার্জি সমস্যা না হয় সে কারণে আগে থেকে আমাদের সচেতন হয়ে যেতে হবে। আগে থেকে যদি আপনারা সচেতন হয়ে যেতে পারেন তাহলে এলার্জির মতো এ ধরনের সমস্যা আর হবে না।

এলার্জি যুক্ত জিনিস কে খুঁজে বের করা

 এলার্জি সমস্যা এরাতো হলে আপনাকে প্রথমে এলার্জি যুক্ত খাবার কিংবা কোন বস্তুকে আপনার কাছে আসতে দেবেন না। অর্থাৎ সে জিনিসগুলো আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। তাহলে আপনার শরীরে পাহারাদার গুলো অযথা মারামারি করার জন্য কাউকে পাবে না। আর আপনারও কোন ধরনের সমস্যা হবে না। সেগুলো এড়িয়ে চলার পাশাপাশি আপনাকে সবসময় পরিষ্কার থাকতে হবে।

কোন জিনিসে এলার্জি হচ্ছে কিভাবে খুজে বের করবেন

চোখের এলার্জির সমস্যা এড়াতে হলে আগে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে কোন জিনিস থেকে আপনার এলার্জির সমস্যা হচ্ছে। এখন হলো আপনি কিভাবে এলার্জির উৎস খুঁজে বের করবেন।এর সহজ উদাহরণ হলঃ এর আগে যে উদাহরণটি দেওয়া হয়েছিল যে জসিম ভুনা খিচুড়ি, ইলিশ এবং বেগুন ভাজে খেয়েছে। 

সেখান থেকে তিনি একটা ধারণা করতে পারেন যে তার কোন খাবার থেকে এলার্জি হয়েছে। আর এর পরে যখন তিনি বেগুন ভাজতে রুটি খান আর তখনই তার চুলকানি সমস্যা হতে থাকে তখন তিনি শিওর হয়ে যেতে পারবে যে তার এই খাবার থেকে সমস্যা হচ্ছে। তাই এলার্জি সমস্যা এড়াতে জসিমকে বেগুন থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। 

এরকমভাবে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে আপনার কোন খাবার থেকে এলার্জি সমস্যা হচ্ছে। আপনাকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে অর্থাৎ খেয়ে অথবা সে জিনিসের কাছে যেয়ে দেখতে হবে যে এই জিনিসটাতে আপনারা এলার্জি হচ্ছে নাকি না।

চোখ পরিষ্কার রাখা

চোখের এলার্জি সমস্যা এড়াতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে , চোখ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। চোখ পরিষ্কার না রাখলে চোখে এলার্জির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আপনাকে চোখ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। বাহিরে কোথাও থেকে আসার পর সঙ্গে সঙ্গে হাত, মুখ, চোখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। থেকে বাঁচার জন্য আপনি সাধারণ চশমা ব্যবহার করতে পারেন। এ চশমা গুলো আপনাকে সূর্যের অতিরিক্ত তাপ এবং ধুলাবালি থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে।

জায়গা পরিষ্কার রাখা

চোখ পরিষ্কার করার পাশাপাশি আপনি যে সব জায়গাতে বেশি থাকেন সেই সব জায়গাগুলো কেউ পরিষ্কার করতে হবে। কারণ আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত চামড়া পরিবর্তন হতে থাকে। আর চামড়াগুলো উঠে বিভিন্ন জায়গায় পড়ে যায়। এরপর সেখানে ডাস্ট মাইক নামের এক ধরনের খুদে প্রকার সৃষ্টি হয়। যেগুলোকে চোখে সহজে দেখা যায় না। 

আর এগুলোর কারণে অনেক সময় আমাদের এলার্জি সমস্যা হয়ে থাকে। সাধারণত এগুলো ধুলাবালি ময়লা এসব জায়গায় বেশি থাকে। তাই আপনি যেসব জায়গায় বেশি থাকবেন সেসব জায়গায় সব সময় চেষ্টা করবেন পরিষ্কার করার। আর আপনি যে বিছানায় কিংবা ঘরে থাকেন সেই ঘরের আসবাবপত্র গুলো গরম পানিতে মোছার কিংবা ধোয়ার চেষ্টা করবেন।

