আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান - চিকিৎসা পদ্ধতি কত প্রকার
আজকে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান ও চিকিৎসা পদ্ধতি কত প্রকার। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অথবা চিকিৎসা শাস্ত্র হল কোন রোগের বিজ্ঞান অথবা শৈলীকে বোঝায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রতিষেধকের মাধ্যমে এবং আরো বিভিন্ন মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চলুন আজকে আমরা জেনে নেই আধুনিক চিকিৎসার বিজ্ঞান।
আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি কোনটা
আমাদের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সাথে আমাদের চিকিৎসায় ও এগিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক চিকিৎসার জনপ্রিয় নাম হল ল্যাপারোস্কপি। এই পদ্ধতির মাধ্যম দিয়ে কোন অপারেশন করার জন্য পেট কাটার প্রয়োজন হয় না, শুধুমাত্র একটি ছিদ্রের মাধ্যমে পেটের মধ্যে একটি শুরু নল ঢুকিয়ে বিভিন্ন অংশ দেখা যায়। এটা করার জন্য প্রথমে মানুষকে অজ্ঞান করা হয়। কারো শরীরে যদি পিত্তিতে পাথর হয় তাহলে এ পদ্ধতির মাধ্যম দিয়ে অপারেশন করা হয় সেই কারণে কোন ধরনের পেট কাটার প্রয়োজন হয় না।
আরো পড়ুনঃচর্ম রোগের ঔষধের নাম - চর্ম রোগের ১০ টি লক্ষণ
জরায়ুর, ডিম্বাকোষে টিউমার ইত্যাদি ধরনের রোগ নির্ণয় করা হয়ে থাকে। আপনার সাধারণ পেট ব্যথার জন্য ল্যাপারোস্কপি করার প্রয়োজন হবে না। একজন মানুষের যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা অর্থাৎ ফুসফুসের সমস্যা হয় তাহলে অনেক সময় অজ্ঞান করা যায় না সেই সময় পেটের মধ্যে নাড়ি ভূড়ি এবং বিভিন্ন অঙ্গ একই সাথে আরেকটি পেচিয়ে থাকে। আমরা সবাই জানি কোন অপারেশন ঝুঁকি ছাড়া করা হয় না।
কিন্তু পেট কাটা ছাড়া এ অপারেশন এর মাধ্যমে অনেক সুবিধা রয়েছে যেমন, রোগীরা দীর্ঘ সময় মেডিকেল থাকার প্রয়োজন হয় না, করার পরে কোন ধরনের ব্যথা হয় বলতে গেলে অনেক কম এবং অপারেশনের পর কোন ধরনের দাগ বা চিহ্ন থাকে না এবং আপনি যদি হাসপাতালে থাকেন তাহলে অনেক খরচ হয় সেই খরচটাও কম হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা
চিকিৎসা বিজ্ঞানের শাখা তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে এগুলো হলো বেসিক, প্যারা
ক্লিনিকাল ও ক্লিনিকাল। চলুন আমরা নিম্নে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
বেসিক শাখা গুলোর মধ্যে রয়েছে এন্টোমি,
ফিজিওলজি ও বায়ো কেমিস্ট্রি। প্যারা ক্লিনিক্যাল এর মধ্যে রয়েছে প্যাথলজি,
অনুজীব বিদ্যা এবং ফার্মাকোলজি। ক্লিনিক্যাল বলতে সাধারণত বোঝায় চিকিৎসা
বিদ্যা। এ দুইটি শাখা রয়েছে একটি হলো মেডিসিন ও আরেকটি হল সার্জারি। এগুলোর
বিভিন্ন ধরনের শাখা আছে এগুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ
- এন্টোমিঃ এর অর্থ হচ্ছে জীবের শরীরের কাঠামো গুলো তৈরি হওয়া অর্থাৎ সংক্রান্ত বিদ্যা। এগুলো ছাড়াও মাইক্রোস্কোপ, সাইকোলজি এবং হিস্টোলজি একই সাথে রয়েছে।
- জৈব রসায়নঃ জীবজন্তুর জন্য কাঠামো গঠন করা ও এর কার্যকারিতার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
- বায়োমেট্রিক্সঃ বায়োমেট্রিক সাধারণত জীববিজ্ঞানকে বোঝানো হয়। বায়োমেট্রিক্স এর কাজ হল চিকিৎসার বিষয় গবেষণা করা মূল্যায়ন ও ব্যাখ্যা করার অন্যতম।
- জীববিজ্ঞানঃ বিজ্ঞান পদ্ধতি গুলো পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়নের সহযোগিতা নেয়।
- কোষ বিদ্যাঃ কোষ বিদ্যা হল মাইক্রোস্কোপ দ্বারা গবেষণা করার বিদ্যা।
- ভৌণ বিদ্যাঃ একটি মানুষের কিভাবে শারীরিকভাবে বিকাশ ঘটবে শেষ সংক্রান্ত আলোচনা করা। এ বিদ্যা ১৮৮৫ সালে সর্বপ্রথম গবেষণা করা হয়েছিল।
