খিচুনি রোগের লক্ষণ - খিচুনি রোগের চিকিৎসা
আসসালামু আলাইকুম, খিচুনি রোগ আমাদের প্রায় অনেক মানুষের মধ্যে রয়েছে।
খিচুনি রোগের জন্য অনেক সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আজকে এই
পোষ্টের মাধ্যমে খিচুনি রোগের লক্ষণ এবং খিচুনি রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনাদের যাদের খিচুনি রোগ রয়েছে তারা অবশ্যই খিচুনি
রোগের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন।
খিচুনি রোগ একটি বড় ধরনের সমস্যা। এই সমস্যাটি রাস্তা-ঘাটে যে কোন জায়গায় হতে
পারে। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নিই খিচুনি রোগের লক্ষণ গুলো।
খিঁচুনি কেন হয়
খিচুনি রোগ হল মস্তিষ্কের কোষ বা নিউরন। এই নিউরনের অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে
মূলত খিচুনির সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন ধরনের কারণ বা সমস্যার জন্য নিউরন অতিরিক্ত
উত্তেজিত হয়ে যায়। এটি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জ্বরের কারণে হতে পারে আবার শরীরে
লবণের পরিমাণ কমে গেলে বা বেড়ে গেলেও খিচুনি রোগের সৃষ্টি হতে পারে। অন্যান্য
ডাক্তারেরা বলেন খিচুনি রোগটি টিউমারেও ও হতে পারে। এই খিচুনি রোগটি মূলত সব
বয়সেই হতে পারে। এর কোন সময় কাল বা বয়স নেই। এই খিচুনি রোগটি বাচ্চাদেরও হতে
পারে আবার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের হতে পারে অথবা বয়স্কদেরও হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করার উপায় জেনে নিন
এই রোগের তেমন কোন চিকিৎসা নেই। তবে খিচুনি রোগের যদি সঠিক কারণ ধরা যায় তাহলে
বেশ কিছু চিকিৎসা রয়েছে। সেই চিকিৎসা দ্বারা খিচুনি রোগ সারানো সম্ভব। আপনারা
হয়তো অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত। কিন্তু সঠিক সময়ে খিচুনি রোগের লক্ষণ বুঝতে না
পারায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আবার খিচুনি রোগে চিকিৎসা ও তেমন ভাবে
নেওয়া সম্ভব হয় না। তাই আমরা এই পোস্টে খিচুনি রোগ এর লক্ষণ এবং চিকিৎসা
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আমাদের সাথেই
থাকুন।
খিঁচুনি হওয়ার কারণ
খিচুনি রোগ হল মস্তিষ্কের কোষ বা নিউরন। এই নিউরনের অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে
মূলত খিচুনির সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন ধরনের কারণ বা সমস্যার জন্য নিরণ অতিরিক্ত
উত্তেজিত হয়ে যায়। এটি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জ্বরের কারণে হতে পারে আবার শরীরে
লবণের পরিমাণ কমে গেলে বা বেড়ে গেলেও খিচুনি রোগের সৃষ্টি হতে পারে। অন্যান্য
ডাক্তারেরা বলেন খিচুনি রোগটি টিউমারেও ও হতে পারে।
এই খিচুনি রোগটি মূলত সব বয়সেই হতে পারে। তবে আপনাকে সব সময় সাবধানে থাকতে হবে
এবং খিচুনি হলে তাৎক্ষণিক কিভাবে সুস্থ হবেন সেটিও আপনাকে জেনে রাখতে হবে। খিচুনি
রোগ যেকোনো সময়ে হতে পারে। এর জন্য আপনাকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে এবং খিচুনি
রোগের লক্ষণ গুলো ভালোভাবে জেনে রাখতে হবে।
শিশুর খিচুনির লক্ষণ
উপরোক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা খিচুনি কেন হয় এবং খিচুনি হওয়ার কারণ সম্পর্কে
বিস্তারিত জানিয়েছি। এবার আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শিশুর খিচুনি রোগ এর
লক্ষণ গুলো জানাবো। কেননা শিশুর খিচুনি লক্ষণগুলো জেনে রাখা আপনার জন্য অত্যন্ত
আবশ্যক। নিম্নে শিশুর কিচুনি রোগের লক্ষণ দেওয়া হলঃ
