ন্যাটোর সদর দপ্তর কোথায় 2023
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আমরা আজকের প্রশ্নের মাধ্যমে ন্যাটোর সদর দপ্তর কোথায় 2023 সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ন্যাটোর সদর দপ্তর কোথায় 2023 যারা এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেই আজকের পোষ্টের মাধ্যমে সম্পূর্ণ আলোচনা করব।
ন্যাটো প্রতিষ্ঠাতা
১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল এ প্রতিষ্ঠিত হয় একটি সামরিক সহযোগিতার জোট। ন্যাটো ভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতার অঙ্গীকারবদ্ধ। জেসন স্টলবারবার্গ বর্তমানে ন্যাটো মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে অবস্থিত উত্তর আমেরিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এই জোটের সদস্য। এছাড়াও তুরস্ক জোটের সদস্য। এই জোটের প্রতিষ্ঠানকালীন সদস্য একত্রে ১২ টি। ন্যাটোর বর্তমান সদর দপ্তর যদিও বেলজিয়ামের রাসেলসে, পূর্বে এর সদর দপ্তর ছিল ফ্রান্সের প্যারিসে।
আরো পড়ুনঃইউক্রেনের মুদ্রার নাম জেনে নিন
এ সামরিক জোটের অ্যাসোসিয়েট সদস্য দেশ সদস্য নয় রাশিয়া। ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তুরস্ক ও অ্যালবেনিয়াম হল একটি মুসলিম রাষ্ট্র। ন্যাটো একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী। ন্যাটোর সদর দপ্তর বেলজিয়াম এর ব্রাসেলসে অবস্থিত। ন্যাটোর বর্তমান সদস্য দেশ সংখ্যার সমষ্টি ৩১। এদের মধ্যে সমষ্টি রয়েছে ২৯ টি দেশ ইউরোপের আর বাকি দুই টি দেশ হচ্ছে উত্তর আমেরিকার। ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল এ অ্যালবেননিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া ন্যাটো তে যোগ দেই। উত্তর মেসিডোনিয়া ২৭ মার্চ ২০২০ তারিখ এ যোগ দেয়।
সর্বশেষ ফিনল্যান্ড ২০২৩ এর ৪ এপ্রিল এ তারিখে ন্যাটো তে যোগ দেয়। ন্যাটোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর খরচ পৃথিবীর সকল সামরিক খরচের প্রায় ৭৫ ভাগ। আসলে ন্যাটো একটি যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা যার মাধ্যমে এর স্বাধীন সদস্য রাষ্ট্রগুলো কোন বহিরাগত পক্ষের আক্রমণের জবাবে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার জন্য সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের হুমকির জবাব দেওয়ার জন্য।
ন্যাটোর ইতিহাস
১৯৬১ সালে বর্ণিল প্রাচীর নির্মাণটি শীতল যুদ্ধের উত্তেজনার উচ্চতা চিহ্নিত করেছিল। যখন ৪০০, ০০০ ইউরোপে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা ছিল। সম্ভাব্য সেভিয়াত আক্রমণের বিরুদ্ধে ন্যাটোর প্রতিরক্ষার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্ধ্যের সাথে ইউরোপের রাষ্ট্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের একটি শক্তি নিয়ে সন্দেহ প্রতিবাহিত হয়েছিল সে সন্দেহে যা স্বাধীন ফরাসি পারমাণবিক প্রতিরোধের বিকাশ এবং প্রত্যাহারের দিকে পরিচালিত করেছিল ১৯৬৬ সালে ন্যাটোর সামরিক কাঠামো থেকে ফ্রান্সের। ১৯৮২ সালে, সদ্য গণতান্ত্রিক স্পেন জোটে যোগ দেয়।
ইউরোপে ১৯৮৯ সালে বিপ্লব গুলি সেই মহাদেশ ন্যাটোর উদ্দেশ্যে, প্রকৃতি, কাজ এবং প্রকাশগুলোর একটি কৌশলগত পূর্ণ মূল্যের দিকে পরিচালিত করেছিল। ১৯৯০ সাল এর অক্টোবরে পূর্ব জার্মানি ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানি এবং জোটের অংশ হয়ে ওঠে। ১৯৯০ সালের নভেম্বরে জোটটি সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে প্যারিসে ইউরোপ প্রচলিত সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এটি মহাদেশ জুড়ে নির্দিষ্ট সামরিক বাধ্যতামূলক হ্রাস করে। যা ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরশ চুক্তির পতন এবং সেই ডিসেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলোক্তির পর অব্যাহত ছিল।
