দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট - দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায়
আসসালামু আলাইকুম আমরা অনেকেই আছি যারা দাঁতের যন্ত্রণা নিয়ে অস্থির হয়ে পড়ি।চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ আমরা এ ই পোস্টের মাধ্যমে দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট এবং দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায় ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। দাঁতের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট সম্পর্কে জেনে রাখা আমাদের সকলেরই উচিত।
তাহলে চলুন দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট - দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে আসি, আর এই পোস্টটি পড়লে আপনি খুব সহজে দাঁতের যন্ত্রণা কমাতে পারবেন। এবং দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট এর নামও জানতে পারবেন।
দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট
- ফেনামিক-Fanamic 500mg
- ফেনামিক-Fanamic 250mg
- নাপা ওয়ান-Napa One
ফেনামিক Fanamic 500mg
ফেনামিক Fanamic 250mg
আরো পড়ুনঃ দাঁতের শিরশির বন্ধ করার উপায়
নাপা ওয়ান Napa One
দাঁত ব্যথার অ্যান্টিবায়োটিক
- টরী-Tory 60mg
- এক্সিলক-Exilok 20mg
- মক্সাসিল-Moxacil 500mg
- এমোডিস-Amodis 400mg
বাচ্চাদের দাঁত ব্যথার ঔষধ
- রেনোভো ( Renova )
- ফেনামিক ( Fenamic )
রেনোভো Renova এই সিরাপটি ১ থেকে ২ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের ১ চামচ করে দিনে ৪ বার ৩ দিন খাওয়াতে হবে। ২ থেকে ৪ বছর বাচ্চাদের দের চামচ করে দিনে ৪ বার ৩ দিন খাওয়াতে হবে। ৪ থেকে ৭ বছর বাচ্চাদের ২ চামচ করে দিনে ৪ বার ৩ দিন খাওয়াতে হবে। সিরাপটি খাওয়ানোর ফলে বাচ্চার দ্রুত দাঁত ব্যথা কমে যাবে। বাচ্চার অতিরিক্ত দাঁত ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এই ওষুধটি খাওয়াতে পারবেন। এতে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
- ফেনোমিক সিরাপটি ৫ কেজি থেকে ৭ কেজি বাচ্চাদের ১ চামচ করে দিনে ২ বার ৩ দিন খাওয়াতে হবে।
- ৭ কেজি থেকে ৮ কেজি বাচ্চাদের দেড় চামচ করে দিনে ২ বার ৩ দিন খাওয়াতে হবে।
- ৮ কেজি থেকে 10 কেজি বাচ্চাদের ২ চামচ করে দিনে ২ বার ৩ দিন খাওয়াতে হবে।
- ১০ কেজি থেকে ১৫ কেজি ওজনের বাচ্চাদের ২ চামচ করে দিনে ২ বার ৩ দিন খাওয়াতে হবে।
দাঁতের ইনফেকশনের ঔষধ
আরো পড়ুনঃ আক্কেল দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়
চিন্তার কোন কারণ নেই, কেননা আমরা এ আর্টিকেল এর মাধ্যমে দাঁতের ইনফেকশনের ঔষধের নাম এবং কার্যকারী বিস্তারিত আলোচনা করব। নিম্নে দাঁতের ইনফেকশনের ঔষধ দেওয়া হলোঃদাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায়
- দাঁতে যদি প্রচন্ড ব্যথা হয় তাহলে বাড়িতে থাকা একটি পেঁয়াজ নিন। এরপর পেঁয়াজ চার টুকরো করে এক টুকরো দাঁতের তলে শক্ত করে চেপে ধরে রাখুন। এরপর দেখবেন দাঁতের ব্যথা আস্তে আস্তে কমে যাবে।
- দাঁতে যদি কোন রকম পোকা বা ব্যথা থাকে তাহলে আমলকির রস,কপূর এবং তিলের তেল নিয়ে একসঙ্গে পেস্ট করে দাঁতে লাগিয়ে রাখুন। এর ফলে দাঁতের ব্যথা দ্রুত কমে যাবে।
- নিমের পাতা এবং লবণ একসঙ্গে নিয়ে গরম পানিতে ফুটিয়ে নিন। এরপর গরম পানি হালকা ঠান্ডা করে কুলকুচি করে ফেলুন। এতে দাঁতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- যদি দাঁতে অনেক বেশি পরিমাণ ব্যথা করে তাহলে সরিষার তেল, লবণ এবং হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে দাঁতের সঙ্গে লাগিয়ে রাখুন। এরপর সমস্ত মুখের ভেতরে ধুয়ে ফেলুন। এতে দাঁতের ব্যথা তাৎক্ষণিক ভাবে দূর হয়ে যাবে।
- দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য আদা অনেক প্রয়োজনীয় একটি বস্তু। আদার পেস্ট করে দাঁতে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ আদা লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্যথা কমে যাবে। যদি আপনি আদার পেস্ট দাঁতে না লাগাতে চান তাহলে আদার রস খেতে পারেন।
পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়
- সর্বপ্রথম আপনাকে নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে উঠে ব্রাশ করতে হবে।
- বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। যদি আপনি মিষ্টি খেয়ে থাকেন তাহলে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
