আসসালামু আলাইকুম, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দাঁত শিরশির করা একটি অনেক বড়
সমস্যার কারণ। আমরা অনেকে আছি দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে
জানি না। এর জন্য আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
সম্পর্কে আলোচনা করব।
চলুন দেরি না করে আমরা জেনে নিই দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত। দাঁত শিরশির থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ
পড়ুন।
দাঁত শিরশির করে কেন
আমাদের মানব জীবনে দাঁত শিরশির করা অনেক বড় একটি সমস্যা। আমাদের দাঁতে অর্থাৎ দাঁতের অ্যানামেল যখন ক্ষয় হয়ে ডেন্টিন অংশ বের হয়ে যায় সেই সময় যদি ঠান্ডা বা গরম কিছু খাওয়া যায় তখন দাঁত শিরশির করে থাকে। আবার আমরা যখন নিয়ম-কানুন না মেনে অনেক ধরনের দাঁত নষ্ট হওয়ার খাবার খায় তখন আমাদের দাঁতে শিরশির সমস্যা দেখা দেয়।
এর জন্য দৈনন্দিন জীবনে আমাদের নিয়ম কানুন মেনে খাবার খেতে হবে। আবার আপনারা হয়তো দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। এর জন্য আমরা এই পোস্টটিতে দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে এসেছি। দাঁত শিরশির থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।
দাঁতের মাড়ি ব্যথায় করণীয়
দৈনন্দিন জীবনে আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলি তাহলে আমাদেরকে দাঁতের মাড়ি ব্যথার সম্মুখীন হতে হয়। নিজেদের অযত্নের কারণে দাঁতের মাড়ি ব্যথা, দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে। দাঁতের মাড়ির ব্যথার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ আমরা আপনাদের বলে দেব দাঁতের মাড়ি ব্যথা হলে ঘরে বসে কেমন করে মাড়ির ব্যথা দূর করবেন। নিচে দাঁতের মাড়ি ব্যথার ঘরোয়া করণীয় দেওয়া হলঃ
লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করা
মাড়িতে ব্যথা হলে বাসায় থাকা খাবার লবণ এবং কুসুম গরম পানি নিয়ে একসাথে
মিশিয়ে বেশি বেশি কুলকুচি করুন। এতে মাড়ির ব্যথা কমে যাবে। আবার যদি মাড়ি দিয়ে
রক্ত ক্ষরণ হয় লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করার কারণে রক্ত ক্ষরণ হওয়া বন্ধ হয়ে
যাবে। মাড়ির ব্যথা হলে দিনে দুই থেকে তিনবার লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করুন।
হলুদ সাধারণত দাঁতের মাড়ির ব্যথা, দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি কমাতে
সাহায্য করে। বাড়িতে থাকা খাবার হলুদ ১ থেকে ৪ চামচ নিয়ে অল্প একটু পানি
মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর মাড়ির ব্যাথার স্থানে হালকাভাবে মেস্যাজ করে চার
থেকে পাঁচ মিনিট রেখে দিন। এরপর হালকা গরম কুসুম পানি দিয়ে পুরো মুখের ভেতরে
কুলকুচি করে ধুয়ে ফেলুন। এতে দাঁতের মাড়ির ব্যথা কমে যাবে। হলুদের ব্যবহার
দাঁতের মাড়ির ব্যথা ভালো করার জন্য একটু গুরুত্বপূর্ণ ঘরোয়া উপায়।
লবণ এবং লেবুর ব্যবহার
দাঁতের মাড়ির ব্যথা দূর করার জন্য লবণ এবং লেবুর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমে আপনারা এক চামচ লবণ নিয়ে এর মধ্যে একটি লেবুর সম্পূর্ণ রস মিশিয়ে
আক্রান্ত ব্যথার জায়গায় লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা গরম কৌশল পানি নিয়ে কুলকুচি
করে ফেলে দিন। এতে মাড়িতে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। এর ফলে মাড়ির
ব্যথা সম্পূর্ণ কমে যাবে।
দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায়
আমরা আমাদের জীবনে দাঁত শিরশির নিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। কিন্তু দাঁত শিরশির করা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা। এতে চিন্তার কোন কারণ নেই, কেননা আমরা আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে দাঁতের শিরশিরনি দূর করার উপায় দেওয়া হলোঃ
