চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার -ঔষধচোখের ভিটামিন ক্যাপসুল
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আজকের পোষ্টের মাধ্যমে চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার ঔষধ ও চোখের ভিটামিন ক্যাপসুল নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যারা চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার এবংচোখের ভিটামিন ক্যাপসুল ঔষধ সম্পর্কে জানেন না আজকের পোষ্টের মাধ্যমে সম্পূর্ণ জানানোর চেষ্টা করব।
চোখের ভিটামিন কি
আল্লাহ তালার অশেষ নিয়ামতে আমরা অনেক ভালো আছি তাই সকলে বলি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছে যাদের শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যার নাম চোখ। সেই চোখের সমস্যায় ভুগছেন। চোখের সমস্যা এবং চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার ঔষধ এবং ভিটামিন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। আমরা সকলেই অনেকের মুখে বলতে শুনি যে, গাজর আপনার চোখের জন্য খুব ভালো আপনার চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুব পুষ্টিকর ও পরিপূরক গ্রহণ করুন ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির উপায় কি
বর্তমান দিনের জীবনযাত্রার ইলেকট্রনিক গেজেট গুলির অত্যাধুনিক ব্যবহার এবং আমাদের খাবার বাদ দিয়ে ব্যস্ত সময়সূচী আমাদের বেপরোয়া চলাফেরার জন্য চোখের ক্ষতি হয়। স্বাস্থ্য আমাদের চোখ সবচেয়ে জটিল এবং সংবেদনশীল অঙ্গ সেজন্য বিভিন্ন প্রয়োজনে ভিটামিন ভালো দৃষ্টি বৃদ্ধির জন্য। চোখের সঠিক কার্যকারিতা এবং কাঠামোগত বা কার্যকরী ক্ষতি প্রতিরোধের জন্য এইগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন হয়। এখানে চোখের প্রয়োজনীয় কিছু ভিটামিনের তালিকা নিম্নে দেওয়া হল। যা চোখ গুলোকে সুস্থ ও ঝলমলে রাখতে অনেক সাহায্য করে।
ভিটামিন বি
কমপ্লেক্স ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি এক, বি
দুই, বি তিন, বি ছয় এবং বি বারো। এই ভিটামিন গুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে
কাজ করে থাকে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং রেডিক্যাল ক্ষতি থেকে
চোখ কে রক্ষা করে। নিয়ে এবং রেটিনা কে প্রদাহ জনক এবং অবক্ষয় কারী পরিবর্তনের
বিরুদ্ধে রক্ষা করে যায়। তাছাড়াও তারা গ্লুকোমার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে
থাকে। এটি অন্য কোথায় একটি অবস্থা যেখানে অন্তঃচক্ষুর চাপ বৃদ্ধি পায় এবং
দৃষ্টি বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটায় নার্ভকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ভিটামিন বি সমৃদ্ধ উচ্ছের মধ্যে রয়েছে
- নিরামিষ উৎস শাক, শাক সবজি, দুধ, দই এবং সূর্য ফুলের বীজ।
- এ ধরনের খাবার খেয়ে থাকলে ভিটামিন বি এর উৎস মিলবে যা আমাদের শরীর এবং চোখের জন্য খুব উপকারী।
- আমিষের উৎসঃ মুরগি, টার্কি, স্যামন, লিভার এবং অন্যান্য অঙ্গের মাংস।
- এ ধরনের খাবার খেয়ে থাকলে ভিটামিন বি এর উৎস মিলবে যা আমাদের শরীর এবং চোখের জন্য খুব উপকারী।
কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের সমস্যা হয়
চোখ শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ যাকে আমরা খুব সহজেই স্পর্শ করতে পারিনা। বলা যায় খুব সেনসিটিভ অঙ্গ। অথচ চোখের উপরেই পরে দুনিয়ার যত সব চাপ। নানা কারণে খুব সহজে বাড়তে পারে অন্ধত্বের ঝুঁকি। এবং এই দিকে ভিটামিনের অভাবে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে যে কেউ এবং যে কোনো সময়। বর্তমান সময়ে মানসিক চাপ এবং কাজের চাপ পরিমাণে থাকে। দুনিয়ার বুকে সবার জন্য চাপ নিতে নিতে মনে হচ্ছে নিজের জন্য সেই সময়টুকুই বের করা হচ্ছে না। সবসময়ই চাপের মধ্যে থাকতে থাকতে সাধারণ কাজেই বিভিন্ন ধরনের ভুল করে থাকি।