আর এইসব করার মাধ্যমে আপনি আগে থেকে আপনার চোখের সমস্যা দূর করতে পারবেন। আর আপনার যদি আগে থেকে চোখের এলার্জি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান।

চোখের এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা

চোখের এলার্জির সমস্যার কারণে মানুষ বেশিভাগ হোমিও প্যাথি ওষুধ ব্যবহার করে বা সেবন করে থাকে। তবে হোমিও প্যাথি ওষুধ ছাড়াও প্রাকৃতিক ভাবে কিছু ঘরোয়া ঔষধ ব্যবহার করা যায়। চোখের এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা এর পদ্ধতি নিম্নে দেওয়া হলো।

আরো পড়ুনঃবাম চোখ লাফালে কি হয় বিস্তারিত জেনে নিন

ঠান্ডা পানির ব্যবহার
এলার্জি প্রভাহিত জায়গাগুলোতে ঠান্ডা পানির প্রভাব দিলে অনেকটাই আরাম পাওয়া যায়। ঠান্ডা পানি তে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে ওই এলার্জি সমৃদ্ধ অঞ্চলটিতে রাখা যেতে পারে অথবা ক্যামোটিল টী ব্যাগ দিয়েও ঠান্ডা ভাপ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

শসা এর ব্যবহার
শসা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এ চোখের সমস্যার জন্য শসার ব্যবহার করা যেতে পারে। শসা গোল গোল করে চোখের উপরে দিতে হবে। শসা চোখে ফোলা ভাব, চুলকানি ইত্যাদি কমে যাবে।

গোলাপ জল এর ব্যবহার
গোলাপ জল চোখের এলার্জি নিরাময়ের জন্য খুবই উপকারী এবং এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান। যদি চোখের জ্বালা পোড়াতে প্রশমিত করে, ঠান্ডা করে ও চোখে পরিষ্কার রাখে। গোলাপ জল চোখের জল হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

গ্রিন টি ব্যাগ এর ব্যবহার
গ্রিন টি ব্যাগ এলার্জির জন্য সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি একটি ওষুধ। যদি চোখের প্রদাহ কমাতে ব্যবহার করা হয়। প্রকৃতিতে এন্টি প্রবাহ জনক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

চোখের পাতায় এলার্জি

চোখের অযত্নের কারণে চোখের পাতায় খুশকি হয়ে থাকে সেটাই ধীরে ধীরে যখন সেটিতে ইনফেকশন হয়ে যায় তখন সেটাকে বলি আমরা চোখের এলার্জি বা চোখের পাতায় এলার্জি। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন তারা চোখের পাতায় এলার্জি জনিত সমস্যা নিয়ে ভুগছেন। 

চোখের পাতায় এলার্জির প্রধান ও মেইন লক্ষণ গুলো হলো চোখ চুলকানো, চোখে জ্বালাপোড়া করা, চোখ থেকে অনবরত পানি পড়া ও চোখের পাতা ফুলে যাওয়া। এ সমস্যা গুলো যদি সাথে সাথেই সমাধান করা হয় তাহলে আমাদের জন্য খুবই ভালো।

তবে এই সমস্যাগুলো যদি দীর্ঘায়িত হয়ে যায় তাহলে সেটি চরম আকার ধারণ করে বসে। মূলত মানুষের শরীরের ইউনিয়ন সিস্টেমে কোন সমস্যা দেখা দিলেই এলার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। সে জন্য যত দ্রুত এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটির সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে এলার্জি সংক্রান্ত সমস্যা ভালো না হওয়া পর্যন্ত ওষুধ সেবন করা।

চোখ চুলকানোর কারণ কি

চোখ চুলকানো অসহ্য জনক ও বিরক্ত কর একটি সমস্যা। এ জন্য চোখের পাতা, কর্নিয়া এবং কনজাংকটিভা ইত্যাদি পরীক্ষা করে চোখ চুলকানোর কারণ নির্ণয় করতে হবে। একটি ট্রিগার অথবা এলার্জিনের প্রতিক্রিয়ার কারণে শরীরে হিষ্টামিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক নিঃসৃত হয় অনেক বেশি পরিমাণে। 