- এন্ডোক্রিনোলজিঃ এটি সাধারণত হরমোন ও পশুদের শরীর নিয়ে যত ধরনের সমস্যা রয়েছে সেগুলো অধ্যায়নবিদ্যা।
- হিস্টোলজিঃ এটার মাধ্যমে ইলেক্ট্রোমাইক্রোস্কোপ, আলোকরশ্নের মাইক্রোস্কোপ জৈবিক টিস্যুর মাধ্যমে গঠনগুলো সম্পর্কে আলোচনা করে থাকে।
- স্নায়ুবিজ্ঞানঃ মানুষের শরীরে স্নায়ুতন্ত্র গবেষণা করে থাকে স্নায়ুবিজ্ঞান। বিভিন্ন ধরনের সার্জারি এবং মানুষের মানসিক রোগের সম্পর্কে সবকিছু স্নায়বিজ্ঞান এর মধ্য পড়ে।
এরকম ধরনের আরো অনেক শাখা রয়েছে। উপর্ত যেগুলো অতিরিক্ত প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের আরো অনেক ধরনের শাখা রয়েছে যা পরবর্তীতে আলোচনা করব।
ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি
ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি আয়ুর্বেদিক ঔষধের মাধ্যমে করে থাকে। এ চিকিৎসা পদ্ধতিটি হল অনেক প্রাচীন যুগের। আপনি যদি এন্টিবায়োটিক কোন ঔষধ খান তাহলে তার একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে কিন্তু ভেষজ চিকিৎসার জন্য কোন সীমাবদ্ধতা নাই। ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি এর অর্থ হল রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা। আপনার রোগ যতক্ষণ পর্যন্ত না ভালো হয় ভেষজ চিকিৎসা দিয়ে যাবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবার ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু হচ্ছে।
আরো পড়ুন:সোলাস ট্যাবলেট কয়টা খাওয়ার নিয়ম - সোলাস ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয়
এ চিকিৎসা করার জন্য অনেক মানুষ এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার পর যখন ভালো না হয় তখন এই চিকিৎসা করাতে আসে। যারা ভেষজ চিকিৎসা অর্থাৎ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিশ্বাস করে তারা মনে করে যে নতুন ভাবে কোন কিছু পাওয়ার আশা।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি
কোন উদ্ভিদের মাধ্যমে অর্থাৎ গাছের মাধ্যমে যে চিকিৎসা দেওয়া হয় সাধারণত তাকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বলা হয়ে থাকে। এ চিকিৎসা সর্বনিম্ন ৫ হাজার বছরের আগের। যুগের মানুষরা বেশিরভাগই গাছপালার মাধ্যম দিয়েই মানুষের চিকিৎসা করতো। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করার মাধ্যম হলো রোগীর সঠিক ঔষধ দেওয়া খাদ্য ও ক্রিয়াকলাপ দিয়ে করা হয়। এই দু'রকম ভাবে করা হয়ে থাকে।
এটিওলজিক্যাল এই পদ্ধতির মাধ্যমে ও দ্বিতীয় টি হল ঔষধ খাদ্য এবং ক্রিয়াকলাপ এই তিনটির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। আপনি যদি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার চারটি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- পড়ি সেবিকা
- রোগী
- ঔষধ
এ তিনটি কারণেই প্রথম স্থানে রয়েছিল আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এগুলো যদি আপনার সঠিক মত হয় তাহলে অবশ্যই আপনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দ্বারা উপকৃত হবেন। আপনাকে সবসময় পরিচ্ছন্নতা ও দক্ষতা থাকা প্রয়োজন এবং যেগুলো খারাপ দিক সেগুলো থেকে দূরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের মত অনুযায়ী চলাফেরা করা। তাহলে আপনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠবেন।
মহানবী সাঃ এর চিকিৎসা পদ্ধতি pdf
আমাদের জীবনে অসুস্থতা একটু অংশ হিসেবে ধরা যায়। যেমন আমাদের পৃথিবীতে মহামারী নামের একটি ভাইরাস ছিল কিন্তু মানবজাতির রহমতের কারণে মহামারী আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। চলুন আমরা জেনে নেই মানবী সাঃ এর চিকিৎসা পদ্ধতি।