এর পাশাপাশি কিন্তু প্রতিদিনই পুষ্টিকর খাবারের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এই ঘাটতি থাকার ফলে শরীরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শরীরে জেগে উঠছে। মস্তিষ্ক ঠিকমতো পুষ্টি না পেলে সেখান থেকেই আসে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। আপনি কি জানেন যে কোন ভিটামিন এর অভাবে চোখের সমস্যা হয় সব ভিটামিনের মধ্যে সে ভিটামিন উত্তম। ভিটামিন টি হল ভিটামিন এ। সশরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ বাম চোখ লাফানোর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিনি
রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো থেকে হাড়ের যত্ন নেওয়া, হরমোনের ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখা। সকল সুস্থতা বজায় রাখতে পুষ্টিকর উপাদানের কোন বিকল্প নেই। সে জন্য যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন শরীরকে অবশ্যই সুস্থ রাখতে হবে। শরীরকে সুস্থ রাখতে একত্রে ১৩ টি ভিটামিন প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ভিটামিনের কার্যকারিতাও ভিন্ন ভিন্ন। এই ভিটামিন এর ঘাটতিই বিভিন্ন অসুস্থতার কারণ হয়ে ওঠে। পুষ্টিবিদরা বলেন, সব কয়টি ভিটামিনের কথা মাথায় রেখে খাওয়া-দাওয়া করলে চোখ সুস্থ থাকা খুবই সহজ হয়ে উঠবে।
মদ্যপান ও ধূমপান
ধূমপান ও মদ্য পানের মত অভ্যাসগুলোই আমাদের
জীবনের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। এ টির কারণে চোখেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়ে
থাকে। এরা ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের চোখের নার্ভের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ ক্ষতি
গ্রস্ত হয় সেজন্য সেন্ট্রাল ভিশন প্রবাহিত হতে থাকে। ঝুঁকি বৃদ্ধি করে
এবং অপটিক নার্ভেরও ক্ষতি করে থাকে। এগুলো অন্ধত্বের অপরিবর্তনশীল কারণ হয়ে
দাঁড়িয়েছে।
প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার
আসলে এগুলো বলা খুব সহজ কিন্তু এগুলো
জীবনে এপ্লাই করা ততটাই কঠিন। আজকের পৃথিবীতে ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও একটি
স্মার্টফোন ব্যবহার করা খুবই সহজ বা সাধারণ এবং এর ফলেই দৃষ্টি শক্তি মারাত্মক
ক্ষতির শিকার হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখ শুষ্ক
হয়ে যায় এবং চোখের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। সেজন্য আমাদের দৃষ্টি শক্তি দিন
দিন কম হয়ে যাচ্ছে। আমাদের চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার ঔষধ সম্পর্কে জানতে
হবে।
ভিটামিন এ ট্যাবলেট এর নাম
চোখের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনের মধ্যে সর্বোত্তম ভিটামিন এ। যাকে রেটিনলও বলা হয়ে থাকে। এটি চোখেকে আদ্র রাখতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এবং আপনার করনিয়ার পুষ্টিকে রক্ষা করা যায়। ভিটামিন এ এর অভাবে মানুষের রাতকানা রোগ হয়ে থাকে। ভিটামিন নেই চোখের আলোর পরিবর্তন গুলোকে সামঞ্জস্য করতে সাহায্য করে যখন আপনি আলো থেকে অন্ধকারে আসেন এবং এর বিপরীতে অন্ধকার থেকে আলোতে আসেন। এটি কম আলোর পরিস্থিতিতে ভালো দৃষ্টি শক্তি প্রচার করে থাকে।
এটি রেটিনা কে অবক্ষয় এর বিরুদ্ধে ও রক্ষা করে থাকে। অতএব দৃষ্টিশক্তিকে ভালো রাখার জন্য ভিটামিন এ খুবই প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ উৎসের মধ্যে রয়েছে । সেগুলো হল গাজর, পালন শাক, শাক, , হলুদ শাকসবজি, বেলমরিচ, কুমড়া, ডিম এবং কড লিভার তেল।