গরম পানি এবং মধু
আমরা দাঁতের শিশিরানী কমানোর জন্য অনেক ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে থাকি এবং ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে থাকি। তবে আপনি যদি আপনার বাড়িতে থাকা মধু এবং হালকা কুসুম গরম পানি নিয়ে একসাথে মিস করে দিনে দুই থেকে তিনবার কুলকুচি করেন এতে আপনার দাঁতের ব্যথা এবং দাঁতের শিরশিরানী দূর হয়ে যাবে। হালকা কুসুম গরম পানি এবং মধুর ব্যবহার করে খুব সহজেই ঘরে বসে দাঁতের শিরশিরানি দূর করতে পারবেন।
ক্যাপসাইসিন জেলের ব্যবহার
ক্যাপসাইসিন জেলের ব্যবহারের ফলে দাঁতের শিরশিরানি দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম
অবস্থায় এটি ব্যবহারের ফলে হালকা একটু জ্বালাপোড়া করতে পারে এতে কোন ধরনের
সমস্যা নেই।ক্যাপসাইসিন জেলে ব্যবহার এর অভ্যাস হয়ে গেলে পরবর্তীতে ব্যবহারের
ফলে আর তেমন কিছু মনে হয় না। জেলটি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে দাঁতের শিরশির রানী
ভালো করতে পারবেন।
হালকা গরম কুসুম পানি ও লবণ
দাঁতের শিরশিরানি দূর করার কার্যকরী পদ্ধতি হলো হালকা গরম কুসুম পানি এবং লবণের ব্যবহার। বাড়িতে থাকা লবণ এক চামচ নিয়ে হালকা কুসুম গরম পানির ভেতরে মিশ্রণ করে দিনে চার থেকে পাঁচ বার কুলকুচি করুন। এতে দাঁতের শিরানি দ্রুত ভালো হয়ে যায় এবং ব্যথা থাকলে সেটিও ভালো হয়ে যায়। বেশিরভাগ মানুষ দাঁতে শিরশিরানি বা ব্যথা অনুভব হলে হালকা কুসুম গরম পানি এবং লবণের ব্যবহার করে থাকে। এটি অনেক কার্যকরী একটি ঘরোয়া পদ্ধতি।
দাঁত শিরশির বন্ধ করার উপায়
আমরা দৈনন্দিন জীবনে কাজকর্মের ক্ষেত্রে অনেক ব্যস্ত হয়ে থাকে। যার কারণে দাঁতের তেমনভাবে কোন যত্ন নিতে পারি না। যার ফলে দাঁত শিরশিরানি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিম্নে দাঁত শিরশিরানি বন্ধ করার উপায় দেওয়া হলো যেটা আপনি ঘরে বসেই কিছু সময়ের মধ্যেই করতে পারবেন।দাঁত শিরশির বন্ধ করার জন্য আপনারা হয়তো অনেক ধরনের পন্থা অবলম্বন করেছেন। কিন্তু কোন ভাবেই দাঁত শিরশির করা বন্ধ করতে পারছেন না।চিন্তার কোন কারণ নেই।
আপনারা দাঁত শিরশির বন্ধ করার জন্য ক্যাপসাইন জেল, ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট, রসুনের পেস্ট ইত্যাদি ব্যবহার করে দাঁত শিরশির বন্ধ করতে পারবেন। আপনারা এগুলো দাঁতের সঙ্গে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করে ফেললেই দাঁতের শিরশিরানি দূর হয়ে যাবে।
বর্তমানে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ঘরে বসেই অনেকেই এই পন্থাগুলো অবলম্বন করে দাঁতের শিরশিরানি বন্ধ করছে। এর জন্য আপনিও চাইলে এই সমস্ত ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে দাঁতের শিরশিরানি বন্ধ করতে পারবেন। এতে কোন ধরনের সাইড ইফেক্ট নেই।
দাঁত শিরশির করার কারণ ও প্রতিকার
দাঁত শিরশির করা বা সেনসিটিভিটি হাওয়া একটি বেশ জনপ্রিয় রোগ। এই দাঁতের শিরশিরানি আমাদের সকলের মধ্যে রয়েছে। যার জন্য আমরা দৈনন্দিন জীবনের খাবার ঠিকমতো খেতে পারি না। আবার কথা বলার সময় ঠিক ভাবে কথা বলতে পারি না। নিম্নে দাঁত শিরশির করার কারণ ও প্রতিকার দেওয়া হলঃ
সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ না করা, অতি শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করা ইত্যাদির কারণে
দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জন্য দাঁতের শিরশিরানি ভাব সৃষ্টি
হয়।
মাড়ির ক্ষয়ের জন্য এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে দাঁতের ক্ষয়
হয়। এছাড়াও বেশি বেশি কোলড্রিংস, চকলেট ও অতি ঠান্ডা খাবার খাওয়ার
কারণেও দাঁতের শিরশানি ভাব সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন ধরনের শক্ত জাতীয় খাদ্য আবার কোন দুর্ঘটনা কারণে দাঁত ভেঙ্গে
গেলে দাঁতের শিরশিরানি হয়ে থাকে। আবার বিভিন্ন ধরনের দাঁতের চিকিৎসা