যা ন্যাটোর প্রকৃত প্রধান প্রশিক্ষককে সরিয়ে দেয়। এটি ইউরোপের সামরিক ব্যয় এবং সরঞ্জামের ড্রোডাউন শুরু করে। CFE চুক্তি স্বাক্ষরকারীদের ৫২ হাজার অপসারণের অনুমতি দিয়েছে। পরবর্তী ১৬ বছর প্রচলিত অস্ত্রের টুকরো। ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের ২৮% হ্রাস পেতে থাকে। ১৯৯০ সালে বেশ কয়েকজন পশ্চিমা নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে ন্যাটো আরোও পূর্বে সম্প্রসারিত হবে না। চলুন আমরা নিম্নে জেনে নেই ন্যাটোর সদর দপ্তর কোথায় 2023।
ন্যাটোর প্রতিষ্ঠাকালীন সদর দপ্তর কোথায়
ন্যাটোর সদর দপ্তর কোথায় 2023 এই সম্পর্কে জানবেন। ন্যাটোর প্রতিষ্ঠাকালীন সদর দপ্তর অবস্থিত ব্রাসেলস, বেলজিয়ামে। ন্যাটোর সতর্কতার পূর্বে ছিল ফ্রান্সের প্যারিসে। এ সামরিক জোটের অ্যাসোসিয়েট সদস্য দেশ সদস্য নয় রাশিয়া। ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তুরস্ক ও অ্যালবেনিয়াম হল একটি মুসলিম রাষ্ট্র। জেসন স্টলবারবার্গ বর্তমানে ন্যাটো মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ন্যাটো একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী। ন্যাটোর সদর দপ্তর বেলজিয়াম এর ব্রাসেলসে অবস্থিত। ন্যাটোর বর্তমান সদস্য দেশ সংখ্যার সমষ্টি ৩০।
আরো পড়ুনঃরাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের সর্বশেষ খবর
এদের মধ্যে সমষ্টি রয়েছে ২৯ টি দেশ ইউরোপের আর বাকি দুই টি দেশ হচ্ছে উত্তর আমেরিকার। ন্যাটোর প্রতিষ্ঠাকালীন সদর দপ্তর এর ভাষা দুই টি একটি হচ্ছে ইংরেজি আরেকটি ফ্রান্স। ন্যাটোর সদর দপ্তর কোথায় 2023 সেই সম্পর্কে বুঝতে পেরেছি।
ন্যাটোর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য
ন্যাটো শব্দটিকে সম্প্রসারণ করলে বোঝা যায় নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট। এই ন্যাটো গঠিত হয় আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে অবস্থিত উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , কানাডা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ নিয়ে। ন্যাটো একটি সম্বলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী। ন্যাটোর প্রতিষ্ঠানকালীন সদস্য ছিল ১২ টি । বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ৩০ টি। সদস্য সংখ্যা গুলোর মধ্যে মুসলিম দেশ মাত্র দুইটি তুরস্ক এবং আলবেনিয়া। এদের সদর দপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই স্নায়ু যুদ্ধের প্রাক্কালে গঠিত এর সদস্য ছিল সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্মিলিত সুরক্ষা প্রদান করা। ন্যাটো হলো পৃথিবীর বৃহত্তম শক্তিশালী সামরিক সংগঠন মধ্যে একটি। ন্যাটোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর খরচ পৃথিবীর সকল দেশের খরচ এর প্রায়ই ৭৫ পার্সেন্ট। ন্যাটো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল। যা পরবর্তীতে কার্যকর হয় ১৯৪৯ সালের ২৪ আগস্ট।
চুক্তি অনুযায়ী এর অন্তর্ভুক্ত যেকোন দেশের ওপর হামলা হলে সেটি সবার হামলা হিসেবেই গণ্য হবে এবং তখন তার জন্য এগিয়ে আসবে। বিশ্ব রাজনীতি এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখে থাকে। বর্তমানে ন্যাটোর মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নরওয়েভ রাজনীতিবিদ জেশন স্টলবারবার্গ।
ন্যাটো শব্দের অর্থ কি
ন্যাটো শব্দের অর্থ নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট। উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট এর বিস্তারিত অর্থ শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং সদস্যদের নিরাপত্তার রক্ষার জন্য ইউরোপীয় এবং উত্তর আমেরিকা দেশগুলো প্রতিষ্ঠিত একটি আক্রমণাত্মক জোট। স্নায়ুযুদ্ধের প্রাক্কালে ন্যাটোর জন্ম। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ৩০ টি। সদস্য সংখ্যা গুলোর মধ্যে মুসলিম দেশ মাত্র দুইটি তুরস্ক এবং আলবেনিয়া। ৩০ টি যে দেশ আছে সে দেশগুলো হলো