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার ঔষধ
আমরা সকলেই জানি চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার ঔষধ এর পরেও আমাদের শরীরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন প্রয়োজন হয়ে থাকে। যে যে ভিটামিন দরকার তা হলো সর্বপ্রথম ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই। এই ভিটামিন গুলোর উচ্চ সমূহ হচ্ছে নিরামিষ জাতীয় শাকসবজি, ফলমূল এবং আমিষ জাতীয় মুরগি, লিভার এবং বিভিন্ন ধরনের মাংস। কি জন্য ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ করা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা শুধু শরীরে না চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও সমস্ত ভিটামিন সরবরাহ করবে।
যদি একটি সুষম খাদ্য দৃষ্টি শক্তির উন্নতির জন্য এমনকি সর্বোত্তম পরিপূরক এর প্রয়োজনীয়তা দূর করে। এবং আপনি যদি ডায়েট করতে চান তাহলে ডায়েটে চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার ঔষধ এর জন্য এই ভিটামিন গুলোর মধ্যে আপনি কোনটি ব্যবহার করবেন। তবে এর মধ্যে সব ভিটামিন গুলোই সম্পূরক ও উপকারী হবে।
লুটেইন এবং জেক্সানথিন
লুটেইন এবং জেক্সানথিন হ্যালো কেরোটিনয়েড
পরিবারের একটি অংশ। উদ্ভিদের দ্বারা সংশ্লেষিত উপকারী যৌথের একটি গ্রুপ। এই
ক্যারোটিনয়েড গুলি আপনার চোখের রেটিনার মধ্যে পাওয়া যায়। যেখানে তারা
ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস থেকে আসা সম্ভাব্য ক্ষতিকারক নির আলোকে ফিল্টার করতে
সাহায্য করে। লুটেইন এবং জেক্সানথিন সমৃদ্ধ উৎসব গুলির মধ্যে রয়েছে গাজর, শাক,
শাকসবজি, ব্রোকলি, পেস্তা, কুমড়া এবং ব্রাসেল-স্প্রাউট।
ফ্যাটি অ্যাসিড
ফ্যাটি এসিড হলো এক ধরনের পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট
যার মধ্যে রয়েছে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তারার রক্ষা করে রেটিনা
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি পরিবর্তনের বিরুদ্ধে। তারা শুষ্ক চোখের রোগে আক্রান্ত
ব্যক্তিদের আরো অশ্রু তৈরি করতে সাহায্য করে একটি উপহার দেয়। ফ্যাটি এসিডের
উৎস সমূহ গুলির মধ্যে রয়েছে মাছ, তিসি বীজ, চিয়া
বীজ, সয়া, বাদাম এবং জলপাই এর তেল।
চোখের ভিটামিন ক্যাপসুল নাম
যেসব খাদ্য খেলে আমাদের শরীরে তাপ ও শক্তি উৎপাদিত হয়, দেহের কঠোর বৃদ্ধি হয়, শরীর সবল হয়, শরীর কর্মক্ষম ও নিরোধ হয় সেটি হচ্ছে ভিটামিন ক্যাপসুল বা পুষ্টিকর খাদ্য। লুটেইন এবং জেক্সানথিন,ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ইত্যাদি ট্যাবলেট এবং ক্যাপসুল এর কারণে চোখের সমস্যা দূর করা সম্ভব। কিন্তু এ সমস্যাগুলো হওয়ার কারণ হচ্ছে। বর্তমানে ইলেকট্রনিক স্ক্রিনের দিকে ক্রমাগত এক নজরে দীর্ঘ সময় ধরে তাকিয়ে থাকার কারণে মানুষের দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে।
আরো পড়ুনঃ চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার উপায়
কম্পিউটার, টিভি, ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোনের এখনকার দৃষ্টি শক্তি সংক্রান্ত সমস্যার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চশমার মাধ্যমে এর সমস্যার সমাধান পাওয়া গেলেও স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস এবং জীবন যাপনের মাধ্যমে এর সমাধান পাওয়া যেতে পারে। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে আপনি যদি দৃষ্টি শক্তি সব ধরনের সমাধান পাবেন সেই সমস্যা গুলো থেকে রেহাই পেয়ে যাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url