- বিভিন্ন ধরনের জর্দা জাতীয় দ্রব্য এবং পান খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এই ধরনের খাদ্য দাঁতের পোকা এবং ইনফেকশন ছড়াতে সাহায্য করে।
- দিনে ৫ থেকে ৬ বার করে লবণ পানি হালকা কুসুম গরম করে কুলকুচি করতে হবে। এতে দাঁতের ব্যথা এবং পোকা দূর হয়ে যায়।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে।
দাঁতের ব্যথার জন্য কি ওষুধ আছে
মাড়ি ফুলে গেলে লবণ পানির ব্যবহার
মাড়ি ফুলে গেলে আদার ব্যবহার
মুখের ভেতরে থাকা যে কোন জীবাণু ধ্বংস করায় আদা একটি অনেক কার্যকরী ঔষধ। মাড়ি
ফুলে গেলে আদা নিয়ে হালকা হালকা করে চিবতে থাকুন। এতে করে মাড়ির সকল জীবাণু
ধ্বংস হয়ে যায়। যার ফলে মাড়ি ফুলে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
মাড়ি ফুলে গেলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার
ক্যাস্টর অয়েল শুধু আমাদের চুলের জন্য উপযোগী নয়। এ ক্যাস্টর অয়েল দাঁতের
জন্য অনেক ভালো একটি উপকারী তেল। মাড়ি ফুলে গেলে বা দাঁত ব্যথা করলে আক্রান্ত
স্থানে হালকা করে ক্যাস্টর অয়েল তেল লাগান। তাহলে দেখবেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে
মাড়ি ফোলা কমে গেছে।
মাড়ি ফুলে গেলে লবঙ্গর ব্যবহার
লবঙ্গ নারী ফুলে যাওয়া কমানোর খুব উপকারী একটি উপকরণ। এক থেকে দুই টুকরা লবঙ্গ
দাঁতের নিচে রেখে দিলে খুব দ্রুত মাড়ি ফোলা কমাতে সাহায্য করে। এটি একটি খুব সহজ
ঘরোয়া পদ্ধতি।
দাঁত ব্যথার জন্য কোন ট্যাবলেট ভালো
ফেনামিক Fenamic 500mg
ফেনামিক Fenamic 250mg
দাঁতের ব্যথার জন্য কি ওষুধ আছে
উপরোক্ত আর্টিকেল গুলোর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের দাঁতের ব্যথার ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। দাঁতের ব্যাথার ঔষধের নাম ও কার্যকর সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। দাঁতের ব্যথার জন্য যে কোন ফার্মেসিতে গেলে বা ডাক্তারের কাছে গেলে অনেক ধরনের ওষুধ দিয়ে দিবে। দাঁতের ব্যথার জন্য অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে। যেগুলোর কোম্পানিগুলো ভিন্ন ভিন্ন। তবে আমরা উপরে দাঁতের ব্যথার জন্য বেশ কয়েকটি দাঁতের ব্যাথার ঔষধের নাম সম্পর্কে জানিয়েছে।
আরো পড়ুনঃ দাঁত স্কেলিং এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
আপনি চাইলে উপরোক্ত দাঁত ব্যথার ওষুধ সেবন করে দাঁতের ব্যথা ভালো করতে পারেন। উপরোক্ত দাঁত ব্যথার ওষুধ সেবনের আগে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে। এবং উপরোক্ত দাঁত ব্যথার ওষুধ গুলো আপনার প্রয়োজন মত খেতে হবে। যদি অপ্রয়োজনে খেয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই যে কোন ঔষধখাওয়ার আগে সতর্কতা এবং নিয়ম মেনে ঔষধ খেতে হবে।দাঁত ব্যথার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা কি
আমাদের দাঁতের ব্যথা সাধারণত রাতে অনেক তীব্রতা দেখা দেয়। এর ফলে রাতে তেমন ভাবে ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় না। সেই ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে আপনি কিভাবে দাঁতের ব্যথা কমাবেন তা আমরা নিচে জানিয়ে দেবো। দাঁত ব্যথার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিম্নে দেওয়া হলঃ- রাতে যদি প্রচন্ড দাঁত ব্যথা করে তাহলে বাড়িতে থাকা দুটি লবঙ্গ একসঙ্গে নিয়ে গুড়ো করে নিন। এরপর গুরু করা লবঙ্গের সাথে নারিকেল তেল বা অলিভয়েল তেল সামান্য পরিমাণ দিয়ে পেস্ট করে নিন। এরপর আক্রান্ত জায়গায় কিছু সময় রেখে দিন। এরপরে দেখবেন দাঁতের ব্যথা তাৎক্ষণিক কমে গেছে।
- দাঁতের ব্যথা তাৎক্ষণিক কমানোর জন্য লবণ এবং মরিচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য পরিমাণ লবণ এবং সামান্য পরিমাণ মরিচার গুঁড়া একসঙ্গে নিয়ে পানি দিয়ে পেস্ট করে নিন। এরপর আক্রান্ত স্থানে বা দাঁতে যদি কোন হোল থাকে তাহলে সেখানে ঢুকিয়ে দিন। তাহলে দেখবেন তাৎক্ষণিক দাঁতের ব্যথা কমে গিয়েছে।
- পেয়ারার পাতা এবং লবণ ও দাঁতের ব্যথা দূর করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি চার থেকে পাঁচটা পেয়ারার পাতা নিয়ে তার ভেতরে এক চামচ লবণ দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। এরপর হালকা ঠান্ডা করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে দাঁতের ব্যথা তাৎক্ষণিক কমে গিয়েছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url