- শিশুর শরীরে উচ্চমাত্রায় জ্বর আসতে পারে এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে।
- চোখের পাতা অনেক দ্রুত পিটপিট করা এবং চোখ উল্টে যাওয়া।
- প্রস্রাব পায়খানার সচল রাখার ক্ষমতা হারানো।
- বাচ্চার মুখ নীল অথবা লাল হয়ে যেতে পারে।
- খিচুনি রোগটি বাচ্চা শরীরে কয়েক মিনিট স্থির হতে পারে।
- শিশুর হাত-পা স্বজরে কাঁপতে থাকা।
- শিশুর মাংসপেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে।
- বাচ্চার জ্ঞান ফিরে আসবে যখন খিচুনি থেমে যাবে। তবে জ্ঞান ফিরলেও বাচ্চার ঘুম ঘুম ভাব হবে এবং খিটমিটে হয়ে থাকবে।
খিচুনি রোগের লক্ষণ
আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে খিচুনি রোগে এর লক্ষণ গুলো বিস্তারিত জানাবো। কেননা
খিচুনি রোগ এর লক্ষণ গুলো আপনাদের জেনে রাখা উচিত। নিম্নে খিচুনি রোগ এর লক্ষণ
দেওয়া হলঃ
- মুখের স্বাদ, দৃষ্টি পরিবর্তন এবং বিভিন্ন রকম গন্ধ লাগতে পারে।
- খিচুনির সময় রোগে শূন্যে তাকিয়ে থাকতে পারে।
- কোন ধরনের জ্ঞান না থাকা।
- বমি বমি ভাব হওয়া।
- শরীরের মাংস পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া।
- হাত ও পায়ের নিয়ন্ত্রণ হারানো।
- বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে ভয় পাওয়া।
খিচুনি রোগের চিকিৎসা
খিচুনি রক্তিম মূলত কই বা নিউরন। বাঁচাবার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের নিউরনে অতিরিক্ত
উত্তেজনা সৃষ্টি হলে মূলত খিচুনি সৃষ্টি হয়। খিচুনির সময় নিরন মূলত অত্যন্ত
উত্তেজিত হয়ে যায়। খিচুনি থেমে গেলে জ্ঞানও হারিয়ে যেতে পারে। তবে পরবর্তীতে
জ্ঞান ফিরলে অনেক ঘুম ঘুম ভাব হয় এবং মেজাজ খিটমিটে হয়ে থাকে। ডাক্তাররা মূলত
খিচুনি রোগের কোন ধরনের চিকিৎসা স্থায়ী ভাবে বের করতে পারেনি। তবে ডাক্তারদের
মতে খিচুনি রোগের যদি সঠিক কারণ খুঁজে বের করা যায় তাহলে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা
দেওয়া সম্ভব হয়। নিম্নে খিচুনি রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলঃ
- হরমোন, জিনগত সমস্যা, সংক্রমণ এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যের অভাব বোঝার ক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষা করাতে পারেন।
- ইলেক্ট্র এন শেফালোগ্রাম করাতে হবে।
- নাম্বার পাংচার
- নিউরোলজিক্যাল ফাংশন টেস্ট করাতে হবে।
- পজিট্রন এমিশন ডোমোগ্রাফি স্ক্যান করাতে হবে।
- ম্যাগনেটিক রেসোন্যান্স ইমেজিং অর্থাৎ এম আর আই করাতে হবে।
খিচুনি যদি একবার হয় এবং তা একটু পরেই থেমে যাই তাহলে কোন ধরনের চিকিৎসার
প্রয়োজন নেই। তবে খিচুনি যদি বারবার হয় সে ক্ষেত্রে উপরোক্ত টেস্টগুলো করিয়ে
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করাতে পারেন। আবার এখন ফার্মেসিতে অনেক
ধরনের খিচুনি রোগের ঔষধ পাওয়া যায়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খিচুনি রোগের
ওষুধ কিনে এনে ঘরে রাখতে পারেন এবং তা পরবর্তীতে খিচুনি হলে সঙ্গে সঙ্গে খাইয়ে
দিতে পারেন। উপরোক্ত চিকিৎসা গুলো বর্তমান যুগে চলমান রয়েছে।
নবজাতকের খিচুনি চিকিৎসা
একটি পরিবারের যদি কারো খিচুড়ি রোগ থেকে থাকে তাহলে তা বংশে অনুকরণ অনুযায়ী তার
পরবর্তী বংশধরের ভেতরে এই খিচুনি রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার একটি
মায়ের গর্ভকালীন সময়ে শিশুর বা নবজাতকের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে এমনকি
কিডনিরও সমস্যা হতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে যদি কোন কারণে বা কোনভাবে মাথায় আঘাত