করালেও যেমন: ক্রাউন প্লেসমেন্ট, রোট ক্যানেল ইত্যাদি চিকিৎসার ফলেও তাদের
শিরশিরানি সৃষ্টি হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ না করা, দাঁতের মধ্যে থেকে যাওয়া খাবার
পরিষ্কার না করার কারণে ও তাদের শিরশিরানি এবং দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রতিকার
শক্ত কোন ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করা যাবে না। ব্রাশ ব্যবহার করলে নরম জাতীয়
ব্রিসেল এর ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।
দ্রুত বা জোরে জোরে ব্রাশ করা উচিত নয়। ব্রাশ করার সময় আস্তে আস্তে সময়
নিয়ে ব্রাশ করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে দুই মিনিটের বেশি ব্রাশ করা যাবে
না।
বিভিন্ন ধরনের মাজন বা কয়লা ব্যবহার করে দাঁত মাজা যাবেনা। ফ্লোরাইড
যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে।
কেমিকাল বা অ্যালকোহলযুক্ত পানি জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করা থেকে দূরে
থাকতে হবে।
কিছুদিন পর পর ব্রাশ না করে হালকা কুসুম গরম পানি এবং তার মধ্যে এক চামচ
লবণ নিয়ে কুলকুচি করতে হবে। এতে দাঁত ভালো থাকে।
টুথপেস্ট হাতের আঙ্গুলে নিয়ে চার থেকে পাঁচ মিনিট দাঁতে লাগিয়ে রাখতে
হবে। এরপর ব্রাশ নিয়ে ব্রাশ করতে হবে।
দাঁতের শিরশিরানি দূর করার ঔষধ
আমরা উপুক্ত আলোচনার মাধ্যমে দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি ।এবার আপনাদের দাঁতের শিরশিরানি দূর করার ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে দাঁতের শিরশিরানি দূর করার ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলঃ
দাঁতের শিরশিরানি ভাব দূর করার জন্য অনেক ধরনের এন্টিবায়োটিক ওষুধ পাওয়া যায়। কিন্তু এই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। কেননা এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবনের মাধ্যমে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তবে অনেক বেশি যদি দাঁতের শিরশিরানি ভাব দেখা দেয় তাহলে সেফুরক্সিম 500/250 মিলিগ্রাম এই ওষুধটি সেবন করতে পারেন।
যদিও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এ ওষুধ সেবন করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত দাঁতের ব্যথা বা শিরশিরানি অনুভব হলে এই ওষুধটি খেতে পারেন। তবে এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়া অভ্যাস করবেন না। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
দাঁতের শিরশির ব্যাথা কমানোর উপায়
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের মধ্যে কম বেশি সবাই দাঁতের শিরশিরানি ভাব নিয়ে অস্থির হয়ে পড়ে। দাঁতের শিরশিরানির কারণে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খাওয়া, তরল জাতীয় পদার্থ পান করা, ব্রাশ করা এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার সময় অস্থির ভাব সৃষ্টি হয়ে থাকে। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখতে পাই বেশিরভাগ ঠান্ডা খাবার খাওয়ার কারণে বেশি শিরশিরানি ভাব অনুভব করে থাকি। এর মূল কারণ হলো আমাদের দাঁতের সাদা অংশ অর্থাৎ এনামেল ক্ষয় হয়ে যাওয়া। এনামেল ক্ষয় হওয়ার কারণে মূলত শিরশির সৃষ্টি হয়।
এই ধরনের শিরশিরানি দূর করার জন্য অনেক ধরনের ঘরোয়া উপায় রয়েছে। যা আমরা ইতিমধ্যে উপরোক্ত আলোচনাতে বিস্তারিত জানিয়েছি। উপরোক্ত আলোচনা অনুযায়ী আপনি যদি নিয়মকানুন মেনে চলেন তাহলে দাঁতের শিরশিরানি ব্যথা কমানো সম্ভব। আশা করি উপরোক্ত আলোচিত দাঁতের শিরশির এবং ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় আপনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
দাঁত শিরশির বন্ধ করার টুথপেস্ট