দুধ ও ময়দাঃ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত রয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিবারের লোকজনের জ্বর আসলে তিনি ময়দা ও দুধ মিশিয়ে খাওয়ার জন্য নির্দেশ করতেন। এটি খাওয়ার ফলে মানুষের মনে দুশ্চিন্তা কমে এবং মনে শক্তি যোগায়। দুঃখ দূর হয় ও শরীরের ক্লান্তিবোধ থাকে না ফলে মানুষের চেহারা অনেক সুন্দর হয়ে যায় অর্থাৎ ময়লাগুলো দূর করে। সুনানে ইবনে মাজাহ ৩৪৪৫।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আরো অনেক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। তিনি ইসলামের দিক দিয়ে এরকম আপনার অনেক চিকিৎসা করেছেন। আপনি যদি নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর চিকিৎসা পদ্ধতি পিডিএফ ডাউনলোড করতে চান তাহলে bdbookstore.com এই ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি
হোমিওপ্যাথি ঔষধ হলো দুই ধরনের, একটি হল রোগ আরোগ্য করা ও দ্বিতীয়টি হল রোগ সৃষ্টি করা। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জন্য তিনি তার ৫৫ জন কর্মীকে সুস্থ দেহের মধ্যে ১০০ টি বেশি বা কম ঔষধ অল্পমাত্রায় চুপ করে পরীক্ষা করেছিলেন কিন্তু এই ওষুধের মাধ্যমে তাদের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেয়েছিল। আপনার শরীরে যদি কোন ধরনের রোগ থাকে তাহলে সে রোগ সম্পূর্ণভাবে শরীলে বের করার পরে হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে আবার ভালো করে তুলে।
আপনি ওষুধ সেবন করার পরে আপনার শরীরে সর্বপ্রথম আপনার যে অসুখটি হয়েছে তা বৃদ্ধি করে এবং পরবর্তীতে আস্তে আস্তে ভালো হতে শুরু করে। এভাবে হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতি কাজ করে থাকে।
বায়োকেমিক চিকিৎসা পদ্ধতি
বায়োমেট্রিক চিকিৎসা এ চিকিৎসা হলো একটি কার্যকারী চিকিৎসা। বায়োকেমিক চিকিৎসা ডক্টর শুকুদার আবিষ্কৃত করেছেন। আমাদের শরীরে অনেক ছোট ছোট কোষ রয়েছে এই কোডগুলোতে গঠিত হয় টিস্যু। আমাদের শরীরে অঙ্গ প্রতঙ্গে চার ধরনের টিস্যু রয়েছে। আপনি যদি কোন ভারী কাজ প্রতিনিয়ত করে থাকেন তাহলে এই টিসুগুলো আস্তে আস্তে ক্ষয় হতে থাকে। এই ক্ষয়গুলো আস্তে আস্তে ঠিক হওয়ার জন্য একটি ধাতু অর্থাৎ লবণের সাহায্যে হয়।
এটাতো লবণ গুলি যদি আবার ফিরে নিয়ে আসা যায় তাহলে রোগ ভালো হয়। এই বায়োকেমিক চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য হলো লবণগুলো আবার পুনরায় ফিরে নিয়ে আসা। বাই কমিক চিকিৎসার মাধ্যমে যদি কোন কিছু দুর্বলতা থাকে তাহলে সে দুর্বলতা সাজানোর পরে মানুষকে সুস্থ করে তোলে। এভাবে বায়োকেমিক চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অর্জন
আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি কোনটি
আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ল্যাপারোস্কপি। এই চিকিৎসার মাধ্যম মেয়ে এখন অনেক মানুষ সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আধুনিক চিকিৎসার মধ্যে এই পদ্ধতিটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক ঝুঁকিও রয়েছে যেমন আপনার খাদ্যনালীতে অনেক আঘাত হতে পারে বাকি পেটে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে। মানুষকে অজ্ঞান করার পরে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জ্ঞান ফেরার পরে একটি ঝুঁকি রয়েছে এ পদ্ধতি ব্যবহার করার কারণে।
আরো পড়ুনঃখিচুনি রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি
আপনার শরীরে কোন আঘাত ছাড়া যেহেতু এই আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে অবশ্যই এর কোন খারাপ দিক রয়েছে। আধুনিক চিকিৎসার মধ্য এটি এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি
- নিরাময় ও রোগ নির্ণয়
- ইলেকট্রিক হেলথ
- বৈদ্যুতিক স্বাস্থ্য রেকর্ড
- রোগীর তথ্য রেকর্ড থাকা
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url