দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট - দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায়

আসসালামু আলাইকুম আমরা অনেকেই আছি যারা দাঁতের যন্ত্রণা নিয়ে অস্থির হয়ে পড়ি।চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ আমরা এ ই পোস্টের মাধ্যমে দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট এবং দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায় ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। দাঁতের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট সম্পর্কে জেনে রাখা আমাদের সকলেরই উচিত।


 তাহলে চলুন দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট - দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে আসি, আর এই পোস্টটি পড়লে আপনি খুব সহজে দাঁতের যন্ত্রণা কমাতে পারবেন। এবং দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট এর নামও জানতে পারবেন।

    দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট

    দাঁতের যন্ত্রণা নিয়ে আমরা অনেকেই সমস্যায় ভুগে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকে আছি যারা দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা। আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর এবং দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট এর নাম দেওয়া হলঃ
    • ফেনামিক-Fanamic 500mg
    • ফেনামিক-Fanamic 250mg
    • নাপা ওয়ান-Napa One

    ফেনামিক Fanamic 500mg

    ফেনামিক Fanamic 500mg এই ওষুধটি সেবনের মাধ্যমে দ্রুত দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমে যাবে। এই ওষুধটি দিনে ৩ বার খাবার পর সেবন করতে হবে। ১৮ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েরা এই ওষুধটি ১ টা করে সেবন করতে পারবে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কেননা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ না সেবন করলে পরবর্তীতে আপনার শরীরের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    ফেনামিক Fanamic 250mg

    ফেনামিক Fanamic 250mg এই ওষুধটি ২৫০ মিলিগ্রাম হওয়ায় ৫ থেকে ১০ বছর বা ১৫ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েরা সেবন করতে পারবে। তবে ঔষধটি সেবনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে। এই ওষুধটি দিনে ২ থেকে ৩ বার, ৩ থেকে ৫ দিন সেবন করতে হবে।

    আরো পড়ুনঃ দাঁতের শিরশির বন্ধ করার উপায়

    নাপা ওয়ান Napa One

    নাপা ওয়ান Napa One এই ওষুধটি মাড়ির ব্যথা কমানোর পাশাপাশি শরীরে জ্বর থাকলে জ্বর ও কমাতে সাহায্য করে। নাপা ওয়ান এই ওষুধটি ১৮ বছর বয়সী ছেলে-মেয়ে হলে ১টি করে এবং ১৮ বছর নিচে হলে অর্ধেক করে ২ থেকে ৩ বার করে ৩ দিন সেবন করতে হবে।

    উপরোক্ত মাড়ি ব্যথার ঔষধ গুলো সেবনের মাধ্যমে আপনি আপনার মাড়ির যন্ত্রণা খুব দ্রুত ভালো করতে পারবেন। তবে আমার মতে যে কোন ঔষধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাইআপনার জন্য ভালো।

    দাঁত ব্যথার অ্যান্টিবায়োটিক

    দাঁতের ব্যাথা একটি দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য আপনারা হয়তো অনেক কিছু করে থাকেন। কিন্তু তবুও দাঁত ব্যথা কমে না। আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায় এবং অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক দেওয়া হলঃ
    •  টরী-Tory 60mg
    • এক্সিলক-Exilok 20mg
    • মক্সাসিল-Moxacil 500mg
    • এমোডিস-Amodis 400mg
    অতিরিক্ত দাঁতের ব্যথা হলে উপরোক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট গুলো সেবন করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে উপরোক্ত অ্যান্টিবায়োটিক গুলো সেবনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক গুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম-কানুন মেনে খেতে হবে। তা না হলে পরবর্তীতে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।