দাঁতের শিরশির ভাব দূর করার জন্য আমরা অনেক ধরনের উপায় অবলম্বন করে থাকি। অনেক ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতি ও ব্যবহার করে থাকি। তবে দাঁত শিরশির দূর করার জন্য বেশ কিছু টুথপেস্ট এর ব্যবহার রয়েছে। যা আপনারা হয়তো জানেন না। দাঁতের শিরশির ভাব দেখা দিলে আপনারামেডিপ্লাস ডি এস, সেনসিটিভ এক্সপার্ট, সেনসিনিল লিকুইড ব্যবহার করতে
পারেন। কেননা এই পেস্ট গুলো ব্যবহারের মাধ্যমে দাঁতের শিরশিরানি ভাব অধিকাংশ
কমিয়ে আনে।
এই পেস্টগুলো ব্যবহার করলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় থেকে বিরত থাকে। ফলে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় না। এই পেস্টগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে দাঁত পরিষ্কার এবং ব্যাকটেরিয়া মুক্ত থাকে। যার ফলে দাঁত শিরশির কম করে। এর জন্য উপরোক্ত আলোচিত ঘরোয়া পদ্ধতির মধ্যে মেডিপ্লাস ডি এস, সেনসিটিভ এক্সপার্ট, সেনসিনিল লিকুইড এই পেস্টগুলো রাখুন।
মিষ্টি খেলে দাঁত শিরশির করে
আমরা অনেকেই আছি যারা মিষ্টি খেতে অনেক পছন্দ করি। মিষ্টি পছন্দ কারীদের মধ্যে মিষ্টি ছাড়া যেন চলে না। তারা বিভিন্ন ধরনের বিধি নিষেধ না মেনে অতিরিক্ত মিষ্টি খেয়ে ফেলে। কিন্তু কোন ভাবে খেয়াল থাকে না অধিক মিষ্টি খাওয়ার কারণে দাঁতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। মিষ্টি খাওয়ার পরে দাঁতে লেগে থাকা মিষ্টির পাতলা আবরণ দাঁতের এনামেল এ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে পরবর্তীতে দাঁতের শিরশির ভাব সৃষ্টি হয়। মিষ্টি খাওয়ার ফলে মুখের ভেতর বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বাসা বাধে। এবং পরবর্তীতে সেই ব্যাকটেরিয়া গুলো দাঁতের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্ষয় সৃষ্টি করে।
আর এই ক্ষয় হয়ে ওঠে পরবর্তীকালে অস্থিরতা। মূলত এই ক্ষয়ের জন্য সৃষ্টি হয় দাঁত শিরশির এবং মাড়ি ব্যথা। এর ফলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর জন্য আমাদের উচিত দৈনন্দিন জীবনে মিষ্টি খাওয়ার পরিমাণটা কমানো। মিষ্টি খাওয়া কমালে দাঁতের ক্ষয় রোধ কমানো যাবে। এর জন্য আপনি যদি মিষ্টি খান তাহলে মিষ্টি খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ব্রাশ করে ফেলুন এতে দাঁতের ক্ষতি কম হয়।
দাঁতের শিরশির ব্যাথা কমানোর উপায়
দাঁতের শিরশির থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা আলোচনা করেছি। উপরোক্ত দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চলে দাঁতের শিরশির ব্যথা কমাতে পারবেন। দৈনন্দিন জীবনে আমরা দাঁতের শিরশির অনুভব এবং মাড়ি ব্যথা নিয়ে অস্থির হয়ে পড়ি। এর জন্য আমাদের উচিত সঠিক সময়ে এবং সঠিক নিয়মে দাঁতের যত্ন নেওয়া। দাঁতের ঠিকভাবে যত্ন নিলে দাঁতের শিরশির দূর করা যাবে। দাঁতের ব্যথা বা শিরশির জন্য আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
আপনি যদি দাঁতের ব্যথার জন্য কোন ধরনের ঔষধ সেবনের চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তবে তার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করাটা অত্যন্ত জরুরী। আবার আমাদের এই পোস্টে আলোচিত দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করে দাঁত শিরশির সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
শেষ কথা
আমরা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। দাঁত শিরশির দৈনন্দিন জীবনে অস্থিরতার কারণ হওয়ায় উপরোক্ত ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার দাঁতের যত্ন নিতে পারেন। এতে কোন ধরনের সাইড ইফেক্ট নেই। অধিকাংশ মানুষই উপরোক্ত ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে নিজেদের দাঁত ভালো রাখছে। তাই আশা করি উপরোক্ত দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় গুলোর আপনার অত্যন্ত কাজে দেবে। আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url