চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির উপায়
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক চোখ হল আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। যা দিয়ে আমরা সকল কিছু দেখতে পাই। তাই আজকে আমরা এই পোস্টটিতে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। কেননা আপনাদের সকলেরই উচিত চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জেনে রাখা।
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির উপায়
আরো পড়ুনঃচোখের এন্টিবায়োটিক ড্রপের নাম
- দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যের তালিকায় সবুজ শাক বেশি পরিমাণ রাখতে হবে এবং তা আপনাকেও বেশি পরিমাণ খেতে হবে।
- অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার সেবন করতে হবে।
- প্রতিদিন পাকা আম, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, ডিম এবং ছোট মাছ বেশি করে খেতে হবে।
- নিয়মিত কাজের শেষে ঠান্ডা এবং পরিস্কার পানি দিয়ে চোখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং সূর্যের অতিবেগুনি রশ্নি থেকে চোখকে দূরে রাখতে হবে।
- কম্পিউটার বা মোবাইল চালানোর সময় কম্পিউটার বা মোবাইলের আলো কমিয়ে ব্যবহার করতে হবে অথবা আপনি চাইলে নাইট ভিশন চশমা ব্যবহার করতে পারেন।
- মোবাইলে বা কম্পিউটারে বেশীক্ষণ ধরে একটানা কাজ করবেন না। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর চোখ বন্ধ করে একটু বিশ্রাম নিয়ে নিবেন। রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল ব্যবহার করার অভ্যাস ত্যাগ করে ফেলাই ভালো কেননা রাতে মোবাইল ব্যবহার করলে চোখ এর জ্যোতি খুব দ্রুত কমে যায়।
- চোখে যদি অধিক পরিমাণ সমস্যা দেখা দেয় তা অবহেলা না করে দ্রুত চক্ষু ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
- উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার চোখের জ্যোতি খুব দ্রুত বাড়বে এবং চোখ নষ্ট হওয়া থেকে আপনাকে বাঁচাবে। তবে উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললেই শুধু হবে না। চোখের নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যামো রয়েছে। উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চলার পাশাপাশি ব্যায়ামগুলো আপনাকে নিয়মিত করতে হবে। নিম্নে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির উপায় ব্যয়াম দেওয়া হলোঃ
হাতের তালু এবং চোখ
প্রথমত আপনি আপনার হাতের তালু দুই চোখের উপর আলতোভাবে রাখুন। তবে হাতের তালু
দিয়ে চোখের উপরে অতিরিক্ত ভর দেবেন না। চোখের উপরে হাতের তালু বেশ কয়েক মিনিট
রাখলেই দেখবেন চোখ এবং আপনার মনের স্ট্রেস কমে গিয়েছে। একই সাথে দেখবেন চোখের
ক্লান্তিও দূর হয়ে গিয়েছে। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে চোখের ক্লান্তি দূর হলে
আপনার চোখের সমস্যা ও দূর হবে। চোখের ক্লান্তি দূর হলে চোখ ভালো থাকে এবং চোখের
জ্যোতি ধীরে ধীরে বাড়িয়ে তোলে। এই ব্যায়ামটি দিনে ৩ থেকে ৪ বার করুন।
ঠান্ডা এবং গরম পানি
কুসুম গরম পানি একটি বাটিতে নিয়ে নিন এবং ওপর একটি বাটিতে ঠান্ডা পানি নিয়ে
নিন। এরপর তোয়ালের একপাশে গরম পানি ভিজিয়ে চোখের ওপর সেক দিন। এরপর একইভাবে
ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে চোখের উপরে সেক দিন। দেখবেন সারাদিনের কাজ করতে করতে
যতটুকু আপনার চোখের ক্ষতি হয়েছে তা সম্পূর্ণ ঠিক হতে শুরু করবে। ঠান্ডা এবং গরম
পানি দিয়ে সেক দিলে চোখের ক্লান্তি দূর হয় এবং তার সাথে চোখের দৃষ্টি ও বৃদ্ধি
পায়।
ফোকাস শিফটিং এক্সারসাইজ
চোখ পিটপিট করা
কি খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে
ভিটামিন এ যুক্ত সবুজ শাক সবজি
আরো পড়ুনঃচোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ানোর ওষুধের নামে
এর জন্য প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ যুক্ত সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। সবুজ শাকসবজি চোখের দৃষ্টি বাড়াতে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তেমনি শরীরে পুষ্টি যোগাতে ও সাহায্য করে। তাই দৈনন্দিন জীবনের খাবার তালিকায় সবুজ শাক সবজি রাখুন এবং তা নিয়মিত খান। এতে দৃষ্টিশক্তি বাড়বে।
ডিম
বাদাম জাতীয় খাদ্য
ছোট মাছ
চোখের দৃষ্টি বাড়ানোর আরেকটি সবচেয়ে বড় উপায় হলো প্রতিদিন নিয়মিত ছোট মাছ
খাওয়া। কেন না ছোট মাছে থাকা ভিটামিন চোখের দৃষ্টি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে থাকে। বর্তমানে চক্ষু ডাক্তাররাও চোখের দৃষ্টি বাড়ানোর জন্য ছোট মাছ
খাওয়ার উপদেশ দেয়। তাই আপনিও চোখের দৃষ্টি বাড়ানোর জন্য ছোট মাছ খাওয়া শুরু
করুন।
লেবু
চোখের জ্যোতি বাড়ানোর জন্য কমলালেবু, পাতি লেবু ও মুসুম্বি লেবু খাওয়া শুরু
করুন। এই ধরনের খাদ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যার ফলে চোখের জ্যোতি খুব
দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করে। আপনিও চোখের জ্যোতি বাড়ানোর জন্য এই ধরনের লেবু গুলো
খাওয়া শুরু করুন।
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার খাবার
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার জন্য আমরা অনেক ধরনের চিকিৎসা নিয়ে থাকি। কিন্তু সেসব চিকিৎসার নেওয়ার পরেও চোখের জ্যোতি ঠিক তেমনভাবে বৃদ্ধি পায় না। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা আমরা আর্টিকেল এর মাধ্যমে চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার বেশ কিছু খাবারের নাম জানাবো। নিম্নে চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার খাবারের নাম দেওয়া হলঃ- সবুজ শাক
- ডিম
- সূর্যমুখী ফুলের বীজ
- বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ
- বাদাম
- সাইট্রাস ফল
- পূর্ণ শস্য
- গাজর এবং টমেটো
- কলাই
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির উপায়
আরো পড়ুনঃচোখের ঝাপসা দূর করার উপায়
- বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকা।
- বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড না খাওয়া।
- নিজের ভেতরের বদ অভ্যাস ত্যাগ করা।
- নিয়মিত ডাক্তার দিয়ে চোখ পরীক্ষা করা।
- শিশুদের অলসচক্ষে উপেক্ষা করবেন না।
- নিয়মিত চোখের ব্যায়ম করা।
- নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন জাতীয় খাদ্য খাওয়া।
চোখের জন্য কি কি ভিটামিন দরকার
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন বি
- টামিন সি
- ভিটামিন ডি
- ভিটামিন ই
- ওমেফা ৩-ফ্যাটি এসিড
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url