পায় তাহলে সেটি পরবর্তীতে প্রকট আকার ধারণ করে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে
এমনকি খিচুনিও হয়।
আরো পড়ুনঃ দাঁতের ক্ষয় রোধ করার উপায়
আবার নবজাতকের জন্মের পরে নবজাতকের বা শিশুর শ্বাসনালীতে কোন ধরনের সমস্যা দেখা
দিলে তা পরবর্তীতে খিচুনি হতে পারে। বর্তমান সময়ে শিশুর জ্বর, সর্দি এবং ঠান্ডার
সময় খিচুনি রোগ বেড়ে যেতে পারে। এর জন্য এ সময় গুলোতে শিশুর ভালোভাবে যত্ন
নিতে হবে। সকল শিশুদের বা নবজাতকের খিচুনি রোগের সমস্যা রয়েছে সেই সকল শিশুদের
আগুন ও পানি থেকে দূরে রাখতে হবে। আগুন ও পানি থেকে দূরে রাখার কারণ হলো
গর্ভকালীন সময়ে শিশুর নানা জটিলতার কারণে খিচুনি রোগ হয়ে থাকে।
এর জন্য গর্ভকালীন অবস্থায় গর্ভধারণকারী মাকে ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে নবজাতকের খিচুনির পর
যদি জ্ঞান না ফিরে তাৎক্ষণিক ভাবে শিশুকে পার্শ্ববর্তী কোন ভালো মেডিকেলে নিয়ে
যেতে হবে। এবং চিকিৎসা করাতে হবে।
খিঁচুনি হলে করণীয়
আমরা উপরোক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে খিচুনি রোগের লক্ষণ এবং এই রোগের চিকিৎসা
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। তবে এবার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে খিচুনি হলে কি করবেন
সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। খিচুনি হলে করণীয় ঘরোয়া পদ্ধতি নিম্নে
দেওয়া হলঃ
- খিচুনি হলে সর্বপ্রথম খিচুনি রোগীর শরীর যদি অতিরিক্ত গরম থাকে তাহলে শরীরের সমস্ত জামাকাপড় খুলে দিতে হবে।
- এরপর পানি দিয়ে সমস্ত শরীর এবং মুখ মুছে ফেলতে হবে।
- খিচুনির সময় কোন ভাবেই গোসল করানো যাবে না।
- খিচুনি উঠলে খিচুনি রোগীকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
- খিচুনি উঠলে খিচুনি রোগীর আশে পাশে যেন কোনরকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- খিচুনি রোগীকে খিচুনির সময় কোন ধরনের খাবার খাওয়ানো যাবে না।
- খিচুনি রোগীকে একপাশে কাত করে শুয়ে রাখতে হবে। যেন মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে যায় এবং আস্তে আস্তে খিচুনি কম হয়ে যায়।
- খিচুনি থামানোর জন্য জোর করে ধরে রাখা যাবে না। খিচুনি যদি দীর্ঘ স্থায়ী হয় তাহলে অতি দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে এবং চিকিৎসা গ্রহণ করাতে হবে।
- খিচুনি উঠলে উপরোক্ত করণীয় গুলো আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। তা না হলে রোগীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই খিচুনি হলে খিচুনি রোগীর ওপর করণীয় গুলো সঠিক সময়ে প্রয়োগ করতে হবে।
খিচুনি রোগের দোয়া
বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধি একজন মানুষের ওপর যেমন পরীক্ষার কারণ ঠিক তেমনি ভাবে
বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি আল্লাহতালার পক্ষ থেকে আযাব ও গজবেরও বিশাল ইঙ্গিত বহন
করে। বিভিন্ন ধরনের জানা-অজানা জটিল রোগ ব্যাধির সম্মুখীন হতে হয় আমাদেরকে। এই
সমস্ত জটিল রোগ ব্যাধি থেকে বাঁচার অন্যতম পথ হল আল্লাহ তালার কাছে তাসবিহ পাঠ
করা এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে অকুল ভাবে দোয়া করা।
আল্লাহ তাআলা যেমন আমাদের ভেতরের রোগ ব্যাধি দিয়ে পরীক্ষা নেই ঠিক একই ভাবে সেই
সকল রোগ থেকে বাঁচার জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আল-কোরআনে আল্লাহ তাআলা সূরা সৃষ্টি
করেছেন। নিম্নে জটিল এবং কঠিন রোগ থেকে বাঁচার দোয়া দেওয়া হলোঃ
উচ্চারঃ “সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহ”