    বাচ্চাদের দাঁত ব্যথার ঔষধ

    বাড়িতে যাদের বাচ্চা আছে তারা মূলত বাচ্চাদের দাঁত ব্যথা নিয়ে অনেক চিন্তায় পড়ে যায়। বাচ্চাদের দাঁত ব্যথা অস্থিরতায় মা-বাবা অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, কেননা আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বাচ্চাদের দাঁত ব্যথার ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। বাচ্চাদের দাঁত ব্যথার ঔষধ গুলো খুব সতর্কতার সাথে খাওয়াতে হয়। নিম্নে বাচ্চাদের দাঁত ব্যথার ঔষধ এর নাম এবং সেবন বিধি দেওয়া হলঃ
    • রেনোভো ( Renova )
    • ফেনামিক ( Fenamic )
    রেনোভো Renova
    রেনোভো Renova এই সিরাপটি ১ থেকে ২ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের ১ চামচ করে দিনে ৪ বার ৩ দিন খাওয়াতে হবে। ২ থেকে ৪ বছর বাচ্চাদের দের চামচ করে দিনে ৪ বার ৩ দিন খাওয়াতে হবে। ৪ থেকে ৭ বছর বাচ্চাদের ২ চামচ করে দিনে ৪ বার ৩ দিন খাওয়াতে হবে। সিরাপটি খাওয়ানোর ফলে বাচ্চার দ্রুত দাঁত ব্যথা কমে যাবে। বাচ্চার অতিরিক্ত দাঁত ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এই ওষুধটি খাওয়াতে পারবেন। এতে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
    ফেনিামিক Fenamic
    • ফেনোমিক সিরাপটি ৫ কেজি থেকে ৭ কেজি বাচ্চাদের ১ চামচ করে দিনে ২ বার ৩ দিন খাওয়াতে হবে।
    • ৭ কেজি থেকে ৮ কেজি বাচ্চাদের দেড় চামচ করে দিনে ২ বার ৩ দিন খাওয়াতে হবে।
    • ৮ কেজি থেকে 10 কেজি বাচ্চাদের ২ চামচ করে দিনে ২ বার ৩ দিন খাওয়াতে হবে।
    • ১০ কেজি থেকে ১৫ কেজি ওজনের বাচ্চাদের ২ চামচ করে দিনে ২ বার ৩ দিন খাওয়াতে হবে।

    দাঁতের ইনফেকশনের ঔষধ

    দাঁতের অযত্ন করতে করতে দাঁতের গোড়ায় আমরা ইনফেকশন করে ফেলি। এর জন্য আমাদের দাঁতে একটি বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়। এর ফলে আমরা দৈনন্দিন জীবনের খাবারগুলো ঠিক তেমন মজা করে খেতে পারিনা। বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছে যারা দাঁতের ইনফেকশন নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছে। কিন্তু কোন ধরনের সঠিক ঔষধের সন্ধান খুঁজে পাচ্ছেন না।

    আরো পড়ুনঃ আক্কেল দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়

    চিন্তার কোন কারণ নেই, কেননা আমরা এ আর্টিকেল এর মাধ্যমে দাঁতের ইনফেকশনের ঔষধের নাম এবং কার্যকারী বিস্তারিত আলোচনা করব। নিম্নে দাঁতের ইনফেকশনের ঔষধ দেওয়া হলোঃ
    লিবেক Lebac 500mg
    লিবেক Lebac 500mg এই ক্যাপসুলটি সেবন করে আপনি খুব দ্রুত দাঁতের ইনফেকশন থেকে সুস্থ হতে পারবেন। এই ক্যাপসুলটি নারী-পুরুষ উভয়ে সেবন করতে পারবে। এই ক্যাপসুলটি ১২ বছর এর উপর বয়স থেকে সবাই সেবন করতে পারবে। আপনার যদি দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হয়ে যায় বা দাঁত ব্যথা করে তাহলে Lebac 500mg এই ক্যাপসুলটি দিনে ৩ বার ১টি করে সেবন করতে হবে। এই ওষুধটি টানা ৭ দিন আপনাকে সেবন করতে হবে। তাহলে দাঁতের ইনফেকশন খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে এই ঔষধটি সেবন করার আগে গ্যাসের ওষুধ খেতে হবে।

    দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায়

    আমরা ঘরে বসে দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায় সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। দাঁতের যন্ত্রণা হলেও বড় ধরনের একটি সমস্যা। যা নিজেকে অস্থির করে তোলে। এর জন্য চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায় বিস্তারিত দেওয়া হলঃ
    • দাঁতে যদি প্রচন্ড ব্যথা হয় তাহলে বাড়িতে থাকা একটি পেঁয়াজ নিন। এরপর পেঁয়াজ চার টুকরো করে এক টুকরো দাঁতের তলে শক্ত করে চেপে ধরে রাখুন। এরপর দেখবেন দাঁতের ব্যথা আস্তে আস্তে কমে যাবে।
    • দাঁতে যদি কোন রকম পোকা বা ব্যথা থাকে তাহলে আমলকির রস,কপূর এবং তিলের তেল নিয়ে একসঙ্গে পেস্ট করে দাঁতে লাগিয়ে রাখুন। এর ফলে দাঁতের ব্যথা দ্রুত কমে যাবে।
    • নিমের পাতা এবং লবণ একসঙ্গে নিয়ে গরম পানিতে ফুটিয়ে নিন। এরপর গরম পানি হালকা ঠান্ডা করে কুলকুচি করে ফেলুন। এতে দাঁতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
    • যদি দাঁতে অনেক বেশি পরিমাণ ব্যথা করে তাহলে সরিষার তেল, লবণ এবং হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে দাঁতের সঙ্গে লাগিয়ে রাখুন। এরপর সমস্ত মুখের ভেতরে ধুয়ে ফেলুন। এতে দাঁতের ব্যথা তাৎক্ষণিক ভাবে দূর হয়ে যাবে।
    • দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য আদা অনেক প্রয়োজনীয় একটি বস্তু। আদার পেস্ট করে দাঁতে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ আদা লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্যথা কমে যাবে। যদি আপনি আদার পেস্ট দাঁতে না লাগাতে চান তাহলে আদার রস খেতে পারেন।

    পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়

    দাঁতে পোকা এই সমস্যার সম্মুখীন আমরা প্রায় সকল মানুষ। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সকল মানুষ আমরা এই দাঁতে পোকা লাগা সমস্যাতে ভুগে থাকে। যার তাতে পোকা লেগেছে সেই শুধু বুঝতে পারে কতটা যন্ত্রণাদায়ক। এই সমস্ত দাঁত ব্যথা এবং দাঁতে পোকা লাগার জন্য আমরাই মূলত দায়ী। বিভিন্ন ধরনের অযত্নের কারণে আমাদের এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর জন্য এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আপনাদের পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় দেওয়া হলঃ
    • সর্বপ্রথম আপনাকে নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে উঠে ব্রাশ করতে হবে।
    • বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। যদি আপনি মিষ্টি খেয়ে থাকেন তাহলে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
    • বিভিন্ন ধরনের জর্দা জাতীয় দ্রব্য এবং পান খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এই ধরনের খাদ্য দাঁতের পোকা এবং ইনফেকশন ছড়াতে সাহায্য করে।
    • দিনে ৫ থেকে ৬ বার করে লবণ পানি হালকা কুসুম গরম করে কুলকুচি করতে হবে। এতে দাঁতের ব্যথা এবং পোকা দূর হয়ে যায়।
    • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে।

    দাঁতের ব্যথার জন্য কি ওষুধ আছে

    আমরা দাঁতের ব্যথার সাথে দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া নিয়ে অনেক সমস্যায় ভুগে থাকি। মূলত দাঁতের ব্যথার কারণে মাড়ি ফুলে যায়। যার ফলে আমাদের অনেক যন্ত্রণা দায়ক ব্যথার সম্মুখীন হতে হয়। দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে কি করবেন তা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয় দেওয়া হলঃ

    মাড়ি ফুলে গেলে লবণ পানির ব্যবহার

    দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে লবণ পানি একসাথে নিয়ে হালকা কুসুম গরম করে কুলকুচি করে ফেলে দিবেন। এতে মুখের ভেতরে থাকা এবং মাড়িতে থাকা সকল জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। এর ফলে মাড়ি ফোলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    মাড়ি ফুলে গেলে আদার ব্যবহার
    মুখের ভেতরে থাকা যে কোন জীবাণু ধ্বংস করায় আদা একটি অনেক কার্যকরী ঔষধ। মাড়ি ফুলে গেলে আদা নিয়ে হালকা হালকা করে চিবতে থাকুন। এতে করে মাড়ির সকল জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। যার ফলে মাড়ি ফুলে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

    মাড়ি ফুলে গেলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার
    ক্যাস্টর অয়েল শুধু আমাদের চুলের জন্য উপযোগী নয়। এ ক্যাস্টর অয়েল দাঁতের জন্য অনেক ভালো একটি উপকারী তেল। মাড়ি ফুলে গেলে বা দাঁত ব্যথা করলে আক্রান্ত স্থানে হালকা করে ক্যাস্টর অয়েল তেল লাগান। তাহলে দেখবেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে মাড়ি ফোলা কমে গেছে।

    মাড়ি ফুলে গেলে লবঙ্গর ব্যবহার
    লবঙ্গ নারী ফুলে যাওয়া কমানোর খুব উপকারী একটি উপকরণ। এক থেকে দুই টুকরা লবঙ্গ দাঁতের নিচে রেখে দিলে খুব দ্রুত মাড়ি ফোলা কমাতে সাহায্য করে। এটি একটি খুব সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি

    দাঁত ব্যথার জন্য কোন ট্যাবলেট ভালো

    আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে দাঁত ব্যথার ভালো করার জন্য অনেক ধরনের ট্যাবলেট সেবন করে নিয়েছেন। কিন্তু কোন মতেই দাঁত ব্যথা ভালো হচ্ছে না। চিন্তার কোন কারণ নেই, কেননা আমরা আর্টিকেলের মাধ্যমে সবচেয়ে দাঁত ব্যথা দূর করার ভালো ঔষধ সম্পর্কে জানাবো। নিচে দাঁত ব্যথার ভালো ট্যাবলেট সম্পর্কে দেওয়া হলোঃ