এর ফলে চোখের রক্ত বাহির নালী প্রসারিত হতে থাকে। এই কারণেই চোখ চুলকায় ও জ্বালা পোড়া, চোখ পানিতে ভরে যায় এবং কখনো কখনো লাল হয়ে যায়। চোখ চুলকানোর কিছু লক্ষণ দেখা যায় তা নিম্ন আলোচনা করা হলো।
  • চোখের পৃষ্ঠে ও পৃষ্ঠতলের ঝিল্লিতে প্রদাহ।
  • প্রতিনিয়ত সর্দি, গলা ধরে যাওয়া এবং হাঁচি হয়।
  • চোখের পাতা ফুলে যায়।
  • ক্রমাগত চোখ থেকে পানি গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে।
  • চোখ জ্বালাপোড়া করা।
  • চোখ লাল হয়ে পরা।

চোখের এলার্জি ঔষধ এর নাম

যথাযথ সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে নইলে করডিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর চিকিৎসকের পরামর্শর বাইরে কোন ওষুধ সেবন করা বা চোখের কোন ড্রপ ব্যবহার করা উচিত নয়। চোখের এলার্জির সমস্যা দূর করার জন্য নিম্নে কিছু ঔষধের নাম দেয়া হলো।

  • রূটা
  • এপিস মেল
  • ইউফ্রেসিয়া
  • আর্জেন্টাম নেট্রিকাম
  • স্পিজেলিয়া
  • এমব্রসিয়া
  • ইউফ্রাশীয়া

ঘরোয়া ওষুধের নাম

আরো পড়ুনঃ চোখের ঝাপসা দূর করার উপায় জেনে নিন

  • ঠান্ডা জলের ভাব
  • শসা
  • গোলাপ জল
  • গ্রিন টি

চোখের এলার্জির সংক্রান্ত বিষয় কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর 


চোখের এলার্জি দূর করার ড্রপঃ


চোখের এলার্জির সমস্যা দূর করার জন্য চিকিৎসকেরা বিভিন্ন ধরনের ড্রপ দিয়ে থাকেন। এ ড্রপগুলো আপনার চোখের সমস্যা দূর করতে অনেক সাহায্য করবে।অপাটিন মাক্স(এটি চোখের ময়লা দূর করতে সাহায্য করে),সিনাফ্রেস। এগুলো ব্যবহার করার আগে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।  যেন পরবর্তীতে কোন ধরনের সমস্যা না হয়।

 চোখে এলার্জি দূর করার ঔষধঃ

চোখের এলার্জি সমস্যা হলে চিকিৎসকেরা ডেসলোরাটাডিন ওষুধ খারাপ পরামর্শ দেন। এটি এলার্জি জনিত সমস্যা দূর করতে অনেক সাহায্য করে। এটা কিন্তু চোখের এলার্জি সমস্যা না আরো বিভিন্ন ধরনের এনার্জি সমস্যা দূর করতে পারে। 

তবে এটাকে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ চোখ শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। চোখের সমস্যা হলে এটির শরীরের উপর অনেক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

চোখের এলার্জির লক্ষণঃ

সাধারণত চোখে এলার্জির সমস্যা হলে, চোখে চুলকানি, চোখ জ্বালাপোড়া করা, চোখ থেকে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। এসব চোখে এলার্জি হওয়ার লক্ষণ। তাই এ ধরনের লক্ষণ দেখা গেলে বসে না থেকে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া।

চোখের এলার্জি দূর করার দোয়াঃ

চোখে যে কোন ধরনের সমস্যা হলে, এই আমলটা আপনি করতে পারেন।" আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনশাররি বাসারি" এই আমলটি করার মাধ্যমে আপনার চোখের সমস্যা আপনি খুব সহজে দূর করতে পারবেন । তাই আমাদের যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। আর সঠিকভাবে আল্লাহ তায়ালার কাছে চাইতে পারলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই আমাদের সমস্যা দূর করে দিবে।

শেষ কথাঃ চোখের এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে চোখের এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা ও চোখের এলার্জির ঔষধের সম্পর্কে যা আলোচনা করলাম তা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের এলার্জির সমস্যা দূর করতে হবে এবং এর সাথে সাথে চোখের এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা এর সাহায্যেও নিতে হবে। আমাদের পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে সবার মাঝে বেশি বেশি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। ধন্যবাদ।


পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url