উচ্চারণঃ “আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিম্মা ইনদাকা ওয়া আফিজ আলাইয়্যা মিন ফাদলিকা ওয়ানছুর আলাইয়্যা রাহমাতাকা ওয়ানজিল আলাইয়্যা বারকাতাকা”।
অর্থঃ “হে আল্লাহ! তোমার কাছে যা আছে আমি তাই তোমার কাছে চাই। তোমার অনুগ্রহের একটু ধারা আমার দিকে প্রবাহিত করো এবং তোমার রহমতের একটু বারি আমার ওপর বর্ষণ কর আর তোমার বরকত সমূহ থেকে একটুখানি আমার প্রতি নাযিল করো”।
উপরোক্ত দোয়াটি সকালে এবং সন্ধ্যায় অর্থাৎ ফজর এবং মাগরিবের ফরজ নামাজের পর
তাজবীহ তিনবার এবং দোয়াটি একবার করে নিয়মিত পড়লে আল্লাহ তা'আলা সকল ধরনের জটিল
রোগ থেকে রক্ষা করবেন।
খিচুনি রোগের ঔষধের নাম
আমরা এয়ার আর্টিকেলের মাধ্যমে খিচুনি রোগের ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত
জানাবো। যাদের খিচুনি রোগ রয়েছে তারা নিম্নের ঔষধটি সেবন করতে পারেন। তবে মনে
রাখতে হবে এ ওষুধটি সেবন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে
হবে।
আরো পড়ুনঃ চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করার উপায়
খিচুনি হলে Valoate CR 200, Valoate CR 300, Valoate CR 500 এবং Valoate 100ml
খেতে পারেন। তবে এই ওষুধগুলো সে বোনের আগে আপনাকে অবশ্যই কোন রেজিস্ট্রেট
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। তা না হলে পরবর্তীতে নানা ধরনের
সমস্যার সম্মুখীন পড়তে পারেন।
খিচুনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা খিচুনি রোগের লক্ষণ এবং নানা ধরনের চিকিৎসা
সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। তবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে খিচুনি রোগের ঘরোয়া
চিকিৎসা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানাবো। কেননা খিচুনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
সম্পর্কে আপনাদের জেনে রাখা উচিত। নিম্নে খিচুনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা দেওয়া হলঃ
প্রথমত খিচুনি উঠলে রোগীর শরীর থেকে সমস্ত জামা কাপড় খুলে দিতে হবে। এরপর সমস্ত
শরীর পানি দিয়ে মুছে দিতে হবে। খিচুনি উঠলে একেবারে গোসল করানো যাবে না। গোসল
করানো থেকে দূরে থাকতে হবে। খিচুনি রোগীকে যতটা পারা যায় শান্ত রাখার চেষ্টা
করতে হবে। খিচুনি রোগের আশেপাশে যেন কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে
খেয়াল রাখতে হবে। খিচুনি রোগীকে জোর করে চেপে ধরে রাখা যাবেনা।
এরপর খিচুনি রোগীকে কাত করে শুয়ে দিতে হবে এবং মুখের ভেতর থেকে যেন লালাগুলো বের
হয়ে আসে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এরপর আস্তে আস্তে খিচুনি কমে যাবে। তবে যদি
খিচুনি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। খিচুনি
রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা তেমন নেই তবে উপরোক্ত উপায়গুলো প্রয়োগ করে খিচুনি কমাতে
পারেন।
শেষ কথা
আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে খিচুনি রোগের লক্ষণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করেছি। অনেকে আছে যারা খিচুনি রোগ এর লক্ষণ গুলো না জানার কারণে অনেক
ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই এর জন্য এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের
সুবিধার্থে খিচুনি রোগের সকল বিষয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আমাদের এই পোষ্টটি
আপনাকে গুরুত্বপূর্ণভাবে সাহায্য করবে। আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url