    ফেনামিক Fenamic 500mg
    Fenamic 500mg এই ট্যাবলেটটি অনেক ভালো এবং উপকারী একটি ট্যাবলেট। Fenamic 500mg এই ট্যাবলেটটি ১৮ বছর বয়সীরা দিনে ২ থেকে ৩ বার ১টি করে ট্যাবলেট ৩ দিন সেবন করতে পারেন।

    ফেনামিক Fenamic 250mg
    Fenamic 250mg এই ক্যাপসুলটি ৫ থেকে ১০ বছর বা 15 বছর বয়সী ছেলে-মেয়েরা ১ টা করে দিনে ২ থেকে ৩ বার, ৩ থেকে ৫ দিন সেবন করতে পারেন।

    দাঁতের ব্যথার জন্য কি ওষুধ আছে

    উপরোক্ত আর্টিকেল গুলোর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের দাঁতের ব্যথার ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। দাঁতের ব্যাথার ঔষধের নাম ও কার্যকর সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। দাঁতের ব্যথার জন্য যে কোন ফার্মেসিতে গেলে বা ডাক্তারের কাছে গেলে অনেক ধরনের ওষুধ দিয়ে দিবে। দাঁতের ব্যথার জন্য অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে। যেগুলোর কোম্পানিগুলো ভিন্ন ভিন্ন। তবে আমরা উপরে দাঁতের ব্যথার জন্য বেশ কয়েকটি দাঁতের ব্যাথার ঔষধের নাম সম্পর্কে জানিয়েছে।

    আরো পড়ুনঃ দাঁত স্কেলিং এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

    আপনি চাইলে উপরোক্ত দাঁত ব্যথার ওষুধ সেবন করে দাঁতের ব্যথা ভালো করতে পারেন। উপরোক্ত দাঁত ব্যথার ওষুধ সেবনের আগে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে। এবং উপরোক্ত দাঁত ব্যথার ওষুধ গুলো আপনার প্রয়োজন মত খেতে হবে। যদি অপ্রয়োজনে খেয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই যে কোন ঔষধখাওয়ার আগে সতর্কতা এবং নিয়ম মেনে ঔষধ খেতে হবে।

    দাঁত ব্যথার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা কি

    আমাদের দাঁতের ব্যথা সাধারণত রাতে অনেক তীব্রতা দেখা দেয়। এর ফলে রাতে তেমন ভাবে ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় না। সেই ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে আপনি কিভাবে দাঁতের ব্যথা কমাবেন তা আমরা নিচে জানিয়ে দেবো। দাঁত ব্যথার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিম্নে দেওয়া হলঃ
    • রাতে যদি প্রচন্ড দাঁত ব্যথা করে তাহলে বাড়িতে থাকা দুটি লবঙ্গ একসঙ্গে নিয়ে গুড়ো করে নিন। এরপর গুরু করা লবঙ্গের সাথে নারিকেল তেল বা অলিভয়েল তেল সামান্য পরিমাণ দিয়ে পেস্ট করে নিন। এরপর আক্রান্ত জায়গায় কিছু সময় রেখে দিন। এরপরে দেখবেন দাঁতের ব্যথা তাৎক্ষণিক কমে গেছে।
    • দাঁতের ব্যথা তাৎক্ষণিক কমানোর জন্য লবণ এবং মরিচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য পরিমাণ লবণ এবং সামান্য পরিমাণ মরিচার গুঁড়া একসঙ্গে নিয়ে পানি দিয়ে পেস্ট করে নিন। এরপর আক্রান্ত স্থানে বা দাঁতে যদি কোন হোল থাকে তাহলে সেখানে ঢুকিয়ে দিন। তাহলে দেখবেন তাৎক্ষণিক দাঁতের ব্যথা কমে গিয়েছে।
    • পেয়ারার পাতা এবং লবণ ও দাঁতের ব্যথা দূর করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি চার থেকে পাঁচটা পেয়ারার পাতা নিয়ে তার ভেতরে এক চামচ লবণ দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। এরপর হালকা ঠান্ডা করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে দাঁতের ব্যথা তাৎক্ষণিক কমে গিয়েছে।

    শেষ কথা

    আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট সম্পর্কে সকল বিস্তারিত উপায় আলোচনা করেছি। আশা করি উপরোক্ত আলোচনা আপনার দাঁত ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। দাঁত ব্যথার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকি। তবে আপনারা চাইলে উপরোক্ত ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে দাঁত ব্যথা নিমিষেই কমিয়ে আনতে পারেন। আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url