অ্যালবেনিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আউসল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মন্ট্রি নেগ্রো, নেদারল্যান্ডস, উত্তর মেসিডোনিয়া, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লভেনিয়া, স্পেন, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ন্যাটোর বর্তমান মহাসচিব
মার্কিন নেতৃত্বধানীক সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলবারবার্গ বলেন, এই জোটে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তুরস্ক যে উদ্যোগ জানিয়েছে তা বৈধ এবং সঠিক। স্টলবারবার্গ আরো বলেন, তুরস্ক সন্ত্রাসবাদ ও অস্ত্র রূপান্তরের ব্যাপারে উদ্যোগ জানিয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে এবং বুঝতে হবে যে ন্যাটো জোটের কোন সদস্য তুরস্কের মত এত বেশি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়নি। ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট শাওলি নিনিস্তর সঙ্গে রোববার যৌথ সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন স্টলবারবার্গ।
রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন কয়েক দশকের নিরপেক্ষা অবস্থান বাদ দিয়ে ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্য হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে তুরস্ক বাধা সৃষ্টি করছে। সুইডেন ও ফিনল্যান্ড তুরস্কের পিকেকে সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অস্ত্র, অর্থ এবং আশ্রয়ের মত দিয়ে আসছে।
ফলে সন্ত্রাসবাদকে পৃষ্ঠ পোষকতা করা কোন দেশ ন্যাটো জোটের সদস্য হতে পারেনা। তুরস্কের বিরোধিতার মুখে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড এর ন্যাটো জোটের সদস্য হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এটির কারণ হচ্ছে ন্যাটো জোটের কোন দেশকে সদস্য হিসেবে গ্রহণ করতে গেলে সব সদস্যের মতামত নিতে হয়।
ন্যাটো সেনাবাহিনী
ন্যাটো এর কোন নিজস্ব সেনাবাহিনী নেই। জোট টি সদস্য দেশ গুলোকে পাঠানো বাহিনীর উপর নির্ভর করে থাকে। এর অর্থ হল প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের নিজস্ব সেনাবাহিনীর শক্তিমত্তায় ন্যাটোর শক্তি। জোটের স্বার্থে প্রতিটি সদস্য তাদের প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে শক্তি ন্যাটো তে পাঠায়। অবশ্য অন্যান্য সদস্যরা ন্যাটো তে ন্যায্য অবদান রাখছে না বলে প্রায়েই অভিযোগ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য গুলো। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ন্যাটো তে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে আসছে আমেরিকা
আরো পড়ুনঃঅস্ট্রেলিয়া - স্কলারশিপ সম্পর্কে জেনে নিন
ন্যাটো তে সামরিক বাজেট সর্বহারের ক্ষেত্রে অন্যান্য সকল মিত্ররা আমেরিকার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। ২০০১ সালে ৯ অথবা ১১ হামলার পর ন্যাটোর জন্য আমেরিকার ব্যয় আরো বহু লাংশ বেড়ে যায়। ন্যাটোর গাইডলাইন অনুসারে, প্রতিটি দেশ জিডিপির ২ পার্সেন্ট প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত। কিন্তু বেশিরভাগ সদস্য দেশের এ লক্ষ্য পূরণ করছে না। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে সদস্য গুলোর প্রায়ই কঠোর সমালোচনায় ভুগছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপিয়ান দেশগু লোকে ন্যাটো তে খরচ বাড়ানোর চাপ দিতে থাকেন।
এবং এক পর্যায়ে অতীতে তাদের ঘাটতি মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রকে টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি তুলে ধরেছিলেন। ন্যাটোর সাম্প্রতিক এক হিসেবে ২০২১ সালে সাত টি সদস্য রাষ্ট্র ন্যাটোর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিরক্ষা খাতের বাজেটে জি ডি পির ২ পারসেন্ট বরাদ্দ দিয়েছে । দেশ গুলো হলো গ্রীস, যুক্তরাষ্ট্র, ক্রোয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, রোমানিয়া এবং ফ্রান্স।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url